নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া চারটি পরিবারের পাশে ইউপি চেয়ারম্যানঃ আলমগীর হোসেন চৌধুরী

158 Views

মাহমুদ খাঁনঃ: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের বালিয়া বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া চারটি পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ,খাদ্য ও বস্ত্র সহায়তা বিতরণ করেন ৮ নং সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী।
গতকাল বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী চার পরিবারের সদস্যদের হাতে শুকনো খাবার ও পরিধানের বস্ত্র তুলে দেন। এই সময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ,এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সদস্যরা।

উল্লেখ গত রবিবার(০৭মে) সন্ধা আনুমানিক ৬:৩০ মিনিটে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে চারটি পরিবারের ৮টি বসতঘরে এ অগ্নিকান্ড ঘটনা ঘটে।
এসময় চারটি বসতঘর একসাথে হওয়ায় মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে ঘর গুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বসতঘরে থাকা লোকজন প্রাণে রক্ষা পেলেও তারা কোনো ধরণের জিনিসপত্র,নগদ টাকা,ও স্বর্ণালংকার ওইসব বসতঘর থেকে বের করতে পারেনি।

পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে ওইসব পরিবারের প্রায় ৮০ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার দাবী করেছেন। বর্তমানে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ চার পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
৮ নং সোনাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনার ক্ষতিগ্রস্থ চার পরিবারের জন্য আমার ব্যক্তিগত পক্ষথেকে প্রাথমিক ভাবে শুকনো খাবার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের পরিধানের জন্য বস্ত্র তুলে দিয়েছি।।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তালিকা তৈরি করে উপজেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের অনুদান পাওয়ার সাথে সাথে তা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের কাছে প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।

বঙ্গবাজারে প্রায় ৬ হাজার দোকান পুড়ে ছাই

1,146 Views

মাহমুদ খাঁনঃ রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়বাহ আগুনে ছয়টি মার্কেটের পাঁচ থেকে ছয় হাজার দোকান পুড়ে গেছে। দোকান মালিকসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিগস্ত হয়েছে।বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এনেক্সকো টাওয়ারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম এমনটা দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, দৈনিক নোয়াখালী সময়কে বলেন,ঈদ উপলক্ষ এ মাসে মালিকরা মালামাল রির্জাভ করে রেখে ছিল ব্যবসায়ীরা। সবার স্বপ্ন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ হয়ে গেলো।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কোনো অবস্থা নেই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ কর্মরত ছিলেন। ঈদের আগে সব দোকানে মালামাল তোলা হয়েছিল। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা যাবে না।’

এর আগে আজ ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। ৫১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

এদিকে বঙ্গবাজারের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে। সেই আগুনে পুড়েছে হেড কোয়ার্টারের ভেতরের চারতলা পুলিশ ব্যারাক ভবন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ভেতর পুলিশ ব্যারাকের চারতলা ভবনে আগুন লেগেছে। এতে ওই ভবনের সবকটি কক্ষ পুড়ে গেছে। ১১টা ১৫ মিনিটে জলকামান এসেছে। ফায়ার সার্ভিস পানি দিয়েছে। ভবনটি মহানগর শপিং কমপ্লেক্স লাগোয়া।

প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টায় কয়েকটি মার্কেটের কয়েক হাজার দোকান পুড়িয়ে নিয়ন্ত্রণে আসে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোয়াখালীতে জানাজায় থেকে ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু ও ৪ জন গুরুতর আহত

806 Views

মাহমুদ খাঁনঃ নোয়াখালীর সদর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজার বুধবার (মে-২৬) দুপুর ২ টার দিকে মাইজদী-রাজগঞ্জ সড়কে রাজগঞ্জ বাজারের সামনে যাত্রীবাহী সিএনজি ও রোগীবাহী এম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে।

এই দুর্ঘটনায় এক (মহিলা-৫৫) নিহত ও (মাসুম-৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন।

আহত মাসুম লক্ষ্মীপুর জেলার ১২নং ইউনিয়ন, ২ নং ওয়ার্ডের মাইজ্জা হুজুর বাড়ির মাওলানা ইয়াহিয়া খান এর ছেলে। বাকি চারজনের পরিচয় জানা যায়নি।

সিএনজিতে থাকা আহত মাসুম দৈনিক নোয়াখালী সময় কে জানান,
সোমবার (২৫-মে) তার ফুফা মারা গিয়েছেন তার জানাজায় শেষে সিএনজিযোগে বাড়িতে ফেরার সময় হঠাৎ রাজগঞ্জ বাজারের সামনে অ্যাম্বুলেন্সটি ভিশন গতি নিয়ে তাদের সিএনজির মধ্যে আঘাত হানে। সিএনজিটি রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে যায়, এলাকার লোকজন এসে সিএনজি থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে বের করেন।
তাৎক্ষণিক এলাকার লোকজন আহত মাসুম সহ সিএনজিতে থাকা বাকি চারজনকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালে নেওয়ার পথে সিএনজিতে থাকা এক বৃদ্ধ মহিলা মৃত্যুবরণ করেন।

বাকি চারজনকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সদর হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের ডাক্তার হাসান মাহমুদ তিনি চারজনের মধ্যে মাসুমের অবস্থা গুরুতর বিদায় মাসুমকে ইমার্জেন্সি এক্সরে করান । এক্সরে রিপোর্টে মাসুমের পায়ের হাড় ভেঙ্গে অন্য জায়গায় সরে গিয়েছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ।

তাই বিলম্বিত না করে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

নোয়াখালী সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহেদ উদ্দিন (ওসি) জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন তবে কেউ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেনি।