মাহমুদ খাঁন,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃসত্যিই সৃষ্টিকর্তা উনাকে সুরের ভুবনে সোনার আলোয় জীবন পূর্ণ করে দিয়েছিলেন।শুধু গান গেয়ে পরিচয়,সে যে কেন এলো না কিংবা সব কটা জানালা খুলে দেও না,জন্ম আমার ধন্য হলো এইরকম অসংখ্য কালজয়ী গানে মোহনীয় কন্ঠ দিয়ে তিনি শ্রোতাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বিমোহিত করে রেখেছেন,বাংলাদেশে সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে দুইজন উজ্জ্বল তারকার একজন,শ্রোতাদের ভালোবাসায় পেয়েছেন ‘কোকিলকন্ঠী’ খেতাব,তিনি বাংলাদেশের গানের পাখি খ্যাত জীবন্ত কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিন।’তুমি যে আমার কবিতা……….বড় দুই বোন বিখ্যাত শিল্পী ফরিদা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমিন,তাদেরই পথ অনুসরণ করে সঙ্গীত জগতে হাতেখড়ি। ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে গায়িকা হিসেবে প্লেব্যাকে অভিষেক,এরপর ‘আগুন নিয়ে খেলা’ ছবিতে ‘মধু রুপালী জোছনায়’ গানে পরিনত বয়সে প্রথম চলচ্চিত্রের গানে কন্ঠ দান।ষাটের দশকেই তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের গানের জগতে নিজেকে প্রতিশ্রুতিশীল গায়িকা হিসেবে পরিচিত করেন।’আমি আছি থাকবো,ভালোবেসে যাবো’……সত্তরের দশকে একের পর এক জনপ্রিয় গান নিজের সমধুর কন্ঠে বেঁধে চলচ্চিত্রের গানে হয়ে উঠেন শীর্ষস্থানীয় গায়িকা।এই সময়ে প্রায় সব জনপ্রিয় গানেই ছিল তাঁর ছোঁয়া,একক কিংবা ডুয়েট সব মাধ্যমেই প্রতিভা ছড়িয়েছেন।সে যে কেন এলো না,শুধু গান গেয়ে পরিচয়,এই পৃথিবীর পরে,অশ্রু দিয়ে লেখা,এই মন তোমাকে দিলাম,ও আমার রসিয়া বন্ধুরে,একটুস খানি দেখো,ঈশারায় শিষ দিয়ে,চিঠি দিও প্রতিদিন,হায়রে কপাল মন্দ,কেউ কোনদিন আমারে তো থেকে সব সখীরে পার করিতে সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান নিজের কন্ঠে বেঁধেছেন।কালের প্রবাহে গান গুলো পেয়েছে কালজয়ীর মর্যাদা।আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতন গন্ধ বিলিয়ে যাই…..আশির দশকেও তিনি নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছিলেন,এই দশকে সিনেমার ধারা বদলের পাশাপাশি সংগীতেও পরিবর্তন এসেছিল,তার মাঝেও দু:খ ভালোবেসে,আহা চোখের লজ্জায়,সন্ধ্যার ও ছায়া নামে,শত জনমের স্বপ্ন,তুমি ছাড়া আমি একা,আবার দুজনে কিংবা সবাই তো ভালোবাসা চায় অসংখ্য জনপ্রিয় গানে শ্রোতাদের মাতিয়েছিলেন।হাজার বছর পরে আমি আসবো ফিরে……গত দশকগুলির মতন নব্বই দশক ও নতুন শতকে অসংখ্য জনপ্রিয় গানে কন্ঠ দিয়েছিলেন,পৃথিবীতে সুখ বলে,ও সাথীরে,উড়ে যেতে যেতে,হৃদয়ের আয়না,তুমি আমার মনের মানুষ সহ দারুন সব গান কন্ঠ বেঁধেছিলেন,এরপর চলচ্চিত্রের গান ধীরে ধীরে অনিয়মিত হতে থাকেন,এরমাঝেও বরষার প্রথম দিনে,আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা,প্রেমে পড়েছে,সুখ পাখিরে কিংবা চলো বৃষ্টিতে ভিজি সহ উনার সমধুর কন্ঠে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়েছেন,এখনো মাঝে মাঝে চলচ্চিত্রের জন্য গান,তবে তা একেবারেই কম।জন্ম আমার ধন্য হলো ……দেশাত্মবোধক গানেও উনার জুড়ি মেলা ভার,উনার গাওয়া অনেক দেশের গান ই আইকনিক হয়ে আছে। সে রেললাইনের ধারে মেঠো পথটার পাশে দাঁড়িয়ে, একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত চেতনার,মাঝি নাও ছাইড়া দে,সুন্দর সুবর্ণ কিংবা সব কটা জানালা খুলে দাও নার মত অবিস্মরণীয় গান বাংলা চলচ্চিত্রে সবচেয়ে বেশি গানে কন্ঠ দেয়া এই গায়িকা খান আতাউর রহমান,সত্য সাহা, আলাউদ্দিন আলী,আলম খান,আর ডি বর্মন,আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল থেকে ইমন সাহা,হাবিব ওয়াহিদ সব স্বনামধন্য সুরকারদের সাথে কাজ করেছেন,সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন আব্দুল আলীম, মাহমুদুন্নবী,সৈয়দ আব্দুল হাদী,খুরশিদ আলম,কিশোর কুমার,এন্ড্রু কিশোর থেকে খালিদ হাসান মিলু,আগুন,আসিফ,মনির খান,হাবিবের মত জনপ্রিয় গায়কদের।কবরী,শাবানা,ববিতা থেকে দিতি,মৌসুমী,শাবনূর কিংবা এই যুগের মিম,পরিমনি সবাই উনার গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন। সম্প্রতি প্রয়াত কবরী নির্মিত ছবিতে প্রথমবারের মত সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন।সঙ্গীত জীবনে চলচ্চিত্রের গানে বেশি মনোযোগ দেয়া এই সুকন্ঠীর চলচ্চিত্রের বাইরে তেমন জনপ্রিয় আধুনিক গান নেই। বর্ণিল ক্যারিয়ারে পেয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক,স্বাধীনতা পুরস্কার।জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন রেকর্ড সংখ্যক ১৪ বার।এছাড়া দেশে,বিদেশে বহু পুরস্কার পেয়েছেন,সংগীতের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন এই কিংবদন্তি।২০০৭ সালে মরনব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন,সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা,শ্রোতাদের অগাধ ভালোবাসা,শুভকামনা,সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও সঠিক চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে ফিরেছিলেন।আমরা উনার সুস্থতা কামনা করি।শুভ জন্মদিন……. সাবিনা ইয়াসমিন লেখা: হৃদয় সাহা
Category: বিনোদন চলচ্চিত্র
আশির দশকের ব্যবসাসফল ছবির নায়িকা অঞ্জু ঘোষ
মাহমুদুল হাসান আফ্রিদী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: এলেন দেখলেন জয় করলেন— কথাগুলোর সার্থকতা একেবারে পরিপূর্ণ হয়ে ধরা দেয় অঞ্জু ঘোষের জীবনে। প্রথম ছবি ‘সওদাগর’ (২৮/০২/১৯৮২) দিয়ে যেন সারা দেশের সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দিলেন। ওয়াসিমের মতো সুপারস্টার থাকলেও ছবির সফলতার প্রধান ভূমিকা হয়ে দাঁড়ালেন তিনি। কেন?বিশেষ করে তরুণ-যুবাদের মূল আগ্রহের কারণ হয়ে উঠেছিল রাতের ঘুম কেড়ে নেওয়া অঞ্জু। দর্শকদের চর্চার কারণ হয়ে উঠলেন তিনি। ছবির সেই বিখ্যাত গান আর নাচে যেন সমস্ত দর্শকদের এক হ্যাঁচকা টানে অঞ্জু নিয়ে আসলেন সিনেমার হলের বারান্দায়। এমনও হয়েছে ছবিটি দেখতে আসা দর্শকদের চাপে গেটের তালাও ভেঙে গেছে।‘মনেরই ছোট্ট ঘরে আগুন লেগেছে হায়রে’ শিরোনামের গানে সদ্য যুবতী অঞ্জুর রূপ ও নাচে যেন দেশের সমস্ত সিনেমা হলে উৎসবের বন্যা বয়ে গেল। প্রতিটি হলের সামনে ঝুলতে থাকলো ‘হাউসফুল’ বোর্ড। প্রযোজক পাড়া থেকে সিনেমা হল মালিকদের মুখে অঞ্জু বন্দনায় মুখরিত হয়ে উঠলো। কিন্তু তারপরও গানটি অশ্লীলতার অভিযোগে সমালোচিত হলো। একদিকে সমালোচনা আর অন্যদিকে অঞ্জু নিত্য নতুন ছবির গান আর নাচ দিয়ে হ্যামিনিয়নের বাঁশিওয়ালার মতো ঝাঁকে ঝাঁকে দর্শকদের হলমুখী করতে থাকলেন। এভাবে তিনি হয়ে উঠলেন পয়সা ফেরত নায়িকা, এমনও সংবাদ হয়েছে ‘প্রযোজকদের সোনার হাঁস অঞ্জু ঘোষ’।অঞ্জু ঘোষের জন্ম ১৯৫৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙায়, তার ভালো নাম অঞ্জলী ঘোষ, বাবা সুধন্য ঘোষ ও মা বীনাপানি ঘোষ, তারা দুজনই ছিলেন স্থানীর যাত্রা দলের কণ্ঠ শিল্পী, সে হিসেবে ছোট্ট অঞ্জলী ঘোষও সেই যাত্রাদলে অভিনয় করতেন এবং গানও গাইতেন, তবে অভিনয়ের থেকে গানেই বেশি মনোনিবেশ ছিলেন তিনি। এক সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিখ্যাত যাত্রা দল ভোলানাথ অপেরাতেও কিশোরী অঞ্জলী ঘোষ অভিনয় করতেন ও গান গাইতেন। এটা স্বাধীনতা যুদ্ধের আগের কথা, যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে তারা সপরিবারে চট্টগ্রামে চলে আসেন এবং সেখানেও বিভিন্ন যাত্রা পালাতে নাচ-গান এবং অভিনয়ে নিয়মিত হয়ে গেলেন। বিখ্যাত ‘রূপবান’, ‘সাত ভাই চম্পা’সহ বেশ কিছু জনপ্রিয় পালা করে অঞ্জলী তখন এক শ্রেণির দর্শকদের কাছে পরিচিত এক নাম। সে সময় যাত্রাপালার জনপ্রিয় অভিনেতা পঙ্কজ বৈদ্য’র সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করেন তিনি, আর এই পঙ্কজ বৈদ্যই পরবর্তীতে ‘মীমাংসা’, ‘উজান ভাটি’সহ বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন।যাই হোক…তেমনি একটি মঞ্চে পরিচালক এফ কবির চৌধুরীর নজরে পড়েন অঞ্জলী। কবীর সাহেব আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন, মঞ্চে প্রথম দেখাতেই অঞ্জলী ঘোষকে সিনেমার নায়িকা বানানোর চিন্তা ভাবনা করে ফেলেন তিনি। সরাসরি নায়িকা হওয়ার প্রস্তাবও দেন। ‘রাজমহল’, ‘শীষনাগ’, ‘রাজ নন্দিনী’, ‘রাজকন্যা’, ‘সুলতানা ডাকু’র মতো বিগ বিগ হিট ছবির পরিচালক এফ কবীর চৌধুরীর নাম ডাক তখন বিনোদন জগতে দারুণভাবে সুপরিচিত। এমন একজনের কাছ থেকে সরাসরি নায়িকা হয়ে অভিনয়ের প্রস্তাবে না করার সাহস কখনই ছিল না অঞ্জলীর। কারণ তখন যে তাকে চলচ্চিত্র ডাকছে অঞ্জু ঘোষ হয়ে পর্দা কাঁপাতে। ঠিকই ‘সওদাগর’ (২৮/০২/১৯৮২) ছবিতে নাচ-গান-অভিনয়ে দর্শকদের মাতওয়ারা করতে। প্রথম ছবিটিই হয়ে যায় বাম্পার হিট, সেই সঙ্গে অঞ্জু জানান দেন বেড়াতে নয় বরং সিনেমার পর্দা কাঁপাতে এসেছেন তিনি।প্রথম ছবির অভাবনীয় সাফল্যের পর তার মুক্তি পায় মহিউদ্দিনের সেই বিখ্যাত ছবি ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ (৩০/০৭/১৯৮২)। ঝলমলে চরিত্র থেকে একেবারে সাধারণ গ্রাম্য চরিত্রে অঞ্জুকে দেখে যারপরনাই অবাক হয়েছিল তখনকার দর্শক। কিছুতেই মিলাতে পারছিলেন না কদিন আগে দেখা সমুদ্রপারের সেই আবেদনময়ী অঞ্জুকে, যারা তার প্রথম ছবির পোশাক-পরিচ্ছেদ নিয়ে সমালোচনা করেছেন সেই তাদের অঞ্জু তার সুনিপুণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে কড়া জবাব দিলেন। এই ছবিটিও হয়ে যায় সুপারহিট, সেই সঙ্গে সমালোচকদের দৃষ্টিতে অঞ্জু হন প্রশংসিত।পরের ছবি ‘রাজ সিংহাসন’ও (০৭/১০/১৯৮২) হলো সুপারহিট, পরপর তিন ছবির সফলতায় হ্যাটট্রিকের খেতাব পেলেন তিনি। এরপর ‘আবেহায়াত’, ‘প্রাণ সজনী’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘ধন দৌলত’, ‘আশীর্বাদ’, ‘পদ্মাবতী’, ‘জালিম’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘রাজদণ্ড’ ‘নরম-গরম’, ‘রাই বিনোদিনী’, ‘রাজকুমারী’সহ টানা পনেরোটি ছবি সুপারহিট ব্যবসা করে যা একটি রেকর্ডও বটে। তবে এই ধারাবাহিকতা তিনি টানা ধরে রাখতে পারেননি। ১৯৮৭ সালের শেষের দিকে ক্যারিয়ারে বেশ ছন্দ পতন ঘটে। দু-একটি ছাড়া একটানা বেশ কিছু ছবি ফ্লপের খাতায় উঠে।চিন্তিত অঞ্জু ঠিকই নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখেন এবং ফিরে আসেন ১৯৮৯ সালের বিখ্যাত ‘বেদের মেয়ে জোছনা’র জোছনা হয়ে দর্শকদের ভালোবাসায় পূর্ণ হতে, হলেনও তাই। ছবিটি শুধু বিগ হিটই নয় বরং দেশের সর্বকালের সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে এখনো বীরদর্পে টিকে আছে, কথার চল আছে ছবিটির এমন রেকর্ড নাকি কখনই ভাঙার নয়। ভাগ্যবান হয়তো একেই বলে, দেশ সেরা ব্যবসাসফল ছবির নায়িকা হিসেবে তার নাম লেখা থাকবে স্বর্ণাক্ষরে।অঞ্জু যে ধরনের চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে আসেন তখন তার সমসাময়িক রোজিনা-অলিভিয়ারা সে অঙ্গন দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। এখানে বোঝানো হয়েছে ফোক ফ্যান্টাসি ছবিগুলোকে, সে ক্ষেত্রে অঞ্জুর প্রথম ছবির (সওদাগর) সাফল্যে যেন তাদের ভিত কিছুটা হলেও নাড়িয়ে দেয়। রোজিনা-সুচরিতারা সংকট কাটিয়ে উঠলেও অলিভিয়া চলে যান অন্তরালে। অঞ্জু-ওয়াসিম জুটির একচেটিয়া সফলতার কাছে অলিভিয়া-ওয়াসিম জুটি অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। সেই সঙ্গে জুটি নির্ভর অলিভিয়াও চলচ্চিত্রে অনিয়মিত হয়ে যান। অঞ্জু বাংলাদেশ ষোলো বছর ক্যারিয়ারে ১২৭/২৮টি ছবিতে অভিনয় করেন। সুপারস্টার ওয়াসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন ও জাভেদের সঙ্গে তার জুটি গড়ে উঠেছিল। যার মধ্যে ওয়াসিমের সঙ্গেই তার সফলতার হার ছিল বেশি। এ জুটির বেশির ভাগ ছবিই ছিল সফল, বিশেষ করে ‘সওদাগর’, ‘আবে হায়াত’, ‘প্রাণ রজনী’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘পদ্মাবতী’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘নরম-গরম’, ‘কোরবানি’, ‘সোনাই বন্ধু’, ‘সতী নাগকন্যা’ অন্যতম।অঞ্জু অভিনয়ের পাশাপাশি কিছু চলচ্চিত্রে গানও গেয়েছেন। এমনও শোনা যায়, কিছু ছবিতে সহযোগী সুরকার হিসেবে কাজও করেছিলেনভ তবে এর সঠিক কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তার সকণ্ঠের গানের মধ্যে ‘নরম-গরম’ ছবিতে কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে ‘ওরে ও বাঁশিওয়ালা’ এখনো শ্রোতাপ্রিয় হয়ে আছে। অঞ্জু দুটি ছবি প্রযোজনাও করেছিলেন, যার মধ্যে জাভেদকে সঙ্গে নিয়ে ‘বসন্ত মালতী’ অন্যতম।নব্বই পরবর্তীতে একঝাঁক নতুন মুখের আগমনে সিনিয়র কিছু অভিনেত্রী অনেকটা নিশ্চুপ হয়ে পড়ছিলেন অঞ্জুও ছিলেন তাদের দলে। ঢাকায় বাজার মন্দা থাকলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। ১৯৯৬ সালে কলকাতাতে চলে যান এবং পরবর্তীতে সেখানকার চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে থিতু হন। বর্তমানেও তিনি সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।অঞ্জু ঘোষ সম্পর্কে একটি চমকপ্রদ তথ্য না দিলেই নয়, তা হলো, তিনিই দেশীয় একমাত্র অভিনেত্রী যিনি নিজের অভিনীত চলচ্চিত্রের রিমেকেও নায়িকা হয়েছিলেন। ছবিটির নাম কী?অঞ্জু অভিনীত ছবির জনপ্রিয় গান: এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না, ওরে ও বাঁশিওয়ালা, এই নিশি রাইতে, জলসা ঘরের মাতাল হাওয়ার তুফান জেগেছে (নরম-গরম), একটি রাতের গল্প তুমি (মর্জিনা), মনেরই ছোট্ট ঘরে, ওরে মন চোরা, জানি না অবুঝ মন কী যেন চায় (সওদাগর), পদ্মাবতী বেদেনী হবে নাকি ঘরনি, নয়ন জুড়ে আছে স্বপন, ঘোমটা খুলে দিলাম দেখো না (পদ্মাবতী), পায়ের মাপ দাও (রাজ সিংহাসন), মেঘ যত ছিল মনে (খেলার সাথী), কে তুমি হে জনাব (তিন বাহাদুর), এতদিন যারে আমি খুঁজেছি (মহাশত্রু)।এ কী আগুন জ্বলে, ওগো সাথী আমার তুমি কিছু বলো না, আমি জানতাম তুমি আসবে (মর্যাদা), পরদেশি বন্ধু আমায় পাগল করিলো (সোনাই বন্ধু), বাঁশরিয়া না হইয়া যদি হইতাম (চন্দনা ডাকু), বন্ধুরে রাখো তোমার বুকে ধরিয়া (সতী নাগকন্যা), তুমি আমারই আমারই থাকবে (ন্যায় যুদ্ধ), দিন কাটে যেমন তেমন, আজকের এই চাঁদের আলো (সোনার সংসার), আমার নাম মর্জিনা (রক্তের বন্দী), কিছুটা তোমার আর কিছুটা আমার (রাজদণ্ড), এই মন চলেছে ভেসে (বিসর্জন)।চাকবুম চাকবুম, পিরিতের কলসী পেলে, আমার প্রেমের মুকুট (আবে হায়াত), ঐ চাঁদ সাক্ষী রবে (পদ্ম গোখরা), জীবনের সাধ হলো আরও একবার (সততা), এই আগুন নয় সেই আগুন (ফুলন), আমি তোমায় ভালোবাসি, এক্কা দোক্কা ছক্কা, সাক্ষী থেকো বাঁকা চাঁদ, ফুল বাগিচায় ফুটেছে (মহুয়া সুন্দরী), মুছে গেল মুছে গেল নয়নেরও জল (মালাবদল), কত রঙ্গ জানোরে (রাই বিনোদিনী), আমার মনের বেদনা, সইতে পারি না ওরে (সোনাই বন্ধু), ও সোহেলিয়া, ওরে ও প্রিয়তমা শবনম, প্রেমেরও বাগানে ফুল ফুটেছে (আসমান জমিন)।দিনে বিরতি রাতে পিরিতি (মানিক রতন), একা ছিলে বলে দেখা দিয়েছি (জনি ওস্তাদ), ওরে ও পরদেশি বাবু (আমানত), একা একা লাগে (বাহার), আমার শরম শরম লাগে, কথা দাও ও সজনী (প্রতিবাদ), আমি তোমারই প্রেম ভিখারি, মনটা যদি খোলা যেন (চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা), আশায় আশায় দিন কেটে যায়, তুমি চিরসাথি হয়ে এলে জীবনে (মহান বন্ধু), পাখিরে তুই দুরে থাকলে (কালো গোলাপ)ও গাঙ্গের পানি (বসন্ত মালতী), বেদের মেয়ে জোছনা আমায় (বেদের মেয়ে জোছনা), চাঁদের সাথে আমি দেব না (আশীর্বাদ), শিশুকাল ছিল ভালো, প্রেম সাগরে ঝাঁপ দিওনা, কী যাদু করিলা (প্রাণ সজনী), তুমি ছিলে মেঘে ঢাকা চাঁদ (দায়ী কে?), জনম জনমের সাথী আমরা দুজন (পুস্পমালা), ওগো মন ভোলা (আদেশ), লোকে কয় কয় ভালোবাসা ভালো নয় (কুসুম পুরের কদম আলী), বন্ধু কোন দোষেতে (অচিন দেশের রাজকুমার), পদ্মাবতী বেদেনী হবে নাকি ঘরনি (পদ্মাবতী), ভালোবাসি তোরে বন্ধু, বুকেরই ভিতরে রাখিবো তোমারে (আমানত), তুমি আমার হবে, আহা গুনি জনে দেখি কয় (বিচ্ছেদ), ও চোখে কী যে নেশা (আন্দাজ)।
যে কারনে বিবাহিত পুরুষের প্রতি নারীরা বেশি আকৃষ্ট হয়
ইকবাল সিরাজী ,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বিবাহিত পুরুষের প্রতিই নারীরা বেশি আকৃষ্ট হন, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায়। তাদের মতে, প্রায় ৯০ শতাংশ নারী এমন পুরুষদের পছন্দ করেন যারা বিবাহিত।‘জার্নাল অব হিউম্যান নেচার’ নামক একটি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি তত্ত্ব অনুযায়ী একে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ‘সঙ্গী নির্ণয়ের অনুকরণ’ বলে।এই তত্ত্ব অনুসারে, অনেক ক্ষেত্রেই একজন নারী অন্য একজন নারীকে অনুকরণ করেন। সাধারণত অল্পবয়সী নারীরা বিবাহিত বা অন্য সম্পর্কে থাকা পুরুষদের অভিজ্ঞ ও সুরক্ষিত মনে করেন।গবেষকদের মতে, শারীরিক আকর্ষণের থেকেও নারীরা মানসিক আকর্ষণকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। জেনে নিন কী কী কারণে নারীরা বেশি আকর্ষিত হন বিবাহিত পুরুষদের প্রতি-
>> একজন পুরুষ যখন কোনো নারীর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠেন তখন অন্য নারীরাও তাঁকে আকর্ষণীয় ব্যক্তি বলে মনে করেন। অন্য নারীর অভিজ্ঞতাই ওই পুরুষের প্রতি কারও আকর্ষণের কারণ হতে পারে।
>> বিবাহিত পুরুষরা বেশি নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেন অধিকাংশ নারী। কারণ ওই পুরুষ একটি সম্পর্কে তার নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। আর অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী পুরুষের প্রতি নারীরা সহজেই আকৃষ্ট হন।
>> এমনকি বিবাহিত পুরুদের অভিজ্ঞতা ও পরিণতমনস্কতা অনেক ক্ষেত্রেই আকৃষ্ট করে নারীদের। সম্পর্কের বিভিন্ন মোড় সামলে নিতে বিবাহিত পুরুষরা অবিবাহিতদের চেয়ে বেশি সক্ষম বলে মনে করেন নারীরা। এমনটাই মত গবেষকদের।
>> বিবাহিত বা একবার সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন পুরুষরা বারবার সম্পর্কে জড়াতে দ্বিধাবোধ করেন। যা সম্পর্ককে স্থায়ীত্ব দিতে পারে। অন্যদিকে অবিবাহিত পুরুষদের চঞ্চলতা অনেক ক্ষেত্রেই নারীদের পছন্দসই নয়।
>> বিবাহিত পুরুষদের পরকীয়ায় জড়ানো বড় এক ঝুঁকি। যখন কোনো পুরুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, তার মানে হলো, দ্বিতীয় নারীর জন্য বড়সড় ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত তিনি। এই নিষিদ্ধ আকর্ষণে অনেক নারীই আকৃষ্ট হন বিবাহিত পুরুষদের প্রতি।
৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী
৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী
মাহমুদ খাঁন নির্বাহী সম্পাদকঃ
সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে, মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন চৌধুরী। ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি মনোয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ,ফ,ম বাবুল (বাবু), নোয়াখালী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দুলাল, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিপি বাহার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান খলিল, ৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইন্জিনিয়ার আব্দুর রহিম,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাবুল মেয়া (বাবলু)
৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহজাহান, উপজেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি মাহমুদ খান, ,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার পিন্টু,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন।
৮ নং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শওকত আকবর ও যুবলীগ,ছাত্রলিগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।আরো ছিলেন স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর দৈনিক নোয়াখালী সময় কে বলেন, আমি জনগণের সুখে দুখে তাদের পাশে ছিলাম, এখনও আছি, আগামীতে ও থাকব। করোনা মহামারীতে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের জনগণের পাশে থাকতে। তিনি বলেন,সরকারের দেওয়া সহযোগিতার পাশাপশি আমি ব্যক্তিগতভাবেও অসহায় কর্মহীনদের সহায়তা করেছি।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোনাপুরকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত আধুনিক ইউনিয়ন পরিনত করার জন্য আমি কাজ করে চলেছি। ইনশাল্লাহ তা অব্যাহত থাকবে কিছু কাজ চলমান আছে অচিরেই সে কাজগুলো সমাপ্ত হবে।
আলমগীর হোসেন চৌধুরী এলাকাবাসী দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবগঠিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম।
সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবগঠিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম।
মাহমুদ খাঁনঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এ সভায় আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি বলেন, জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকরা সততার মাধ্যমে সত্য সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার করবে এটাই স্বাভাবিক। অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে বাধা আসতেই পারে, তা ভেবে কলম বন্ধ রাখলে চলবে না। উন্নয়ন সাংবাদিকতার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়ন এবং অর্জন সমূহ গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।
মতবিনিময়ে অংশ নেন,সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি খোরশেদ আলম শিকদার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মানিক, সহ-সভাপতি মাহমুদ খাঁন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মাহমুদ, মাকসুদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ করিম,কোষাধ্যক্ষ সেলিম মিয়া (যুগান্তর),সমাজকল্যাণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ,ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেল্লাল হোসেন নাঈম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তাজুল ইসলাম মানিক, চ্যানেল আই নোয়াখালী প্রতিনিধি আলা উদ্দিন শিবলু, যমুনা টিভি নোয়াখালী প্রতিনিধি সবুজ, সাংবাদিক বদিউজ্জামান তুহিন, ইয়াকুব আল মাহমুদ প্রমুখ সাংবাদিক বৃন্দ।
ওয়েভ দুনিয়ায় ভাইরাল পরীমণি ইস্যুতে আগুনে যেন ঘি ঢাললেন কেন্দ্রী আ’লীগ উপদেষ্টা জয়নাল হাজারী
ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণি ঢাকা বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে থানা-পুলিশ হয়েছে এবং এ ঘটনার একাধিক ভিডিও ভাইরালের পর মানুষের মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখাগেছে নেটদুনিয়ায়। এ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন হাজারীও। তিনি নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে এক লাইভে বলেছিলেন, পরীমণি বোট ক্লাবের ঘটনার পর থানায় গিয়েছিলেন মামলা করতে। তবে পরীমণি অসংলগ্ন মাতাল ছিলেন বলে সেই মমলা নেননি থানার ওসি । আমার প্রশ্ন হচ্ছে, সে যদি মাতাল হয়- তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করার নিয়ম। কিন্তু তখন তা কেন করা হলো না।হাজারী আরও বলেন, মেয়েটা যদি ওখানে না যেত এই অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটতো না। হ্যাঁ, এটাই ঠিক। এই করোনাকালে পরীমণি রাত তিনটা পর্যন্ত সেই বোট ক্লাবে ছিলো, সে সেখানে ভাংচুর চালিয়েছে বলে ক্লাবটি মামলা করেছে। আমি বলি তাকে তখনই কেন আটক করা হলো না যখন সে মাতাল অবস্থায় থানায় গেছে।’
জীবন সম্পর্কে বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ উক্তি
বিনোদন রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ আমাদের মাঝে নে’ই আনেকদিন পার হয়ে গেল । কিন্তু আমাদের জন্য তিনি রে’খে গেছেন জীবনের অনেক দ’র্শন।১৯৭২ সালে প্র’কাশিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়েই হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যে পালাবদলের তাৎপর্যপূর্ণ ই’ঙ্গিত দিয়েছিলেন।
একের পর জনপ্রিয় উপন্যাস রচনা করে গেছেন। তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া উক্তিগুলো পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধ’রা হলো :
০১-জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বা’স ক’রতে যেও নাও কারণ, যাকেই তুমি বিশ্বা’স করবে সেই তোমাকে ঠকাবে।
০২-ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মু’ক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী ক’রতে চায়।
০৩-সঠিক সিদ্ধা’ন্তের ক্ষ’মতা আছে শুধুই আল্লাহপাকের। মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধা’ন্ত নিয়ে প্রমাণ ক’রতে হয় যে সে মানুষ।
০৪-দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।
০৫-মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই পৃথিবীর আ’সল রূপ দে’খতে পায়।
০৬-কান্নার স’ঙ্গে তো সমুদ্রের খুব মিল আছে। সমুদ্রের জল নোনা। চোখের জল নোনা। সমুদ্রে ঢেউ ওঠে। কান্নাও আসে ঢেউয়ের মতো। যু’দ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু প’রিকল্পনা মতো হয় না।
০৭-যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আম’রা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না…. মনে থাকে হ’ঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।
০৮-কল্পনা শ’ক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে। যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।
০৯-পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষ’মতা থাকে। কোনও পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে স’ঙ্গে স’ঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষ’মতা পুরুষদের নেই।তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোনও মেয়ে যদি বলে- ‘শোন আমা’র প্র’চণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি। ’ তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!’ ১০-মানব জাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নি’রাপদ মনে করে..
১১- পৃথিবীতে সব নারীদের ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু ‘মা’ এর ডাক উপেক্ষা করার ক্ষ’মতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।
১২যে নারীকে ঘুমন্ত অব’স্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী।
১৩-যা পাওয়া যায়নি, তার প্রতি আমাদের আগ্রহের সীমা থাকে না। মেঘ আম’রা স্প’র্শ ক’রতে পারি না বলেই মেঘের প্রতি আমাদের মমতার সীমা নেই।
১৪-মানুষের কষ্ট দেখাও কষ্টের কাজ
১৫-মেয়েদের আ’সল পরীক্ষা হচ্ছে সংসার, ঐ পরীক্ষায় পাশ ক’রতে পারলে সব পাশ!
১৬-তুমি যখন ভালো ক’রতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা ক’রতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমা’র শত্রু জ’ন্মাবে।
১৭-গাধা এক ধ’রনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ-পরিচিতদের গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে। প্রিয় ব’ন্ধুদেরই গাধা বলা যায়। এতে প্রিয় ব’ন্ধুরা রাগ করে না বরং খুশি হয়।
১৮-মিথ্যা বলা মানে আত্মা’র ক্ষয়। জ’ন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মা’র ক্ষয় হতে থাকে। বৃ’দ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মা’র পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।
১৯-কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মতো।
যেভাবে নডাইলের শামসুন্নাহার স্মৃতি হয়ে উঠলেন ঢাকার হিট নায়িকা পরীমনি
সৈয়দ শহিদুল ইসলাম রায়হান, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: প্রকৃত নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি। পরীমনি নামেই সবাই চেনে তাকে। ডানা কাটা পরী কিংবা শুধু-ই পরী নামে ভক্তরা ডাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরীমনির ভেরিফাইড পেইজে প্রায় ৯২ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিনের করা এশিয়ার ১শ ডিজিটাল তারকার তালিকায় রয়েছে পরীমনির নাম। ওই তালিকায় তার সঙ্গে রয়েছে অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, মাধুরী দীক্ষিতের মতো জনপ্রিয় বলিউড তারকাদের নামও। অনলাইনে প্রকাশিত ওই তালিকায় পরীমনি সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ফেসবুকে প্রায় ১ কোটি অনুসারী রয়েছে পরীমনির। তার প্রকৃত নাম শামসুন্নাহার স্মৃতি।সমপ্রতি নতুন করে আবার ‘টক অফ দ্য কান্ট্রি’ পরীমনি। যদিও সেটা ভিন্ন কারণে কিন্তু কে এই পরীমনি তা নিয়ে সকলেরই রয়েছে ব্যাপক কৌতুহল। জেনে নেয়া যাক শামসুন্নাহার স্মৃতি থেকে পরীমনি হয়ে উঠার গল্প: পরীমনি ১৯৯২ সালে নড়াইলে জন্মগ্রহণ করেন। তার নাম ছিল শামসুন্নাহার স্মৃতি। খুব ছোটবেলায় মা এবং পরে বাবাকে হারানোর পর পরীমনি বড় হয়েছেন পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে। সেখান থেকেই তিনি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। ২০১১ সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং বাফায় নাচ শেখেন।মডেলিং থেকে ছোট পর্দায় এবং এরপর রূপালী পর্দায় অভিনয় শুরু করেন পরীমনি। সাধারণত কোনো নবাগত অভিনেতা বা অভিনেত্রীর কোনো চলচ্চিত্র মুক্তি পাওয়ার পর বা ওই চলচ্চিত্র হিট হওয়ার পরই সাধারণ মানুষ ওই অভিনেতাকে চেনেন বা তার সম্পর্কে জানেন। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন পরীমনি।২০১৩ সালের শেষের দিকে প্রথম ছবির শুটিং করেন তিনি। ওই ছবি মুক্তি পাওয়ার আগেই তিনি অভিনয় করে ফেলেন এক ডজনেরও বেশি ছবিতে। এ ছাড়া চুক্তিবদ্ধ হন দেড় ডজন ছবিতে।কে এই পরীমনি? রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায় চারদিকে। কিন্তু অতি অল্প সময়ে এত বেশি সংখ্যক ছবিতে অভিনয় করলেও আলোর মুখ দেখছিল না তার অভিনীত কোনো ছবি-ই। অবশেষে ২০১৫ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারি ঢাকাসহ সারা দেশের অর্ধশতাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় পরীমনির প্রথম চলচ্চিত্র ‘ভালোবাসা সীমাহীন’।রানা প্লাজা (২০১৫) ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বেশি আলোচনায় আসেন পরীমনি। সাভারের রানা প্লাজা ধস এবং ১৭ দিন ধরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া পোশাক শ্রমিক রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাণিজ্যিক প্রেমের সিনেমা ছিল ‘রানা প্লাজা’। এতে রেশমা’র ভূমিকায় অভিনয় করেন পরীমনি। কিন্তু বেশকিছু দৃশ্য, রানা প্লাজা ধসের চিত্রায়ন প্রভৃতি নিয়ে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানালে বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত যে ছবির কারণে পরীমনি আলোচনায় আসেন, সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।কিন্তু এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এরপর অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি ছবি ও বিজ্ঞাপনচিত্রে। পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার।বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পরীমনির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠা এবং সেগুলো ভেঙে যাওয়ার খবর বের হয়। সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গে পরীমনির প্রেম ও বাগদানের খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যদিও বিয়ের আগেই তা ভেঙে যায়।করোনাকালের শুরুতে গেল বছর ৯ই মার্চ অভিনেত্রী ও পরিচালক হৃদি হকের অফিসে কাজী ডেকে বিয়ে করেন পরীমনি ও পরিচালক-থিয়েটারকর্মী কামরুজ্জামান রনি। নিজের বিয়ের খবর জানান দিয়ে পরীমনি লিখেছিলেন, ‘জানেন, আমরা তিন টাকায় বিয়ে করেছি! কিউট না?’ কিন্তু কিছুদিন বাদেই সে বিয়ে ভেঙে যাবার খবর বের হলে পরীমনি নিশ্চুপ হয়ে যান। গণমাধ্যমে বিয়ের প্রসঙ্গ এলে স্বামীর বিষয় যেন না টানা হয় তা বলে দেন। জানিয়ে দেন, বিয়ে নিয়ে তিনি কোনো কথা বলতে চান না। কিন্তু পরীমনি সবসময়ই ছিলেন আলোচনায়।ঈদুল আজহায় সহকারী শিল্পীদের জন্য এফডিসিতে কোরবানি দিয়েও সংবাদ শিরোনাম পরীমনি। বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিতভাবে এ কাজটি করে আসছেন তিনি। সাড়ে তিন কোটি টাকার গাড়ি কিনে আলোচনায় আসেন পরীমনি। করোনাকালে পাঁচ তারকা হোটেলে নিজের জন্মদিন উদ্যাপন করে আলোচনার জন্ম দেন তিনি। গেল এপ্রিলেই চলচ্চিত্র ও বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিংয়ের অবসরে ঘুরে আসেন সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুবাইভ্রমণের বেশকিছু ছবি পোস্ট করেন নিজের ফেসবুক পেইজে। সেসব ছবিতে দেখা যায় পরীমনি দুবাইয়ে কেনাকাটা সেরেছেন বিখ্যাত ফরাসি ফ্যাশন হাউজ লুই ভিঁটোয়। আরেক সন্ধ্যায় দুবাই মলের জমকালো আলোয় মোহনীয় রূপ ধরা দেন। আরেকটি ছবিতে নীল সমুদ্রের বুকে বিলাসবহুল ইয়টে যেমন চালকের আসনে দেখা গিয়েছিল পরীমনিকে তেমনি তপ্ত মরুর বুকে বাজপাখি হাতে ‘এরাবিয়ান স্টাইল’ এ-ও ধরা পড়েন পরীমনি।
চলচিত্রের বেহাল দশায় এখন আর ডাক আসে না তাই বাধ্য হয়ে কৃষিকাজ করছিঃ ইলিয়াস কোবরা
মাহমুদ খাঁন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ইলিয়াস কোবরা। ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক সময়ের পরিচিত খল-অভিনেতা তিনি। এখনো তার অভিনীত সিনেমাগুলো দেখেন অনেক ভক্তই। তিনি মার্শাল আর্ট-নির্ভর সিনেমায় খল চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেন।১৯৮৭ সালে সোহেল রানা পরিচালিত ‘মারুক শাহ’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার আত্মপ্রকাশ। এরপর প্রায় সাড়ে পাঁচ শ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।তবে এখন আর চলচ্চিত্রে তেমন ডাক পান না ইলিয়াস কোবরা। আর ডাক পেলেও পছন্দ না হওয়ায় সে কাজগুলো করেন না।যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র থেকে দূরে রয়েছেন। এসব সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেছেন ইলিয়াস কোবরা। টেকনাফের বাহারছড়ায় গ্রামের বাড়িতে বাগান পরিচর্যাসহ বিভিন্ন কৃষি কাজ করে সময় কাটাচ্ছেন এ খল-অভিনেতা।কৃষি কাজে যুক্ত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ইলিয়াস কোবরা বলেন, কয়েক বছর ধরে সিনেমা নির্মাণ কমে গেছে। সিনেমা না থাকায় এরইমধ্যে অনেক সিনেমা হলও বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তো সিনেমাই নির্মাণ হচ্ছে না। কাজ কমে যাওয়ায় সিনেমার জন্য এখন খুব বেশি ডাক আসে না।তার মধ্যে করোনার কারণে পুরো একবছর সিনেমার কাজ নেই। তাই অনেকটা বাধ্য হয়ে বাহারছড়ায় পেপের বাগান পরিচর্যা করছি। বলতে পারেন কৃষি কাজ করছি।অভিনয়ে নিয়মিত হওয়ার পরিকল্পনা জানিয়ে ইলিয়াস কোবরা বলেন, সিনেমার পরিবেশ স্বাভাবিক হলে এবং আমি যেমন কাজে অভ্যস্ত সে ধরণের কাজের প্রস্তাব পেলে কাজে ফিরব।
দুবাইয়ে বাংলাদেশের অভিনেত্রী পরীমনির বিলাসিতা
কূটনৈতিক রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: চুমুকে চুমুকে জীবনকে উপভোগ করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী পরীমনি। মুক্ত বিহঙ্গের মতোই তার ছুটে চলা। সুযোগ পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন পরী।সোশ্যাল মিডিয়ায় সেসব ট্যুরের স্থিরচিত্র প্রকাশ করেন। করোনাভইরাসে যখন দেশে লকডাউন চলছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন সময়ে পরী অবকাশ যাপন করছেন দুবাইয়ে। ব্যস্ত শিডিউলের ফাঁকে দুবাই উড়াল দিয়েছেন তিনি।দুবাই সফরে গিয়ে বিলাসী সময় কাটাচ্ছেন এ নায়িকা। যে কাজটি কখনও করেননি, এবার সমুদ্রগামী সেই ইয়টের চালক হয়ে বসেছিলেন। ইয়ট নিয়ে নীল সমুদ্রের বুকে বেশ খানিকটা পথও পাড়ি দিয়েছেন। তারই কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে।বৃহস্পতিবার পরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পরী জানালেন জীবনের সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন। বললেন, ‘সত্যিই দুবাই অনেক সুন্দর। মরুভূমির দেশ এতো সুন্দর হতে পারে জানা ছিলো না। বুর্জ খলিফায় গিয়ে তো আমি মুগ্ধ।’সিনেমার নায়িকা পরীমনিকে পর্দায় যেমন রোমান্টিক দেখেন বাস্তবেও তার বিপরীত নয়। সবসময় কোনো না কোনো কিছুর প্রেমে ডুবে থাকেন। সে প্রেম কখনো প্রকৃতির সঙ্গে, কখনো অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোয়, আবার কখনো বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে।এর আগে মরোক্কান পপগায়ক সাদ লামজারেদ এর ছবি দিয়ে পরী জানিয়ে দেন তিনি তার প্রেমে পড়েছেন। তাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেন ফেসবুকে। পরী লিখেন, ‘আই লাভ ইউ, জানুক দুনিয়া।’পরদিন দুবাইয়ের বিলাসবহুল আরমানি হোটেলের আকাশছোঁয়া কক্ষ থেকে গোলাপ হাতে ছবি দিয়ে পরী তার প্রেমের প্রকাশ করেন। গোলাপ হাতের ছবিটি পোস্ট করে ফেসবুকের ক্যাপশনে পরী তখন লিখেন ‘ইউ ফাউন্ড মি।’দুবাইতে বেশ রোমান্টিক মুডে রয়েছেন পরী। ঘুরছেন আর ঘুরছেন। তবে এ ঘোরাঘুরিতে পরীর সঙ্গী হিসেবে কে আছেন সেটা জানাননি এ নায়িকা। তবে গতকাল বাজপাখি হাতের ডানায় বসিয়ে ছবি তোলে পরী আভাস দিলেন দুবাইতে তারাই তার সঙ্গী।পরীমনি এরই মধ্যে শেষ করেছেন ইফতেখার শুভর ‘মুখোশ’ ছবির কাজ। এ ছবিতে রয়েছেন মোশাররফ করিম, রোশানসহ অনেকেই।