২য় পরীক্ষায়ও করোনা পজিটিভ ইসি মাহবুব তালুকদার

163 Views

নজির উল্যাহ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষাতেও করোনা পজিটিভ হয়েছেন। শনিবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন বিষয়টি নোয়াখালী সময়কে নিশ্চিত করেন।কমিশন বৈঠকে বিভিন্ন সময় ভিন্নমত প্রকাশ করে আলোচনায় আসা মাহবুব তালুকদার গত ১৯ জুন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই রাতে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়েছিল। শরীর কিছুটা সুস্থ হলে পরেরদিন ২০ জুন কেবিনে নেয়া হয়।মুহাম্মদ এনাম উদ্দীন আরও বলেন, আজকে শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো স্যারের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এবারও পজিটিভ এসেছে। তবে তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। যদিও বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় তিনি আগে থেকেই ভুগছেন। এর আগে বেশ কয়েকবার ছুটি নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান মাহবুব তালুকদার।

নোভেল কোভিডের টিকা বঙ্গভ্যাক্স পরীক্ষার জন্য বানর ধরতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন গ্লোব কর্মীরা

57 Views

মাহমুদুল হাসান আফ্রিদী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: রোববার সকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী বাজার এলাকায় এ ঘটনার পর ওষুধ কোম্পানির পাঁচজনকে উদ্ধার করে পুলিশ।মানব দেহে প্রয়োগের আগে প্রাণীর দেহে এ টিকার কার্যকারিতা যাচাইয়ের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।গাজীপুরে এ দিন বানর ধরতে যান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের পক্ষে গ্লোবাল টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, ক্যামেরাপার্সন ফাহাদ আল কাদরিসহ তাদের দুই গাড়ি চালক।এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ না দিলেও ‘লাঞ্ছিত’ আনিসুর রহমান জানান, ১০টি বানর ধরার পর স্থানীয় কয়েকজন লোক বানরের জন্য তাদের কাছে ‘টাকা দাবি করেন’। ‘টাকা না দেওয়ায় তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে’ তারা। তাদের কাছ থাকা ‘টাকাপয়সাসহ’ বানরগুলো ছিনিয়ে নেয় স্থানীয়রা বলেও অভিযোগ করেন।এসব ঘটনার ভিডিও ফুটেজ তাদের সংরক্ষণে থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে আইনি ব্যবস্থা নেবেন তারা।এদিকে, ‘উত্তেজিত জনতার রোষানল থেকে’ গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের লোকজনকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়ার কথা জানান শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন।তিনি জানান, বানর ধরার জন্য মন্ত্রণালয় ও বনবিভাগের অনাপত্তিপত্রসহ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস্ লিমিটেডের লোকজনকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।বানর ধরার অনুমোদন প্রসঙ্গে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক তবিবুর রহমান জানান, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ বঙ্গভ্যাক্স বানরের দেহে পরীক্ষার নির্দেশনা দেয়। এজন্য গত ২৬ জুন গ্লোব বায়েটেক লিমিটেড পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে ৫৬টি বানর ধরার আবেদন করে।পরদিন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দীপক কুমার চক্রবর্তী প্রধান বন সংরক্ষককে ‘প্রয়োজনীয় সংখ্যক বানর ধরার এবং ব্যবহারের জন্য চিঠি পাঠান। প্রধান সংরক্ষক সেই সংক্রান্ত একটি কপি তবিবুর রহমানকেও দেন।তবিবুর রহমান বলেন, গ্লোব বায়োটেক গিনিপিগ এবং খরগোসের উপর এ টিকা পরীক্ষার পর বানরের দেহেও প্রয়োগের জন্য এসব বানর প্রয়োজন হচ্ছে। ২৯ জুন থেকে তিন দিন ধরে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান ও সাফারি পার্ক থেকে ৩০টি বানর সংগ্রহ করেছে গ্লোব বায়োটেক।তিনি বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন ও বন কর্মকর্তাদের অবগত না করেই রোববার সকালে বরমী বাজারে বাকি বানর ধরতে গেলে জনরোষে পড়ে তারা।” পরে ‘পুলিশ তাদের উদ্ধার করে’।

মাস্কের মানের ওপর করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নির্ভর করে

87 Views

ইকবাল সিরাজী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: স্বাস্থ্যকর্মীরা যেসব মাস্ক ব্যবহার করেন, সেগুলোর মানের ওপর করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির বড় তারতম্য ঘটে। কেমব্রিজ বিশ্বিবদ্যালয় হাসপাতালের এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের গবেষণার বরাত দিয়ে বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে।গবেষণায় বলা হয়েছে, এফএফপি৩ নামে পরিচিত উন্নতমানের মাস্ক পরলে, তা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। অপর দিকে হাসপাতালের কর্মীদের ব্যবহৃত সার্জিক্যাল মাস্কে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের উন্নতমানের ব্যক্তিগত সুরক্ষাসামগ্রী দেওয়ার দাবি চলে আসছে বেশ আগে থেকে।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে নিয়মিত কোভিড পরীক্ষার সময় এ গবেষণার তথ্য সংগ্রহ করা হয়। গবেষণার ফলাফল পিআর-রিভিউয়ের আগে খসড়া গবেষণাপত্রে প্রকাশিত হয়েছে।গত বছরের অধিকাংশ সময় যুক্তরাজ্যের হাসপাতালগুলো করোনা মোকাবিলার জাতীয় নির্দেশনার আলোকে পরিচালিত হয়। সেখানে কিছু বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া স্বাস্থ্যকর্মীদের সার্জিক্যাল মাস্ক পরতে বলা হয়।এসব মাস্ক হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ড্রপলেট আটকাতে পারলেও বাতাসে ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস কণা আটকাতে পারে না। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব স্বাস্থ্যকর্মী ‘রেড’ ওয়ার্ডে কোভিড রোগীদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন, তাদের ঝুঁকির মাত্রা ‘গ্রিন’ বা নন-কোভিড ওয়ার্ডে দায়িত্বরতদের তুলনায় ৪৭ গুণ বেশি।গবেষণায় নেতৃত্ব দেওয়া ডা. মার্ক ফেরিস বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সব বিধি মেনে চলার পরও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছিলেন। সে কারণে গত ডিসেম্বরে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে কেমব্রিজের ব্যবস্থাপকেরা ‘রেড’ ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষাসামগ্রী উন্নত করার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে একটিমাত্র কাজ বাকি ছিল। তা হলো এফএফপি৩ মাস্ক ব্যবহার এবং তাঁরা সেটা করলেন।এফএফপি৩ মাস্ক খুব আঁটসাঁট হয় এবং বায়ুবাহিত ভাইরাস কণা যাতে আটকে যায়, তা মাথায় রেখেই এগুলো তৈরি করা হয়।মাস্ক বদলের কয়েক সপ্তাহেই স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে সংক্রমণের হার লক্ষণীয়ভাবে কমে আসে। গবেষণার পরিসমাপ্তি টানা হয় এই বলে যে ওয়ার্ডভিত্তিক সংক্রমণের ঘটনা খুবই কমেছে। এফএফপি৩ মাস্ক কোভিড রোগীদের থেকে সংক্রমিত হওয়ার ক্ষেত্রে ৩১-১০০ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়। কেউ আক্রান্ত হলে তাঁর হাসপাতালের চেয়ে বরং লোকালয় থেকে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, তরল আটকাতে সক্ষম সার্জিক্যাল মাস্ক স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত নয়।

বিশ্বনবী হযরতমুহাম্মাদ (সা.) এর ৬ আমলই করোনায় নিরাপদ থাকার সহজ উপায়

351 Views

নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: কুরআনের নির্দেশনা ও হাদিসের যে আমল মেনে চলায় মহামারি করোনামুক্ত পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা; সেই একই আমলের বাস্তবায়নেই করোনাসহ যে কোনো মহামারির আক্রমণ, সংক্রমণ, ক্ষতি ও জীবনহানি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা ও আমলগুলো কী?মহামারি করোনার এ জটিল পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহ তাআলার ছোট্ট একটি নির্দেশনার বাস্তবায়ন খুবই জরুরি। আল্লাহ তাআলা বলেন- وَلاَ تُلْقُواْ بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ‘তোমরা নিজেরা নিজেদেরকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিও না।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৯৫)

এ আয়াতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে হাদিসের ৬টি আমলই যথেষ্ট। এ আমলগুলো যারাই যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলেছে; তারাই নিজেদেরকে ধ্বংসের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে পারবে। থাকতে পারবে করোনামুক্ত। ইনশাআল্লাহ। হারামাইন কর্তৃপক্ষ করোনার শুরুর ‍দিকে এ নির্দেশনাগুলোই জারি করেছিল। তাহলো-

১. দূরত্ব বজায় রাখা

মহামারি করোনায় নিজেদের নিরাপদ রাখতে যথাযথ সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার বিকল্প নেই। আবার যারা করোনায় আক্রান্ত; আলাদা ব্যবস্থাপনায় তাদের চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি সুস্থদের থেকে দূরে রাখাও জরুরি। সংক্রামণ রোগের ক্ষেত্রে হাদিসের নির্দেশনাও এমনই-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- ‘যারা সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত তাদের উচিত যারা সুস্থ তাদের থেকে দূরত্বে অবস্থান করা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

২. বাইরে যতায়াত বা ভ্র্রমণ নিষিদ্ধ

যে কোনো মহামারি ও সংক্রমক ব্যাধিতে আক্রান্ত জনপদের কেউ নিজ নিজ অবস্থান ত্যাগ করতে পারবে না। হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ব্যাপারে জোরালো নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন এভাবে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যখন কোনো শহর/নগর/অঞ্চলে মহামারি প্লেগের বিস্তারের কথা শুনো, তখন সেখানে প্রবেশ করবে না। আর যদি কোনো এলাকায় এর প্রাদুর্ভাব নেমে আসে, আর তোমরা সেখানে অবস্থান কর; তবে তোমরা সেখান থেকে বেরিয়েও যেও না।’ (বুখারি)

৩. সংকটকালে ঘরে অবস্থান করা

যে কোনো মহামারির সময় ঘরে অবস্থানের ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বনবি। মহামারি থেকে বেঁচে থাকতে বাঘের উদাহরণ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুষ্ঠ (মহামারি) রোগী থেকে দূরে থাক, যেভাবে তুমি বাঘ থেকে দূরে থাক।’ (বুখারি)অর্থাৎ লকডাউন মনে করে হোম কোয়ারেন্টাইন তথা ঘরে অবস্থান করা খুবই জরুরি। আর তাতেই যে কোনো জটিল ও কঠিন মহামারি এবং সংক্রামক ব্যাধি থেকে সুস্থ ও নিরাপদ থাকা সম্ভব।

৪. মহামারিতে ঘরে ইবাদত

বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোনো দুর্যোগ কিংবা মহামারিতে ঘরে ইবাদত-বন্দেগির নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশ নিজেদের নিরাপদ রাখতে কুরআনের সেই আয়াতের বাস্তবায়নেরই শামিল। এ কারণেই নামাজ-ইবাদত ঘরে বাস্তবায়ন করে এ নির্দেশ দিয়ে দেখিয়েছেন স্বয়ং বিশ্বনবি-হজরত নাফি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, প্রচণ্ড এক শীতের রাতে হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু যাজনান নামক স্থানে আজান দিলেন। অতঃপর তিনি ঘোষণা করলেন-صَلُّوا فِي رِحَالِكُمْ সাল্লু ফি রিহালিকুম’ অর্থাৎ তোমরা আবাস স্থলেই নামাজ আদায় করে নাও।’পরে তিনি আমাদের জানালেন যে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘লাইহি ওয়া সাল্লাম সফরের অবস্থায় বৃষ্টি অথবা তীব্র শীতের রাতে মুয়াজ্জিনকে আজান দিতে বললেন এবং সাথে সাথে এ কথাও ঘোষণা করতে বললেন যে, তোমরা নিজ বাসস্থলে (ঘরে) নামাজ আদায় কর।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)অর্থাৎ  তীব্র শীত কিংবা বৃষ্টির কারণে নামাজের ওয়াক্তে আজান শুনে তোমাদের মসজিদে উপস্থিত হওয়ার দরকার নেই। ঘরেই নামাজ আদায় কর। ঠিক এই করোনাকলীন সময়ে ঘরে ইবাদত-বন্দেগি করাও কুরআন-সুন্নাহর আমলেরই বাস্তবায়ন।

৫. চিকিৎসা গ্রহণ ও সতর্কতা অবলম্বন

একান্তই যদি কেউ যে কোনো মহামারি বা রোগ-ব্যধিতে আক্রান্ত হয় তবে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বনবি। কুরআন-সুন্নাহর নির্দেশনা অনুযায়ী আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত মানের চিকিৎসা, পথ্য এবং পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। হাদিসের নির্দেশনা হলো- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা এমন কোনো রোগ পাঠাননি, যার আরোগ্যের ব্যবস্থা তিনি দেননি।’ (বুখারি)

৬. ঘন ঘন সাবান-পানিতে হাত ধোয়া: প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওজুর আমলেই বর্তমান মহামারি করোনা থেকে নিরাপদ ও মুক্ত থাকা সম্ভব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এ নির্দেশই দিয়েছে। তাহলো- ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সম্পর্কে অনেক উপদেশ, উপমা ও নির্দেশ দিয়েছেন। যার প্রতিটিই সুস্থতা, পবিত্রতা ও নিরাপদ থাকার দিকে সরাসরি ইঙ্গিত করে। যার দুইটি তুলে ধরা হলো-> রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে রোগ-জীবাণু থেকে মুক্ত ও সুস্থ থাকতে খাওয়ার আগে উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে বলতেন। হাদিসে এসেছে-হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো কিছু খাবার বা পান করার ইচ্ছা করতেন, তখন তিনি উভয় হাত ভালোভাবে ধুয়ে পরিচ্ছন্ন হয়ে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করতেন।’ (নাসাঈ)> একটি উপমা তুলে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, (তিনি বর্ণনা করেন) তোমরা বলো : যদি তোমাদের কারো দরজার (বাড়ির) সামনে দিয়ে নদী প্রবাহিত হয় এবং ওই ব্যক্তি তাতে দৈনিক ৫ বার গোসল করে; তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে?সাহাবাগণ নিবেদন করলেন, ‘কোনো ময়লাই আর অবশিষ্ট থাকবে না।’রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘সুতরাং (দৈনিক) ৫ বার নামাজের দৃষ্টান্ত হলো এই যে, আল্লাহর এর মাধ্যমে গোনাহসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেবেন। (বুখারি ও মুসলিম)অর্থাৎ নামাজের আগে ওজুর মাধ্যমে প্রতিটি অঙ্গ যেমন পরিচ্ছন্ন ও পবিত্র হয় তেমনি প্রতিটি অঙ্গের গোনাহও ওজুর পানির সঙ্গে চলে যায়। আর এ ওজুর মাধ্যমেই সুস্থ ও নিরাপদ থাকা সম্ভব।বর্তমান সময়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানও মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাবে হাদিসের এ ৬টি দিকনির্দেশনা মেনে চলতে জোর দিয়ে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। যারা হাদিসের এ দিকনির্দেশনা যথাযথ মেনে চলবে তাদের তাকদিরে মৃত্যু না থাকলে এ কথা সুনিশ্চিত যে, কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হবে না। আর করোনায় আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর মুখোমুখি হবে না।একান্তই এ নির্দেশনা  মেনে চলার পরও যদি কেউ মহামারিতে আক্রান্ত হয়। তা হবে তার জন্য শাহাদাতের মৃত্যু। হাদিসে এসেছে-‘কোনো বান্দা যদি মহামারি আক্রান্ত এলাকায় অবস্থান করে। আর নিজ বাড়িতে ধৈর্য সহকারে সাওয়াবের নিয়তে এ বিশ্বাস নিয়ে (ঘরে) অবস্থান করে যে, আল্লাহ তাআলা তাকদিরে যা চূড়ান্ত করে রেখেছেন, তার বাইরে কোনো কিছু তাকে আক্রান্ত করবে না, তাহলে তার জন্য রয়েছে একজন শহীদের সমান সাওয়াব।’ (মুসনাদে আহমদ)হাদিসের এ নির্দেশনাগুলো যথাযথ মেনে চলার কারণেই পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা আজও মহামারি করোনা থেকে মুক্ত। সুতরাং মহামারি করোনা থেকে নিরাপদ ও সুস্থ থাকতে হাদিসের এ নির্দেশনাগুলো মেনে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করা জরুরি।করোনার এ সময়ে রাষ্ট্র ঘোষিত নির্দেশনা মেনে চলা, ঘরে অবস্থান করা, অযথা বাইরে বের না হওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সবার জন্য খুবই জরুরি।আল্লাহ তাআলা বিশ্বব্যাপী সবাইকে উল্লেখিত হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। করোনাসহ যাবতীয় মহামারি ও রোগ-ব্যধি থেকে নিরাপদ ও হেফাজত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের করোনা রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার উদ্যেগ

198 Views

নাসির উদ্দিন মাহমুদ, এডিটর ডেইলী দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে করোনায় শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে।এ লক্ষ্যে ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাসপাতাল বেড বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে এসব সামগ্রী হস্তান্তর করেন উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা।এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জায়কার অর্থায়নে করোনা রোগীদের জন্য এ সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে পাওয়া ৬ হাজার লিটারের ১৫টি এবং ১৪শ লিটারের ১৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ৬টি হাসপাতাল বেড ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিক সমূহে স্থাপন করা হবে। এর ফলে এখন থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনায় শ্বাসকস্ট জনিত রোগীদের বিনামূল্যে অক্সিজেন সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে।

নোয়াখালীতে করোনায় ১শ ৫ জনের মৃত্যু: জেলা জুড়ে আতঙ্ক নানা সমস্যায় জর্জরিত কোভিড হাসপাতাল

522 Views

নাসির উদ্দিন মাহমুদ, এডিটর ডেইলী নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে করোনায় ১শ ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলার ১০ থানায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৫৩জন। ৪২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ ফলাফল জানা গেছে। আক্রান্তের হার ১২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অপরদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোম্পানীগঞ্জে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১শ ৫ জন। ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা  ৭ হাজার ১২৪জন। মোট আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। সনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত ৫৩ জনের মধ্যে নোয়াখালী সদরে ৬ জন, সুবর্ণচরে ২জন,  বেগমগঞ্জে ২৩ জন, সোনাইমুড়িতে ৭ জন, চাটখিলে ৩ জন, সেনবাগে ২ জন ও কোম্পানীগঞ্জে ৬ জন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এক হাজার ৩৮০ জন। কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে (শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম) ভর্তি রয়েছেন ১৯ জন ও প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে আছেন ১৯ জন। নানা সমস্যায় জর্জরিত নোয়াখালী কোভিড হাসপাতাল। নোয়াখালীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে জেলা শহিদ ভুলু স্টেডিয়ামের ইনডোরে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১২০ শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরি করা হয়। শুরু থেকে ঔষধ সামগ্রী সহ নিয়মিত অক্সিজেন সরবারাহ থাকলেও করোনা সংক্রামক কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। দ্বিতীয় দফায় মার্চ মাসে হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। ফলে ১২০ শয্যার কোভিড-১৯ হাসপাতালে আসা করোনা আক্রান্ত রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। নেই প্রয়োজনীয় ঔষধ, অক্সিজেন, বিদ্যুৎ ও নিরাপদ পানির। আবার দক্ষ জনবলের অভাবে সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন আইসিউ থেকে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার জন্য করোনা রোগীরা ঘোরাঘুরি করছে লোকালয়ে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোয়াখালীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে অস্থায়ীভাবে স্থাপন করা হয়েছে ১২০ বেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল। প্রতিষ্ঠার এক বছর পার হলেও নানা সমস্যায় জর্জরিত এ হাসপাতালটি। হাসপাতাল গেইটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় করোনা রোগীরা যখন-তখন ঔষধ, পানিসহ প্রয়োজনী সামগ্রী কেনার জন্য মিশে যাচ্ছে সাধারন মানুষের সাথে। সংক্রমনের ভয়ে ক্ষুব্ধ দোকানদার ও এলাকাবাসী। জানা যায়, গেল বছর করোনা মহামারির সময় সরকারীভাবে ঔষধ সরবরাহ ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা থাকলেও এ বছর তা নেই। সংকট রয়েছে নিরাপদ পানি ও বিদ্যুতের জেলায় সংকটাপন্ন রোগীদের জন্য নেই আইসিউ সুবিধা। দক্ষ জনবল ও স্থাপনার অভাবে অব্যবহৃত পড়ে আছে ২টি ভেন্টিলেটর। নুর উদ্দিন সাজু জানান, আমার বোন নার্গিসকে করোনা আক্রান্ত হলে এখানে নিয়ে আসার পর অক্সিজেন স্থাপনের জন্য আমাদের কাছ থেকে ৪শ টাকা চাওয়া হয় অথচ এই জন্য টাকা নেওয়ার কোনো ধরনের নিয়ম নেই আমরা জেনেছি। পরে তাকে ঢাকা আনোয়ার খাঁন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেবা না পাওয়ায় মোহাম্মদপুর সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করে প্লাজমা দেওয়া হয়। আরেক রোগী জানান, আমার আত্মীয় কে আমরা হাসপাতাল থেকে কোন ধরনের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র এখনও পর্যন্ত পাইনি তবে আসার পর থেকে আমাদেরকে মাত্র দুইটি মাক্স প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাস হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, আপনারা যে সমস্যাগুলো কথা বলছেন আমরা ইতিমধ্যেই সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি এবং বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও পানির বিষয়ে আমারা কাজ করছি আর আইসিইউ এর জন্য দক্ষ জনবলের বিষয় ট্রেনিং এর জন্য পাঠানো হয়েছে তারা আসলেই  অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের পর থেকে নোয়াখালীতে এ পর্যন্ত ১শ ৫ জনের মত লোক করোনা ভাইরাসে প্রাণ হারান। নাম প্রকাশে একাধিক নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায়, গত বছরে এই কোভিড হাসপাতালের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা সরকারি বাজেট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্তাবধায়ক সিন্ডিকেট ভাগ ভাটোয়ারা করে নেয়। সাবেক সিভিল সার্জন প্রাইম হাসপাতাল থেকে মোটা অংকের অর্থ ভাগিয়ে নিয়ে কোভিত হাসপাতাল করতে দেননি। এ নিয়ে জেলা জুড়ে মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

নোয়াখালীতে করোনা রকেট গতিতে বাড়ায় জেলা জুড়ে আতঙ্ক

142 Views

আবদুল কাদের, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে দ্বিতীয় ধাপে মহামারি করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেলায় নতুন করে ৮৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজকের আক্রান্তের হার ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ । শুক্রবার (৯ এপ্রিল) রাত পৌনে দশটায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় নোয়াখালী জেলায় নতুন করে ৮৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নোয়াখালী সদরের ২০জন, সূবর্ণচরের ৪জন, হাতিয়ার ০০ জন, বেগমগঞ্জের ২৭জন, সোনাইমুড়ির ৯জন, চাটখিলের ৪ জন, সেনবাগের ৭ জন, কোম্পানীগঞ্জের ৫ জন এবং কবিরহাটের ৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত ৬৫৭৮জন। মোট আক্রান্তের হার ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।তিনি আরো বলেন, জেলায় মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ৫৫২৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় কোন মৃত্যু নাই। এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ৯৩জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিম ৪১ শতাংশ।  গত ২৪ ঘন্টায় স্যাম্পল প্রেরণ ৬২৮ জন। আজকের প্রাপ্ত ফলাফল ৬২২জন। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ  ৮৪জন এবং নেগেটিভ ৫৩৮জন। জেলা স্বাচিপ সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খান বলেন, এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে বিপদের শঙ্কা দেখা দিতে পারে। তাই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার তাগিদ দেন তিনি।

১৪ এপ্রিল থেকে আসছে সর্বাত্মক লকডাউন: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

150 Views

ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করায় আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সরকার এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন নিয়ে ভাবছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।শুক্রবার সকালে সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংয়ে সর্বাত্মক লকডাউনের ইঙ্গিত দেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমন অবস্থায় সরকার জনস্বার্থে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।’গত বছরের ৮ মার্চ বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়লে ২৩ মার্চ প্রথমবার সাধারণ ছুটির ঘোষণা করেছিল সরকার। ওই সময় সব অফিস আদালত, কল-কারখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। ছুটির মধ্যে সব কিছু বন্ধ থাকার সেই পরিস্থিতি ‘লকডাউন’ হিসেবে পরিচিতি পায়।করোনার সংক্রমণ কমে আসায় আস্তে আস্তে সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকে। মার্চের শেষ দিকে করোনা পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে সারাদেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত সাত দিনের নিধিনিষেধ শুরু হয়। এর আওতায় মানুষের কাজ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে দেশের প্রতিটি সিটি এলাকায় যান গণপরিবহন চালু এবং শুক্রবার থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন অবস্থার মধ্যে শুক্রবার করোনার সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়টি জানান ওবায়দুল কাদের।সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার। সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমতাবস্থায় সরকার জনস্বার্থে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তাভাবনা করছে।ওবায়দুল কাদের বলেন, চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয় না।

নোয়াখালীতে নোভেল কোভিড-১৯ টিকার ২য় ডোজ শুরু  

127 Views

আবদুল কাদের, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে আগামীকাল থেকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু  । বুধবার (৭ এপ্রিল) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার। বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হবে। যারা প্রথম দিকে টিকা নিয়েছেন অর্থাৎ প্রথম ডোজ নিয়েছেন কেবল তারাই দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে পারবেন। তারা কোনো এসএমএস না পেলেও টিকা কার্ডসহ নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) টিকা নিতে পারবেন।  নোয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, ৭ এপ্রিল পর্যন্ত নোয়াখালীতে প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৮৪ হাজার ৭৩৫ জন। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৫৯৮ জন পুরুষ এবং ৩০ হাজার ১৩৭ জন নারী। এছাড়া প্রথম ডোজের টিকা প্রদানও চলমান থাকবে। প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। নির্ধারিত দিনে নির্ধারিত কেন্দ্রে টিকা নিতে হবে। টিকা কার্ড হারিয়ে গেলে কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে অনলাইন থেকে আবার উঠানো যাবে। নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ ৫৬ হাজার নোয়াখালীতে আসবে আগামী ৯ এপ্রিল । বর্তমানে আমাদের কাছে পূর্বের ২০ হাজার ডোজ টিকা রয়েছে। এই ২০ হাজার থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন দুই মাস পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন।

ফের নোয়াখালীতে ব্যবসায়ীদের লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ

211 Views

এ,বি সিদ্দিক, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে  ব্যবসায়ী ও কমর্চারীরা। মঙ্গলবার  (৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে  উপজেলার সোনাইমুড়ী বাজার এলাকায় ওই বাজারের  ২ শতাধিক দোকান মালিক ও কর্মচারীরা মিলে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। লকডাউনে দোকানপাট ও শপিং মল বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে তারা এই বিক্ষোভ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেয়, ‘লকডাউন মানি না, মানব না’, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানব, দোকানপাট খুলব’। ব্যবসায়ীরা ফয়সাল জানান, গত বছরের লকডাউনে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এবার ঈদের আগে লকডাউন থাকলে তাদের ব্যবসায় ধস নামবে। তাদের কথা, ‘সবই চলছে। সবাই রাস্তায়। তাহলে আমরা কেন লকডাউনের শিকার হব? শুধু আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন?’ ব্যবসায়ীরা বলছেন, সারা বছর ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যবসার পরিকল্পনা করেন। এ সময়ই সবচেয়ে বেশী বিক্রি হয়। সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন জানান, সোনাইমুড়ী বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীদের লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। উল্লেখ্য, এর আগে লকডাউনের প্রথম দিনে গতকাল সোমবার জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী বাজারে দুপুর ১২টার দিকে ব্যবসায়ীরা লকডাউন বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করে।