দুর্গাপূজায় বাংলাদেশ থেকে ৩ হাজার ৯শ ৫০ টন ইলিশ যাচ্ছে ভারতে

62 Views

মাহমুদ খাঁন,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃদুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ৭৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার মধ্যে প্রথম দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৪৫ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ইলিশের প্রথম চালান বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। যার ১০ ডলার মূল্যে প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে।ভারতে ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, তানিসা এন্টারপ্রাইজ, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং রিপা এন্টারপ্রাইজ ও প্যাসিফিক সি ফুড। আর ভারতের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের নাম এস আর ইন্টারন্যাশনাল, নাজ ইমপেক্স প্রাইভেট লিমিটেড, বিমল রায় ও বারখা বিকাশ ট্রেড এজেন্সি।এদিকে বন্দর থেকে মাছ রপ্তানি করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেন এমি এন্টারপ্রাইজ ও গনি অ্যান্ড সন্স নামে দুইটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান।বেনাপোল কাস্টমসে কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সরকার ৭৯টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজাট ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।যার মধ্যে প্রথম দিনে ১২টি ট্রাকে সাড়ে ৪৫ টন ইলিশ ভারতে প্রবেশ করেছে। এবং আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ ভারতে রপ্তানির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিসের পরিদর্শক আসওয়াদুল ইসলাম জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে এবার প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ টন করে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রপ্তানির নির্দেশনা দেওয়া আছে। এছাড়া সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অনুমতির মেয়াদ সমাপ্ত হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশে ২০২৪ সাল থেকে সরকারি ৯,৯৬৮ ও বেসরকারিভাবে হজ করতে পারবেন ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ হজযাত্রী

86 Views

আন্তর্জাতিক ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ
আগামী বছর (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৯৬৮ জন এবং বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন হজ কতে পারবেন বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আগামী বছর (২০২৪) হজযাত্রীর কোটা বিভাজন করে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও হজ এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।চিঠিতে জানানো হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হিজরি ১৪৪৫/২০২৪ সনের হজ আগামী বছরের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক বাংলাদেশকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে।সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমের বরাদ্দ করা হজযাত্রীর কোটা বিভাজনে জানানো হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৯৬৮ জন হজযাত্রী ও গাইড থাকবেন ২৩০ জন। তাই সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট হজে যাবেন ১০ হাজার ১৯৮ জন।অন্যদিকে বেসরকারিভাবে হজযাত্রী এক লাখ ১৩ হাজার ৪০০ জন এবং গাইড ও মোনাজ্জেম থাকবেন ৩ হাজার ৬০০ জন। তাই বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে মোট এক লাখ ১৭ হাজার জন হজ করতে সৌদি আরব যেতে পারবেন।

হাসনা মওদুদ ইলজে ব্র্যান্ডস কেহরিসের কাছে অভিযোগ নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাকর্মিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে

56 Views
সময় রিপোর্ট,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাকর্মিদের ওপর দমন নিপীড়ন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী সাবেক সংসদ সদস্য হাসনা জসিম উদদীন মওদুদ।এ ছাড়া নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতাকর্মিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সহকারী মহাসচিব ইলজে ব্র্যান্ডস কেহরিসের কাছে অভিযোগ তোলেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের ৭৫তম উদযাপন অনুষ্ঠান শেষে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে তিনি বলেন, শান্তি সমাবেশে অংশ নেওয়ার কারণে ২০ বছরের কম বয়সী ১৬ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
হাসনা মওদুদ আরো বলেন, প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মিদের নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ম্যাডাম চেয়ারপার্সন স্বীকার করেছেন, যে তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে দেখছেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব খুবই উদ্বিগ্ন।পরিবেশবিদ হাসনা মওদুদ বিষয়টি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদের ৭৫তম উদযাপনে যোগদানের জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। বৈঠকের পর আমি চেয়ারপারসনের সহকারী মহাসচিব ইলজে ব্র্যান্ডস কেহরিসের সাথে দেখা করি। আমি তাকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছি। আমি তাকে জানিয়েছিলাম যে, আমার আসার ঠিক আগে ২০ বছরের কম বয়সী ১৬ জন কর্মি একটি শান্তি সমাবেশে অংশ নেওয়ার জন্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। যে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মিদের নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ম্যাডাম চেয়ারপারসন স্বীকার করেছেন, যে তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতি গভীরভাবে দেখছেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব খুবই উদ্বিগ্ন।

চীনের রাষ্ট্র প্রধানের আশ্বাসের পরও ব্রিকসের সদস্যপদ পেল না বাংলাদেশ

102 Views

সময় ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃজোহানেসবার্গে পঞ্চদশ ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ আগস্ট ২০২৩।সৌজন্যে: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালায় যদিও জোটের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বুধবার শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেছিলেন বেইজিং বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রদানকে সমর্থন করবে৷ আবেদনকারী ২৩ দেশের মধ্য থেকে আর্জেনটিনা, মিশর, সৌদি আরব, ইথিওপিয়া, ইরান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সদস্যপদ দিতে জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সম্মত হয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত জোট ব্রিকস।মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা ও বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার তাগিদ দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি দফায় দফায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।এই প্রেক্ষাপটে ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়া ‘হতাশাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক কূটনীতিকরা।চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে এমন ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ মনে করে রাশিয়া ও চীন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র তাঁর সরকারকে সরাতে চাচ্ছে, যদিও মার্কিন সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমেরিকা না গেলে কিছু হবে না। বিশ্বে অনেক দেশ-মহাদেশ আছে। বাংলাদেশ সেখানে যাবে, তাদের সাথে বন্ধুত্ব করবে।গত জুনে সুইজারল্যান্ড সফরকালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসার সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। বৈঠকে ব্রিকস নিয়ে দুই রাষ্ট্র প্রধানের আলোচনা হয়। রামফোসা বাংলাদেশের সদস্যপদের ব্যাপারে ইতিবাচক মতামত দিলে ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে আবেদন করে বাংলাদেশ।ব্রিকসের উন্নয়ন সংস্থা ২০২১ সালে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সদস্য হয়। এই ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ৬৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রকল্প অনুমোদনের জন্য কাজ করছে।ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রোববার রাতে জোহানেসবার্গের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সম্মেলনের সাইডলাইনে বুধবার চীনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। সেই রাতেই দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতির দেওয়া নৈশভোজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনা কুশল বিনিময় করেন।চীনের গণমাধ্যম সিনহুয়া জানায়, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন তাঁর দেশ বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতাকে সমর্থন করে এবং বিদেশি হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে, যাতে বাংলাদেশ তার অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা রেখে উন্নয়ন অর্জন করতে পারে।বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানায়, শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে চীন বাংলাদেশকে সমর্থন করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।বৃহস্পতিবার ফ্রেন্ডস অব ব্রিকসের সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।ব্রিকস আউটরিচ অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে ব্রিকসকে বহু কেন্দ্রিক বিশ্বের লাইটহাউস আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আশা করি আমাদের সময়ের চাহিদা অনুযায়ী সকলের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্রিকস আত্মপ্রকাশ করবে।”তিনি আরও বলেন, “বৈশ্বিক আদর্শ ও মূল্যবোধকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ব্যাপারে আমাদেরকে অবশ্যই ‘না’ বলতে হবে। অবরোধ এবং প্রতি-অবরোধের চক্রকে বন্ধ করতে হবে। সকল হুমকি, উসকানি ও যুদ্ধ শুরুর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।”বিপজ্জনক অস্ত্র প্রতিযোগিতার জন্য বৈশ্বিক সম্পদ ব্যবহার না করে তা জনগণের মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা৷ হতাশাজনক সিদ্ধান্ত:চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমাদ বৃহস্পতিবার বেনারকে বলেন, “ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হলো। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেভাবে বলা হয়েছিল, তাতে মনে হচ্ছিল যে বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্যপদ পাবে। আমরা দেখলাম বাংলাদেশকে সদস্যপদ দেওয়া হলো না। এটি আমার কাছে বিস্ময়কর এবং বাংলাদেশের জন্য হতাশাজনক।”তিনি বলেন, “ব্রিকসের সকল সিদ্ধান্ত সর্বসম্মত হতে হবে ঐকমত্যের ভিত্তিতে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো। চীনের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সদস্যপদ সমর্থন করবেন বলে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন এবং তিনি বাংলাদেশে আসছেন। অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক ভালো। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কেন সদস্যপদ পেল না সেটি খুঁজে বের করতে হবে।”রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ বলেন, “যে দেশগুলোকে ব্রিকসের সদস্যপদ পেতে আহ্বান করা হয়েছে সেই দেশগুলো আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ সদস্যপদ পেতে কাজ করবে।”বাংলাদেশের সদস্যপদ না পাওয়াটা ‘অপ্রত্যাশিত’ মন্তব্য করে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমশের মবিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার বেনারকে বলেন, “ব্রিকস জোটে চীনের প্রভাব অনেক বেশি। বাংলাদেশের ব্রিকসের সদস্যপদ না পাওয়ায় ভারতসহ পশ্চিমা দেশগুলো অখুশি হবে না।”

রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফেরার আকুতি দলবেঁধে মিয়ানমারে ফিরে যাব

87 Views

মোঃরেজাউল করিম রাজু,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃসেনাবাহিনীর হত্যা-ধর্ষণ ও নিপীড়ণের মুখে রাখাইনের জন্মভূমি থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীরা স্বদেশে ফেরার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।রোহিঙ্গা ঢল নামার ছয় বছরের মাথায় শুক্রবার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে হাজার হাজার শরণার্থী দ্রুত প্রত্যাবাসনের দাবিতে সমাবেশে এ দাবি উত্থাপন করে।সকাল ১০টা থেকে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে বিভিন্ন ক্যাম্পের ইউনিট থেকে সাধারণ রোহিঙ্গারা ছোট ছোট মিছিল নিয়ে এসব সমাবেশে যোগদান করেন। এ সময় তাদের হাতে ইংরেজি ও রোহিঙ্গাদের মাতৃভাষায় লেখা ছোট ছোট ব্যানার ছিল।ব্যানারে লেখা ছিল- ‘আমরা জন্মগতভাবে মিয়ানমারের নাগরিক’, ‘আমরা স্বদেশে ফিরতে চাই’, ‘দ্রুত প্রত্যাবাসন চাই’, ‘রিফিউজি জীবন চাই না, মিয়ানামারে ফিরতে চাই’ ইত্যাদি। রোহিঙ্গা নেতারা জানিয়েছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি নিবিন্ধত ক্যাম্পের মধ্যে ১৩টিতে শুক্রবার সামবেশ করেছেন তারা।সমাবেশে রোহিঙ্গা নেতারা বলেন, তারা জন্মগতভাবে মিয়ানমারের নাগরিক। গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে তারা বাংলাদেশ পালিয়ে এসেছেন, এখানে আশ্রয় নিয়েছেন। এটা রিফিউজি জীবন। এমন জীবন তারা চান না। তারা দ্রুত স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরতে চান।এজন্য আন্তর্জাতিক সব মহলের সহযোগিতা চেয়েছেন রোহিঙ্গারা নেতারা।২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে কক্সবাজারের উপকূলবর্তী শরণার্থী শিবির গড়ে আশ্রয় নেন। ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এই ঢলে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেয়। এর আগে থেকে দেশে আরও চার লাখের রোহিঙ্গা বসবাস করে আসছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।অনেকদিন ধরেই রোহিঙ্গাদের তাদের জন্মভূমি মিয়ানমারে পাঠানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা আর বাস্তবায়ন হয়নি। এখনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি ঝুলে আছে। রোহিঙ্গাদের দাবি, তাদের নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই প্রত্যাবাসন সম্পন্ন করতে হবে মিয়ানমারকে।অপরদিকে রোহিঙ্গাদের একটি অংশ মাদক পাচার, অপহরণ, মানবপাচারসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে; ফলে শরণার্থী আশ্রয় শিবিরগুলোতে প্রতিনিয়তই খুন-সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটছে। এটা স্থানীয় মানুষদের নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।নিজেদের দেশে ফেরত যাওয়ার দাবি জানিয়ে রোহিঙ্গারা প্রতিবছরই এদিনে তাদের ক্যাম্পে সমাবেশের আয়োজন করে থাকে। ২০১৯ সালের ২৫ অগাস্ট ক্যাম্পে প্রথম বড় সমাবেশ করা হয়, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মাস্টার মুহিবুল্লাহ। পরে তিনি মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন।এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার উখিয়ার লম্বাশিয়া ১ নম্বর ক্যাম্পে শিশু-কিশোরসহ হাজারো রোহিঙ্গাকে স্বদেশে ফিরে যাওয়ার স্লোগান দিতে দেখা গেছে। সেখানে গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার দ্রুত শেষ করার দাবিও জানানো হয়।লম্বাশিয়া ক্যাম্পের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আরাকান রোহিঙ্গা পিস ফর হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ জোবায়ের। এতে আরও বক্তব্য দেন রোহিঙ্গা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির মুখপাত্র কামাল হোসেন, রোহিঙ্গা এফডিএমএন রিপ্রেজেনটেটিভ কমিটির বোর্ড সদস্য ছৈয়দ উল্লাহ, জমালিকা বেগম, মোহাম্মদ মুসা, মাস্টার শোয়াইব।এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিউনিটির মুখপাত্র কামাল হোসেন বলেন, “আমরা অধিকার নিয়ে নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই। আমরা আর রিফিউজি জীবন চাই না। নিজ দেশে গিয়ে বাকি জীবন কাটাতে চাই।“কারণ, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক নই, আমরা মিয়ানমারের নাগরিক। আমাদের নাগরিকত্ব আর নিজ গ্রামের ভিটেমাটি ফেরত দিলেই আমরা দ্রুত দেশে ফিরে যাব।তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, “প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার কালক্ষেপণ করছে। দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু না করলে আমরা যেভাবে দলবেঁধে বাংলাদেশে এসেছিলাম, ওইভাবে দলবেঁধে স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যাব।”এফডিএমএন রিপ্রেজেন্টেটিভ কমিউনিটির বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ মুসা বলেন, “২০১৭ সালে গণহত্যার কারণে নিজেদের ভিটেবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি। ছয় বছর হয়েছে আর না। পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন চাই।”সমাবেশ থেকে পাঁচ দফা উপস্থাপন করেন আরাকান রোহিঙ্গা পিস ফর হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ জোবায়ের।দাবির মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা, জাতিগত পরিচয়ের স্বীকৃতি প্রদান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন নিশ্চিত করা, রাখাইনের বাড়িজমি ফিরিয়ে দিয়ে নাগরিকত্ব প্রদান ইত্যাদি।সমাবেশ থেকে রোহিঙ্গারা ২৫ অগাস্টকে গণহত্যা ও কালো দিবস আখ্যায়িত করে এর বিচার দাবি করেন। মানবিক দিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।লম্বাশিয়া ছাড়াও উখিয়ার পালংখালীর জামতলী, ময়নারঘোনা, টেকনাফের লেদা ক্যাম্পে বড় সমাবেশ হয়েছে।এসব সমাবেশে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএন, জেলা পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।সমাবেশ শেষে রোহিঙ্গারা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে মোনাজাতে অংশ নেন৷

প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের কাছে নৌকায় ভোট চাইলেন

67 Views

মাহমুদ খান, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃপ্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশের অব্যাহত উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে আগামী সাধারণ নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন।কোনো লুটেরা যাতে দেশকে ধ্বংস করার জন্য আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশকে সমৃৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে নৌকায় ভোট চাওয়ার পাশাপাশি আমরা আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের অদম্য গতি যাতে কোনোক্রমেই ব্যাহত না হয়, সে জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান।তিনি বলেন, দেশকে লুটেরাদের হাতে ছেড়ে দেবেন না, অন্যথায় দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে এবং নিশ্চিত করুন যে, দেশের উন্নয়নের যাত্রা কোনো বাধা বিপত্তি ছাড়াই অব্যাহত থাকবে।সরকার প্রধান বলেন, দেশবাসী নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা পেয়েছে এবং অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হয়েছে অথচ বিএনপিকে ভোট দিয়ে লুটপাট, দুর্নীতি ও হত্যা করেছে।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি, তাদের দুঃসময়ে পাশে থাকি এবং তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছি। তিনি আরো বলেন, উল্টো বিএনপি-জামায়াত জোট মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করছে, টাকা কামাচ্ছে। দুর্নীতি, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান, অর্থপাচার, লুটপাট ও সারাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।তিনি বলেন, সরকার ইতো মধ্যে কিছু টাকা ফেরত এনেছে যা খালেদা জিয়ার দুই ছেলে চুরি করে বিদেশে পাচার করেছিল এবং অবশিষ্ট টাকাও জব্দ করা হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানেন না কোথা থেকে তারা অর্থ পাচ্ছেন যা ব্যবহার করে আবার পুলিশের গাড়ি ও যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে তারা ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে।শেখ হাসিনা বলেন, এবার বাড়াবাড়ি করলে দেশের মানুষ তাদের রেহাই দেবে না। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে পাঁচশো জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিবাদের মুখে তারা অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের টাকা আত্মসাতের কারণে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে, তার ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং তারেকের স্ত্রী দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।তিনি বলেন, দন্ডপ্রাপ্তরা বিএনপির শীর্ষ নেতা এবং তাদের সামনে রেখে রাজনীতি করছেন।শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাদের ভোট দেবে না। জনগণ বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার জন্য ভোট দেবে না। জনগণ অগ্নিসন্ত্রাসীদের আর ক্ষমতায় আনবে না।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় বাংলাদেশকে দরিদ্র ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এখন তার সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিশ্ব বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে।

জার্মানিতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে

102 Views

জার্মানিতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছ

মাহমুদ খাঁনঃ জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাস সনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বুধবার দেশটির জনস্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশ করা উপাত্ত থেকে এ তথ্য জানা যায়। খবর এএফপি’র।
রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট জানায়, ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এক লাখ ১২ হাজার ৩২৩ জন আক্রান্ত ও ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংস্থাটি আরো জানায়, এখানে নতুন করে প্রতি লাখে আক্রান্তের হার ৫৮৪.৪ জনে পৌঁছেছে।
এমন পরিস্থিতিতে জার্মানি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার লাগাম টেনে ধরতে আবারো বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপের আওতায় যারা বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছে বা যারা ফুল ডোজ টিকা নিয়েছে বা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে কেবলমাত্র সীমিত পরিসরে তাদেরই বিভিন্ন বার ও রেস্তোরাঁয় প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে।
এছাড়া ১০ জনের বেশি মানুষ একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের হার অনেক বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। এদের অধিকাংশ অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে।

অপু আহম্মেদ সহ ৬ জনের কোলকাতার রিজিওনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ’চাঁদের আলো’ পুরস্কার অর্জন

225 Views

বিনোদন প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: কোলকাতার রিজিওনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০২১ -এ এবার ‘চাঁদের আলো’ অর্জন করেছে মোট ৬ টি পুরস্কার। ফেস্টিভ্যালের ফোক সেকশনে শ্রেষ্ঠ পরিচালক হয়েছেন আকতারুল আলম তিনু, শ্রেষ্ঠ প্রধান চরিত্র অভিনেতা অজিত দাস, শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্র অভিনেতা শিখা কর্মকার, শ্রেষ্ঠ সিনেম্যাটোগ্রাফার অপু আহমেদ, শ্রেষ্ঠ মেক আপ আর্টিস্ট বাবু ইসলাম এবং ইন্সপিরেশনাল স্পেশাল এন্ট্রান্সে আহমেদ সাব্বির রোমিও শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছেন।পরিচালক আকতারুল আলম তিনু বলেন, আপনার সবচেয়ে দুর্বল ছেলেটিও একদিন আপনার মুখ উজ্জ্বল করতে পারে। এটি তার প্রমাণ। গত বছর শীতে আমরা বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে শুটিং করেছিলাম গুণী লেখক আলী আজাদ রচিত ‘চাঁদের আলো’। বাজেট স্বল্পতা, নানাবিধ চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কাজটি শতভাগ মনের মত না করতে পারলেও আমাদের চেষ্টার কমতি ছিলনা। আজিত দাদা সরকারী চাকরি করেন। মিডিয়াতে একদমই নতুন তখন। তার একনিষ্ঠতা দেখেই মূলত সাহস নিয়ে কাজ শুরু করা। সত্যি সত্যিই তিনি সবাইকে অবাক করে দিয়ে শুটিংয়ে পাক্কা অভিনেতার মত সবার মন জয় করে নিলেন। সাহস বেড়ে গেলো আমাদের।শুটিংয়ে লারা লোটাস, সাব্বির আহমেদ , শিখা কর্মকার, আহমেদ সাব্বির রোমিও, শিখা খান, রেজাউল ইসলাম টুটুল , মকবুল , আনামত, লাভলু সহ সবাই নিজের বেস্ট টা দিয়ে অভিনয় করেছে। ভালোবাসার টানে আমাদের স্পটে ছুটে গিয়ে দুইটি ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মৌ শিখা ও নাফিজ প্রেম ।অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি আমাদের সিনেম্যাটোগ্রাফার অপু আহমেদ এর দুর্দান্ত ফ্রেমিং, বাবু ইসলাম এর ক্রিয়েটিভ মেকআপ কাজটিতে আলাদা মাত্রা যোগ করেছিলো। ব্যাবস্থাপক হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন মতিউর রহমান মতি। প্রধান সহকারী পরিচালক সারিব হাসান এর তন্দ্রাহীন পরিশ্রম আর সহকারী পরিচারক মাসুদ রানার শ্রমের কথা ভোলার মত নয়। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাই এমন বিজয় এনে দিতে পারে।

পি.এম শেখ হাসিনাকে ডেনিশ প্রধানমন্ত্রীর ফোন, শক্তিশালী অংশীদারিত্বের আকাঙ্খা

86 Views

আন্তর্জাতিক ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: জলবায়ু পরিবর্তন ও অবকাঠামো উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের আলাপে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের আকাঙ্খা ব্যক্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষ্যে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেট ফ্রেডেরিকসেন বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করেন। ওই ফোনালাপে দুই দেশের আরও ঘনিষ্ঠতা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা হয়। টেলিফোন আলাপ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, কথোপকথনের সময় বালাদেশের দুটি তাৎপর্যপূর্ণ বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে উভয় প্রধানমন্ত্রী একে অপরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় ব্যবসা-বাণিজ্যের মতো পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন উভয়ে। ডেনমার্কের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী এবং সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় মেট ফ্রেডেরিকসেনকে আবারো শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে ডেনিশ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর প্রচারিত টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাপের বিষয়ে বলা হয়, আলাপকালে ফ্রেডেরিকসেন শেখ হাসিনাকে বলেন, উন্নয়ন, জলবায়ু সংকট মোকাবিলা, সবুজ বিশ্ব গড়া এবং সামুদ্রিক সমস্যা সমাধানে তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অবিরত শক্তিশালী অংশীদারিত্বের জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছে।ফোনালাপকালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী।

অভিজাত মহলে স্ত্রী বদল করে যৌনাচার, ‘মেম্বার হাজারো দম্পতি’

58 Views

ক্রাইম রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সমাজের ধনী এবং অভিজাত মহলে পুরুষ ও স্ত্রী পরিবর্তনের প্রবণতা বেড়েছে। পুরুষ বা স্ত্রী সঙ্গী বদল করে যৌনতার এক চক্রের সন্ধান পেল কেরালা পুলিশ। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।ভারতের কেরালাজুড়ে এই চক্র ছড়িয়ে পড়েছে বলে পুলিশের আশঙ্কা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অন্তত এক হাজার নারী-পুরুষ এই চক্রে জড়িত।কেরালার কারুকাচল থানায় এক নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এলে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ওই মহিলার অভিযোগ, তার স্বামী তাকে জোর করে অন্য পুরুষদের সঙ্গে সহবাসে বাধ্য করতে চাইছিলেন।পুলিশ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে একদল মানুষ বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে নারী-পুরুষদের সঙ্গে বন্ধু পাতিয়ে অনেককে এই কাজে প্ররোচিত করছে। যৌনজীবনের একঘেয়েমি কাটাতে এই ধরনের প্রস্তাবে অনেকের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে বলে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।চেঙ্গাচেরির ডেপুটি পুলিশ সুপার আর শ্রীকুমার জানান, অভিযুক্তেরা অধিকাংশই আলাপুঝা, কোট্টায়াম, এর্নাকুলামের মতো জেলার বাসিন্দা। অভিযোগকারী নারীর স্বামী ছাড়াও আরও ৬ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।পুলিশ জানিয়েছে, নারী বিমিময় এই গ্রুপে কারা কারা জড়িত রয়েছে, সেই অনুসন্ধান চলছে। এর আগে ২০১৯ সালে এক গৃহবধূ আদালতে এ জাতীয় নেটওয়ার্কের অভিযোগ করেছিলেন। মহিলার অভিযোগ ছিল শেয়ার চ্যাটের সাহায্য নিয়ে তাকে যৌনতার জন্য অন্য পুরুষের কাছে পাঠান হয়েছিল।এই চক্রের সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে হাজার জনের বেশি সদস্য রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। তবে পুলিশ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এই চক্রের গ্রুপে পাঁচ হাজারের বেশি দম্পতিকে যুক্ত থাকতে দেখেছে। ২০১৮ সাল থেকে এই চক্রটি সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা তাঁদের স্ত্রী অদল-বদলের জন্য মোটা টাকা নিত এবং তারা প্রত্যেকেই সমাজের অভিজাত শ্রেণীর মানুষ।