৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী

93 Views

৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী

মাহমুদ খাঁন নির্বাহী সম্পাদকঃ

সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে, মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন চৌধুরী। ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি মনোয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ,ফ,ম বাবুল (বাবু), নোয়াখালী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দুলাল, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিপি বাহার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান খলিল, ৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইন্জিনিয়ার আব্দুর রহিম,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাবুল মেয়া (বাবলু)
৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহজাহান, উপজেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি মাহমুদ খান, ,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার পিন্টু,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন।
৮ নং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শওকত আকবর ও যুবলীগ,ছাত্রলিগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।আরো‌ ছিলেন স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর দৈনিক নোয়াখালী সময় কে বলেন, আমি জনগণের সুখে দুখে তাদের পাশে ছিলাম, এখনও আছি, আগামীতে ও থাকব। করোনা মহামারীতে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের জনগণের পাশে থাকতে। তিনি বলেন,সরকারের দেওয়া সহযোগিতার পাশাপশি আমি ব্যক্তিগতভাবেও অসহায় কর্মহীনদের সহায়তা করেছি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোনাপুরকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত আধুনিক ইউনিয়ন পরিনত করার জন্য আমি কাজ করে চলেছি। ইনশাল্লাহ তা অব্যাহত থাকবে কিছু কাজ চলমান আছে অচিরেই সে কাজগুলো সমাপ্ত হবে।

আলমগীর হোসেন চৌধুরী এলাকাবাসী দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।

সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবগঠিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম।

325 Views

সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবগঠিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম।

মাহমুদ খাঁনঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এ সভায় আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি বলেন, জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকরা সততার মাধ্যমে সত্য সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার করবে এটাই স্বাভাবিক। অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে বাধা আসতেই পারে, তা ভেবে কলম বন্ধ রাখলে চলবে না। উন্নয়ন সাংবাদিকতার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়ন এবং অর্জন সমূহ গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।

মতবিনিময়ে অংশ নেন,সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি খোরশেদ আলম শিকদার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মানিক, সহ-সভাপতি মাহমুদ খাঁন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মাহমুদ, মাকসুদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ করিম,কোষাধ্যক্ষ সেলিম মিয়া (যুগান্তর),সমাজকল্যাণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ,ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেল্লাল হোসেন নাঈম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তাজুল ইসলাম মানিক, চ্যানেল আই নোয়াখালী প্রতিনিধি আলা উদ্দিন শিবলু, যমুনা টিভি নোয়াখালী প্রতিনিধি সবুজ, সাংবাদিক বদিউজ্জামান তুহিন, ইয়াকুব আল মাহমুদ প্রমুখ সাংবাদিক বৃন্দ।

ব্রোথেল ব্যবসা করে পড়াশোনা, অংশ নেন সুন্দরী প্রতি‌যোগিতায়

153 Views

নজির আহাম্মেদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ছোট‌বেলা থেকেই কেটেছে অব‌হেলায়। নিজের মা-বাবাও সহ্য করতে পারতেন না।তাই পাঠিয়ে দেন আত্মীয়ের বাসায়। সেখানেই বেড়ে ওঠেন। এরপরের অধ্যায় তো আরো ভয়াবহ।দেহব্যবসা থেকে শুরু করে বা‌র-ড্যান্স করতে হয়েছে তাকে। তবে তিনি স্বপ্ন দেখা থেকে পিছু হটেননি। একের পর এক মুকুট এসেছে তার মাথায়।নাজ জোশীর কথাই বলা হচ্ছিলো। এনিয়ে সাতবার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিক খেতাব জিতেছেন তিনি।পড়া‌শোনাও কম জানেন না। ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন টেকনোলজি (এনআইএফটি) থেকে পোশাক ডিজাইনিংয়ে স্নাতক পাশ করেছেন নাজ। এত‌কিছুর পরও পেটের দায়ে বারে নাচতে হয়েছে, এমনকি যৌনকর্মীর কাজও করেছেন নাজ। ১২ বছর বয়সেই বারে নাচতেন নাজের ছোট‌বেলাও ভা‌লো ছিল না। মেয়ে‌লি হাবভাব থাকায় মুম্বাইয়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তাকে। সেখানেই পড়াশোনা করতেন তিনি। তবে নিজের খরচ বরাবর নিজেই বহন করেছেন। ১২ বছর বয়স থেকে বারে নাচতেন। ছোটবেলা থেকেই বারের আবহ খুব চেনা নাজের। তখন ওই দুনিয়াটা কেমন লাগতো? এমন প্রশ্নের জবাবে নাজ বলেন, তখন আমার কোনো অসুবিধা হয়নি। বরং মেয়েদের মতো পোশাক পড়তে পেরে, মেকআপ করার সুযোগ পেয়ে ভালোই লাগতো।এভাবেই উপার্জন করে আইএমটি থেকে এমবিএ-ও করেছেন নাজ। পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন সংত্রান্ত অস্ত্রোপচারের খরচও জোগাড় করেছিলেন নিজেই। শুরু করেন ম‌ডে‌লিং শুরু থেকে মডেলিং করার ইচ্ছা ছিল না তার। তবে এক আত্মীয়কে দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়েছেন। ২০১২ সাল থেকে মডেলিং এজেন্সির কাজ করতে শুরু করেন। ২০২০ সালে মিস ইউনিভার্স ডাইভারসিটির খেতাব পেয়েছেন। ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত পর পর তিন বার মিস ওয়ার্ল্ড ডাইভারসিটির মুকুট উঠেছে তার মাথায়। এ ছাড়া মিস রিপাবলিক ইন্টারন্যাশনাল সৌন্দর্য রাষ্ট্রদূত হয়েছেন। জাতিসংঘেরও সৌন্দর্য দূত হিসেবে নির্বাচিত করা হয় তাকে। সুন্দরী প্রতি‌যোগীতায় নাজ ২০১৪-এ প্রথম সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন নাজ। তার সাম্প্রতিক সাফল্য এমপ্রেস আর্থের খেতাব জয়। মে মাসে ভারতের হয়ে এই আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন নাজ। গত ১ জুন সেই প্রতিযোগিতায় জয়ী হন। ওই প্রতিযোগিতায় নাজ একাই ছিলেন রূপান্তরকামী।আন্তর্জাতিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় নারীদের সঙ্গে টক্কর দিয়ে সেরা সুন্দরীর খেতাব ছিনিয়ে নেয়া রূপান্তরকামী তিনিই প্রথম। তবে নাজকে তার জন্য অনেক গঞ্জনা সহ্য করতে হয়েছে। এমনকি কমবয়সিদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ায় বয়স নিয়েও কুমন্তব্য শুনতে হয়েছে তাকে।নাজের সঙ্গে শেষ পাঁচে ছিলেন কলম্বিয়া, মেক্সিকো, ব্রাজিল এবং স্পেনের সুন্দরীরা। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হন কলম্বিয়ার প্রতিযোগী ভ্যালেন্টিনা। তৃতীয় স্থানে ছিলেন মেক্সিকোর অলিভিয়া। দু’জনেই নাজের বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেছেন।আন্তর্জাতিক খেতাব পেলেও ব্যক্তিগত জীবনে এখনও বেশ অসহায় নাজ। স্থায়ী উপার্জনের রাস্তা নেই। ফ্যাশন ডিজাইনের টপার, আইএমটি থেকে এমবিএ করা নাজ বহু চেষ্টা করেও একটি চাকরি পাননি। নাজ জানিয়েছেন, এর কারণ তিনি একজন রূপান্তরকামী আর সমাজ এখনও একজন রূপান্তরকামীকে আলাদা চোখেই দেখে।

আশা পুরন ও দোয়া কবুলের নামায বা সালাত

233 Views

সময় ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: আশা পুরন এর আরো একটি নামায: হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবি আওফা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট কারো কোন উদ্দেশ্য থাকলে বা দুনিয়ার কোন মানুষের কাছে কোন উদ্দেশ্য থাকলে তখন উত্তম রূপে ওজু করবে এবং দুই রাক’আতে নামায শেষ করবে যে কোন সূরা দিয়ে, নামাজ শেষে আল্লাহর প্রশংসা করবে এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরূদ শরীফ পড়বে। এত:পর এ দোয়া পাঠ করবে:
لَااِلٰهَ اِلَّا اللهُ الْحَكِيْمُ الْكَرِيْمُ سُبْحَانَ اللهِ رَبُّ الْعَرْ شِ الْعَظِيْمِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ اَسْئَلُكَ مُوْ جِبَاتِ رَحْمَتِكَ وَ عَزَا ئِمَ مَغْفَرَ تِكَ وَالْغَنِيْمَةَ مِنْ كُلِّ بَرِّ وَّ سَلَامَةِ مِنْ كُلِّ اِثْمٍ لَا تَدَعْ لِىْ ذُنُبًا اِلَّا غَفَرْتَهٗ وَلَا هَمًّا اِلَّا فَرَّجْتَهُ وَلَا حَاجَةً هِىَ لَّكَ رِضًا اِلَّا قَضَيْتُهَا يَا اَرْحَمَ الرَّا حِمِيْنَ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হাকীমুল কারীমু ছুব্হানাল্লাহি রব্বুল আরশিল আযীম। আলহাম্দু ল্লিল্লাহি রব্বিল আলামিন। আছ্আলুকা মুযিবাতি রহমাতিকা ওয়া আজায়িমা মাগ্ফারাতিকা ওয়াল গনীমাতা মিংকুল্লী বাররীও ওয়া ছালামাতি মিংকুল্লী ইছ্মী লা তাদাআ’লী জুলুবান্ ইল্লা গফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররযতাহু ওয়ালা হা-যাতান হিয়াললাকা রিদ্বান ইল্লা ক্বদ্বাইতুহা ইয়া আরহামার রহিমীন। (তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাযাহ) দোয়া কবুলের নামায: হযরত ওবাদাহ ইবনে সামেত রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাত্রে উঠবে এবং নিন্মোক্ত দোয়া পড়বে, যে দোয়া করবে তাই কবুল হবে। আর যদি অযু সহকারে নামায পড়ে তার নামায কবুল হবে। দোয়াটি নিন্মরূপ:
لَا اِلٰهَ اِلَّااللهُ وَحْدَهٗ لَا شَرِيْكَ لَهٗ لَهٗ الْمُلْكُ وَلَهٗ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شّيْئٍ قَدِيْرِ وَ سُبْحَانَ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَااِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاللهُ اَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِا اللهِ رَبِّ اغْفِرْلِىْ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহুল্ মুল্কু ওয়া লাহুল্ হাম্দু ওয়া হুয়া আলা কুল্লী শাইয়িন ক্বদীর ওয়া ছুব্হানাল্লাহ্ ওয়াল্ হামদুলিল্লাহ্ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা হাওলা ওয়া লা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহি রব্বীগফিরলী। (বোখারী শরীফ) আশা পূরণের কার্যকারী আমল:
আশা পুরনের জন্য দু রাক’আত বা চার রাকাত পড়বে। হাদীস শরীফে আছে, এ নামাজের নিয়ম হলো প্রথম রাকা’আতে সুরা ফাতেহার সাথে ৩বার আয়াতুল কুরসী, অবশিষ্ট ৩ রাকা’আতে ফাতেহার পর ১বার সূরা ইখলাছ, ১বার সূরা নাছ পড়বে, ১০০% কার্যকারী ইনশাআল্লাহ্।

 

জিকির কি ও কেন? কুরআন ও হাদিসে জিকিরের গুরুত্ব কি?

142 Views

সময় রিপোর্ট, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: জিকির কি ও কেন?জিকির অর্থ স্মরণ করা, অর্থাৎ নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশার্থে সর্বদা তাকে স্মরণ করা তার আনুগত্য প্রকাশ করা, তার জাতী ও সিফাতী নাম সমূহ মুখে বা অন্তরে উচ্চারণ করাকেই জিকির বলে। জিকির দুই ভাবে করা যায় (১) জলী (২) খফী।ইসলামের প্রতিটি ইবাদতের সময় সীমা নির্ধারিত কিন্তু আল্লাহ এবং তার হাবীবের জিকিরের কোন সময়সীমা পরিমাণ নির্ধারিত নেই। যত বেশি করা যাবে ততই কল্যাণ। ততই তার নৈকট্য অর্জিত হবে।

আল্লাহ বলেন- يٰۤـااَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اذْكُرُوْا اللّٰهَ ذِكْرًا كَثِيْرًا – وَّ سَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّاَصِيْلً
Oh you who believe! Remember God much. And proclaim his holiness in the morning and in the evening.
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো এবং সকাল সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করো। (সূরা আহযাব, আয়াত ৪১-৪২)
আল্লাহর হাবীব বলেন- لِكُلِّ شَيْئٍ صِقَالَةٌ وَصِقَالَةُ الْقُلُوَبِ ذِكْرِ اللهِ
Every object has some or the other rust remover. The inner rust remover is the remembrance of Allah.
অর্থ: প্রত্যেক জিনিস কোন না কোন মরিচা দূরকারী থাকে। অন্তরের মরিচা দূরকারী হলো আল্লাহর জিকির। (মেশকাত শরীফ পৃ: ৯৯)

অপর হাদীসে আল্লাহর হাবীব বলেন- اِنَّ هَذِهِ الْقُلُوْبَ تَصَدَّأْ كَمَا يَصَدَّأَ الْحَدِيْدَ فَاجْلُوْ هَا بِذِكْرِاللهِ
As rust falls on iron, so does rust fall on clubs. Remove that rust by the remembrance of Allah.
অর্থ: লোহার উপর যেমন মরিচা পড়ে, তেমনি কলবের মধ্যেও মরিচা পড়ে। আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে সেই মরিচা দূর করে দাও। (মেশকাত শরীফ)
মুমিনের ক্বলব যখন জিকির আজকার ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে যায় তখনই ইহা আল্লাহর ঠিকানায় পরিণত হয় তাই আল্লাহর হাবীব বলেন,
قُلُوْبُ الْمُؤْ مِنِ عَرْشُ اللهِ
The club of the believer is the throne of Allah.
অর্থ: মুমিনের ক্বল্ব আল্লাহর সিংহাসন।
এ জন্যই হাদিসে কুদসীতে রয়েছে আমি আসমান-জমিনে সষ্কুলান হইনা। তবে সষ্কুলান হতে পারি মুমিনের কলবে। (তাফসীরে মাজহারী ৯ম খন্ড)আল্লাহ বলেন- فَاذْكُرُوْنِىْٓ اَذْكُرْكُمْ وَاشْکُرُوْا لِىْ وَلَا تَكْفُرُوْنِ
So remember Me, I will remember  you, and be grateful to Me, and do not be ungrateful to Me.
অর্থ: সুতরাং তোমরা আমার স্মরণ করো, আমিও তোমাদের চর্চা করবো আর আমার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো এবং আমার অকৃতজ্ঞ হয়োনা। (সূরা বাকারা আয়াত নং- ১৫২)প্রকৃত পক্ষে একমাত্র আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমেই প্রশান্তি অর্জিত হয়। তাই আল্লাহ ঘোষণা দিচ্ছেন- اَلَا بِذِكْرِ اللّٰهِ تَطْمَـئِنُّ الْقُلُوْبُ
Listen, peace of heart is in the remembrance of Allah.
অর্থ: শুনে নাও, আল্লাহর স্মরণেই অন্তরের প্রশান্তি রয়েছে। (সূরা রাদ, আয়াত নং ২৮)যাদের দেহে প্রাণ আছে আমরা সকলেই তাকে জীবিত বলি আর যার দেহে প্রাণ নেই আমরা তাকে মৃত বলি। হাকীকতে আল্লাহর হাবীব বলেন- عَنْ اَبِىْ مُوْسٰى رَضِى اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَاَلِهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ الَّذِىْ يَذْكُرُ رَبَّهٗ وَالَّذِىْ لَايَذْكُرُ مِثْلُ الْحَىِّ وَالْمَيِّتِ
The example of those who remember their Lord and those who do not remember is like that of the living and the dead.
অর্থ: হযরত আবু মূসা আশ’আরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে স্বীয় প্রতিপালকের স্মরণ করে এবং যে স্মরণ করেনা, তাদের উদাহরণ যথাক্রমে জীবিত ও মৃতের ন্যায়। (বোখারী ও মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ ১৯৬ পৃ. হাদিস নং-২১৫৬)আপনি আল্লাহকে যেভাবে স্মরণ করবেন মহান দয়ালু আল্লাহ আপনাকে তার চেয়ে সীমাহীন বেশি ভালোবাসার সাথে গুরুত্বের সাথে স্মরণ করেন। তাই তো হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি আমার বান্দার ধারণা অনুযায়ী হই এবং আমি তার সাথে থাকি যখন সে আমার জিকির করে। যদি সে তার মনে মনে আমার জিকির করে আমি তাকে আমার কুদরতি মনে জিকির করি। আর যদি সে আমাকে মজলিশে বা গণ জমায়েতে জিকির করে, তাহলে আমি তাকে তাদের চেয়ে উত্তম মজলিশে স্মরণ করি। (মেশকাত শরীফ পৃ: ১৯৬ হাদীস ২১৫৭ বোখারী, মুসলিম শরীফ)আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম বলেন- ذِكْرُ الْاَنْبِيَاءُ مِنَ الْعِبَادَةِ وَذِكْرُ الصَّالِحِنَ كَفَّرَةٌ
The remembrance of the prophets is part of worship, and the remembrance of the saints is the expiation for sins.
অর্থ: নবীগণের জিকির ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত আর অলীগণের জিকিরের দ্বারা গুণাহের কাফফারা আদায় হয়ে যায়।
হযরত সুহাইল ইবনে হানজালা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর হাবীব এরশাদ করেন, যেসব লোক কোন মজলিসে বসে আল্লাহর জিকির করে যখন মজলিশ থেকে উঠে তখন তাদের উদ্দেশ্যে বলা হয় যে, তোমরা উঠো। আল্লাহ তায়ালা তোমাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং তোমাদের গুনাহ সমূহ নেকীতে পরিণত করে দিয়েছেন। (মাযমাউল যাওয়ায়েদ কৃত হাফিজ নুরুদ্দিন আলী হায়সামী, ১০ খন্ড পৃ: ৭৫)

বিশ্ব নবী হযরতমুহাম্মাদ (সা.)-এর যে গুণের আমলে তৈরি হয় জান্নাতের পথ

182 Views

নাসির উদ্দিন মাহমুদ, এডিটর ডেইলী নোয়াখালী সময় ডট কম: রাসুলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। তিনিই কল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ এবং অন্যায়মূলক কাজ থেকে বিরত থাকতে মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় আদর্শ। সত্যবাদিতাও এমনই একটি গুণ ও পালনীয় আমল। যে গুণের আমলেই জান্নাতের পথ তৈরির শুভ সূচনা করেছিলেন বিশ্বনবি।বিশ্বনবির সত্যবাদিতা ছিল এমনই একটি শক্তিশালী গুণ; অজ্ঞতা ও অপরাধ প্রবণতার যুগে এই একটি বিশেষ গুণেই তিনি সবার কাছে বিশ্বস্ত হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। গোটা মানবজাতীর জন্য জান্নাতের পথ তৈরির কঠিন দিনেও সত্যবাদিতার গুণে উজ্জ্বল অতুলনীয় ছিলেন।সত্যবাদিতার একটি গুণ যে কেউ নিজের মধ্যে লালন-পালন করবে, সে দুনিয়াতে যেমন সমাদৃত হবে; তেমনি পরকালের জান্নাতের পথেও এগিয়ে থাকবেন তিনি।জীবনের সূচনালগ্ন থেকে যখন তার কোনো সহায়-সম্বল শক্ত অবস্থান ছিল না তখনও তিনি সত্যবাদিতার শক্তিশালী গুণে নিজের স্বভাব-চরিত্রকে মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তার এ গুণের কারণই দিয়েছেন বিশেষ সনদ। তিনি বলেছেন-
‘নিঃসন্দেহে আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী, মহান আখলাকের অধিকারী।’কেমন সত্যবাদী ছিলেন বিশ্বনবি
সত্যবাদিতা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সত্যবাদিতা। কেমন সত্যবাদী ছিলেন তিনি? যে সত্যবাদিতায় জান্নাতের পথ তৈরির শুভ সূচনা হয়। কত গুরুত্বের সঙ্গেই না তিনি তাঁর সঙ্গী-সাহাবিদের সত্যবাদিতার শিক্ষা দিয়েছেন! সত্যবাদিতার অনন্য গুণের অধিকারী হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করেছেন।বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যত বিপদই আসুক না কেন, তিনি ছিলেন সত্যবাদী। তাঁর এ সত্যবাদিতা তাকে যুগশ্রেষ্ঠ আমানতদারের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।তিনি সত্যবাদিতার এ প্রসিদ্ধি একদিনে পাননি। নানা অনুকূল-প্রতিকূল সব পরিস্থিতিতে আরবের কুরাইশের মাঝে তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়েছিল। এ পথপরিক্রমায় কথা-কাজ, আচার-আচরণ সব তাদের সামনে ছিল। তাঁর শৈশব, কৈশোর, যৌবনও তাদের সামনে সত্যবাদিতার গুণে উজ্জ্বল। তিনিই যুগের শ্রেষ্ঠ তুলনাহীন সত্যবাদী। তিনিই যুগশ্রেষ্ঠ তুলনাহীন আমানতদার।বিশ্বনবির সত্যবাদিতার দৃষ্টান্ত
তার সত্যবাদিতার অনন্য দুইটি দৃষ্টান্ত বিশ্ববাসীর জন্য পথপ্রদর্শক। রাসলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর যখন প্রথম ওহি নাজিল হয় তখন তিনি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেন। ওই সময় উম্মুল মুমিনিন হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা যে কথাগুলো বলে তাঁকে সান্ত্বনা দিয়েছেন, একজন স্ত্রীর কাছে স্বামীর জন্য তা তাঁর উন্নত কর্ম ও চরিত্রের এক অসাধারণ সনদ। হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার কথাগুলো হাদিসের বিখ্যাত গ্রন্থ বুখারিতে এভাবে ওঠেএসেছে-১. আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মুল মুমিনিন খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে আশঙ্কা ব্যক্ত করে বলেছিলেন-‘আমি আজ যে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি, এতে আমার প্রাণের আশংকা হচ্ছে।’হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন- ‘না’, তা হতেই পারে না! আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করুন! আল্লাহ পাক কখনো আপনাকে অপদস্থ করবেন না, (আল্লাহ পাক তো আপনাকে সম্মানিত করবেন,) কারণ-
> আপনি আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করেন;
> আপনি সত্য কথা বলেন;
> অন্যের ভার বহন করেন;
> মেহমানদারী করেন;
> প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ান- (এইসকল গুণের অধিকারী যিনি, তাকে আল্লাহ পাক সম্মানিত করবেন, তাকে তিনি কখনো অপদস্থ করবেন না।)’ (বুখারি)এ ঘোষণার সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে ১৫ বছর দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেছেন হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহা। তিনিই সনদ দিয়েছিলেন-
‘আপনি সত্য কথা বলেন।’
২. সাফা পাহাড়ের ঘটনা। প্রকাশ্যে প্রথম ইসলামের দাওয়াত ও আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণার দিনের ঘটনা। সে দিন প্রথমে সবাই এক বাক্যে তাঁকে ‘আল-আমিন’ বা বিশ্বাসী সনদ দিয়েছিলেন। হাদিসে এসেছে-হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘(কুরআন মাজীদে নিকটাত্মীয়দের দাওয়াতের আদেশ নাজিল হওয়ার পর) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাফা পাহাড়ে উঠলেন এবং উচ্চস্বরে বললেন-
‘ইয়া সাবাহাহ্!’ অর্থাৎ বিপদ! বিপদ!কুরাইশের লোকেরা পাহাড়ের সামনে উপস্থিত হল। তিনি তাদের লক্ষ্য করে বললেন-‘আমি যদি তোমাদের বলি যে, একটি শত্রুদল এই পাহাড়ের ওপার থেকে তোমাদের উপর আক্রমণ করবে তোমরা কি আমার কথা বিশ্বাস করবে?’সকলে বলল-‘আমরা আপনাকে কখনো মিথ্যা বলতে দেখিনি।’ তখন তিনি বললেন, আমি তোমাদের জন্য এক কঠিন আযাবের আগের সতর্ককারী। (বুখারি)ইসলামের প্রথম যুগে পুরো কুরাইশ জাতির কাছ থেকে তিনি সত্যবাদিতার সনদ পেয়েছিলেন তাদের এ কথায়-‘আমরা কখনো আপনাকে মিথ্যা বলতে দেখিনি।’এ সত্যবাদিতার পথে হাটলেই রচিত হবে জান্নাতের সহজ পথ। যে পথের দিশা দিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি। হাদিসের ঘোষণাও এমন-‘সত্যবাদিতা মানুষকে সব সময় ভালো কর্মের দিকে পরিচালিত করে। আর ভালো কর্ম জান্নাতের দিকেই নিয়ে যায়। পক্ষান্তরে মিথ্যাবাদিতা পরিচালিত করে মন্দ কর্মের দিকে আর মন্দ কর্ম জাহান্নামের দিকে (নিয়ে যায়)।’ (বুখারি)সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সত্যবাদিতার মাধ্যমে জান্নাতের দিকে ধাবিত হওয়া। মিথ্যা থেকে বিরত থাকা। নিজেদের নবি জীবনের অনন্য আদর্শ সত্যবাদিতার গুণে আলোকিত করা।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সত্যবাদিতার গুণে নিজেদের সাজানোর তাওফিক দান করুন। হাদিসে ঘোষিত জান্নাতের পথ তৈরির করার তাওফিক দান করুন

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এজিএমে ১০% লভ্যাংশ অনুমোদন

223 Views

সম্রাট আলী চৌধুরী, অপারেশন ম্যা‌নেজার, এসআই‌বিএল ‌সোনাপুর শাখা: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল)-এর ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আজ মঙ্গলবার, ৬ জুলাই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় ২০২০ সালের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়, এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ স্টক। সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ। সভায় পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয় বেলাল আহমেদ ও মো: সাইদুর রহমান এবং পরিচালকবৃন্দ ও শেয়ার হোল্ডারবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: তাজুল ইসলাম সহ অন্যান্য উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ অংশগ্রহণ করেন। এই ভার্চুয়াল সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারগণ ব্যাংকের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেন। সভা পরিচালনা করেন ব্যাংকের কোম্পানী সচিব আব্দুল হান্নান খান। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে চলমান অতিমারির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে। এর মধ্যেও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তার সকল ব্যবসায়িক সূচকের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে পেরেছে এবং আগামীতেও এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি শেয়ার হোল্ডারদের আশ্বস্ত করেন।

উহুদের যুদ্ধে হামজা (রাঃ) ও হানজালা (রাঃ) সহ ৭০ জন শহীদ হয়েছে

193 Views

বদিউজ্জামান তুহিন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সকল শহীদের লাশ এনে এক জায়গায় রাখা হচ্ছে। নবীজি গুনে দেখেলেন ৬৮ টা লাশ। ২ টা নাই … একজন তাঁর চাচা হামজা (রাঃ) আরেকজন হানজালা (রাঃ)। অস্থির হয়ে পড়েছেন নবীজি। সব সাহাবাদের পাঠাইলেন লাশ খুজার জন্য। …হঠাৎ বোরকা পরা এক মহিলা এসে দাঁড়ালেন নবীজির কাছে। নবীজি তাকে চিনলেন না। -মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ (সাঃ) আজকে আপনি একটা বিয়ে পড়িয়েছিলেন মনে আছে? নবীজি বলেন; হা আমি তো হানজালার বিয়ে পড়িয়েছি। যার বিয়ের খুশিতে আমি খুরমা খেজুর ছিটিয়ে ছিলাম। মহিলা বললেন; ইয়া রাসুল্লাহ! আমার হাতটা দেখেন। হাতের মেহেদী এখনও শুখায় নাই। কাল বিকেলে বিয়ে হয়েছিল আর রাত ২ টা বাজে উহুদের যুদ্ধের জন্য বের হয়ে গেছে হানজালা। বাসর রাতে উনার সাথে আমার ভালোভাবে পরিচয়ও হয়নাই। যাওয়ার আগে শুধু বলে গেছেন “যদি দেখা হয় তাহলে দেখা হবে দুনিয়ায়, আর যদি শহীদ হয়ে যাই তাহলে দেখা হবে জান্নাতে”।মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ যাওয়ার আগে আমার কপালে একটা চুম্মন করে গেছেন। লজ্জায় বলতেও পারি নাই আপনার জন্য গোসল ফরজ। নবীজি কাঁদতেছেন। মহিলা বললেন ইয়া রাসুল্লাহ, শহীদদের তো আপনি গোসল দেন না, আমার স্বামীকে আপনি একটু গোসল দিয়েন? নবীজি সম্মতি প্রকাশ করার পর একজন সাহাবি দৌড়ে এসে বলল ইয়া রাসুল্লাহ হানজালা কে পাওয়া গেছে। — সবাই গেলেন। গিয়ে দেখলেন সাদা কাফনের তর লাশের মাথায় পানি। নবীজি মাথা হাতায়ে দিলেন।জিবরাঈল (আঃ) আসলো!…এসে বলল; ইয়া রাসুল্লাহ হানজালার কোরবানিতে আল্লাহ্ পাক এতটাই খুশি হয়েছে যে, আমার বাহিনিকে আদেশ করলেন তাকে নিয়ে আসতে। …ইয়া রাসুল্লাহ আমরা ফেরেশতারা তাকে তৃতীয় আসমানে এনে জমজমের পানি দিয়ে গোসল করিয়েছি এবং তার শরীরে থেকে যে সুগন্ধ পাচ্ছেন, এটা আল্লাহ্ পাকের বিশেষ খুসবু মিশক আম্বরের ঘ্রাণ । আমরাই উনাকে কাফনের কাপড়ে আচ্ছাদিত করেছি ।……সুবহানআল্লাহ !!!আল্লাহ্ তাঁর প্রিয় মানুষকে কি পরিমাণ ভালবাসেন, কি পরিমাণ সম্মানিত করেন তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব নয়। পরিশেষে বলতে চাই, “হে আল্লাহ্ _ আপনি আমাদেরকে সফল মানুষদের পথের পথিক হওয়ার তওফিক দান করুন,

৫ থেকে ৬ লাখ টাকা ব্যায় করে নির্মাণ করুন স্থাপত্য শৈলী ও টেকসই বাড়ী

172 Views

ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নতুন প্রযুক্তির বাড়ি নির্মাণ উপকরণ নিয়ে এসেছে অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস লিমিটেড। তাপ নিরোধক, পরিবেশবান্ধব, হাল্কা, দ্রুত স্থাপনযোগ্য এক্সপ্যান্ডেড পলিস্টিরিন স্যান্ডউইচ (ইপিএস) প্যানেল ব্যবহার করে বানানো যাব ঘর।যার মাধ্যমে ৪ জন শ্র’মিক ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পরিশ্রমেই একতলা বাড়ি নির্মাণ করতে পারে। প্রকারভেদে খরচ পড়বে ৭ লাখ টাকা থেকে ১১ লাখ টাকা পর্যন্ত।জানা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যাপক জনপ্রিয় তাপ নিরোধক এই ইপিএস শিট দিয়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টায় একটি বাড়ি নির্মাণ করা যাব’।এ ছাড়া এটি খুব সহ’জেই স্থানান্তরও করা যায়।উচ্চ গু’ণগত মানসম্পন্ন এ ধরনের প্যানেল বিভিন্ন ধরনের শিল্পস্থাপনা, অবকাঠামো, ওয়ার্ক স্টেশন এনক্লোজার এবং শেড, ও’ষুধ কোম্পানি, পোশাক শিল্প ইন্ডাস্ট্রিজ, কোল্ড স্টোরেজ, শব্দনিরোধী মি’লনায়তন, থিয়েটার হাউস,উপকূলীয় অঞ্চলে আশ্রয়কেন্দ্র, ভাসমান আবাসনসহ তাপ সহনীয় এবং শব্দহীন দেয়ালের জন্য পরিবেশগতভাবে আদর্শ ও উপযোগী। অ্যাডভান্সড ডেভেলপমেন্ট টেকনোলজিস ঢাকার অদূরে মুন্সিগঞ্জে ৫৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে কারখানা স্থাপন করেছে।