মোঃরেজাউল করিম রাজু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ দীর্ঘ ১৫ বছর পর বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে নয়া কর্মকর্ত হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের জেলা প্রতিনিধি বখতিয়ার শিকদার সভাপতি এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আবু নাছের মঞ্জু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদ। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সভাপতি পদে বখতিয়ার শিকদার পেয়েছেন ৩৫ ভোট, তাঁর প্রতিদ্বন্দী দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি আলমগীর ইউসুফ পেয়েছেন ১৪ ভোট, দৈনিক যুগান্তরের জেলা মনিরুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আবু নাছের মঞ্জু পেয়েছেন ২৮ ভোট, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক কালেরকণ্ঠের সামছুল হাসান মিরণ পেয়েছেন ১৬ ভোট, দৈনিক দিশারী সম্পাদক আকাশ মো. জসিম পেয়েছেন ১০ ভোট এবং ৭১ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান পেয়েছেন ০ ভোট। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন স্কুলে বিরামহীন ভোট গ্রহণ চলে। এ সময় ক্লাবের ৫৬ জন সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটে নির্বাচিত কমিটির অন্যান্যরা হলেন সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ পারভেজ (৩৫ ভোট), সহ সভাপতি শাহ্ এমরান মো. ওসমান সুজন (৩২) ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন সোহাগ (২৬ ভোট) এবং এআর আজাদ সোহেল (২৪ ভোট), কোষাধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন শিবলু (২৪ ভোট), ক্রীড়া ও সমাজসেবা সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাহ্ নয়ন (৩০ ভোট), সাহিত্য, সংস্কৃতি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী মো. আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া রুবেল (৩০ ভোট), কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে আবদুল মোতালেব (৩০ ভোট), নুর রহমান (২৩ ভোট) ও মো.মাহবুবুর রহমান (২৩) পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ইকবাল হোসেন সুমনকে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রাছুল মামুনসহ উর্ধবতন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীগণ এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকা নোয়াখালী প্রেসক্লাব নির্বাচনের বাধা কাটে। এদিন বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন। এ সংক্রান্ত রিটে প্রতিপক্ষের আইনজীবী মো. ওমর ফারুক জানান, দীর্ঘদিন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন বন্ধ থাকার মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসন ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি একটি এডহক কমিটি গঠন করে নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়। পরে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এই রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট নোয়াখালী জেলা প্রশাসককে শিগগির নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। এরপর জেলা প্রশাসন ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন যাতে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর মীর মোশররফ হোসেন নামের একজন আরেকটি রিট করেন, যেখানে তিনি নিজেকে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন। উল্লেখ করেন, তার কার্যকালের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ আছে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন স্থাগিত ও রুল দেয়। ওই রিটে নোয়াখালীর মূলধারার কোনো সাংবাদিককে পক্ষ করা হয়নি বলে জানিয়ে আইনজীবী ওমর ফারুক জানান, পরে মূলধারার ৪২ জন স্থানীয় সাংবাদিক এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে রুল খারিজের আবেদন করেন। রুলের শুনানি শেষে রায় দেন আদালত। এই মামলার সেই ৪২ জন সাংবাদিকের তদবিরকারী ছিলেন আবু নাছের মঞ্জু।
চাটখিলে যুবলীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা,মরদেহ মিলল বাগানে
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ডাকাত সন্দেহে গ্রেফতার ৪
অধরার চোখের কর্নিয়ার নিয়ে ভাবলেন: উত্তম মজুমদার।
বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ সাংবাদিক রিপন মজুমদারের একমাত্র সন্তান অধরা মজুমদার (১৭) জন্মের পর থেকে চোখের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ভুগছেন, অধরার জন্মের ৬ বছর পর হঠাৎ চোখে সমস্যা দেখা দিলে তার বাবা দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিভিন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে কয়েক লাখ টাকা খরচ করেও অধরার চোখের দৃষ্টি নিয়ে চিকিৎসা করে আসলো কোন সুফল পাওয়া যায়নি৷ ডাক্তারদের মতে দেশের বাইরে নিয়ে টাকা খরচ করলে অধরা সম্পূর্ণ দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন কিন্তু সাংবাদিক রিপন মজুমদার বিবাহিত জীবনে স্ত্রী ও এক মেয়ে কে নিয়ে চৌমুহনীতে একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। মেয়ের চোখের চিকিৎসার জন্য ব্যয়বহুল খরচ কি করে যোগাড় করবেন ? এই মুহূর্তে পরিবারের পক্ষে মেয়ের চোখের চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নেই৷ অধরা চৌমুহনী পৌরসভার (গনিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দশম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী৷ এইদিকে ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী।সে পঞ্চম শ্রেণীতে জিপিও ফাইভ পেয়েছে৷ জন্মের ৬ বছর পর থেকে দুটি চোখের মধ্যে ডান চোখের দৃষ্টি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।বর্তমানে তার বাকি চোখ টাতেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই নোয়াখালী গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারে অধরাকে নিয়ে যাওয়া হয়।সেই খানে দায়িত্বরত চক্ষু চিকিৎসক ও পরামর্শদাতা Community Eye Health Expert উত্তম মজুমদার DOLV (ইউনিএসএ),FMRF, Fellow-Ped Optom (শংকর নেত্রালয়-মাদ্রাজ) OPTC & Refraction (বি.এন.এস.বি), Trained on contact lena (দিলী) স্পেশালিষ্ট:রিফ্রাকশন,কন্ট্রাকলেন্স,পেডিয়েট্রিক অপটোমেট্রি,অর্থোপটিকস,ভিশন থেরাপী, সি.ভি.এস ও কমিউনিটি আই হেলথ।প্রাক্তন ও.পি ও অপটোমেট্রিক: পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ও অ্যাপোলো হাসপাতাল, ঢাকা,কনসালটেন্ট_ অফটোমেট্রিষ্ট এবং ডাঃ মোঃ মর্তুজা রশিদ এম.বি.বি.এস. বি.সি.এস (স্বাস্থ্য), পি.জি.টি (চক্ষু) এক্স- ডেপুটি ডাইরেক্টর (ডাইরেক্টরেট অব হেলথ)চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,সিনিয়র মেডিসিন অফিসার সহ আরো কয়েক জনের পরামর্শে, অধরা মজুমদার এখন তাদের দায়িত্বে চিকিৎসাধীনে রয়েছে৷ অধরা কে ভারতের শংকর নেত্রালয়-মাদ্রাজ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।অধরার বাবা রিপন মজুমদার আপনাদের সকলের নিকট দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছেন।
সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল ইপিজেড থানা পুলিশের তৎপরতায় রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার, আটক ৫
মোঃ শহিদুল ইসলাম,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃচট্টগ্রাম সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশ টিমের তৎপরতায় সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উপজেলার রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার করে ৫ জনকে আটক করেছে ওসি মোঃ হোসাইনের টিম।উদ্ধার ও অভিযানের বর্ণনা দিয়ে শুক্রবার (২২সেপ্টেম্বর) দুপুরে সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার বন্দর জোন মোঃ মাহামুদুল হাসান বলেন, সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার মোঃ মোশারফ হোসেনের লিখিত অভিযোগ পেয়েই পুলিশ টিম সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে ৩লাখ ছত্রিশ হাজার টাকার মোটরসাইকেলটি রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউপির একটি রান্না ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ অফিসার।ওসি হোসাইন বলেন, চুরির ঘটনায় তদন্ত করে নিজেই তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মহসিন এর সংগীয় র্ফোসসহ সিসি ক্যামেরার ছবি ও তথ্য প্রযুক্তিতে বায়েজিদ এলাকা থেকে চুরির সাথে জড়িত আবদুল্লাহ লোকমান, জাহিদুল ইসলাম জিসানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত চোরাই মোটরসাইকেলটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।সেই সূত্রে ইব্রাহিম হোসেন জিসান নামের যুবক তা ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রির ঘটনা জানান।চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল (নং চট্টমেট্ট – ল ১৯-২৭৮০) যার মূল্য প্রায় তিন লাখ ছত্রিশ হাজার টাকা বলে প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান ওসি মোঃ হোসাইন।তিনি আরো বলেন, ধৃত বাকি দুই জনের নাম নাজিম উদ্দিন (২৮), মোঃ রুবেল (২১)। তারা দুজন রাঙ্গুনিয়ার সিকদার পাড়ার, উত্তর পোমরা ইউপির বাসিন্দা বলে জানান। তাদের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা নং ১৪/২৩ দায়ের করা হয়েছে।ধৃতদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে বলে ও জানান অফিসার ইনচার্জ ইপিজেড থানা।
বেগমগঞ্জে জাতীয় নিশান পত্রিকার ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত
সময় ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালীতে বৃহত্তর নোয়াখালীর প্রথম দৈনিক জাতীয় নিশান পত্রিকার কেক কেটে ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ৪৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষীকি পালন করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধায় চৌমুহনীর একটি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণ। পত্রিকার সম্পাদক ইয়াকুব নবী ইমনের সভাপতিত্বে এ সময় বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন মাসুদ, মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম,সানিমা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন মোল্লা,চৌমুহনী প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ ছিদ্দিকী বাবু,দৈনিক সচিত্র নোয়াখালীর সস্পাদক আমিরুল ইসলাম হারুন,নোয়াখালী সাংবাদিক ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল করিম মানিক,শিক্ষক নেতা সফি উদ্দিন,সেনবাগ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,কুতুবপুর ইউনিয়ন ফাউন্ডেশনের আহবায়ক মাসুদুর রহমান,নোয়াখালী ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের এডমিন মিজানুর রহমান,পারি ফাউন্ডেশনের নোয়াখালী কোর্ডিনেটর নুর মোহাম্মদ মনু সহ অনেক উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি মামুনুর রশীদ কিরণ বলেন,দৈনিক জাতীয় নিশান বৃহত্তর নোয়াখালীর এতিহ্যবাহী একটি পত্রিকা। আমরা মনে করি, অতীতের মতো ভবিষ্যতেও জাতীয় নিশান এ অঞ্চলের গণমানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করবে। সত্য প্রতিষ্টায় ও সুন্দর সমাজ বিনির্মানে অগ্রনী ভুমিকা পালন করবে। তিনি জাতীয় নিশানের উত্তরোত্তর উন্নতি ও সাফল্য কামনা করেন।
নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস হাতিয়ায় বিদ্যুৎ ভবন উদ্বোধন করেন
সময় ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালী-৬ আসনের এমপি আয়েশা ফেরদাউস বিদ্যুৎ ভবন উদ্বোধন করলেন৷নোয়াখালী হাতিয়ায় উপজেলা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অফিসের নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (২২সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার হরেন্দ্র মার্কেট এলাকায় এই ভবন উদ্বোধন করেন নোয়াখালী-৬আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস।এসময় উপস্থিত ছিলেন হাতিয়ায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো: ফারুক আহমেদ, হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুরাইয়া আক্তার লাকী,এম আলী কর্পোরেশনের স্বত্তাধিকারী আশিক আলী অমি,থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জিসান আহাম্মেদ,জেলা পরিষদ সদস্য মহি উদ্দিন মুহিন ও সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ শতাধিক মানুষ।হাতিয়া বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের এই ভবন নির্মাণ করেন এম আলী কর্পোরেশন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। চারতলা বিশিষ্ট এই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।এখানে অফিসের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের থাকার জন্য তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রেস্ট হাউজ তৈরি করা হয়েছে।হাতিয়া দ্বীপকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার । ২০২১ সালের আগস্ট থেকে শুরু হয় নতুন বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। হাতিয়া পৌরসভার হরেন্দ্রমার্কেট এলাকায় ১৬ একর জমিতে নির্মাণ করা হয় ১৫ মেগওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি।৩৮৪ কোটি ৩৬ লাখ ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ প্রকল্পের নাম ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’। সরকারী এই অর্থে শুধু সরবারহের কাজে ব্যয় করা হয়েছে। উৎপাদনে চুক্তি করা হয়েছে দেশ এনার্জি নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির সাথে। দেশ এনার্জি লিমিটেড এর উৎপাদিত এ বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড-পিডিবি। ইতোমধ্যে দ্বীপের মূল ভূখন্ডের ৯টি ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে ৫১২ কিলোমিটার ৩৩/১১ ভোল্টের সঞ্চালন লাইন। মূল ভূখন্ড থেকে দেড় কিলোমিটার সাব মেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নিঝুমদ্বীপেও দেয়া হয়েছে সঞ্চালন লাইন।
এমপির ডিও’র পরও বহাল তবিয়তে বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নানা অনিয়ম দূর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার ও নারী কেলেংকারীর এন্থার অভিযোগ
ক্রাইম রিপোর্টার,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর বরাবর স্থানীয় এমপি ডিও’ লেটার দেয়ার পরও বহাল তবিয়তে রয়েছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারী। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, নেশা করা, অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানী, নারী কেলেংকারীসহ নানা অভিযোগ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারী বেগমগঞ্জে যোগদান করার পর থেকেই নানা অনিয়ম ও দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাঁর এমন অনিয়ম ও দূর্নীতির চিত্র তুলে ধরে গত ৮ আগষ্ট তারিখে নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও কৃষি মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ¦ মামুনুর রশিদ কিরণ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে ডিও লেটার দেন। যার নং-ডিও নং-জাসএমপি/২৭০-নোয়াখালী-০৩/২০২৩/১৩০। ওই ডিও লেটারে এমপি উল্লেখ করেন- বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারী প্রায়ই অধিনস্ত অফিসার, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষকদের সাথে অশালিন আচরন করেন। এমনকি তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথেও অশালিন আচরণ করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রায় সময় নেশাগ্রস্ত থাকেন এবং প্রকাশ্যে ধুমপান করতে দেখা যায়। সেবা প্রার্থী শিক্ষকরা যে কোন সময় কোন তথ্য জানতে চাইলে তিনি খারাপ আচরণ করেন। অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের সামনে বিরুপ মন্তব্য করেন। অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক বদলি করেন। উত্তর বসন্তের বাগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া বেগম দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকা অবস্থায় বদলিতে সুপারিশ করেন। যা পরবর্তীতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়। হাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তারকে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর বদলির সুপারিশ করেন তিনি। ছয়ানী কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক উৎপুলের নেছাকে সাদারি জঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদ শুন্য না থাকর পরও শুন্য পদ দেখিয়ে বদলিতে সুপারিশ করেন। পরবর্তিতে জানাজানি হলে পরে তা বাতিল করেন। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রুটিন মেন্টেনেন্স বাবদ বরাদ্ধকৃত অর্থ অফিসের সামনের দেয়ালের মাত্র ৫/৬ ফুট রং করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। শিক্ষা অফিসারের এমন অনিয়মের কারণে বেগমগঞ্জের শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে বলেও এমপির ডিও লেটারে উল্লেখ করে তাকে দ্রুত বেগমগঞ্জ থেকে বদলির জন্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন। এমপির ডিও লেটারের পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সম্প্রতি বিষয়টি তদন্ত করেন। তদন্তের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের সাথে অসদাচরনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি উপজেলার গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ের সহকারী শিক্ষিকা আফরিন সুলতানার সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ওই স্কুল শিক্ষিকাকে নিয়ে লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে যান, ওপেন সিক্রেট। সম্প্রতি স্কুল শিক্ষিকা শিক্ষা অফিসারের সরকারী অফিসে শিক্ষা অফিসারের চেয়ারে বসে বিভিন্ন কাজ করতে দেখা যায়। যা পুরো উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। বেগমগঞ্জ উপজেলার একাধিক শিক্ষক জানান, বেগমগঞ্জের ইতিহাসে এমন শিক্ষা অফিসার আসেনি। যার চরিত্র ঠিক নেই, তার কাছে আমরা কি আশা করতে পারি। উনার কথা না শুনলে উনি আমাদেরকে নানা ভাবে হয়রানি করেন। উপজেলার অন্তত ৪০ জন শিক্ষকের তিনি এক দিনের বেতন কেটে দিয়েছেন। যা আর কখনো হয়নি। শিক্ষা অফিসার সব সময় উগ্র মেজাজে থাকেন। একজন শিক্ষক বিপদে পড়লে উনার কোন সহযোগীতা পায়না। উনার কাছে কোন নারী শিক্ষক নিরাপদ নয়। আমরা চাই দ্রুত উনাকে এখান থেকে বদলি করা হোক। এ সব বিষয়ে কথা বলতে বেগমগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারীর অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসি বেগমের সাথে আলাপ করলে তিনি দৈনিক নোয়াখালী সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কে জানান, এমপি সাহেবের অভিযোগের বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তি প্রদক্ষেপ গ্রহন করবো।
নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে স্নান দিঘির পাড়ে কিশোর গ্যাংদের উৎপাতে অতিষ্ট পৌরবাসী
মাহমুদুল হাসান, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃসোনাইমুড়ীতে স্নান দিঘির পাড়ে কিশোর গ্যাংদের উৎপাতে অতিষ্ট পৌরবাসী৷নোয়াখালী সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী স্নান দিঘি। এই স্নান দিঘির পাড়ে কিশোর গ্যাংদের আড্ডা বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ট সেখানকার মানুষ।গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়ে সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, জামিয়া আশরাফিয়া দারুল মা‘আরিফ মাদ্রাসা,সোনাইমুড়ী হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসা সহ সোনাইমুড়ী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক অবিভাবক বলেন, সোনাইমুড়ীতে স্নান দিঘির পাড়ে কিশোর গ্যাংরা নিয়মিত উৎপেতে থাকে। আমরা মাঝেমধ্যে আতঙ্কে থাকি আমাদের বাচ্চাদের নিয়ে কখন যে কোন দুর্ঘটনা ঘটায় এই কিশোর গ্যাংরা। সোনাইমুড়ী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃশামছুদ্দিন বলেন,কিশোর গ্যাংদের উৎপাত উৎখাত করা জরুরী। দিন দিন তাদের এ বেপরোয়া কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ পৌরবাসী৷ এসব কিশোর গ্যাংদের রুখতে না পারলে যে কোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পৌরবাসী।সোনাইমুড়ী অফিসার ইনচার্জ মোঃবখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী দৈনিক নোয়াখালী সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কে বলেন, রবিবার থেকে সরাসরি অভিযান পরিচালনা করা হবে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নোয়াখালীতে আওয়ামীলীগ -বিএনপির মধ্যে জম্পেস লড়াই
নাসির উদ্দিন মাহমুদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃদ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নোয়াখালীতে আওয়ামীলীগ -বিএনপির মধ্যে জম্পেস লড়াই৷ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনসহ বীর সন্তানদের জন্মভূমি নোয়াখালী জেলা। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত ও রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল নোয়াখালী। পরবর্তীতে ফেনী ও লক্ষীপুর মহকুমা জেলায় উন্নীত হলেও জাতীয় রাজনীতিতে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতার পর প্রতিটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা দায়িত্ব পালন করে আসছে। এককথায় দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, আন্দোলন-সংগ্রামে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা প্রথম কাতারে আসীন।বর্তমান রাজনীতির ময়দানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে মনোনয়ন লড়াইয়ের প্রতিযোগিতা থাকলেও নিজেদের মর্যাদা রক্ষায় মরিয়া নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় হয়ে কর্মসূচি পালন করছে। নিজেদের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। বিশ্লেষকরা বলছেন, জেলার ৬টি আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের ওপরই জয়-পরাজয় নির্ভর করবে।নোয়াখালী-১ : চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলা গঠিত নোয়াখালী-১ আসনটি একসময় বিএনপির ঘাঁটি ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে আসনটিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় সব রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নানা কৌশলে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ চাইছে গত দুটি সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে তাদের মর্যাদা ধরে রাখতে। অন্যদিকে বিএনপি চাইছে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে।১৯৯১ সাল থেকে এই আসনে টানা পাঁচবার বিএনপির প্রার্থী জয় পেয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় পান আওয়ামী লীগের এইচ এম ইব্রাহীম।ভোটের হিসাব বলছে, বরাবরই এ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে আসনটিতে মনোনয়ন লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা বর্তমানে নাজুক।স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি থাকার সময় এখানে তেমন কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি। তবে সাবেক এমপি খোকন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকায় বিভিন্ন কাজ করেছেন। বিএনপির ঘাঁটি হওয়ায় এ আসনের লোকজনের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাও রয়েছে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।বিএনপির সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কামরানও এ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এমপি থাকার সময় অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তিনি।এখানে বর্তমান সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীমের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লড়াইয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, সোনাইমুড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক এমপি মাহমুদুর রহমান বেলায়েত ও সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের গোলাম কুদ্দুছও মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় রয়েছেন।নোয়াখালী-২ : সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-২ আসনটিও একসময় বিএনপির দুর্গ ছিল। বর্তমানে শক্ত অবস্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বর্তমানে অধিকাংশ ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের। টানা দুবার এ আসন থেকে নৌকার প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ চাইছে উন্নয়ন দিয়ে বিজয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে, অন্যদিকে বিএনপির টার্গেট আসনটি পুনরুদ্ধার।আগে এই আসন থেকে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুক। গত দুই নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন৷ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ মোরশেদ আলম। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগে চলছে গ্রুপিং এবং নেতায় নেতায় দ্বন্দ।আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর বিপরীতে এই আসনে বিএনপিতে তেমন কোনো দ্বন্দ-কোন্দল নেই। এ আসনে বরাবরই বিএনপির সমর্থক কিছুটা বেশি। নির্বাচনে অংশ নিয়ে এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী পাঁচবারের এমপি দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক। তবে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মফিজুর রহমানও এখানে দলটির মনোনয়ন চাইতে পারেন।সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।নোয়াখালী-৩ : জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নোয়াখালী-৩ আসনটি বেগমগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। টানা দুইবার আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান তৈরি হলেও দলীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছে গ্রুপিং। তবে দলের দুঃসময় বিবেচনায় বিএনপিতে রয়েছে ঐক্য।আসনটিতে টানা দুইবার আওয়ামী লীগের এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ ব্যক্তি ইমেজেও অন্য দলের প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি আপদে-বিপদে মানুষের পাশে রয়েছেন তিনি। যার কারণে গত ১০ বছরে তুলনামূলকভাবে আওয়ামী লীগের ভোটও বেড়েছে।১৯৯১ সাল থেকে টানা পাঁচবার এই আসনে জয়ী হয়েছে বিএনপি। এখন দলগত ভোট আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় সমান।ভোটাররা বলছেন, দলগতভাবে বিএনপি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও ব্যক্তি প্রার্থীর ক্ষেত্রে দুই দলের দুই মূল প্রার্থী বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ ও বিএনপির একাধিকবার নির্বাচিত এমপি বরকত উল্যাহ বুলুর মধ্যে আওয়ামী লীগের এমপির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। অত্যন্ত মিশুক বলে পরিচিত এমপি কিরণের আসনে রয়েছে বেশ সুনামও।ভোটারদের অভিমত হচ্ছে- এলাকায় কাজ বেশি করেছেন মামুনুর রশিদ কিরণ (বর্তমান এমপি) সাহেব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।এদিকে এ আসনে জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী কখনোই মানুষের মনে ঠাঁই পায়নি। তাদের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রমও দৃশ্যমান নেই। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে এ আসনে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যাহ বুলুই মূলত শক্ত প্রার্থী। সে লক্ষ্যে তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার পাশাপাশি জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমনও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।অন্যদিকে বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ ছাড়াও এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. এ বি এম জাফর উল্যা এবং সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের ভাই মিনহাজ ইউ আহমেদ জাবেদ, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম।নোয়াখালী-৪ : জাতীয় সংসদের ২৭১ নম্বর আসন নোয়াখালী-৪ সদর ও সুবর্ণচর উপজেলার ২১ ইউনিয়ন ও নোয়াখালী পৌরসভা নিয়ে গঠিত। পুরো জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিতে ১৯৫৬ সালের যুক্তফন্ট্রের উপনির্বাচনে জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিল নির্বাচিত হন। এরপর পর দীর্ঘদিন আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বিভাজনের কারণে আসনটি দখলে নেয় বিএনপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের ত্রিমুখী লড়াইয়ে পুনরায় আসনটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগ।আসনটির বর্তমান এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ক্ষমতার দাপটে একক আধিপত্য বিস্তার করায় একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপরাজনীতি, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, দলে ব্যক্তিগত ও বির্তকিত লোকদের প্রাধান্য ও লুটপাটের অভিযোগ এনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তার ওই বক্তব্যের পর দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত হয়ে ওঠেন একরামুল করিম চৌধুরী। এরপর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ হারান। তার বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই গ্রুপিংকে পুঁজি করে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের আশায় এই আসনের বর্তমান এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পাশাপাশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল।অপরদিকে হারানো আসন পুনরুদ্ধারে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভেতরে ভেতরে মাঠে কাজ করছেন। আসনটিতে বিএনপির চারবারের এমপি ও দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোঃশাহজাহান এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।অন্যদিকে, এই আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান। আওয়ামী লীগের গ্রুপিং এবং দ্বন্দের কারণে তিনি নৌকার মনোনয়ন পেতেও পারেন।নোয়াখালী-৫ : কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ভিআইপি এই আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরই।অন্যদিকে এই আসনে ওবায়দুল কাদেরের একমাত্র প্রতিদ্বন্দী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ। এই আসনে বিএনপির ভালো ভোটব্যাংক থাকলেও দলটিতে আছে দ্বিধাবিভক্তি। সাবেক মন্ত্রী মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ এবং তার বাইরের বলয় আসনটিতে স্পষ্ট। দলীয় মনোনয়ন লাভের দৌড়ে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন এবং বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। জামায়াতকে নিয়েও তাদের আছে শঙ্কা।অতীতের নির্বাচনগুলোয় আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিরোধী আওয়ামী লীগ দলগুলোর ভোট সব সময় কাছাকাছি ছিল। জয়-পরাজয়ে ভোটের ব্যবধানও ছিল কম। কিছু সময়ের ব্যবধানে আসনটির চিত্র একদমই পাল্টে গেছে। পুরো জেলার অভূতপূর্ব উন্নয়নের অন্যতম রূপকার ওবায়দুর কাদেরের বিপরীতে বিরোধী দলের প্রার্থীর ঘুরে দাঁড়ানোই একপ্রকার অসম্ভব৷ নোয়াখালী-৬ : বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মেঘনা নদীবেষ্টিত নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া। এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৬ আসন। আসনটিতে দলের চেয়ে ব্যক্তির প্রভাবকেই ভোটাররা বেশি গুরুত্ব দেন।আওয়ামী লীগ-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন সামাজিক আয়োজনকে কেন্দ্র করে ব্যানার-পোস্টারের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। এ আসনটিতে বরাবরই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমানে সমান। এবার আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে থাকলেও সংকটে রয়েছে বিএনপি। ভোটাররা বলছেন, প্রতীক নয়, এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তারা।আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন বর্তমান এমপি দ্বীপ নেত্রী আয়েশা ফেরদাউস এবং বর্তমান এমপির স্বামী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনবারের সাবেক এমপি দ্বীপ বন্ধু মোহাম্মদ আলী। মূলত হাতিয়ার আওয়ামী রাজনীতিতে বর্তমানে মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস এমপিকে ঘিরেই নেতাকর্মীরা প্রাণবন্ধ। নেতাকর্মীদের দাবি মোহাম্মদ আলী কিংবা তার স্ত্রী, যাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় তাকেই নির্বাচিত করবেন তারা।সাংগঠনিকভাবে হাতিয়ায় বিএনপির অবস্থা খুবই সঙ্গিন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পর্যায়ে নেই কোনো দলীয় কার্যক্রম। ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন সাখাওয়াত হোসেন শওকত। আগামী নির্বাচন ঘিরে আবারো মাঠে নেমেছেন তিনি। তবে দলটিতে রয়েছে বিভক্তি। বিএনপির সদ্য প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হাতিয়া চার ভাগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।সাখাওয়াত হোসেন শওকত ছাড়াও এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন শিল্পপতি ফজলুল আজিম, হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব।নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নোয়াখালীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বড় দল হিসেবে আমাদের নোয়াখালীর ৬টি আসনের মধ্যে কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ ছাড়া বাকি সব আসনে একাধিক নেতা দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এটা প্রতিযোগিতার অংশ। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হয়, আমাদের নেতাকর্মীরা নৌকার বিজয়ে কাজ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃশাহজাহান বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়টি এখন আমাদের মাথায় নেই। ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনে ব্যস্ত। এই দাবি কীভাবে আদায়ে আমরা মাঠে রয়েছি। দাবি আদায়ের পরই নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করব।