দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নোয়াখালীতে আওয়ামীলীগ -বিএনপির মধ্যে জম্পেস লড়াই

80 Views

নাসির উদ্দিন মাহমুদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃদ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নোয়াখালীতে আওয়ামীলীগ -বিএনপির মধ্যে জম্পেস লড়াই৷ সার্জেন্ট জহুরুল হক ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনসহ বীর সন্তানদের জন্মভূমি নোয়াখালী জেলা। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিবিজড়িত ও রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল নোয়াখালী। পরবর্তীতে ফেনী ও লক্ষীপুর মহকুমা জেলায় উন্নীত হলেও জাতীয় রাজনীতিতে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। স্বাধীনতার পর প্রতিটি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা দায়িত্ব পালন করে আসছে। এককথায় দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, আন্দোলন-সংগ্রামে নোয়াখালীর কৃতি সন্তানরা প্রথম কাতারে আসীন।বর্তমান রাজনীতির ময়দানে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে মনোনয়ন লড়াইয়ের প্রতিযোগিতা থাকলেও নিজেদের মর্যাদা রক্ষায় মরিয়া নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় হয়ে কর্মসূচি পালন করছে। নিজেদের হারানো ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। বিশ্লেষকরা বলছেন, জেলার ৬টি আসনে আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের ওপরই জয়-পরাজয় নির্ভর করবে।নোয়াখালী-১ : চাটখিল ও সোনাইমুড়ি উপজেলা গঠিত নোয়াখালী-১ আসনটি একসময় বিএনপির ঘাঁটি ছিল। তবে সময়ের ব্যবধানে আসনটিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ শক্ত অবস্থান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় সব রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নানা কৌশলে নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ চাইছে গত দুটি সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে তাদের মর্যাদা ধরে রাখতে। অন্যদিকে বিএনপি চাইছে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে।১৯৯১ সাল থেকে এই আসনে টানা পাঁচবার বিএনপির প্রার্থী জয় পেয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় পান আওয়ামী লীগের এইচ এম ইব্রাহীম।ভোটের হিসাব বলছে, বরাবরই এ আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে। তবে নির্বাচন সামনে রেখে আসনটিতে মনোনয়ন লড়াইয়ে যুক্ত হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা বর্তমানে নাজুক।স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি থাকার সময় এখানে তেমন কোনো উন্নয়ন কাজ হয়নি। তবে সাবেক এমপি খোকন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচিত হয়ে তিনি এলাকায় বিভিন্ন কাজ করেছেন। বিএনপির ঘাঁটি হওয়ায় এ আসনের লোকজনের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাও রয়েছে। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।বিএনপির সাবেক এমপি ও কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন কামরানও এ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। এমপি থাকার সময় অনেক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন তিনি।এখানে বর্তমান সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহীমের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লড়াইয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির, সোনাইমুড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন। এছাড়া আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক এমপি মাহমুদুর রহমান বেলায়েত ও সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের গোলাম কুদ্দুছও মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় রয়েছেন।নোয়াখালী-২ : সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-২ আসনটিও একসময় বিএনপির দুর্গ ছিল। বর্তমানে শক্ত অবস্থানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বর্তমানে অধিকাংশ ইউনিয়নে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের। টানা দুবার এ আসন থেকে নৌকার প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ চাইছে উন্নয়ন দিয়ে বিজয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে, অন্যদিকে বিএনপির টার্গেট আসনটি পুনরুদ্ধার।আগে এই আসন থেকে টানা পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুক। গত দুই নির্বাচনে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন৷ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী, বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ মোরশেদ আলম। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এছাড়া সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদও মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগে চলছে গ্রুপিং এবং নেতায় নেতায় দ্বন্দ।আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর বিপরীতে এই আসনে বিএনপিতে তেমন কোনো দ্বন্দ-কোন্দল নেই। এ আসনে বরাবরই বিএনপির সমর্থক কিছুটা বেশি। নির্বাচনে অংশ নিয়ে এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী পাঁচবারের এমপি দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক। তবে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মফিজুর রহমানও এখানে দলটির মনোনয়ন চাইতে পারেন।সব মিলিয়ে আগামী নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির প্রার্থীর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।নোয়াখালী-৩ : জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নোয়াখালী-৩ আসনটি বেগমগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। টানা দুইবার আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকায় এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানে আওয়ামী লীগের শক্ত অবস্থান তৈরি হলেও দলীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছে গ্রুপিং। তবে দলের দুঃসময় বিবেচনায় বিএনপিতে রয়েছে ঐক্য।আসনটিতে টানা দুইবার আওয়ামী লীগের এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ ব্যক্তি ইমেজেও অন্য দলের প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি আপদে-বিপদে মানুষের পাশে রয়েছেন তিনি। যার কারণে গত ১০ বছরে তুলনামূলকভাবে আওয়ামী লীগের ভোটও বেড়েছে।১৯৯১ সাল থেকে টানা পাঁচবার এই আসনে জয়ী হয়েছে বিএনপি। এখন দলগত ভোট আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় সমান।ভোটাররা বলছেন, দলগতভাবে বিএনপি কিছুটা এগিয়ে থাকলেও ব্যক্তি প্রার্থীর ক্ষেত্রে দুই দলের দুই মূল প্রার্থী বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ ও বিএনপির একাধিকবার নির্বাচিত এমপি বরকত উল্যাহ বুলুর মধ্যে আওয়ামী লীগের এমপির জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। অত্যন্ত মিশুক বলে পরিচিত এমপি কিরণের আসনে রয়েছে বেশ সুনামও।ভোটারদের অভিমত হচ্ছে- এলাকায় কাজ বেশি করেছেন মামুনুর রশিদ কিরণ (বর্তমান এমপি) সাহেব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।এদিকে এ আসনে জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী কখনোই মানুষের মনে ঠাঁই পায়নি। তাদের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রমও দৃশ্যমান নেই। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে এ আসনে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্যাহ বুলুই মূলত শক্ত প্রার্থী। সে লক্ষ্যে তিনি সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার পাশাপাশি জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমনও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।অন্যদিকে বর্তমান এমপি মামুনুর রশিদ কিরণ ছাড়াও এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. এ বি এম জাফর উল্যা এবং সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের ভাই মিনহাজ ইউ আহমেদ জাবেদ, ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ কাশেম।নোয়াখালী-৪ : জাতীয় সংসদের ২৭১ নম্বর আসন নোয়াখালী-৪ সদর ও সুবর্ণচর উপজেলার ২১ ইউনিয়ন ও নোয়াখালী পৌরসভা নিয়ে গঠিত। পুরো জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিতে ১৯৫৬ সালের যুক্তফন্ট্রের উপনির্বাচনে জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিল নির্বাচিত হন। এরপর পর দীর্ঘদিন আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বিভাজনের কারণে আসনটি দখলে নেয় বিএনপি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের ত্রিমুখী লড়াইয়ে পুনরায় আসনটি দখলে নেয় আওয়ামী লীগ।আসনটির বর্তমান এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ক্ষমতার দাপটে একক আধিপত্য বিস্তার করায় একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপরাজনীতি, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, দলে ব্যক্তিগত ও বির্তকিত লোকদের প্রাধান্য ও লুটপাটের অভিযোগ এনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তার ওই বক্তব্যের পর দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত হয়ে ওঠেন একরামুল করিম চৌধুরী। এরপর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ হারান। তার বিরুদ্ধে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই গ্রুপিংকে পুঁজি করে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি।আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের আশায় এই আসনের বর্তমান এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর পাশাপাশি মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল।অপরদিকে হারানো আসন পুনরুদ্ধারে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভেতরে ভেতরে মাঠে কাজ করছেন। আসনটিতে বিএনপির চারবারের এমপি ও দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোঃশাহজাহান এবং জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র হারুনুর রশিদ আজাদ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন।অন্যদিকে, এই আসনে মহাজোট থেকে মনোনয়ন চাইবেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অবঃ) আবদুল মান্নান। আওয়ামী লীগের গ্রুপিং এবং দ্বন্দের কারণে তিনি নৌকার মনোনয়ন পেতেও পারেন।নোয়াখালী-৫ : কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের ভিআইপি এই আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরই।অন্যদিকে এই আসনে ওবায়দুল কাদেরের একমাত্র প্রতিদ্বন্দী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ। এই আসনে বিএনপির ভালো ভোটব্যাংক থাকলেও দলটিতে আছে দ্বিধাবিভক্তি। সাবেক মন্ত্রী মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ এবং তার বাইরের বলয় আসনটিতে স্পষ্ট। দলীয় মনোনয়ন লাভের দৌড়ে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন এবং বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। জামায়াতকে নিয়েও তাদের আছে শঙ্কা।অতীতের নির্বাচনগুলোয় আসনটিতে আওয়ামী লীগ ও বিরোধী আওয়ামী লীগ দলগুলোর ভোট সব সময় কাছাকাছি ছিল। জয়-পরাজয়ে ভোটের ব্যবধানও ছিল কম। কিছু সময়ের ব্যবধানে আসনটির চিত্র একদমই পাল্টে গেছে। পুরো জেলার অভূতপূর্ব উন্নয়নের অন্যতম রূপকার ওবায়দুর কাদেরের বিপরীতে বিরোধী দলের প্রার্থীর ঘুরে দাঁড়ানোই একপ্রকার অসম্ভব৷ নোয়াখালী-৬ : বঙ্গোপসাগরের মোহনায় মেঘনা নদীবেষ্টিত নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া। এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত নোয়াখালী-৬ আসন। আসনটিতে দলের চেয়ে ব্যক্তির প্রভাবকেই ভোটাররা বেশি গুরুত্ব দেন।আওয়ামী লীগ-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা বিভিন্ন সামাজিক আয়োজনকে কেন্দ্র করে ব্যানার-পোস্টারের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। এ আসনটিতে বরাবরই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমানে সমান। এবার আওয়ামী লীগের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে থাকলেও সংকটে রয়েছে বিএনপি। ভোটাররা বলছেন, প্রতীক নয়, এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত প্রার্থীকেই বেছে নেবেন তারা।আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন বর্তমান এমপি দ্বীপ নেত্রী আয়েশা ফেরদাউস এবং বর্তমান এমপির স্বামী হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তিনবারের সাবেক এমপি দ্বীপ বন্ধু মোহাম্মদ আলী। মূলত হাতিয়ার আওয়ামী রাজনীতিতে বর্তমানে মোহাম্মদ আলী এবং তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস এমপিকে ঘিরেই নেতাকর্মীরা প্রাণবন্ধ। নেতাকর্মীদের দাবি মোহাম্মদ আলী কিংবা তার স্ত্রী, যাকেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় তাকেই নির্বাচিত করবেন তারা।সাংগঠনিকভাবে হাতিয়ায় বিএনপির অবস্থা খুবই সঙ্গিন। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পর্যায়ে নেই কোনো দলীয় কার্যক্রম। ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন সাখাওয়াত হোসেন শওকত। আগামী নির্বাচন ঘিরে আবারো মাঠে নেমেছেন তিনি। তবে দলটিতে রয়েছে বিভক্তি। বিএনপির সদ্য প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে হাতিয়া চার ভাগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে।সাখাওয়াত হোসেন শওকত ছাড়াও এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন শিল্পপতি ফজলুল আজিম, হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভীর উদ্দিন রাজীব।নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নোয়াখালীতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বড় দল হিসেবে আমাদের নোয়াখালীর ৬টি আসনের মধ্যে কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ ছাড়া বাকি সব আসনে একাধিক নেতা দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। এটা প্রতিযোগিতার অংশ। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে যাকেই মনোনয়ন দেয়া হয়, আমাদের নেতাকর্মীরা নৌকার বিজয়ে কাজ করবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোঃশাহজাহান বলেন, নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়টি এখন আমাদের মাথায় নেই। ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের এক দফা আন্দোলনে ব্যস্ত। এই দাবি কীভাবে আদায়ে আমরা মাঠে রয়েছি। দাবি আদায়ের পরই নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করব।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো নৌকা মার্কায় ভোট দিন। জয়বাংলা-জয়বঙ্গবন্ধু।

78 Views

দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও অব্যাহতি

182 Views

ন্যাশানাল ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমআসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা ও আদর্শিক বিচ্যুতির প্রশ্নে কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। দলকে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনের বৈতরণী পাড়ি দিতে সাংঠনিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার দিকে মনোযোগ দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা জানান, জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, দলের অন্তর্কোন্দল, মনোমালিন্য ও দূরত্ব ততই বাড়ছে। এমতাবস্থায় নির্বাচনের আগে দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। সম্প্রতি দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ বার্তা দেন তিনি।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বড় দলে প্রতিযোগিতা থাকবেই। জাতীয় নির্বাচনে দ্বন্দ্ব ও কোন্দল ভুলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সবাই কাজ করবে। কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে, আদর্শিক প্রশ্নে বিচ্যুতি ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।জানা গেছে, গত কয়েক দিনে সারা দেশে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, ফৌজদারি অপরাধ ও আদর্শিক বিচ্যুতির কারণে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থানেওয়া হয়েছে। সাময়িক ও স্থায়ী বহিষ্কার, দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো সংগঠন দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে দলীয় নেতাকর্মীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।সূত্র জানায়, মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে সমবেদনা ও শোক জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৎপর থাকতে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মীকে। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংখ্যাই ছিল সবচেয়ে বেশি। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গণহারে শোক প্রকাশে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের ছাত্রলীগে থাকার অধিকার নেই। কোন ফাঁক দিয়ে তারা ঢুকে গেছে আমাদের এই সৃজনশীল দলে! এদের চিহ্নিত করতে হবে।ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ছাত্রলীগের অন্তত সাড়ে তিনশ নেতাকর্মী সাঈদীর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৎপরতার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছেন। এ ছাড়া সহস্রাধিক নেতাকর্মীর নামে অভিযোগ কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা হয়েছে বলে জানা গেছে। দলীয় আদর্শিক বিচ্যুতির অপরাধে খুব শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া খুন, জালিয়াতি, মারামারিতে জড়িত থাকার অপরাধে ছাত্রলীগের কয়েক ডজন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ বলেন, তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকায় সহস্রাধিক অভিযোগ জমা হয়েছে। আদর্শিক প্রশ্নে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধেও যাচাই-বাছাই করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।জানা গেছে, সাঈদীর মৃত্যুতে শোক জানানো স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাদেরও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে পাবনা, গাজীপুরসহ কয়েকটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও বহিষ্কার করা হয়েছে। সাঈদীকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আট নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এ ছাড়া এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্টের কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতা পদত্যাগ করেন।স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে আদর্শিক প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আসন্ন নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব, যদি কেউ দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ বা সংগঠনের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সংগঠন তার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান থাকবে।যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় খুলনার রূপসা উপজেলার দুই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে যুবলীগ। এ ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে—এমন নেতাকর্মীর তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে।সহযোগী সংগঠন ছাড়াও সাঈদীকাণ্ডে খুলনায় আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি তাদের দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়। বগুড়ায় সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫৫ বস্তা চালসহ গ্রেপ্তার সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে কটূক্তি করায় নোয়াখালী সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিনকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে নানা অপরাধে জড়িত ও দলে বিশৃঙ্খলা করায় আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।সাঈদীর প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করায় কক্সবাজারসহ কৃষক লীগের অন্তত একডজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন জাতীয় কমিটির সদস্য মাহমুদুল হাসান সাতাব, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মাসুদ, মাতামুহুরী উপজেলার সভাপতি কামরুজ্জামান সোহেল।কৃষক লীগের দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা বলেন, কয়েকটি জেলায় নেতাকর্মীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। চূড়ান্ত বহিষ্কারের জন্য নেতাকর্মীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগ সাভারে কিশোরীকে বিবস্ত্র করে ছবি তুলে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার ঢাকা জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহনাজ তাবাসসুম মিশুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

২১ শে আগস্ট বাঙালির ইতিহাসে আরো ১টি “১৫ই আগস্ট”-আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম

127 Views

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ২১ শে আগস্ট ২০০৪ সালে বাঙালির ইতিহাসে ১৫ই আগস্ট এর মতো আরেকটি কালো অধ্যায়, সেই দিনে বঙ্গবন্ধুর মতোই হত্যা করতে চেয়েছিল তারই কন্যা স্বাধীন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক গণতন্ত্রের মানস কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে।বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন জামায়াত-বিএনপি’র সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দেশব্যাপী বোমা হামলার বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ স্থলে স্বাধীনতাবিরোধী সন্ত্রাসীদের ছুঁড়ে মারা গ্রেনেড ও গুলিতে চেষ্টা ছিল চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে চিরতরে মুছে ফেলতে এবং মুছে ফেলতে চেয়েছিল গণতন্ত্র রক্ষা ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ হাজার হাজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণকে। আল্লাহর অশেষ রহমতে জনগণের ভালোবাসা ও দোয়ায় এবং নেতাকর্মীদের জীবন উৎসর্গের কারণে বেঁচে গেলেন প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।সেইদিনের বিভীষিকাময় হামলায় চলে গেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভি রহমানসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী এবং সাধারন জনগন। বেঁচে গেলেন স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টার কন্যা বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেল সহ অসংখ্য উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী আমাদের বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা।সেই দিন আল্লাহর রহমতে এবং মানুষের দোয়ায় প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার সাথে ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ থেকে জীবিত ফিরে আসতে পেরেছি এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রেখে নোয়াখালী জেলার চাটখিল ও সোনাইমুড়ী বাসীর জন্য উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছি। সবাই বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।

বুস্টার ডোজের পরেও কোভিড আক্রান্ত সদর-সুবর্ণচর আসনের এমপি

120 Views

চরজব্বর প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এমপি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার ২২শে জানুয়ারি বিকালে এমপি’র চাচাতো ভাই এমরানুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল বিকালে তার শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। তিনি খাবার খেতে পারছিলেন না এবং কিছু খেলে বমি করছিলেন। উনি গতকাল শুক্রবার ২১শে জানুয়ারি রাতে নিজে থেকেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। গতকাল সকালে রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে তিনি ধানমণ্ডির বাসায় কোয়ারেন্টিনে আছেন। এমরানুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, কিছুদিন আগেই করোনাটিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী।এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হলেন তিনি।

নৌকা ঠেকাতে বিদ্রোহীর পক্ষে ভোট চাইলেন আওয়ামী লীগের এমপি একরাম

106 Views

সেন্ট্রাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নৌকা নয়, আনারসের পক্ষে ভোট চাইলেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বুধবার রাতে নৌকার বিরুদ্ধে মুঠোফোনে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর জনসভায় মাইকে তিনি এমন বক্তব্য দেন। বক্তব্যের ১০ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি অডিও ফাঁস হয়। অডিওতে শোনা যায়, নৌকার প্রার্থী এতদিন আমার পা-চেটে দুই-তিন তলা বিল্ডিংয়ের মালিক হইছে। আর এখন সে আমাকে বলে রোহিঙ্গা। সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যানের (জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম) কত টাকার প্রয়োজন। সে আর ওবায়দুল কাদের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) নেত্রীকে (শেখ হাসিনাকে) ভুল বুঝিয়ে আমাকে দাবিয়ে রেখেছে।আমি উপরে আল্লাহ আর দল যেহেতু করি নিচে শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে পরোয়া করি না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার (২৬শে জানুয়ারি) নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ৫ নম্বর চরজুবলী ইউনিয়নে দেয়া বক্তব্য এটি। সেখানে নিজেকে শেখ হাসিনার প্রতিনিধি দাবি করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নৌকার প্রার্থী হানিফ চৌধুরীকে ভোট না দিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাইফুল্লাহ খসরুকে ভোট দিতে ওয়াদা করান তিনি। এ ছাড়াও মাইকে আনারস প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিয়ে স্বতন্ত্র এ প্রার্থীকে নিজের ছেলের মতো ভালোবাসেন বলে উল্লেখ করেন। তাকে জেতানোর জন্য যা যা করা লাগে সব করতে নিজের অনুসারীদের নির্দেশ দিতেও শোনা গেছে। প্রয়োজনে প্রতিপক্ষের (নৌকার) লোকজনের হাত কেটে রেখে দিতেও নির্দেশ দেন তিনি। আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারি এ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, ফাঁস হওয়া অডিওটি আমিও শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে পর্যালোচনা করে দলের নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা এখন শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জেতাতে মাঠে কাজ করছি। ফাঁস হওয়া অডিও সম্পর্কে জানতে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার  ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নৌকার বিপক্ষে কাজ করায় নোয়াখালী পৌরসভা সেচ্ছাসেবক লীগ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

59 Views

স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করায় নোয়াখালী পৌরসভা সেচ্ছাসেবক লীগ কমিটি কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।বুধবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের এক সিন্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে,আসন্ন নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা অমান্য করে নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করায় (গঠনতন্ত্রের ৩৪ অনুচ্ছেদ এর গ- উপধারা অনুযায়ী) সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নির্দেশক্রমে অদ্য ১২ জানয়ারি ২০২২,নোয়াখালী পৌরসভা সেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা ভিপি শহিদুল ইসলাম কিরন নোয়াখালী পৌরসভায় হেভিওয়েট প্রার্থী

120 Views

স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী পৌর সভার সর্বত্র একটি সুপরিচিত নাম শহিদুল ইসলাম (ভিপি কিরন)। রাজনীতিতে তিনি যেমনি সুপরিচিত, তেমনি সামাজিক ও ব্যবসায়িক অঙ্গনেও তিনি সুপরিচিত। সর্বক্ষেত্রে তিনি একজন সফল মানুষ। সমাজের আনাচে-কানাচে তার পদচারনা রয়েছে। সকলের দৃষ্টিতে তিনি একজন যোগ্য ও শান্ত মেজাজের মানুষ। আগামী দিনে নোয়াখালী পৌরসভাকে পৌরবাসীর জন্য আধুনিক বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব পৌরসভা নির্মাণের মেগা স্বপ্নকে সামনে রেখেই শহিদুল ইসলাম ভিপি কিরন ভোটের মাঠে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের বাসা বাড়ীতে চষে বেড়াচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে তার মার্কা হচেছ কম্পিউটার মার্কা। এই মার্কা তার বিজয়ের জন্য সৌভাগ্যের মার্কা। আধুনিক যুগের সবচেয়ে জরুরি জনপ্রিয় পন্য হচেছ কম্পিউটার। যা প্রতিটি মানুষের জীবনের মিশে আছে। এই যুগে কম্পিউটার ছাড়া মনে হচেছ সব কিছুই অচল।সেই সৌভাগ্যের প্রতীক কম্পিউটার মার্কা নিয়ে মেয়র পদে ভোট করছেন পৌরবাসীর আস্থা ও ভালো বাসার মানুষ ভিপি শহিদুল ইসলাম কিরন। নোয়াখালী পৌরসভার প্রত্যেক ভোটারের নিকট তিনি একজন নিরাহংকার মানুষ। তিনি একজন ক্লীন ইমেজের মানুষ হিসেবে সবার নিকট সুপরিচিত। নোয়াখালী পৌরসভাকে সত্যিকার অর্থে আধুনিক ও মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করার জন্যই জনগনের অনুরোধে এবারের নির্বাচনে শহিদুল ইসলাম কিরন মেয়র প্রার্থী হয়েছেন।ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে,ভিপি কিরনের অবস্থান এই পর্যন্ত চারদিকে ভালো অবস্থানে রয়েছে।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি ও তার  পক্ষের সমর্থকরা রাতদিন ভোটারদের নিকট কম্পিউটার মার্কায় ভোট চাচেছন।তার বিজয়ের জন্য সমর্থক নেতা কর্মীরা ভোটারদের মন জয় করার জন্য অবিরাম ভিপি কিরনের সাথে পৌরসভার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে দৌড় ঝাঁপ করছেন। মেয়র প্রার্থী কিরন পৌরবাসীকে জানাতে চাচেছন যেটা আর সেটা হলো শত বছরের এই পুরানো পৌরসভা বিগত দিনে যে পরিমান উন্নত হওয়ার  কথাছিল সেই পরিমান হয়নি।এখনো বহু সমস্যায় আবৃত নোয়াখালী পৌরসভা। এখনো পৌরবাসী মানসম্মত সেবা পাচেছ না এই পৌরসভা থেকে। পৌরবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশা বা স্বপ্ন ছিল নোয়াখালী পৌরসভা একটি শতভাগ সেবামুলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে। কিন্তু হয়েছে উল্টো, গড়ে উঠেছে একটি অপরিকল্পিত অনাধুনিক পৌরসভা। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে শত বছরের পরোনো নোয়াখালী পৌরসভাকে সত্যিকার অর্থে একটি আধুনিক, বাসযোগ্য ও পরিবেশবান্ধব পৌরসভা বিনির্মানে অবিচল থাকবেন। এছাড়া তিনি নির্বাচিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যে কাজ গুলো পরিকল্পিত ভাবে বাস্তবায়ন করবেন তা নিন্মে ভোটারদের সুনজর দেওয়ার  জন্য প্রকাশ করা হলো ঃ ১।  নোয়াখালী পৌরসভায় প্রান্তিক মহিলাদের উন্নয়নে বৈদেশিক ফান্ড বরাদ্ধ হলে তা পূর্বের চেয়ে দ্বিগুন বাড়িয়ে দিব। ২। ফের লেন সড়ক নির্মানে ভাঙ্গণের কবলে পড়ে যে সমস্ত ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন আমি নির্বাচিত হলে তাদেরকে পুর্ণবাসনের ব্যবস্থা করবো। ৩। নোয়াখালী পৌরসভার যানজট নিরসনে বাইপাস সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নিব। ৪। নোয়াখালী পৌর এলাকায় বেকার শিক্ষিত যুবকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু করবো। ৫। জেলা শহরের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আধুনিক ও টেকসই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মাণ করবো। ৬। বিশুদ্ধ খাওয়ার পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপনসহ এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করবো। ৭। পৌর পার্কে পৌরবাসীর আধুনিক বিনোদনের জন্য জনবান্ধব পরিবেশ তৈরী করবো। ৮। নোয়াখালী পৌরসভাকে একটি জবাবদিহি মূলক ও মানুষের কল্যাণ মুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবো। ৯। পৌরবাসীর যে কোন সমস্যা সমাধানে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রæত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করবো। নোয়াখালীর আনাচে কানাচে যত চাঁদাবাজী, মাদক, ক্রেতা-বিক্রেতা এবং সালিশ বাণিজ্যকে চিরতরে বন্ধ করে দিব ইন্শাল্লাহ।

কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটে এমপি হতে চাওয়ায় সেতুমন্ত্রীর তালতো ডা. জাফরকে আ’লীগ থেকে অব্যাহতি

221 Views

নিজস্ব প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে তার সঙ্গে প্রার্থী হতে চাওয়া ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) হওয়ায় ‘ওবায়দুল কাদেরের বেয়াই’ হিসেবেও এলাকায় পরিচিত।বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসাংগঠনিক কার্যক্রমের কারণে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি লিখিতভাবে তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’র আগে ওবায়দুল কাদেরের নিজ এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনে নিজেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করে ওই এলাকায় শুভেচ্ছা পোস্টার লাগান তিনি।এ বিষয়ে গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) ওবায়দুল কাদেরের আসনে এমপি হতে চান বেয়াই জাফর শীর্ষক সংবাদ প্রকাশ হয়।এ নিয়ে বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার আত্মীয় (স্ত্রীর বড় ভাই) ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহকে ‘দুর্নীতিবাজ ও দুদকের আসামি’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ থেকে তার বহিষ্কারের দাবি তোলেন।তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘ডাক্তার জাফর উল্লাহ জাসদের ও একরামের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী। দুর্নীতিবাজ, যার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা আছে- সে আজকে নোয়াখালী-৫ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবের সম্মান নষ্ট করছে এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে কলঙ্কিত করছে। তাকে অনতিবিলম্বে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হোক।’অব্যাহতির বিষয়ে রাতে ডা. এ কে এম জাফর উল্যাহ বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ কি সিদ্ধান্ত নিল তা আমার দেখার বিষয় নয়। আমি আরও বেশি শক্তি সাহস ও উদ্দীপনা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবো।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন: বিএনপি কি গাড়িঘোড়া ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ানোর অধিকার চায়?

47 Views

ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: আজ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ পুলিশ সুপার এম শামসুল হক চৌধুরীর আত্মত্যাগের বীরত্বগাঁথা অবলম্বনে নির্মিতব্য পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দামপাড়া’ এর শুভ মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহামুদ এমপি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের মহামানব, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের, ৭৫ এর সেই কালো রাত্রিতে নিহত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ সকল শহিদদের, জাতীয় চার নেতাকে, রাজারবাগ ও চট্টগ্রামসহ সমগ্র বাংলাদেশে পুলিশবাহিনীর যেসব সদস্য জীবন দিয়েছেন।মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মেট্রোপলিটন পুলিশ ছিল না তখন চট্টগ্রামসহ সমগ্র চট্টগ্রাম জেলার এসপি ছিলেন এম শামসুল হক চৌধুরী। ছাব্বিশে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তা দ্রুত চট্টগ্রামে পৌঁছে। ২৭শে মার্চ বৃহত্তর চট্টগ্রামের এসপি শামসুল হক অন্যান্য অফিসার ও তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে নিয়ে স্বসস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই চলচ্চিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের যে আত্মদান চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের মানুষ তা জানতে পারবে।এসময় মন্ত্রী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জানান কারণ তারা সাহস নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা নিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। আমি যেহেতু তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি তাই কেউ সিনেমা বানালে আমার ভালো লাগে, সিনেমা হল বানালেও আমার ভালো লাগে। তার মধ্যে যদি সেই সিনেমা হয় মুক্তিযুদ্ধের উপর তাহলে আরো ভালো হয় বলে মন্ত্রী অনুভূতি ব্যক্ত করেন।তিনি বলেন, আপনার হয়তো অনেকেই জানেন, দামপাড়া একটি ঐতিহাসিক স্থান, ১৯৩০ সালে এখানেই ছিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার, মাস্টারদা সূর্যসেন তার বিপ্লবী বাহিনীকে নিয়ে এই চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করে চট্টগ্রাম অঞ্চলকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে ১১ দিন স্বাধীন রেখেছিলেন। সেই ইতিহাস কিন্তু সবাই জানে না।মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৩০ সালে এখান থেকেই বিপ্লবী নেতা সূর্যসেন তার বিপ্লবী বাহিনী দিয়ে অস্ত্র লুট করেছেন। দামপাড়ায় ১৯৩০ সালের ঘটনা আর ১৯৭১ সালের ঘটনার মধ্যে একটি বৈপরীত্য আছে। সেই বৈপরীত্যটা হচ্ছে, ১৯৩০ সালে এখান থেকে অস্ত্র লুণ্ঠন করতে হয়েছিল, অস্ত্র লুণ্ঠন করে বিপ্লবীরা ব্রিটিশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। আর ১৯৭১ সালে লুণ্ঠন করতে হয়নি। বরং অস্ত্রাগারের যিনি রক্ষক ছিলেন পুলিশ সুপার শামসুল হক তিনি অস্ত্রগুলো বিতরণ করে দিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে।অনুষ্ঠানে মন্ত্রীসহ সকল বক্তা মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর বীরত্ব গাঁথা ও মহান আত্মত্যাগ এবং ইতিহাস সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনের মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভির। উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাকের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, ‘দামপাড়া’ ছবির নায়ক ফেরদৌস খান, নায়িকা হাসনে হাবীব ভাবনা, চলচ্চিত্রটির রচয়িতা আনন জামান, পরিচালক শুদ্ধমান চৈতন, মুক্তিযুদ্ধে নিহত সাবেক এসপি শামসুল হকের সহধর্মীনি মাহমুদা হক চৌধুরী প্রমূখ।বিএনপির নেত্রীকে মুক্তির জন্য সরকারের কাছে করা আবেদন নাকচ করায় মির্জা ফখরুল বলেছেন রাজপথে ফয়সালা হবে তাদের নেত্রীর মুক্তির বিষয়ে – এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যদি রাজপথেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান, তাহলে সরকারের কাছে কেন তারা আবেদন জানান তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য। এই দ্বি-চারিতা তো পরিহার করা উচিত তাদের। গাড়ি পোড়ানো এবং মানুষকে জিম্মি করে বোমা নিক্ষেপ করার হুকুমের মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও যে ধরণের রাজনৈতিক স্বাধীনতা তারা ভোগ করছেন, সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিষোদগার করছেন, অন্য কোন দেশে এতটুকু করতে পারতেন কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়ে তার দন্ড স্থগিত রেখে তাকে মুক্ত রেখেছেন এবং তিনি তার মতো করেই অর্থাৎ তার পরিবার এবং দলের তত্ত¡াবধানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। সরকারের অধীনে তিনি চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন না। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়ার যদি এখন স্বাস্থ্যের কোন হানি হয়, এটির জন্য দায়ী হবে বিএনপি এবং তার পরিবারের যারা চিকিৎসক এবং যারা তার স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন তারা।