অধরার চোখের কর্নিয়ার নিয়ে ভাবলেন: উত্তম মজুমদার।

699 Views

বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ সাংবাদিক রিপন মজুমদারের একমাত্র সন্তান অধরা মজুমদার (১৭) জন্মের পর থেকে চোখের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ভুগছেন, অধরার জন্মের ৬ বছর পর হঠাৎ চোখে সমস্যা দেখা দিলে তার বাবা দীর্ঘ ১১ বছর ধরে বিভিন্ন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে কয়েক লাখ টাকা খরচ করেও অধরার চোখের দৃষ্টি নিয়ে চিকিৎসা করে আসলো কোন সুফল পাওয়া যায়নি৷ ডাক্তারদের মতে দেশের বাইরে নিয়ে টাকা খরচ করলে অধরা সম্পূর্ণ দৃষ্টি ফিরে পেতে পারেন কিন্তু সাংবাদিক রিপন মজুমদার বিবাহিত জীবনে স্ত্রী ও এক মেয়ে কে নিয়ে চৌমুহনীতে একটি ভাড়া বাসায় দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। মেয়ের চোখের চিকিৎসার জন্য ব্যয়বহুল খরচ কি করে যোগাড় করবেন ? এই মুহূর্তে পরিবারের পক্ষে মেয়ের চোখের চিকিৎসা করার মত সামর্থ্য নেই৷ অধরা চৌমুহনী পৌরসভার (গনিপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) দশম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী৷ এইদিকে ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী।সে পঞ্চম শ্রেণীতে জিপিও ফাইভ পেয়েছে৷ জন্মের ৬ বছর পর থেকে দুটি চোখের মধ্যে ডান চোখের দৃষ্টি নিয়ে সমস্যা দেখা দেয়।বর্তমানে তার বাকি চোখ টাতেও সমস্যা দেখা দিচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই নোয়াখালী গ্রামীণ চক্ষু হাসপাতাল ও ফ্যাকো সেন্টারে অধরাকে নিয়ে যাওয়া হয়।সেই খানে দায়িত্বরত চক্ষু চিকিৎসক ও পরামর্শদাতা Community Eye Health Expert উত্তম মজুমদার DOLV (ইউনিএসএ),FMRF, Fellow-Ped Optom (শংকর নেত্রালয়-মাদ্রাজ) OPTC & Refraction (বি.এন.এস.বি), Trained on contact lena (দিলী) স্পেশালিষ্ট:রিফ্রাকশন,কন্ট্রাকলেন্স,পেডিয়েট্রিক অপটোমেট্রি,অর্থোপটিকস,ভিশন থেরাপী, সি.ভি.এস ও কমিউনিটি আই হেলথ।প্রাক্তন ও.পি ও অপটোমেট্রিক: পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম ও অ্যাপোলো হাসপাতাল, ঢাকা,কনসালটেন্ট_ অফটোমেট্রিষ্ট এবং ডাঃ মোঃ মর্তুজা রশিদ এম.বি.বি.এস. বি.সি.এস (স্বাস্থ্য), পি.জি.টি (চক্ষু) এক্স- ডেপুটি ডাইরেক্টর (ডাইরেক্টরেট অব হেলথ)চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,সিনিয়র মেডিসিন অফিসার সহ আরো কয়েক জনের পরামর্শে, অধরা মজুমদার এখন তাদের দায়িত্বে চিকিৎসাধীনে রয়েছে৷ অধরা কে ভারতের শংকর নেত্রালয়-মাদ্রাজ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।অধরার বাবা রিপন মজুমদার আপনাদের সকলের নিকট দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করছেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ছোট ছেলে আমানের অষ্টম মৃত্যু বার্ষিকী আজ

158 Views
সেন্টাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ
সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ছোট ছেলে আমান মমতাজ মওদুদের অষ্টম মৃত্যু বার্ষিকী আজ।শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এ উপলক্ষ্যে তার কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান স্বজনেরা। জিয়ারতের পর করা হয় দোয়া ও মাগফেরাত। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৩৯ বছর।  ১৯৭৬ সালের ১০ ই নভেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মারা যায়। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়, বড় ভাই আসিফ মওদুদ ১৯৭৩ সালের ১০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৮০ সালের ৩০ শে মার্চ ৭ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। দুই ভাইকে ফরিদপুরে নানা পল্লী কবি জসীম উদদীনের কবরের পাশে সমায়িত করা হয়।

লেখকদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় ও সরকারের প্রশংসা করা অস্তিত্বহীন

57 Views

মাহমুদ খাঁন,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন নীতির প্রশংসা করে লেখা নিবন্ধ লেখকদের অনেকেই অস্তিত্বহীন বলে খবর প্রকাশ হওয়ার পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
সরকার এ ধরনের লেখক নিয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করলেও সম্পাদক, সাংবাদিকতার অধ্যাপক ও পাঠকদের অনেকে বলছেন, সরকারই এসব লেখার সুবিধাভোগী।
সাত শতাধিক নিবন্ধ বিশ্লেষণ করে বার্তা সংস্থা এএফপি এসব অস্তিত্বহীন লেখক সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে, যা বৃহস্পতিবার স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়।সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত নিবন্ধের অনেক লেখকেরই হদিস পাওয়া যায়নি। লেখকের নামের সঙ্গে তাঁদের যে ছবি ছাপা হয়েছিল সেগুলোও ভুয়া।ঢাকা থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত দৈনিক মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী শুক্রবার বেনারকে বলেন, “আমাদের সম্পাদকীয় দল সন্দেহজনক ইমেইল থেকে প্রতিদিনই এই ধরনের নিবন্ধ পাচ্ছে। আমরা সহজেই বুঝতে পারছি সরকারের পক্ষে প্রচারণার জন্য অর্থের বিনিময়ে নিয়োগকৃত একদল লোক এসব নিবন্ধ তৈরি করেছে। অনেক লেখক ভুয়া- এ খবরটি দেখে আমি অবাক হয়েছি।”এটি সাংবাদিকতার জন্য “বিপজ্জনক” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা (সাংবাদিক) এখন সরকারের কাছ থেকে কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্য অন্ধ। এই ঘটনা আমাদের চোখ খুলতে কিছুটা সাহায্য করতে পারে।”
এশিয়াজুড়ে সবচেয়ে প্রভাবশালী চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াও এসব ভুয়া লেখকদের নিবন্ধ প্রকাশ করেছিল। পরে তা ওয়াশিংটনভিত্তিক ফরেন পলিসি ম্যাগাজিনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক খবরের সংক্ষিপ্তসারেও উদ্ধৃত হয়।এইসব লেখকদের লেখা নিবন্ধ প্রকাশ করা আঞ্চলিক গণমাধ্যম সিনহুয়া, ব্যাংকক পোস্ট ও এশিয়া টাইমসের সাথে বেনারের পক্ষ থেকে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।লেখকদের ছবিও ভুয়া
এএফপি অন্তত ৬০টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সাইটে ৩৫ জনের নামে প্রকাশিত সাত শতাধিক নিবন্ধ বিশ্লেষণ করেছে, যেগুলোর সবই গত বছর প্রথমবারের মতো অনলাইনে প্রকাশিত হয়।নিবন্ধগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ছিল কট্টর চীনপন্থি এবং যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনামূলক। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ঢাকাকে কঠোরভাবে সতর্ক করায় ওই সব লেখায় যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করা হয়।
ওই ৩৫ জন লেখকের মধ্যে অন্তত ১৭ জন তাঁদের নামের সঙ্গে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় ব্যবহার করেছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁদের কখনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়্যার বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো, সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লুসার্ন এবং সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এএফপিকে নিশ্চিত করেছে, কথিত নয় জন লেখক তাদের প্রতিষ্ঠানে কখনো কাজ করেননি।একজন লেখকের নাম ‘ডরিন চৌধুরী’, যিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করে, চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে সমর্থন করে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা ‘মানবাধিকারের জন্য হুমকি’ বলে সতর্ক করে অন্তত ৬০টি নিবন্ধ লিখেছেন।তাঁর নামের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একজন ভারতীয় অভিনেতার ছবি। তিনি নেদারল্যান্ডসের গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রাজনীতি বিষয়ক গবেষক বলে পরিচয় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, ওই নামে কোনো ব্যক্তি সেখানে কাজ করার রেকর্ড তাদের কাছে নেই।সরকার কোনো লেখক নিয়োগ দেয়নি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরকারের প্রশংসা করে নিবন্ধ লেখা অস্তিত্বহীন লেখকদের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বেনারকে বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কোনো নিবন্ধ লেখার জন্য আমরা কোনো লেখককে নিয়োগ দেইনি। আমাদের অর্জন একদম দৃশ্যমান এবং জনগণ সরকারবিরোধী প্রচারণা সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই কোনো লেখক নিয়োগের প্রয়োজন হয় না।”
“আমরা কখনো এ বিষয়ে কোনো শাখা খুলিনি এবং আমাদের কোনো লেখক প্যানেল নেই,” বলেন তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফারুক খান বেনারকে বলেন, “প্রোপাগান্ডা সরকারের পক্ষে হোক বা বিপক্ষে হোক—সেটাকে আমরা খারাপ কাজ মনে করি। আমরা জানি না, কেন ভুয়া লেখকরা বাংলাদেশের নীতি নিয়ে নিবন্ধ লিখেছেন। এ ধরনের প্রচারণার সঙ্গে আমাদের সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।”গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো ‘ভালো লেখক’ নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখনো না।”
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বরে ভালো কলামিস্টের খোঁজ জানাতে কমিটিকে অনুরোধ করেছিলেন। কারণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণার বিরুদ্ধে লিখতে মন্ত্রণালয় কয়েকজন কলামিস্ট নিয়োগ করতে চেয়েছিল।
এ রকম বেশ কিছু নিবন্ধ ছেপেছেন এমন একজন সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বেনার। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে তিনি বলেন, “আমরা বড়ো ভুল করেছি। বাড়তি জটিলতা এড়ানোর জন্য আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।”মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ড কলেজের শিল্প ইতিহাস বিভাগের অতিথি অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বেনারকে বলেন “এখন মানুষ তাদের মতাদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে এমন তথ্য ও বিশ্লেষণ শুনতে চায়। এতে তথ্যবিভ্রাট বাড়ে। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নয়, পেশাদার মিডিয়াও সেই ফাঁদে পড়ে এবং মাঝে মাঝে ভুয়া খবর প্রকাশ করে।“বিস্ময়ের ব্যাপার যে, কিছু সংবাদমাধ্যম সরকারের প্রচারের উদ্দেশ্য পূরণের জন্য নিবন্ধ প্রকাশ করেছে এবং ভুয়া লেখকদের পরিচয় যাচাই করেনি,” বলেন তিনি।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস বেনারকে বলেন, “এই ঘটনায় ঐতিহ্যগত সাংবাদিকতা মারাত্মক ধাক্কা খেয়েছে। এর আগে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা গণমাধ্যমে সংবাদ প্রতিবেদন সরবরাহ করত এবং কিছু গণমাধ্যম হয়তো চাপের মুখে যাচাই না করেই সেগুলো প্রকাশ করত। এখন আমরা দেখছি তারা যাচাই না করেই নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। এটা আশ্চর্যজনক।”লিখলে ‘টাকা পাবেন’ প্রকাশ হবে ‘অন্যের নামে’নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকার একটি দৈনিকের সাংবাদিক বেনারকে বলেন, কয়েক মাস আগে তিনি সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম প্রচারের জন্য লেখার প্রস্তাব পেয়েছিলেন।“একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য আমাকে কয়েক মাস আগে কোভিড-১৯ ইস্যুতে সরকারি উদ্যোগের ওপর একটি নিবন্ধ লেখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। জবাবে তাঁকে বলেছিলাম, আমি একটি মিডিয়া হাউসে কাজ করি, তাই অন্যের জন্য নিবন্ধ লিখতে আমার সমস্যা আছে। তিনি আমাকে বললেন, ‘সমস্যা নেই, নিবন্ধটি অন্যের নামে প্রকাশিত হবে এবং আপনি একটি ভালো পরিমাণ অর্থ পাবেন।’ আমি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলাম।মাহবুবুর রহমান নামে এক বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী বেনারকে বলেন, “তারা (সরকার) যা-ই বলুক না কেন, এর পেছনে সরকারের হাত থাকতে পারে, কারণ তারা এর সুবিধাভোগী। পাঠক হিসেবে আমরা প্রতারিত হয়েছি।”

নোবিপ্রবির শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর  সন্ত্রাসী হামলা,আহত ৩

104 Views

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের( নোবিপ্রবি)  পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুস সালাম সহ তার পরিবারের সদস্যরা জীবন সঙ্কায় ভুগছেন । উক্ত শিক্ষকের গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহে স্থানীয় ভূমি দস্যুদের কবলে পড়ে। আর যার ফলে তিনি এবং পরিবার এখন প্রায় ঘর বন্ধি  দিন যাপন৷ করছেন৷গত ২৩ আগস্ট ২০২৩ সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ থেকে ৭ ঘটিকার সময় সীমানার ভিতরে স্থানীয় ভূমি দস্যুরা জোরপূর্বক দেওয়াল নির্মাণ শুরু করলে শিক্ষকের পরিবার বাধা প্রদান করলে সন্ত্রাসী বাহিনী তাদের শারীরিকভাবে আঘাত করে এবং দেওয়াল নির্মাণ অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে ২৪ আগস্ট ২০২৩ ইং তারিখ বিকাল আনুমানিক ৩.০০ ঘটিকার সময় পুনরায় দেওয়াল নির্মাণ শুরু করলে আবারও প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে দিন-দুপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র, ইট, লাঠি-সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্যকে মারাত্মকভাবে জখম করে। সরোজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় , ডাঃ শাকের নামের এক ব্যক্তির সন্ত্রাসী বাহিনী তারা । এতে খোদেজা আখতার খাতুন শিক্ষকের শাশুড়ী, মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে ০৬ (ছয়) টি সেলাই করাতে হয়। এছাড়াও খোদেজা খাতুনের বড় ছেলে মোঃ খালিদ তানভীর সিদ্দিকী তার মাকে বাঁচাতে আসলে তাকে মাথায় ও চোখে গুরুতরভাবে আঘাত করেন৷ তিনি এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায়  চিকিৎসাধিন আছে ।  এছাড়াও তার ২য় পুত্র সাব্বির রিজভী সিদ্দিকীকেও মাথায়, গালে, হাতে ও পায়ে আঘাত করা হয় এবং সেও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করে

উল্লেখ্য খোদেজা আখতার খাতুন (প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বয়স-৭০, বর্তমানে ক্যান্সারের রোগী এবং চিকিৎসাধীন), স্বামী- মরহুম আবু বকর সিদ্দিক, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, আপীল বিভাগ, সাং- ১০ নং ওয়ার্ড, হেনা মঞ্জিল, ৪ নং বাউন্ডারী রোড, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ তার পার্শ্ববর্তী জমি, যাহা ৩নং বাউন্ডারী রোড, থানা- কোতোয়ালী ও ময়মনসিংহে  জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় ডাঃ শাকেরের সন্ত্রাসী বাহিনী এ হামলা চালায়৷ উক্ত জমিটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ সীমানা বিরোধ অমিমাংসিত অবস্থায় আছে। ওই জমিতে বর্তমান মালিকের পূর্বের মালিক নক্সা বহির্ভূতভাবে এবং বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মাণ কাজ শুরু করলে শিক্ষকের পরিবার  নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আপত্তি জানালে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখেন । তবে বর্তমানে ডাঃ শাকের আহম্মেদ (৪৯), প্রফেসর- নাক, কান ও গলা বিভাগ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, পিতা- আব্দুল হামিদ, সাং- ৬/১, শ্যামাচরণ রায় রোড, থানা- কোতোয়ালী পূর্বে বর্ণিত ৩নং বাউন্ডারী রোডস্থ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা নির্মাণাধীন বিরোধপূর্ণ জমিটি ক্রয় সূত্রে মালিক হন। জমিটি ক্রয় করে নিয়মবহির্ভূতভাবে ও বিল্ডিং কোড না মেনে কাজ বন্ধ থাকা অবস্থায় পুনরায় জমিটিতে নির্মাণ কাজ শুরু করেন৷ এখানে উল্লেখ্য যে, তিনি যখন নির্মাণ কাজ শুরু করেন তখনও সীমানা সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি হয়নি।এখানে আরও উল্লেখ্য যে, ঐদিন ২৩/০৮/২০২৩ বিকাল আনুমানিক ৪ ঘটিকায় ডাঃ রতন, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রেকটিসনার নিজেকে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন, ময়মনসিংহ এর সভাপতি হিসাবে পরিচয় দিয়ে বিবাদ নিস্পত্তির লক্ষ্যে তাহার চেম্বারে বসার জন্য বল প্রয়োগ করতে থাকে।এমত অবস্থায় নোবিপ্রবির শিক্ষক জীবন আতঙ্কে ভুগছে এবং তার তাদের জীবনের নিরাপত্তা চায় স্থানীয়  প্রসাশকদের কাছে ।

রাজবাড়ির দৌলতদিয়ায় যৌনকর্মীদের মানববন্ধন

252 Views

বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃদেশের বৃহত্তম যৌনপল্লী রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার প্রায় দুই শতাধিক যৌনকর্মী নিরাপত্তার দাবিতে ইমরান হোসাইন নামে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে দৌলতদিয়া রেলস্টেশনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ সময় যৌনকর্মীরা জানান, ইমরান হোসাইন নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ সময় যৌনপল্লীতে বিভিন্ন মেয়ের ঘরে আসে এবং প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্নজনের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে। জানা যায়, ইমরান হোসাইনের বিরুদ্ধে ওই পল্লীর বৈশাখী নামের একজনকে মামলার ভয় দেখিয়ে জোর করে বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া বৈশাখী যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন সেই শেফালী বাড়িওয়ালী বৈশাখীর কাছে ভাড়া বাবদ এক লাখ বিশ হাজার টাকা পাবে বলে অভিযোগ করে। শেফালীর মেয়ে খুশি মানববন্ধনে বলেন, আমাদের টাকা না দিয়ে মামলা দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে পাঠায় জাল বায়নানামা দিয়ে বাড়ি দখল করতে, তখন আমরা থানায় খবর দেই। পুলিশ মোহাম্মদ আলীকে ধরে নিয়ে গেলে তিনি আমাদেরকে হুমকি দেয় আমার কতো ক্ষমতা দেখবি। ওসিকে আমি বদলি করে তারপর তোদের বাড়ি দখল করবো। এসব কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় শত শত যৌনকর্মী তার বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ইমরান হোসাইন বিভিন্ন সময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম ব্যবহার করে যৌনকর্মীদের হয়রানি করে আসছিল।তিনি থানায় যৌনপল্লীর কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, পরবর্তীতে তদন্ত করতে গিয়ে তার কোনো সত্যতা পায়নি। তাছাড়া তিনি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাদের মধ্যে বৈশাখী নামের একজনকে তিনি বিয়ে করে সংসার করছেন। একজনের বাড়ি কিনেছেন, সেটার দখলদারিত্ব নিয়ে ঝামেলা করলে পুলিশ মোহাম্মদ আলী নামে একজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়।

টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে নোবিপ্রবি উপাচার্যের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন

75 Views
ন্যাশানাল ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট ২০২৩) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে নিযুক্ত মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। এসময় নোবিপ্রবির মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, মাননীয় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে থাকেন উপস্থিত সবাই। এরপর ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বিয়োগান্ত ঘটনায় শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। দোয়া শেষে মাননীয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন।জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা মহান স্বাধীনতার রুপকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ আজ অভিন্ন সত্তায় পরিণত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুর নাম এ দেশের লাখো-কোটি বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে থাকবে। আমাদের দায়িত্ব হবে জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করে বাংলাদেশকে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী ও আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করা। তাহলেই আমরা এই মহান নেতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারবো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এস.এম মাহবুবুর রহমান, নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি জনাব সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জনাব মেজবাহ উদ্দিনসহ শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, হল প্রভোস্টবৃন্দ, নোবিপ্রবি প্রক্টর ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ। সংগঠনসমূহের মধ্যে নোবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এবং নীল দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়৷

৭ কিলোমিটার বাদ রেখেই শেষ হলো কুমিল্লা নোয়াখালী ৪ লেন মহাসড়ক প্রকল্প

167 Views

রিপন মজুমদার,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃসাত কিলোমিটার বাদ রেখেই কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের চারলেন প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি কুমার চাকমা। তিনি জানান, বার বার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী আমাদেরকে শেষ বারের মত সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু নানান জটিলতায় মহাসড়কের লাকসাম, শানিচো ও বাগমারা এলাকায় কাজ স্থগিত হয়ে আছে- তাই সময় বৃদ্ধি না করে আমরা আপাতত প্রকল্প বন্ধ ঘোষণা করেছি। তবে যে অংশে জটিলতা রয়েছে সেগুলোর মেনটেইন্যান্স ব্যয় ধরে রেখেছি। জটিলতা কাটলেই কাজ শুরু করা যাবে।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কুমিল্লা (টমছম ব্রিজ) থেকে নোয়াখালী (বেগমগঞ্জ) আঞ্চলিক মহাসড়ক চারলেন উন্নীতকরণ প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ৫৯ কিলোমিটার এই চার লেন সড়ক নির্মাণ কাজের জন্যে প্রথমে ২০২০ সালের জুন মাস নির্ধারণ করা হয়। পরে ২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি এই প্রকল্পের। বর্তমানে ২০২৩ সালের জুন মাসে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবার কথা জানায় সড়ক বিভাগ।
সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা আরো জানান, লাবকসাম এলাকায় ৪.৫ কিলোমিটার, শানিচো এলাকায় ১.৮ কিলোমিটার এবং বাগমারা এলাকায় ১.৬ কিলোমিটার চারলেনে উন্নীত করনের কাজ বাকি রয়েছে। বাগমারার বিষয়ে কথা হয়েছে আমরা আশা করি সেখানে দ্রুত কাজ করতে পারবো।

মহাসড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এখনো তেমন কোন পরিকল্পনা নেই।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা নোয়াখালী মহাসড়ক চারলেন প্রকল্প করার প্রয়োজনীয়তা আসে ঢাকার সাথে নোয়াখালী লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর সহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য এলাকাগুলোতে সাধারণ মানুষের চলাচল সহজ করার জন্য। পরে সরকার এই প্রকল্পের অনুমোদন দেন এবং মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। যানজটের ভোগান্তি, যাতায়াতে সময় কমিয়ে আনা এবং পরিবহন খরচ কমানোর জন্য চারলেন প্রকল্পের যে পরিকল্পনা নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছিল তাই এই ৭ কিলোমিটারের কারণে অসম্পূর্ণ অবস্থায় শেষ করতে হচ্ছে সড়ক ও জনপদ বিভাগকে। যে অংশগুলোতে কাজ হয়নি তার মধ্যে বাগমারা ও লাকসাম এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজটের শিকার হন এই পথে চলাচলকারীরা। সেই দিক বিবেচনায় এবং একটি মহাপ্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষকে পূর্ণাঙ্গভাবে দিতে লাকসাম ও বাগমারা চার লেনের কাজ সম্পাদন করা সাধারণ মানুষের দাবি৷

সুধারামে ১ নারীসহ ৬ ডাকাত গ্রেফতার,গুলি উদ্ধার

147 Views

স্টাফ রিপোর্টার,নোয়াখালী সময়.কম :নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নই গ্রামে ডাকাতির ঘটনায় ১ নারীসহ ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ঘর ভাঙ্গার সরঞ্জামাদি, অস্ত্র ও ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।গ্রেফতারকৃতরা হলো, জেলার সদর উপজেলার দক্ষিণ মহতাপুর গ্রামের মো.মনির হোসেন (৪৫) ও তার স্ত্রী জুলেখা আক্তার (৩৫), নোয়ান্নই গ্রামের ইব্রাহিম খলিল (২১) আবুল কালাম (২২) রহমত উল্যা (৪৫) মো.জাবেদ(৩৮) জামালপুর গ্রামের মো.কামাল (৪৫)। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালের দিকে উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মহতাপুর গ্রাম থেকে ডাকাত দলের সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে, গত রোববার ৮ মে উপজেলার নোয়ান্নই,বিনোদপুর ও ১ নং চরমটুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ৬ ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ডাকাত সর্দার মনিরকে গ্রেফতারের সময় ডাকাতদের পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি সিএনজি জব্দ করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে স্বীকার করে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ও মালামাল তার হেফাজতে রয়েছে। মালামাল গুলো তার বসত ঘরের ড্রামের ভিতর রয়েছে। তার ভাষ্যমতে অস্ত্র-মালামাল পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে আসামি জানায় তার স্ত্রী মালামাল সম্পর্কে জানে। পরবর্তীতে তার স্ত্রী জুলেখা আক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ডাকাতির অস্ত্র ও মালামাল গুলো সে পার্শ্ববর্তী তার পিতার বসত বাড়ির উত্তর পাশে খড়ের আড়ার নিচে লুকিয়ে রেখেছে। তার তথ্য মতে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান, ১২টি কার্তুজ,২টি চাপাতি, ৩টি লোহার কোরাবারী, ১টি লোহার ছেনি,৩টি টর্চ লাইট, ৪টি মুখোশ জব্দ করা হয়। সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ২টি মামলা হয়েছে। আসামিদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।