Category: শিক্ষা
২০২২ সালেও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা
আবদুল কাদের, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, আগামী বছরের (২০২২) এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই হবে। সেই সিলেবাসও তাদের (শিক্ষার্থী) দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ তারাও তো এ বছর সরাসরি শ্রেণিকক্ষে বেশিরভাগ সময়ই ক্লাস করতে পারেনি।আগামী বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে দীপু মনি বলেন, ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ কিছুটা কম। সেক্ষেত্রে কিছুটা পেছাবে। কতটা পেছাবে, এটাও এই মুহূর্তে বলা খুব জটিল। কারণ সারাবিশ্বে করোনা আবার বাড়ছে। আমাদের এখানে পরপর দুই বছরই কিন্তু মার্চ মাসের দিকেই করোনা বেড়েছিল। তিনি বলেন, আগামী মার্চ-এপ্রিলে কী অবস্থা হবে- তা আমরা বলতে পারছি না। সেজন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণ করব। আগামী বছরে সব বিষয়ে পরীক্ষা হবে কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কতদিন তাদের ক্লাস করাতে পারব, সেটির ওপর নির্ভর করেই আমরা পরে সিদ্ধান্ত নেব।করোনার কারণে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও হয়নি। পরে শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় চলতি বছর এ পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
যাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ে না, তারাই স্কুল-কলেজ খোলার পক্ষে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: যাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে যায়, তারাই কিন্তু তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তবে যাদের ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে না, ইদানিং সবচেয়ে বেশি সোচ্চার তারা। পড়ানোর মতো ছেলে-মেয়ে নাই, তারাই বেশি কথা বলে। শনিবার (০৩ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০২১-২২ অর্থ বছরের বাজেট অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল বন্ধ আছে। কিন্তু পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয়। আমরা সংসদ টিভিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের একটু ক্ষতি হচ্ছে। টিকা দিয়েই আমরা স্কুল-কলেজ খুলে দেব। লেখাপড়া শিখবে। কিন্তু জেনেশুনে এর জন্য একটি শিশুকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি না, সেটা চিন্তা করতে হবে।তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষকদের টিকা দিয়েছি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী কোন টিকা কোন বয়সে দিতে হয়, সেটা অনুসরণ করতে হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইতোমধ্যে আমরা শিশুদের টিকাদান শুরু করেছি।শিক্ষায় এবার সবচেয়ে বড় বরাদ্দ রাখা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষাখাতে অনেক গুরুত্ব দিয়েছি। সেজন্য আমরা এবার শিক্ষায় বড় বাজেট বরাদ্দ দিয়েছি। প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত দুই কোটি তিন লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। শেখ হাসিনা আরও বলেন, শিক্ষার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে। আমাদের সময়ে শিক্ষার হার বেড়েছে। বিদেশে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা সুযোগ পাচ্ছে।
হাইস্কুলের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে ফি না নেয়ার নির্দেশ: মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের ডিজি
খাঁন মাহমুদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনফল মূল্যায়নে অ্যাসাইনমেন্ট নিতে বলা হয়েছে। এ জন্য কোনো ফি আদায় করা যাবে না বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। রোববার (৮ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে মাউশি। করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় ৭-৮ মাস। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর। সে অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্টের কাজ সংগ্রহ ও জমা দেবে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, এটিকেই সুযোগ হিসেবে নিয়ে বাড়তি অর্থ আয় করছেন কিছু শিক্ষক। আবার স্কুলে যেতেও বাধ্য করা হচ্ছে কোথাও কোথাও। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাসাইনমেন্ট চলাকালীন পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনো অর্থ বা ফি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে না নেয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে তিনটি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে। সপ্তাহে একদিন তা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন করা যাবে না। করোনার কারণে এবার বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়েই মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপরের শ্রেণিতে তোলা হবে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ঘাটতি পূরণের জন্য ৩০ কর্মদিবসে শেষ করা যায় এমন একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্য পুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সপ্তাহে তিনটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হচ্ছে, যার উত্তর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তক অনুসরণ করে লিখতে হবে। মাউশির মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক জানান, শিক্ষার্থীদের শিখনফল মূল্যায়ন করতে যে অ্যাসাইনমেন্ট নেয়া হচ্ছে সেজন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ফি নেয়া যাবে না। আর টিউশন ফি আদায় করা নিয়ে শিগগিরই একটি নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান মহাপরিচালক। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কীভাবে টিউশন ফি আদায় করবে, সে বিষয়ে শিগগিরই নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।