নোয়াখালীতে চোখের দৃষ্টি নিয়ে বাঁচতে চায় সাংবাদিক কন্যা অধরা মজুমদার

204 Views

মোঃরেজাউল করিম রাজু,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালী বেগমগঞ্জ চৌমুহনী হাজিপুর গ্রামের মৃত সন্তোষ মজুমদার এর ছেলে রিপন মজুমদার তিনি একজন পেশাদার সংবাদ কর্মী। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রেরণ এবং সাংবাদিক ইউনিটি ও প্রেসক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে জাতীয় দৈনিক মানবকন্ঠ,দৈনিক বর্তমান দিনকাল, দৈনিক দেশচিত্র, দৈনিক মর্নিং পোস্ট, দৈনিক জনতার অধিকার পত্রিকাসহ বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সির প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন৷

বিবাহিত জীবনে স্ত্রী ও এক মেয়ে কে নিয়ে চৌমুহনীতে একটি ভাড়া বাসায় বহু বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। সাংবাদিক রিপন মজুমদারের একমাত্র মেয়ে অধরা মজুমদার চৌমুহনী পৌরসভার (গনিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যাল) দশম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী৷জন্মের পর থেকে দুটি চোখের মধ্যে একটি চোখ বন্ধ ছিলো৷ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী জম্মের সাত বছর পর (২০১৩) সালে চিকিৎসা করে তা ভালো হলেও৷(২০১৬) সালে ঠিক সেই চোখে সমস্যা দেখা দিলে, প্রাইম হাসপিটাল লিঃ নোয়াখালী, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কাজী মনিরুজ্জামান এর তত্ত্বাবধানে হিকমাহ স্পেশালাইজড চক্ষু হাসপাতালে ঢাকা চিকিৎসা দেওয়া হয়।২০২৩ সালে তাঁর চোখের আরো অবনতি হলে তাকে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপিটাল ফার্মগেট ঢাকা নেয়া হয়।বর্তমানে চিকিৎসারত রয়েছে৷বর্তমানে তার বাবা সাংবাদিক রিপন মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, সময় যত যাচ্ছে মেয়ের চোখের অবনতিই খারাপের দিকে যাচ্ছে।তিনি আরো বলেন, আমি নিজেও অসুস্থ আমার সামান্য উপার্জনে মেয়ের চোখের ব্যয়বহুল খরচ চালাবো কিভাবে।আপনার আমার সামান্য সহযোগিতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে ১৬ বছরের ফুটফুটে শিশু অধরা মজুমদার।জন্মের পর থেকে ডান চোখ নিয়ে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করছে সে। বর্তমানে তাঁর চোখের দ্রুত অবনতি হচ্ছে।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব অধরা মজুমদার কে দেশের বাহিরে নিয়ে গিয়ে কর্নিয়া ট্রান্সপ্ল্যান্টেশান করতে হবে। এ জন্য খরচ হবে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা। শিশুটির পরিবারের পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।ঋণ করে একদিকে চিকিৎসা খরচ অন্যদিকে সাংসারিক খরচ চালাতে গিয়ে এখন দিশেহারা অধরা মজুমদারের বয়স্ক বাবা।তিনি বলেন, সমাজের বিত্তবানরা হাত বাড়িয়ে দিলে আমার সন্তানের চিকিৎসা সহজ হবে। আমার সন্তানের সুচিকিৎসার জন্য সকলকে পাশে দাঁড়ানোর বিনীত অনুরোধ জানান তিনি।তাই তার সু-চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তশালী, দানশীল, হৃদয়বানদের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সাংবাদিক রিপন মজুমদার৷বিকাশ ও নগদ পার্সোনাল নাম্বার।

০১৮১৯-০৪৮৮৩৮

সুধারামে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেল ২৫০ জন চক্ষু রোগী

95 Views
সময় রিপোর্ট,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ
নোয়াখালী সদর উপজেলার ১৯ নম্বর পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নে ২৫০ জন চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন রোগীকে বিনামূল্যে ছানি অপারেশনের জন্য চাঁদপুরের মাজহারুল হক বিএনএসসি চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালী অন্ধ কল্যান সমিতি এ ক্যাম্পের আয়োজন করে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য এম এইচ শওকত রেজা চৌধুরী।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর আলম সিদ্দিকী, ১৯ নম্বর পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফয়সাল বারী চৌধুরী, অন্ধ কল্যান সমিতির সভাপতি মখছুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও চক্ষু রোগের চিকিৎসক উত্তম মজুমদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
নোয়াখালী অন্ধ কল্যান সমিতির সাধারণ সম্পাদক উত্তম মজুমদার বলেন, দিনব্যাপী চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের মাধ্যমে ১৯ নম্বর চর মটুয়া ইউনিয়ন ও আশেপাশের এলাকার প্রায় ২৫০ জন চক্ষু রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু রোগের চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন রোগীকে ল্যান্সসহ ছানী অপারেশনের জন্য চাঁদপুরের মাজহারুল হক বিএনএসসি চক্ষু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এসব রোগীর তিন দিনের থাকা খাওয়াসহ যাবতীয় ব্যয় নোয়াখালী অন্ধ কল্যাণ সমিতি ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করবে।

নোয়াখালীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত 

77 Views

মেডিকেল রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বিকেল ৩ টায় নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের হল রুমে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলায় আগামী ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯টি উপজেলায় এবং নোয়াখালী ও চৌমুহনী পৌরসভায় ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে টিকা খাওয়ানো হবে। এতে কেন্দ্র থাকবে ২ হাজার ২৮৭টি এবং ৪ হাজার ৫শ৭৪টি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। উক্ত অনুষ্ঠানে কিভাবে টিকা প্রয়োগ করা হবে সে অনুযায়ী একটি বক্তব্য তুলে ধরেন। এতে প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার। আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডাঃ সোহরাব হোসেন। এ ছাড়া জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সিভিল সার্জন বলেন, নোয়াখালীতে ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ ডোজ ফাইজার ও সিনোফার্ম টিকা দেওয়া হয়েছে। এবার রেজিষ্ট্রেশন ছাড়াই এনআইডি, জন্ম নিবন্ধন,  বা স্থানীয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সুপারিশ আনা হলেই দেয়া হবে টিকা।

নোয়খালী জেনারেল হাসপতাল রোগী কল্যাণ সমিতির নয়া কমিটি গঠন

68 Views

মেডিকেল রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়খালীতে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপতাল রোগী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সমিতির সাধারণ সদস্য, আজীবন সদস্য ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন সমিতির রোগী কল্যাণ সভাপতি ও ২৫০ শয্যা নোয়খালী জেনারেল হাসপতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: হেলাল উদ্দিন। সমিতির সদস্য সচিব ও হাসপাতাল সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমাইয়া আক্তারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ও রোগী কল্যাণ সমিতির সমিতির সহ সভাপতি হাসিনা জাহান, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও রোগী কল্যাণ সমিতির সমিতির সহ সভাপতি সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম, জেলা সমাজসেব কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, রোগী কল্যাণ সমিতির সমিতির সহ সভাপতি প্রফেসর কাজী মুহাম্মদ রফিক উল্যাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাছের মঞ্জু, কোষাধ্যক্ষ মখছুদুল হক, আজীবন সদস্য সাংবাদিক মনিরুজ্জামান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ আলম, আয়কর আইনজীবী এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হামিদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট হাজেরা পারভীন, সাংবাদিক মোজাম্মেল হক, মো: জহির উদ্দিন, আবু তাহের, হাসিনা চৌধুরী প্রমুখ।বার্ষিক সাধারণ সভার শুরুতে রোগী কল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো: হানিফ, হুমায়ুন কবির হিরু ও সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব করা হয়। সভায় সমিতির আয় ব্যারে হিসাব উপস্থাপন করা হয়।পরে সর্বসম্মতিক্রমে সমিতির ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটির সভাপতি, দুইজন সহ সভাপতি, সদস্য সচিব সহ ৫ জন পদাধিকার বলে এবং এক সহ সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক, ১২ জন কার্যনির্বাহী সদস্য সহ মোট ১৬ জন সমিতির সদ্যদের ভোটে নির্বাচিত করা হন।

নোয়াখালীতে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসে প্রধান অতিথি ডিসি খোরশেদ আলম খাঁন

166 Views

রাশেদ বিল্যাহ চিশতী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে । ‘প্রতিটি ডায়াবেটিক রোগীরই আছে ডায়াবেটিস সেবা পাওয়ার অধিকার- ডায়াবেটিস সেবা নিতে আর দেরি নয়’-এই শ্লোগানে দিবসটি পালিত হয় ।আজ রবিবার এ উপলক্ষে নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে নতুন রোগীদের বিনামূল্যে ডায়াবেটিস পরীক্ষা, গরীব রোগীদের ওষধ প্রদান, র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় । সকালে দিনব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ।এসময় জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার, নোয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর কাজী মুহম্মদ রফিক উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, যুগ্ম সম্পাদক ফিরোজ আলম আজাদসহ ডায়াবেটিক রোগী, ডায়াবেটিক সমিতির সদস্য, চিকিৎসক এবং নানা শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন

ডা. ফজলে এলাহী খাঁনের পরামর্শ: রমজানে কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর খাদ্য তালিকা

652 Views

ডা. ফজলে এলাহী খাঁন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (কিডনি বিভাগ)
আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ:
বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। এই কিডনি রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবেন, আর যদি রাখে তবে তাদের কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এ বিষয়ে সবাই কম বেশি বিভ্রান্তিতে ভোগেন। যাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ: যারা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী এবং যাদের কিডনি বিকল হয়ে চতুর্থ-পঞ্চম ধাপে আছেন, যাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে, যাদের মূত্রতন্ত্রের প্রদাহ রোগের চিকিৎসা চলছে,আকস্মিক কিডনি বিকল রোগী তারা। তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীদের যদি রক্তের উপাদানে কোনো জটিলতা, যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত আছে, তাদের এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে রোজা রাখতে হবে।কিডনি রোগীরা রোজা রাখতে পারেন কিন্তু তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে : দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী: যারা প্রথম থেকে তৃতীয় ধাপ পর্যন্ত আছেন, কিন্তু কোনো জটিলতা নেই তারা রোজা রাখতে পারবেন তবে তাদের প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন_ মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এগুলো পরিমিতভাবে খেতে হবে। পিঁয়াজু ও ভাজা-পোড়া খাবার, অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, ঝাল-মসলা পরিহার করতে হবে। যাদের রক্তে পটাশিয়াম বেশি তারা শাকসবজি পটাশিয়ামমুক্ত করে খাবেন ও কম পটাশিয়ামযুক্ত ফল সীমিত পরিমাণ খাবেন।আপনার ডাক্তারের পরামর্শে রক্তের উপাদান মাঝে মাঝে পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। যাদের শরীরে অতিরিক্ত পানি আছে বা শরীর ফোলা তারা একবারে অনেক বেশি পানি খাবেন না। সেহরির সময় ভাত-রুটি, মাছ-মাংস, ডিম, দুধ পরিমিত খাবেন। ইফতারের সময় খাবেন খেজুর, চিড়া, দই, ডিমের পুডিং, সেমাই, পায়েস, পিঠা ইত্যাদি।যাদের ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়: প্রস্রাবে ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য ইফতারের পর থেকে সেহরির সময় পর্যন্তকোনো বেশি করে পানি খাবেন। কমপক্ষে ৩ লিটার প্রতিদিন। এ ছাড়া ক্রানবেরি জুস অথবা প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ প্রস্রাবে ইনফেকশন কমিয়ে আনে। যাদের ঘন ঘন মূত্রতন্ত্রে ইনফেকশন হয়, তারা ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্য কট্রিম অথবা নাইট্রোফোরানটোয়িন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক অল্প মাত্রায় খেতে পারেন।কিডনিতে পাথর: কিডনিতে পাথর সৃষ্টির সঙ্গে পানির একটা সম্পর্ক আছে। পানি কম খেলে পাথর হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। কাজেই যাদের পাথর হওয়ার প্রবণতা আছে, তাদের ইফতার থেকে শুরু করে সেহরি পর্যন্ত ৩-৪ লিটার পানি খেতে হবে। সেই সঙ্গে আলগা লবণ পরিহার করতে হবে এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার বিশেষ করে গরু-খাসির মাংস কম খেতে হবে।দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীদের গ্রহণীয় খাদ্য তালিকা :মাছ-মাংস: মুরগির মাংস, বিভিন্ন ধরনের মাছ পরিমিত।শাক: লালশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, মিষ্টি কুমড়া শাক, লাউশাক, সরিষা শাক, ও কচুশাক।সবজি: ডাঁটা, পটোল, করলা, ঝিঙ্গা, কাঁকরোল, লাউ, শসা, বেগুন, চাল কুমড়া, বিচি ছাড়া শিম, পাকা বেল, ধুনদুল, বেগুন, গাজর, চিচিঙ্গা/ঝিঙ্গা, চালকুমড়া ও আলু (সামান্য)।ফল: আপেল, পাকা পেঁপে, পাকা পেয়ারা, আনারস, নাসপাতি, জামরুল,।অন্যান্য: চাল, আটা, ময়দা, মুড়ি, চিড়া, মুগডাল(অল্প পরিমাণ), সেমাই, সুজি, বার্লি, কর্নফ্লেক্স, ভুট্টা, কর্নফ্লাওয়ার ইত্যাদি।কিডনি সংযোজনের রোগীবিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, কিডনি সংযোজিত রোগীর রোজা রাখতে পারেন। তবে তাদের ওষুধ নিয়মিত খেতে হবে।মনে রাখতে হবে, এখন প্রচণ্ড গরমের সময়। খোলা খাবার, রাস্তার পাশে বিভিন্ন রঙবেরঙের শরবত সহজেই জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। এগুলো খেয়ে ডায়রিয়া, বমিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগীর আকস্মিক কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। এজন্য এ ব্যাপারে সচেতনতাবোধ গড়ে তোলা জরুরি।

 

 

আ-জীবন সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে বাদ দিতে হবে ৪টি কাজ

355 Views

ডাক্তার ডেভি শেঠি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সব মানুষই চায় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন।এর জন্য যে কাজ গুলো করতে হয় তা করতে গিয়ে অনেকেই হোঁচট খান। মানুষ ভবিষ্যতের লাভের জন্য বর্তমানের আনন্দকে ত্যাগ করাটা খুব কঠিন মনে করে। বর্তমান শতাব্দীতে উন্নত ঔষধ, উন্নত স্যানিটেশন, নিরাপত্তা, কাজের পরিবেশ ও ব্যাক্তি সতর্কতার ফলে বিশ্বের প্রথম সাড়ির দেশ গুলুতে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।বর্তমানে একজন পুরুষের গড় আয়ু ৬৮.৫ বছর এবং একজন মহিলার গড় আয়ু ৭৩.৫বছর। শুধুমাত্র দীর্ঘ জীবন নয় সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন পাওয়ার জন্য কতগুলো পন্থা অবলম্বন করা প্রয়োজন। আসুন জেনে নেই সেই পন্থা গুলো ও এগুলো অনুসরণের মাধ্যমে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভ করি: ১। প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ বন্ধ করুন: প্রক্রিয়াজাত খাবারে অনেক বেশি চিনি, লবণ ও ফ্যাট থাকে এবং এইসব খাবারে ফাইবার/ আঁশ কম থাকে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাক, হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।তাই আপনার খাদ্য তালিকা থেকে প্রসেসড ফুড বাদ দিয়ে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশ জাতীয় খাবার খান,ধূমপানের অভ্যাস থাকলে বাদ দিন এবং প্রচুর পানি পান করুন। ২। নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিন: নেতিবাচকতা আপনার ভেতরের শক্তিকে নষ্ট করে দেয় এবং আপনার স্ট্রেস লেভেল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রাগ, হতাশা, বিষণ্ণতা ও উদ্বিগ্নতা বৃদ্ধি পায় এবং অধিক খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই নেতিবাচকতা পরিহার করে ইতিবাচক হোন। আপনার জীবনের লক্ষ্য ঠিক করুন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করুন এতে আপনার স্ট্রেস কমবে ফলে আপনি দীর্ঘজীবী হবেন।৩। একভাবে বসে থাকবেন না: বর্তমানের একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, ব্যায়ামের মাধমে দীর্ঘমেয়াদি অসুখ যেমন- ক্যান্সার ও স্থূলতা র সম্ভাবনা কমায়। দিনে ৩০ মিনিটের ব্যায়াম আপনার আয়ু বাড়িয়ে দেবে।২০১১ সালে The Lancet e প্রকাশিত গবেষণা পত্রে দেখা গেছে যে, দিনে ১৫ মিনিটের ব্যায়াম যারা করেছেন তাদের আয়ু ৩ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যারা দিনে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করেছেন তাদের আয়ু ৪ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানের ৪১৬০০০ নারী ও পুরুষ কে নিয়ে এই গবেষণাটি করা হয়। তাই দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা লাভের জন্য সারাদিনের কিছুটা সময় বেছে নিন ব্যায়ামের জন্য। ৪। রাতের ঘুম ছাড় দেবেন না: ঘুমের ব্যাপারে কার্পণ্য করবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন এর জন্য প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন । ২০০৭ সালে ঘুম বিষয়ক একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্র থেকে জানা যায় যে , ঘুমের হ্রাস বৃদ্ধি মানুষের মৃত্যু হারের উপর প্রভাব বিস্তার করে। নিয়মিত কম ঘুমালে হৃদরোগ,ডায়াবেটিস ও স্থূলতার মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। আর নিয়মিত ভালো ঘুম হলে স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও হার্ট ডিজিজ দ্রুত ভালো হয়। বড় কোন পরিবর্তন নয় ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে নিজের জীবনযাপনের ধরণের পরিবর্তন করুন। আপনার বাবা বা দাদা অনেকদিন বেঁচে ছিলেন বলে আপনিও অনেকদিন বেঁচে থাকবেন তাই সুস্থ ও দীর্ঘ জীবন লাভের জন্য আপনাকে কোন চেষ্টা করতে হবেনা এমনটা ভাববেন না। আবার আপনার পূর্ব পুরুষ রা দীর্ঘায়ু লাভ করেন নি বলে আপনি ও দীর্ঘজীবী হতে পারবেন না এই ধরণের ধারণা বা ভয় ও লালন করা ঠিক না। ইতিবাচক ভাবে চিন্তা করুন এবং জীবনে সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভ করে জীবনকে পরিপূর্ণ ভাবে উপভোগ করুন

বেশি ক্ষুধা নিয়ে ভুলেও খাবেন না যে ৪টি খাবার

218 Views

মেডিকেল রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: তাহলে জেনে নিন, ক্ষুধারসময় যে ৪ ধরণের খাবার খাওয়া উচিত নয়-১) ফল : খালি পেটে ফল খেতে নেই- এই কথাটা আমরা আমাদের ছেলেবেলা থেকেই জানি। একটি আপেল বা একটি কলা খেয়ে কখনই পেটের ক্ষুধামিটে না।বরং আপনার খিদে খিদে ভাব আরও বেড়ে যাবে। যদি ফলখেয়েই থাকেন তাহলে এর সঙ্গে আপনার খাওয়া উচিত কোনও প্রোটিন ধরণের খাবার। ফলের সঙ্গে খেতে পারেন সামান্য পরিমাণ বাদাম, পিনাট বাটার বা পনির।২) ঝাল খাবার : কোন কাজের জন্যদুপুরের খাবার সারতে দেরি হয়েছে। এ সময় প্রচণ্ড ক্ষিদে পেয়েছে, তাই হাতের কাছে পাওয়া ঝাল ঝাল কোনও মুখরোচকখাবার খেয়ে বসলেন।এতে আপনার হজমের সমস্যা তৈরি হবে। খালি পেটে ঝাল খাবার খেলে এই মশলা আপনার পাকস্থলীর আবরণের ওপরসরাসরি প্রভাব ফেলবে। তাই ঝাল ঝাল খাবার খাওয়ার আগে দুধ বা দই খেতে পারেন। এতে সরাসরি ঝালের প্রভাব পাকস্থলীরওপর পড়বে না।৩) কমলালেবু বা কফি : এই সব খাবার খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটি তৈরি করে। এতে পেট খারাপ হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়। বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য খালি পেটে কফি পান করাটা অত্যন্ত ক্ষতিকর।সবজি পেটের জন্য এতোটা ক্ষতিকর না। তাই সবজির সালাদ খেতে পারেন। সেদ্ধ ডাল বা মুরগীর মাংসও (কম মশলাদার হলে চলবে) এ সময়ে খাওয়া যেতে পারে।৪) বিস্কুট বা চিপস : এমনটা হতে পারে যে আপনি আর দুই ঘন্টা পর দুপুরের খাবার খাবেন। তাই এখন ভারী কিছু খেতে চাচ্ছেন না। কিন্তু তা বলে বিস্কুট বা চিপস একেবারেই নয়! ছোট এক প্যাকেট বিস্কুট বা চিপস বেশিক্ষণ পেটে থাকবে না।এগুলিতে থাকা কার্বোহাইড্রেট কিছুক্ষণের মধ্যেই হজম হয়ে যাবে। ফলে আপনার খিদে খিদে ভাব দ্রুত ফিরে আসবে। সে ক্ষেত্রে খেতে পারেন ২৫০-৩০০ ক্যালোরির কোনও খাবার। যেমন, একটা স্যান্ডউইচ বা একটা কেক।প্রচণ্ড ক্ষুধা পেলে ঘরে যা থাকে তাই খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করি। কেননা ক্ষুধা পেলে খাবার না খাওয়া পর্যন্ত কিছুই ভালো থাকে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খাবার খেয়ে ক্ষুধা মেটানো হয়।কিন্তু এ সময় সব ধরনের খাবার খাওয়া উচিত নয়, কারণ কিছু খাবার আছে যেগুলো খিদের সময়ে খেলে যেমন পেটের ক্ষিদে মিটবে নাতেমনি শরীরের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে- জি নিউজ।আরো পড়ুন পুরুষের স’হবাস ছাড়াই স’ন্তান জ’ন্ম দিলেন শিউলি,শিউলি বলেন, ‘বয়স বাড়ার সঙ্গে ক্রমশ একাকী’ত্বও বাড়ছিল। অল্পতেই রেগে যাচ্ছিলাম। তখনই এই সিদ্ধা’ন্ত নিলাম।’ এর পরেই বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে পাকাপাকি ভাবে সিঙ্গেল পেরেন্ট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তিনি।নিজের হাসপাতালের স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে শুক্রাণু নিয়ে প্রবেশ করানো হয় তার শরীরে। হায়দরাবাদ ও মালদহের দুই মহিলাও তার চিকি’ৎসাতে সিঙ্গেল মাদার হতে চলেছেন।ডা. শিউলি মুখোপাধ্যায় কলকাতার বাসিন্দা। দেড় বছর আগে তিনি একক মাতৃ’ত্বের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। তার একাকিত্ব ঘোঁ’চাতে ও অন্যদের উৎসাহিত করতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন বলে গণমা’ধ্যমকে জানিয়েছেন।সেই ভাবনা থেকেই অবিবাহিত শিউলি এখন এক পুত্র সন্তানের মা।৩৯ বছরের শিউলিদেবী ছেলের নাম রেখেছেন ‘রণ’। তবে ছেলের জন্মের পরেই এক তিক্ত অ’ভিজ্ঞতা হয়েছে শিউলির। তিনি বলেন, ‘ছেলের জন্মের কাগজপত্রে বাবার নামের জায়গায় কী’ লিখবেন সেটা বুঝে উঠতে পারছিলেন না।’পুরু’ষের স’ম্পূর্ণ সহবাস ছাড়াই স্পা’র্ম ব্যা’ঙ্ক থেকে শুক্রা’ণু নিয়ে বিয়ে ছাড়াই মা হযেছেন বা’ঙালী ডাক্তা’র শিউলি। অবশ্য এজন্য তার লড়াইও কম করতে হয় নাই।শিউলির মা হওয়ার পর থেকে আশ’ঙ্কা করা হচ্ছে বিবাহ প্রথা বেশি দিন টিকে থাকবে না।সন্তান জন্ম দানে পুরুষের ভূমিকা গৌণ তা প্রমাণ করলেন ওই নারী। এখন থেকে আর নারী নি’র্যাতন হবে না । এখন দেখার বিষয় বাঙালি নারীরা এ পন্থা অবলম্বন করে কি না?বাঙালী ডাক্তার প্রমাণ করলেন , বাঙা’লীরাই পথ দেখাবে সচেতনতার ও বিজ্ঞানের নানা কী’র্তির। তারা আলোর দিশা। অন্ধকার অচলায়তন ভেঙে শিখা চিরন্তন।ডা. শিউলি মুখো’পাধ্যায় । নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য উচ্চতায়।কলকাতায় ‘একক মাতৃত্ব’ নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে দীর্ঘদিন কাজ করছেন তিনি।বন্ধ্যাত্ব নিরসন তার যেন উপাসনা। শত নারীর মুখে মাতৃত্বের হাসি ফোটানো। । বিভিন্ন নারীকে তিনি মাতৃত্বের স্বাদ গ্রহণের সুযোগও করে দেন সেবার ভিত্তিতে ন্যূনতম খরচে। এবার নিজেই সেই পথে হাঁটলেন।প্রায় ১১ বছর আগে স্ত্রী’-রোগ চিকিৎসক হিসাবে কাজ শুরু করার পরে তার হাতেই জন্ম হয়েছে অসংখ্য শি’শুর। তবে ‘করে ছেলের জন্মের পরে প্রথম তাকে কোলে নেওয়ার অনুভূতি একেবারে অন্যরকম বলেই জানান তিনি। শিউলিদেবী জানান, এমডি পড়ার সময় থেকেই বাড়ি থেকে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া শুরু হয়। কিন্তু বিয়ে বিষয়টি ছিল তার অ’পছন্দের।তিনি জানান, শেষে আ’দালতে এফিডেভিট করে এবং সিঙ্গ’ল মাদারের ক্ষেত্রে কলকাতা পৌরসভার দেয়া একটি শি’শুর জন্মের কাগজপত্রের কপি ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কাগজপত্র পৌরসভায় জমা দেয়ার পরেই নিজের সন্তানের কাগজপত্র তৈরি হয়।শি’শু বয়স থেকেই রণকে সিঙ্গেল পেরেন্ট বা সিঙ্গল মাদারের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা বোঝাতে চান শিউলি। শনিবার নিজের বেসরকারি হাসপাতালে বসে তিনি বলেন, ‘ছোট থেকেই ওকে বুঝিয়ে দিলে বড় হয়ে আর মনে কোনও সংশয় থাকবে না।

যে সব কারনে নিয়মিত মধু খাওয়া উচিত

235 Views

স্বাস্থ্য ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সর্বগুন সম্পন্ন এই মধুর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা, সৌন্দর্য চর্চা- কোথায় নেই মধুর ব্যবহার? আসুন দেখে নেয়া যাক মাত্র এক চামচ মধু কি কি অসাধারণ উপকারে লাগতে পারে আপনার।মধু তার অসাধারণ ঔষধি গুনের কারনে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র দেহের বাহ্যিক দিকের জন্যই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে।মধু হিউম্যাকটেন্ট যৌগে সমৃদ্ধ। এই যৌগটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার কাজ করে এবং ত্বকের উপরিভাগের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে।হিউম্যাকটেন্ট যৌগটি ত্বককে নমনীয় করতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে দীর্ঘদিন বার্ধক্যের ছাপ মুক্ত।প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু রঙ চা কিংবা দুধের সাথে খেতে পারেন। সেই সাথে আপনার রোজকার ফেস প্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন মাত্র এক চামচ মধু। মধু ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করে ও মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়া রোধ করে।মধু শরীরের ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মধুতে মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। কোথাও পুরে, কেটে গেলে ক্ষত স্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্যথা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে। মধুতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা ক্ষত পরিষ্কার হতে সাহায্য করে ও ব্যথা, ঘ্রাণ, পূঁজ ইত্যাদি হ্রাস করে দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে।মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা ছত্রাক ও অন্যান্য কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ঠিক করতে সাহায্য করে ও নতুন ত্বক গঠনে ভূমিকা রাখে। চর্মরোগ হলে নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান। এক চামচ মধুর সাথে অল্প পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।মধুতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করে শরীরের চামড়াকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অনেকটা প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে মধু। রোদে পোড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক চামচ মধুর সাথে পানি মিশিয়ে প্রতিদিন মুখে ফেস প্যাকের মতন লাগান। রোদে পোড়া জনিত কালো দাগ দূর হয়ে চেহারা হবে ঝলমলে। মধুতে বিদ্যমান গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা শরীরে শক্তি সবরাহের কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু সারাদিনের জন্য দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে ও আপনাকে রাখে এনার্জিতে ভরপুর।প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে মধুতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম রক্তে প্রবেশ করে। এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এভাবে মধু রক্তস্বল্পতা রোগকে প্রতিরোধ করে।মধু ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তুলতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমের পূর্বে নিয়মিত ঠোঁটে মধু লাগান। ঠোঁট হয়ে উঠবে নজর কাড়া সুন্দর।মধুর ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, সি কপার , আয়োডিন ও জিংক দেহে এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে মধু কোলেস্টেরল সংক্রান্ত রোগ থকে দেহকে মুক্ত রাখে। দিনে অন্তত এক চামচ মধু খেয়ে নিন,যেভাবে আপনার ভালো লাগে। সাইনাসের কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের যে কোন সমস্যা থেকে মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ দেহকে মুক্ত রাখে। চা কিংবা উষ্ণ পানির সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।প্রতিদিন মধু খাওয়া হলে দেহের ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি হয়। ফলে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সহজে অসুখ বিসুখ ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় না।মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে ও ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়। এতে ওজন কমে যায়। চিনির বদলে মধুর ব্যবহার মুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে।যাদের খুসখুসে কাশির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। দ্রুত আরোগ্য হবে।

মানব দেহের কিডনি বা ফুসফুস সুস্থ রাখতে পরীক্ষা করুন চামচ দিয়েই

250 Views

মেডিকেল রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: আমাদের ফুসফুস সুস্থ থাকা খুব জরুরি। তবে এখন হাসপাতালে যেয়ে ফুসফুস বা কিডনিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা পরীক্ষা করাও বেশ ঝামেলার। তাই বেছে নিন ঘরোয়া পদ্ধতি। যা সহজেই আপনার দেহের নানা রোগ সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।ঘরোয়া পদ্ধতিতেই একটি পরীক্ষা করতে পারেন। যা বেশ কার্যকরী ও সহজও। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই পদ্ধতিটি সম্পর্কে জানা গেছে। এই পরীক্ষার জন্য প্রয়োজন শুধু একটা চামচ আর একটা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের প্যাকেট। একটা চামচ দিয়েই পরীক্ষা করে জানতে পারবেন আপনার কিডনি বা ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে কিনা। সঙ্গে জানতে পারবেন অন্যান্য রোগ সম্পর্কেও। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে এই পরীক্ষাটি করবেন-একটি পরিষ্কার চামচ জিভের মধ্যে রেখে চেপে ধরুন। যাতে আপনার লালা চামচটিতে লাগে। এবারে ওই চামচ প্যাকেটে ভরুন। প্যাকেটটি টেবিল ল্যাম্পের আলোর নিচে বা সূর্যের আলোর নিচে ১ মিনিটের জন্য রেখে দিন।> ১ মিনিট পরে যদি দেখেন চামচে কোনো দাগ বা গন্ধ নেই, তাহলে বুঝবেন আপনি ভেতর থেকে সুস্থ।> যদি দুর্গন্ধ বের হয়, তাহলে বুঝবেন লিভার বা ফুসফুসের সমস্যা আছে।> মিষ্টি গন্ধ বের হলে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে।> আর ঝাঁঝালো গন্ধ বের হলে বুঝবেন কিডনির সমস্যা।> চামচে হালকা হলুদ এবং সাদা রং দেখা গেলে ধরে নিতে হবে, থাইরয়েডের সমস্যা হয়েছে।> হালকা বেগনি রংয়ের দাগ থাকলে বুঝবেন, বুকে সর্দি বসেছে বা হাই-কোলেস্টেরল সমস্যা আছে।> কমলা রং দেখা দিলে বোঝায় কিডনিক সমস্যা।চামচের এই পরীক্ষার পরে উপরে উল্লিখিত কোনো গন্ধ বা রং দেখতে পেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।