নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিবকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিমের দেওয়া পরোয়ানায় গ্রেফতার করেছে নোয়াখালী র্যাব। মঙ্গলবার ভোরে গ্রেফতারের পর তাকে সুধারাম থানায় সোপর্দ করার পর পুলিশ বুধবার তাকে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল আদালতে চালান করেন।একই দিন আহসান হাবিবের আইনজীবী ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করার স্বার্থে জামিনের প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় ১৫ দিনের জন্য তাকে জামিন মঞ্জুর করেন।উল্লেখ্য, আহসান হাবিবের স্ত্রী ডা. সুমনা ইসলাম তার বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ, প্রতারণা করে বহু বিবাহের অভিযোগ এনে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহম্মেদের আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিবকে বারবার সমন দিলেও তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় ১০ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরোয়ানা ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) সানজিদা আফরিন নোয়াখালীর পুলিশ সুপারের কাছে প্রেরণ করেন। সেই পরোয়ানায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জানান, আইন অনুযায়ী এখন ওই প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে সরকারি বিধিমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলীকে বারবার ফোন করেও মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
Category: সুধারাম
খালেদা জিয়ার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে এর হিসাব কড়া-গন্ডায় সরকারকে দিতে হবে:শাহজাহান

সুধারামে সাইবার স্পেসে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক অধিবেশন
আবু রায়হান সরকার,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃগ্লোবাল প্লাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগীতায় নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্সের আয়োজনে রবিবার বিকালে কালিতারা মুসলিম গার্লস একাডেমী অডিটোরিয়ামে সাইবার স্পেসে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমান রায়হানের সভাপতিত্বে ও সদস্য শিউলি আক্তারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো: জাহাঙ্গীর।অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, কালিতারা মুসলিম গার্লস একাডেমী প্রধান শিক্ষক,মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।সভায় সংগঠনের সদস্যরা স্লাইড প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাইবার স্পেসে কিভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখবে এবং নিরাপদভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।বক্তারা বলেন, নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্সের তরুণরা যে পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর আগামীর বাংলাদেশ গড়তে তাদের অবদানগুলো লক্ষ্যণীয়। এরা সম্ভাবনাময়, তারা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”সচেতনতার মাধ্যমেই সমাধান মিলবে” এই বিশ্বাস বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় তরুণদের সংগঠন “নোয়াখালী সাইবার ওয়ারিয়র্স”।পরে সকল শিক্ষার্থী, অতিথি ও সদস্যরা একইসাথে বাঁশি বাজিয়ে যারা সাইবার অপরাধের সাথে যুক্ত, প্রতিনিয়ত সাইবার স্পেসে ছড়িয়ে দিচ্ছে বিষবাষ্প তাদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারী সংকেত প্রদান করা হয়।
নোয়াখালী প্রেসক্লাব’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে নয়া কর্মকর্তা
মোঃরেজাউল করিম রাজু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ দীর্ঘ ১৫ বছর পর বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচনে নয়া কর্মকর্ত হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের জেলা প্রতিনিধি বখতিয়ার শিকদার সভাপতি এবং ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আবু নাছের মঞ্জু সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদ। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সভাপতি পদে বখতিয়ার শিকদার পেয়েছেন ৩৫ ভোট, তাঁর প্রতিদ্বন্দী দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি আলমগীর ইউসুফ পেয়েছেন ১৪ ভোট, দৈনিক যুগান্তরের জেলা মনিরুজ্জামান চৌধুরী পেয়েছেন ৫ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে আবু নাছের মঞ্জু পেয়েছেন ২৮ ভোট, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী দৈনিক কালেরকণ্ঠের সামছুল হাসান মিরণ পেয়েছেন ১৬ ভোট, দৈনিক দিশারী সম্পাদক আকাশ মো. জসিম পেয়েছেন ১০ ভোট এবং ৭১ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান পেয়েছেন ০ ভোট। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন স্কুলে বিরামহীন ভোট গ্রহণ চলে। এ সময় ক্লাবের ৫৬ জন সদস্যের মধ্যে ৫৪ জন সদস্য তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোটে নির্বাচিত কমিটির অন্যান্যরা হলেন সিনিয়র সহসভাপতি মাসুদ পারভেজ (৩৫ ভোট), সহ সভাপতি শাহ্ এমরান মো. ওসমান সুজন (৩২) ভোট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন সোহাগ (২৬ ভোট) এবং এআর আজাদ সোহেল (২৪ ভোট), কোষাধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন শিবলু (২৪ ভোট), ক্রীড়া ও সমাজসেবা সম্পাদক নাসির উদ্দিন শাহ্ নয়ন (৩০ ভোট), সাহিত্য, সংস্কৃতি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গাজী মো. আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া রুবেল (৩০ ভোট), কার্যনির্বাহী সদস্যদের মধ্যে আবদুল মোতালেব (৩০ ভোট), নুর রহমান (২৩ ভোট) ও মো.মাহবুবুর রহমান (২৩) পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে ইকবাল হোসেন সুমনকে বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকগণ, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোল্লা হাবিবুর রাছুল মামুনসহ উর্ধবতন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীগণ এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ে দীর্ঘদিন স্থগিত থাকা নোয়াখালী প্রেসক্লাব নির্বাচনের বাধা কাটে। এদিন বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেন। এ সংক্রান্ত রিটে প্রতিপক্ষের আইনজীবী মো. ওমর ফারুক জানান, দীর্ঘদিন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন বন্ধ থাকার মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসন ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি একটি এডহক কমিটি গঠন করে নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়। পরে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এই রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ ২০১৮ সালের ১৪ আগস্ট নোয়াখালী জেলা প্রশাসককে শিগগির নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। এরপর জেলা প্রশাসন ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন যাতে ভোটের তারিখ দেওয়া হয় ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর মীর মোশররফ হোসেন নামের একজন আরেকটি রিট করেন, যেখানে তিনি নিজেকে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন। উল্লেখ করেন, তার কার্যকালের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ আছে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন স্থাগিত ও রুল দেয়। ওই রিটে নোয়াখালীর মূলধারার কোনো সাংবাদিককে পক্ষ করা হয়নি বলে জানিয়ে আইনজীবী ওমর ফারুক জানান, পরে মূলধারার ৪২ জন স্থানীয় সাংবাদিক এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে রুল খারিজের আবেদন করেন। রুলের শুনানি শেষে রায় দেন আদালত। এই মামলার সেই ৪২ জন সাংবাদিকের তদবিরকারী ছিলেন আবু নাছের মঞ্জু।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে নোবিপ্রবিতে মতবিনিময় সভা
হাসিব আল আমিন,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) আয়োজনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে অংশীজনের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম৷২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (বুধবার) নোবিপ্রবির বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়াম ভবনের আইকিউএসি সেমিনার কক্ষে সকাল ১০ টায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ‘কী নোট স্পিকার’ হিসেবে ছিলেন নোবিপ্রবি’র ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহাদ হোসেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব অজিত দেব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব বিজয়া সেন এবং নোয়াখালী জেলার দুর্নীতি দমন কমিশনের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব মো: ফারুক আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মমতাজুল করিম বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক বাদল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মো: শাজাহানসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সাংবাদিক প্রতিনিধি ও অ্যালামনাই প্রতিনিধিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নোবিপ্রবি আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো: মোহাইমিনুল ইসলাম সেলিম।অংশীজন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘নৈতিকতা বিষয়টি পরিবার থেকে আসে। সৎ বাবা-মা, বন্ধুবান্ধব, পরিবেশ এসবের মাধ্যমে একজন সৎ মানুষ তৈরী হয়। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ আগে নিজে সৎ হয়ে পরে অন্যকে সৎ হওয়ার পরামর্শ দেয়া। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুইটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো- নিজে সৎ থাকা, আর অন্যটি হলো- অন্যায়ের সঠিক শাস্তি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে একই সঙ্গে নোবিপ্রবিও এগিয়ে যাবে। তিনি আমাকে যে বিশ্বাস করে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব দিয়েছেন আমি সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করবো। আজকের আয়োজনে যারা এসেছেন এবং মূল্যবান মতামত দিয়েছেন সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, ‘প্রথমেই আজকের এই সভায় আগত সুধীজনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আমাদের আচার-আচরণে সচেতন থাকবো এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করবো। আয়োজকদের সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের তুলনায় আমরা বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো অবস্থায় আছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের দপ্তরগুলো নিজ নিজ অবস্থানে সততার সাথে সেবা প্রদান করে চলেছে। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কেউ হয়রানির স্বীকার হয়না। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ যে তিনি আমাদেরকে একজন সৎ উপাচার্য দিয়েছেন যার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।নোয়াখালীর অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) জনাব অজিত দেব এ ধরনের অংশীজন সভা আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এই বিষয়গুলো মেনে যদি কোন রাষ্ট্র তার নাগরিকদের জন্য কিছু বিধিবদ্ধ কাঠামো নির্ধারণ করে তাই হলো সুশাসন। রাষ্ট্রীয় এবং অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও সুশাসন প্রয়োজন। জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল প্রয়োগের যে নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো আমাদেরকে মেনে চলতে হবে। বর্তমান সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদেরকেও পরিবার ও সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে শুরু করতে হবে এর চর্চা। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে এ ধরণের অংশীজন সভা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বক্তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও একাডেমিক কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে। শিক্ষা ও গবেষণায় বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের র্যাঙ্কিংয়ে অত্যন্ত ভালো অবস্থানে রয়েছে নোবিপ্রবি। একই সাথে গবেষণা ও প্রকাশনা ক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক সময়ে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, শিক্ষক সমাজ সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বক্তারা।
সুধারামে ওয়ারেন্টভুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন
নাসির উদ্দিন বাদল,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার পরও তাঁকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ। এমন অভিযোগ তুলে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার এবং তাঁর মামলা-হামলা থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা শহরের গোদার মসজিদ এলাকায় একটি পত্রিকার স্থানীয় কার্যালয়ে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মো. জহিরুল ইসলাম। এসময় তার মা আয়েশা খাতুন, স্ত্রী মারজাহান বেগম, ছেলে আবুল কালাম, মেয়ে ফাহিমা আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জহিরুল ইসলাম সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের চুলডগি গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহের কাজে যুক্ত রয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে জহিরুল ইসলাম বলেন, তিনি কুমিল্লার বিভিন্ন ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতেন। ২০১৭ সালে আলী আশরাফ ইটভাটায় (এজিএস) ২৫জন শ্রমিক সরবরাহের চুক্তিতে এজিএস কোম্পানীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এসময় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় ওই ইটভাটায় শ্রমিক সরবরাহ করতে পারেননি। সেই মোতাবেক তিনি এজিএস কোম্পানীর প্রাপ্য টাকা ফেরত দিতে এজিএস কোম্পানীর সঙ্গে স্থানীয় কালাদরাপ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মাধ্যমে সালিশ বৈঠক হয়। শালিস বৈঠকে এজিএস কোম্পানীর প্রাপ্য ১০ লাখ টাকা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের মাধ্যমে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত মতে জহিরুল ইসলাম বিভিন্ন তারিখে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের কাছে এজিএস কোম্পানীর ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা জমা দেন। বাকি ২০ হাজার টাকা চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত নেওয়ার সময় দেওয়া হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। জহিরুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান আমার দেয়া ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা এজিএস কোম্পানীকে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করে নেন। পরে ওই টাকার জন্য এজিএস কোম্পানী আমার জন্য মামলা করলে আমি তাদের সঙ্গে সমঝোতা করে সেই মামলা থেকে মুক্তি পায়। পরবর্তী আমি মিজান চেয়ারম্যানের কাছে আমার প্রাপ্য টাকা চাইলে সে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমি এবং আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে গুরত্বর আহত করে। ওই ঘটনায় আমি আদালতে মিজানুর রহমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে অর্থ আত্মসাৎ ও হামলার ঘটনায় মামলা করি। আদালতে মামলার অধিক শুনানী শেষে অর্থ আত্মসাৎ ও হামলা ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গত ১৭ জুলাই গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে সুধারাম মডেল থানার ওসিকে আসামী গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়। কিন্তু সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় পরোয়ানার ২ মাস অতিবাহিত হলেও আসামীকে গ্রেফতার করছেন না সুধারাম থানা পুলিশ। জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমি মামলার বাদি হয়েও আসামী এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। মামলা তুলে নিতে তারা আমার বাড়িঘরে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়ে আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দিয়ে আসছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও পুলিশের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারপূর্বক তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম।
নোয়াখালীতে জ্বালানি ন্যায্যতা সপ্তাহ উপলক্ষে মিডিয়া গোলটেবিল বৈঠক
ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালীতে জ্বালানি ন্যায্যতা সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত মিডিয়া গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা দেশের জ্বালানী নিরাপত্তা, শিল্পায়ন এবং টেকসই অর্থনীতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং এ খাতে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা জ্বালানী মন্ত্রণায়লয়কে মুজিব জলবায়ুু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার লক্ষ্যের সাথে মিল রেখে সমন্বিত বিদুৎ ও জ্বালানি মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) প্রণয়ন এবং একটি স্বল্প বা শুণ্য নির্গমনকারী জ্বালানি চাহিদা ও সরবরাহের ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানান।বুধবার জেলা শহরের বিআরডিবি মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশান নেটওয়াক- প্রান, বন্ধন, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিডব্লিউজিইডি) যৌথভাবে এ মিডিয়া গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে।এসময় বক্তাগণ বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জ্বালানি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও আমাদের প্রাথমিক জ্বলানির স্বল্পতা, বিশেষ করে বিকল্প জ্বলানীর বিষয়টি নিশ্চিত করতে না পারার কারণে বাংলাদেশকে এখনোও জ্বলানীর জন্য আমদানীনির্ভর থাকতে হচ্ছে এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে আগামিতে জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে মোটা অংকের অর্থ জোগান দিতে হবে। তাই, মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় ২০৪১ এর মধ্যে কমপক্ষে ৪০% এবং ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ এবং অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।জ্বালানি খাতে সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের নিজস্ব স্থায়ীত্বশীলতা, জ্বালানি স্বাধীনতা এবং জ্বালানি সুরক্ষিত করা এবং বিশ্বে সবুজ জ্বালানি রপ্তানিকারক দেশ হয়ে উঠতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই বলে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তাগণ মত দেন।বন্ধনের নির্বাহী পরিচালক মো. আমিনুজ্জামানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রানের কর্মসূচি কর্মকর্তা জাহিদ মোহাম্মদ ইমরান৷ আলোচনা করেন প্রানের প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আবু নাছের মঞ্জু, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন বিষাদ, দৈনিক দিশারী সম্পাদক আকাশ মোহাম্মদ জসিম প্রমুখ। মিডিয়া গোলটেবিল বৈঠকে জেলার কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন ডিসিকে করতে হবে
আসাদুজ্জামান কাজল,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন নিয়ে জনৈক আইনজীবির দায়েরকৃত মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট৷ ১৮ ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং রোজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেন এর অবকাশকালীন বেঞ্চ নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন সংক্রান্ত মামলাটি সম্পূর্ণ খারিজের আদেশ প্রদান করেছেন।এ সময় আদালত একই আদেশে নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত আদেশটিও খারিজ করে দেন। নোয়াখালী প্রেসক্লাবের আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,আদালত মামলা টি খারিজ করে দিয়েছেন।এখন আর নোয়াখালী প্রেসক্লাবের স্থগিত নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে কোন বাধা নেই।আদালতে এ রায়ের এর আনন্দগন পরিবেশে সোমবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কেন্দার কচি মিলনায়তনে উক্ত ক্লাবের সন্মানিত সদস্যরা মিলিত হন।এতে উপস্থিতি সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন অতিদ্রুত সম্পূর্ণ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসককে আগামী এক সাপ্তাহের মধ্যে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের স্থগিত নির্বাচন সম্পূর্ণ করার অনুরোধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দের পক্ষ থেকে আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। এ সময় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের মামলার মুল তদবিরকারী সাংবাদিক আবু নাসের মঞ্জুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার,সাবেক সভাপতি মো.আলমগীর ইউসুফ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান চৌধুরী,শাহ এমরান মোঃসুজন,সাবেক জামাল হোসেন বিষাদ,দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও দৈনন্দিন নোয়াখালী সময় পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাদল,সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান, আবদুর রহিম ও মিজানুর রহমান৷
নোয়াখালী ক্ষুদ্র হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ জলাবদ্ধতা সহ নানান সমস্যা নিরসনে মার্কেটের নির্মান কাজ শুরুর পুর্বে নুন্যতম ১০ মাসের অস্থায়ী পুর্ণবাসনের জন্য নোয়াখালী ক্ষুদ্র হকার্স মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,নোয়াখালী ক্ষুদ্র হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি সভাপতি মোঃ ইকরাম উল্যা ডিপটি, সহসভাপতি মোঃ সফি উল্লাহ,উপদেষ্টা আবদুজ জাহের আজাদ, সহিদ উদ্দিন সোহেল, হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি আবদুস সামাদ শাহিনসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।। বিক্ষোভ সমাবেশে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন , নোয়াখালী ক্ষুদ্র হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর যাবৎ ব্যবসা পরিচালনা করে জীবন – জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। নানান সমস্যা নিয়ে দুর্গম এ পথচলায় বর্ষার মৌসুমে পানিবন্ধী, করোনার মহামারীতে দীর্ঘ ২ বছরের অধিক সময় ঘরবন্দী জীবন যুদ্ধে লড়াই করে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারছেন না তারা। সম্প্রতি বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে রাস্তাঘাট সম্প্রসারন ড্রেনেজ ব্যবস্থা সহ শহর উন্নয়নের ফলে মার্কেট রাস্তা থেকে অনেক নিচু হয়ে গেছে। এতে করে বৃষ্টিতে ২/৩ ফুট নোংরা পানিতে মার্কেট তলিয়ে যায় ব্যবসায়ীদের মালামাল সহ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটের কারনে অগ্নিসংযোগ এমনকি প্রানহানির শংকা আছে। তাই সকল ব্যবসায়ী ও মালিকগন মার্কেটটি দ্রুত সংস্করন, উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেন ব্যসায়ীরা নেতারা আরো জানান, ইতিমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংক ও অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকার বিভিন্ন মহাজনের দায় দেনা প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ অবস্থায় দোকান মালিক কর্মচারী সহ হাজারো লোক ও তাদের পরিবার সমস্যা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এটা এখন তাদের অস্তিত্বের শেষ লড়াই। তাই মার্কেটের কাজ চলা অবস্থায় ১০ মাস ব্যবসায়ীরা যেনো বেকার কিংবা খাদ্যভাবে না পড়ে সে জন্য নোয়াখালী সুপার মার্কেটের পশ্চিম পাশে সরকারি খালি জায়গায় ১০ মাসের জন্য অস্থায়ী স্থাপনা নির্মান করে ব্যবসায়ীদের বেঁচে থাকার জন্য জেলা প্রশাসক এবং রাজনৈতিক মহলের সহায়তা কামনা করেন। পরে নোয়াখালী ক্ষুদ্র হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি সাক্ষরিত জেলা প্রশাসক বরাবর সহায়তার দাবী তুলে তারা লিখিত স্বারকলিপি দেন।
হাইকোর্টের রায়ে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের নির্বাচনে বাধা কাটল
সেন্টাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ ১৫ বছর স্থগিত থাকা নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের নির্বাচনের বাধা কেটেছে হাই কোর্টের রায়ে। সোমবার বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় দেয়। রিটে প্রতিপক্ষের আইনজীবী মো. ওমর ফারুক মানবজমিনকে বলেন, দীর্ঘদিন নির্বাচন বন্ধ থাকার মধ্যে স্থানীয় সাংবাদিক ও প্রশাসন ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি একটি এডহক কমিটি গঠন করে নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়। পরে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। এই রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ ২০১৮ সালের ১৪ অগাস্ট নোয়াখালী জেলা প্রশাসককে শিগগির নির্বাচন করার নির্দেশ দেয়। এরপর জেলা প্রশাসন ভোটার তালিকা তৈরি করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে যাতে ভোটের তারিখ দেয়া হয় ২০২২ সালের ২০ ডিসেম্বর। কিন্তু ১৮ ডিসেম্বর মীর মোশররফ হোসেন মীরন নামের একজন আরেকটি রিট করেন, যেখানে তিনি নিজেকে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি দাবি করেন। উল্লেখ করেন, তার কার্যকালের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ আছে। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নির্বাচন স্থাগিত ও রুল দেয়। ওই রিটে নোয়াখালীর মূলধারার কোনো সাংবাদিককে পক্ষ করা হয়নি বলে জানিয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, পরে মূলধারার ৪২ জন স্থানীয় সাংবাদিক এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে রুল খারিজের আবেদন করেন। নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপভি পরিচয় দেয়া মোশারফ হোসেন মীরনের পক্ষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন অবকাশকালীন বেঞ্চে থেকে ৩ দিন এই রুলের শুনানি শেষে সোমবার রায় দেয় আদালত। এই মামলার সেই ৪২ জন সাংবাদিকের তদবিরকারী ছিলেন আবু নাছের মঞ্জু।