চৌমুহনীতে মসলায় ক্ষতিকারক রঙ ব্যবহারের অভিযোগে র‌্যাবের অভিযানে লাখ টাকা অর্থদন্ড

422 Views

আবদুল কাদের, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মসলায় ক্ষতিকারক রঙ ও নিন্মমানের পোকা ধরা গুড়া মসলা ব্যবহায় করায় দু’টি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার চৌমুহনী বাজারের মসলার আড়ত গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধরা পড়ে মসলায় রঙ ও নিন্মমানের পোকা ধরা মসলা বাজারজাতকরণ। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর কামরুজ্জামান কবির’র নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান দুইটিকে এক লাখ টাকা অর্থদন্ড করে।  দণ্ডিত প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- মেসার্স রনী এন্টার প্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা, মেসার্স রমনী ষ্টোরকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মীর কামরুজ্জামান কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন , জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনায় সহযোগিতায় করেন, র‌্যাব-১১ লক্ষীপুর, কার্যালয়ের সদস্যরা।

বর্ণিল আয়োজনে সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশন’র তৃতীয় বর্ষপূতি উদ্ধোধনে: আলহাজ এডভোকেট ওমর ফারুক

308 Views

ছানা উল্যাহ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: জমকালো আয়োজনে পালিত হলো নোয়াখালীর সুনামধ্য বিনামূল্য রক্তদানকারি সামাজিক সংগঠন ‘সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশন’ এর তৃতৃমতীয় বর্ষপূর্তি ও সেচ্ছাসেবিদের মিলনমেলা অনুষ্ঠান। গতকাল সন্ধ্যা ৭ টায় চরজব্বার থানার মার্কেটে এই জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংগঠনটি। তিন পর্বের অনুষ্ঠানে শুরুতে কেক কেটে  সংগঠনটির দ্বিতীয় বর্ষপূতি উদযাপন উদ্ধোধন করেন সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশনের উপদেষ্ঠা আলহাজ এডভোকেট ওমর ফারুক, অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান এবং অতিথিদের বক্তব্য ও সংগঠনের সেরা রক্তদাতা, রক্ত সংগ্রাহক সহ নানা অবদানের জন্য সংগঠনের দায়ীত্বরতদের মধ্যে ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়। সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম খান এর সভাপতিত্বে,  সংগঠনটির সদস্য ওমর ফারুক সুমনের সঞ্চালনায় ও সাধারন সম্পাদক মোঃ ইয়াছিনের তত্বাবধান বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি ছিলেন, চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ,  করোনাযোদ্ধা,  মানবিক ওসি সাহেদ উদ্দিন, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি, নোয়াখালী জেলা জজকোর্টে এপিপি আলহাজ এডভোকেট মোঃ ওমর ফারুক, বিশেষ অতিথি ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বাহার, ২ নং চরবাটা  ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রাজিব, শহিদ জয়নাল আবেদিন সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রদান শিক্ষক শিমুল চন্দ্রদাস, যায়যায়দিন প্রত্রিকার সুবর্ণচর প্রতিনিধি সাংবাদিক আব্দুল বারী বাবলু। পরে অতিথিরা রক্তদানে মানুষের জীবন বাঁচনো, এবং রক্তদান কর্মিসূচি পালনসহ সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা পালনের জন্য প্রতিটি সদস্যকে ক্রেস্ট প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে আরো  উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক আবু কালাম সফি চৌধুরী,  সাংবাদিক মোজাহিদুল ইসলাম সোহেল,  মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, ছানা উল্যাহ প্রমূখ।

“সেচ্চায় করি রক্তদান, আপনার রক্তে বাঁচুক প্রান” স্লোগানকে সামনে রেখে ‘সুবর্ণ ব্লাড ফাউন্ডেশন’ তিন বছরে প্রায় ২  হাজার ব্যাগ রক্তদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। হাফেজ মোঃ হোসাইন, হারুনুর রশিদ,  তূরন্ত দেবনাথ, তৌয়মুর রহমান সোহাগ জহিরুল ইসলাম ফার্সি, ওমর ফারুক সুমন, নাছির হোসেন, শাপলুসহ অনেকেই সেরা রক্তদাতা ও সেরা রক্ত সংগ্রাহক সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। এছাড়াও সংগঠনটি করোনাকে ঘরবন্ধী ৫০০ পরিবারের মাঝে, হ্যান্ডস্যানিটাইজার,  মাস্ক ও  খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। বাল্য বিবাহ রোধ, মাদক নির্মূলসহ নানা সামাজিক কাজে অবদান রাখছে সংগঠনটি। বক্তারা সমাজসেবী সংগঠনগুলো এমন কর্মকান্ডকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এক ব্যাগ রক্তের অভাবে একটি মানুষ মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে, সেসব মূমূর্ষ রোগিকে রক্তদান করে বাঁচিয়ে তুলছেন এই সেচ্ছাসেবী সংগঠনের রক্তযোদ্ধারা, রাত,দিন, ঝড়তুফান উপেক্ষা করে এসব রক্তযোদ্ধারা মানুষের জীবন বাঁচাতে ছুটে চলছে অভিরাম, আমাদের সবার উচিত এসব সেচ্ছাসেবী সংগঠনের পাশে দাঁড়ানো, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া এবং তাদের কার্যক্রমে ভূমিকা পালন করা, সবার সহযোগিতায় বদলে যেতে পারে দেশ এবং সমাজ, বক্তরা উপস্থিত সবাইকে চলমান কার্যক্রম আরো বেগবান করতে আহবান জানান এবং সংগঠনের প্রতিটি সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কোম্পানীগঞ্জে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে চাচাতো বোনের জামাই গ্রেফতার

381 Views

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নিজ বসতঘরে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক দরিদ্র জেলের (৯) বছর বয়সী মেয়ে । রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উড়িরচরের চর আমজাদ আদর্শ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষককে পুলিশে সোপর্দ স্থানীয় এলাকাবাসী। এর আগে, একই দিন সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী। আটককৃত, জয়নাল (২০) উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চর আমজাদ আদর্শ গ্রামের আবদুস সাত্তার খোকন’র ছেলে। কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান রাত ১০টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।   ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানান, রোববার দিবাগত রাতে নির্যাতিতা শিশুর মা-বাবা তার ছোট ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলেন। এ সুযোগে ওই দিন রাত ৩টার দিকে একই এলাকার প্রতিবেশী ব্যবসায়ী জয়নাল (২০) ওই শিশুর মুখে কাপড় চাপা দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।  পরে নির্যাতিতা শিশু এবং তার ছোট ভাই ঘটনাটি স্থানীয়দের জানালে এলাকাবাসী তাকে আটক করে। ওসি আরিফুর রহমান আরো জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিশুর মা বাদী নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত আসামিকে আগামীকাল গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।

কমলনগরের চরকাদিরায় বিনামূল্যে সরকারী ঘর পাওয়ায় ৬ পরিবারে আনন্দের বণ্যা

188 Views

আমানত উল্যাহ, রামগতি-কমলনগর, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে”জমি আছে ঘর নাই”প্রকল্পের আওতায়  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের দেয়া গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর)এর আওতায় ২০২০-২১অর্থ বছরের অর্থ বরাদ্দে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মান কাজ শেষ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান,দেশের শীর্ষ আলেম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগর।সরকারের দেওয়া প্রায় সকল বরাদ্দ কোন প্রকার হয়রানি ছাড়াই সুফলভোগীরা পেয়ে থেকেন এ ইউনিয়নে।যেখানে অন্যান্য জায়গায় এই সব ঘর বরাদ্দ নিতে ৪০/৫০ হাজার টাকার মতো ঘুষ দিয়েও অনেকে ঘর পাইনি। সেখানে চরকাদিরা ইউনিয়ন সম্পুর্ন ব্যতিক্রম। হয়রানি ও ঝামেলা চাড়াই এই ঘরগুলোর কাজ সম্পুর্ন করেন চেয়ারম্যান। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে বিনা মূল্যে ঘর পাওয়া সুফলভোগীরা। জানাযায়, চরকাদিরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আব্দুল মালেক ভান্ডারীর নামে ১ টি ঘর,৩নং ওয়ার্ডে হাবিব উল্লাহ,শিরিন আক্তারের নামে ১ টি করে ঘর, ৪ নং ওয়ার্ডে ইউছুফ ও কাশেমর নাম ১ টি করে ঘর,ও ৬ নং ওয়ার্ডে নিজাম উদ্দিনের নামে একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। উপজেলার চরকাদিরা  ইউনিয়নের এই ৬টি পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে নতুন সেমি পাকা ঘর র্নিমাণ করে হস্তান্তরের অপেক্ষা রয়েছেন। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর র্নিমাণে ১৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। ঘর পেয়ে হাবিব উল্লাহ কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, সরকারের দেওয়া ঘর বিনামূল্যে পাইলাম।অথছ অন্যন্য জায়গায় ৪০/৫০ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। আর আমাদের চেয়ারম্যান হুজুর বিনামুল্যে দিল। ঝড়বৃষ্টি যতোই হউক আর কোন সমস্যা নাই। বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের অংশ হিসেবে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৬ টি ঘর নির্মান কাজ শেষ হয়। গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন (টিআর) কর্মসূচির আওতায় দুযোর্গ সহনীয় গৃহনিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় এসব হতদরিদ্র ও অসহায় পরিবারকে বাছাই করে তালিকা চুড়ান্ত করেন চেয়ারম্যান। পরে ঘর র্নিমাণ কাজ শুরু করা হয়। ২১ ফুট বারান্দাসহ দুই কক্ষ, রান্না ঘর ও স্যানেটারী ল্যাট্রিন র্নিমাণ করতে  পরিবার প্রতি বরাদ্দ দেয়া হয় ২ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা। স্হানীয়রা জানায়,চরকাদিরা ইউনিয়নে ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা,বিধবা ভাতা, প্রতিবন্দী ভাতা,মাতৃত্বকালীন ভাতা, গুচ্ছগ্রামের ঘর বন্টন,সহ সবধরনের সুযোগ সুবিধা নিতে ঝামেলা পোহাতে হয়না।এবং সম্পুর্ন ঘুষ দুর্নীতি ছাড়াই সুফলভোগীদের নিকট সরকারের দেওয়া সকল বরাদ্দ বন্টন করেন চেয়ারম্যান। নিজে সরেজমিনে তদন্ত করে প্রাপ্য লোকদের মাঝে সঠিক ভাবে বন্টন করেন। সরকারের দেওয়া সকল ত্রান সামগ্রী বিতরনে এক নজির স্হাপন করলেন এ চেয়ারম্যান। মহামারী করোনা ভাইরাস কে কেন্দ্র করে সরকারের দেওয়া প্রণোদনা(২৫ শত) টাকা সকল দলের সাথে সমন্নয় করে সঠিক লোকদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের নিজস্ব মোবাইল একাউন্টে টাকা পাওয়ার ব্যবস্তা করেন চেয়ারম্যান। এখন আবার বিনামুল্যে পাওয়া ৬ টি ঘর বিতরন করে আরেক ইতিহাস সৃষ্টি করলেন চরকাদিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগর। চরকাদিরা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন বলেন,এই ইউনিয়নের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ও সুষ্ঠু বিলি বন্টন হয়েছে এই চেয়ারম্যানের আমলে।এবং নিঃসন্দেহে বলা যায় আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ একজন সৎ ও যোগ্য চেয়ারম্যান। চরকাদিরার ইতিহাসে এমন চেয়ারম্যান পাওয়া সত্যই ভাগ্যের ব্যাপার।  স্হানীয় ইউপি সদস্য আকরাম হোসেন শাহেদ হাওলাদার জানান,চরকাদিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ ও বড় মাপের আলেম।তিনি নিজেও দুর্নীতি করেনা।অন্যদেরকে দুর্নীতি করতে দেয়না।তার সততার কারনে সকল বরাদ্দ প্রাপ্য ব্যক্তিরাই পান।১৭লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘর বিতরন তার একটি প্রমান। চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন তার ইউনিয়নে সকল প্রকল্পের কাজ তিনি শতভাগ আদায় করে ছাড়েন। কোন প্রকার দুর্নীতি অনিয়মের কোন সুযোগ এখানে নেই। সবধরনের বরাদ্দ যোগ্য ব্যক্তিরাই পেয়ে থাকেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোবারক হোসেন বলেন চরকাদিরা ইউনিয়নের ঘরগুলো বরাদ্দ দিতে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। চেয়ারম্যান সাহেব যাচাই বাচাই করে সমাজের একেবারে অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত প্রাপ্ত লোকদের কে ঘর গুলো দিয়েছে।গুনগত মান নির্ণয় করেই ঘর গুলো নির্মাণ করা হয়েছে

সুবর্ণচরে ধর্ষণের চেষ্টা প্রমাণিত হওয়ায় বাদীনি ও পরিবারকে উপর্য়োপুরি হয়রানি

219 Views

আকাশ মো. জসিম, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর সুবর্ণচরের কেরামতপুরে স্বামী বাড়ি না থাকার সুযোগে এক নারী (২৫) কে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বখাটেরা। এ ঘটনায় নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষক কেফায়েত উল্যাহ (৪৫) ও বাহার ড্রাইবার (৪২)’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে ওই নারী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী সাইফুল ইসলাম জীবিকার প্রয়োজনে চট্রগ্রামে কাজ করেন। বাদীনি বাবার বাড়ির পাশে দু’ মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। আসামীরা দীর্র্ঘদিন ধরে বাদীনিকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিলো। বাদীনি তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা গত ৮ আগষ্ট শনিবার বাদীনির মেয়েরা পাশে নানা বাড়িতে গেলে বাদীনিকে একা পেয়ে ঘরে ডুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় বাদীনির শৌ’চিৎকারে বাদীনির বাবা বাড়িতে ছুটে এলে আসামীরা বাদীনির বাবাকে এ স্বজোরে ঘুষি মারে। এতে বাদীনির বাবা  সাহাব উদ্দিনের একটি দাঁত পড়ে যায়। পরে প্রতিবেশিরা এগিয়ে এলে আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায। এ সময় তারা ঘটনাটি বিষয়ে আইনী প্রতিকার চাইলে বাদীনিকে স্বপরিবারে হত্যা করা করবে বলে প্রাণেনাশের হুমকি দেয়। এদিকে, নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে নোয়াখালীর বিচারিক ম্যাজিষ্ট্রেট ৫ স্বাক্ষ্যগ্রহণ করেন। তাঁর স্বাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার সার্বিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে আদালত সূত্রে জানা যায়। অপরদিকে, সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি ধামাচামা দিতে ওই নারীর দায়েরকৃত মামলার পর আসামীরা জেলার বিভিন্ন দপ্তরে ওই নারী ও পরিবারকে হয়রানি করার হীনউদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যে ও বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে অভিযোগ দায়ের করছেন। এতে আর্থিক, মানষিক ও সামাজিকভাবে চরম হয়রানি ও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ওই নারী ও পরিবার।