মাহমুদ খাঁন,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃবিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাম্প্রতিক সব বক্তব্য অনলাইন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে হাইকোর্ট নির্দেশ দেবার প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল৷ বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।এই আদেশকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এতে বিচারকাজ বন্ধ হয়ে যায়।সোমবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেওয়ার সময় তারেক রহমানের আইনজীবীরা আদালতে জ্যেষ্ঠ বিচারপতির উদ্দেশে বলেন, আপনার প্রতি আমাদের অনাস্থার বিষয়টি প্রধান বিচারপতি বরাবর দিয়েছি। বিষয়টি আপনি জানেন। এই অবস্থায় আপনি এ বিষয়ে আদেশ দিতে পারেন না।এ সময় আইনজীবীরা শেম শেম বলে চিৎকার করেন। সকালে সাড়ে ১০টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত আইনজীবীদের ব্যাপক হট্টগোল ও চিৎকারের একপর্যায়ে বিচারপতিরা এজলাস কক্ষ ত্যাগ করেন।আদালতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক মাহবুবউদ্দিন খোকন, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক বদরুদ্দোজা বাদল ও রুহুল কুদ্দুস কাজল বক্তব্য রাখেন।শুরুতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, “আমরা আপনার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির কাছে অনাস্থা জানিয়েছি। আপনি বায়াসড, পক্ষপাতদুষ্ট। আপনার কাছ থেকে আমরা ন্যায় বিচার পাব না। এ কারণে আপনার কোর্টে তারেক রহমানের কোনো মামলা চলতে পারে না।”এ সময় বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বলেন, “আপনারা আমার কথা শোনেন।”তখন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, “আপনি তো আবেদন শোনেননি। আপনি শুনানি না করেই ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদেশ দিলেন। এটা আপনি করতে পারেন না। কোর্টের পরিবেশকে আপনি নষ্ট করে দিচ্ছেন। আপনি ইনজাস্টিস করছেন।”কাজলের বক্তব্যের পরপরই ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, “আমাদের বক্তব্য আপনার শুনতে হবে। আমাদের বক্তব্য না নিয়ে কোনো অর্ডার পাস করতে পারেন না। আপনি কি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নীল-নকশার রায় দেওয়ার জন্য বসেছেন? আপনি বিচার বিভাগে অরাজকতা সৃষ্টি করছেন।”এরপর বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বলেন, “আমাদের আদেশের বিরুদ্ধে আপনারা আপিল বিভাগে যেতে পারেন।”বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা তাঁকে পক্ষপাতদুষ্ট বিচারক বলে চিৎকার করতে থাকেন। কোর্টে উপস্থিত আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের আদালতের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানাতে থাকেন।সোয়া ১১টায় বিচারপতিরা আদালত কক্ষ ত্যাগ করলেও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালত কক্ষে অবস্থান করেন। দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত আদালতে অবস্থান করে তাঁরা চলে যান।ফেসবুক-ইউটিউব থেকে তারেকের বক্তব্য সরানোর নির্দেশ সকাল সাড়ে ১০টায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে তারেক রহমানের বক্তব্য ফেসবুক-ইউটিউব থেকে সরানোর নির্দেশনা চেয়ে আবেদন গ্রহণ করে হাইকোর্ট বেঞ্চ।তারেকের বক্তব্য ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) পদক্ষেপ নিতে আদেশ দেয় আদালত।এর আগে তারেকের বক্তব্য প্রচার বন্ধে দায়ের করা রিটে সম্পূরক আবেদন করে বক্তব্য অপসারণ করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আইনজীবী কামরুল ইসলাম ও আইনজীবী সানজিদা খানম এ আবেদন উপস্থাপন করেন।আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা এ আবেদনটি করেছিলেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।যা বললেন দুই পক্ষের আইনজীবী আদালত থেকে বের হয়ে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের বলেন, “কয়েক দিনের কার্যক্রমে মনে হয়েছে, প্রিসাইডিং জজ পক্ষপাতদুষ্ট। তাই প্রধান বিচারপতি বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়েছি। আবেদনে মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তর করার জন্য বলেছি।”অন্যদিকে রিট আবেদনের পক্ষে থাকা আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “তারা (বিএনপিপন্থী আইনজীবী) অযাচিতভাবে কোর্টের কার্যকলাপকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন। তারা কোনোভাবে পার্টি নন (মামলায় পক্ষভুক্ত না)। তারা এত উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছে, যে কারণে আদালত নেমে গেছে। এটা আদালত অবমাননার শামিল।”এর আগে গত ১৩ আগস্ট প্রিন্ট, ইলেকট্রিক মিডিয়া ও অনলাইন গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য প্রচার বন্ধ করা বিষয়ে জারি করা রুলের নোটিশে তারেক রহমানের ঠিকানা ভুল থাকায় তা সংশোধন করে তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।এ মামলার শুনানি নিয়ে গত ৮ আগস্ট আদালতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিয়ে ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন এ আদেশ দেন।রায় প্রত্যাখ্যান বিএনপির তারেক রহমানের বক্তব্য সব অনলাইন থেকে সরাতে হাইকোর্টের আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।আদালতের আদেশের পর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “এটা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা পূরণের রায়।”তিনি বলেন, “আমি এই আদেশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রত্যাখ্যান করছি দলের পক্ষ থেকে এই অবিচারমূলক রায়।”কয়েকটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা তারেক রহমান গত ২৮ জুলাই ঢাকায় দলের একটি মহাসমাবেশে প্রথমবারের মতো লন্ডন থেকে যুক্ত হয়ে অডিও বার্তায় বক্তব্য রাখেন।তারেক রহমানের ওই বক্তব্যের পর দেশের রাজনীতিতে বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “এটা পরিষ্কার যে তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে। তারেক রহমানের বক্তব্যে দেশে যে আলোড়ন তৈরি হয়েছে তাতে সরকার বিচলিত।”এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বেনারকে বলেন, “একজন পলাতক আসামিকে নিয়ে বিএনপির হই চই প্রমাণ করে তাঁদের নেতৃত্বের বিশাল সংকট চলছে। এখন তারা আদালতকেও অসম্মান করছে।”
Category: জাতীয়
৭০ বছরে পা দিলেন শাইখ সিরাজ
প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাণিজ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তিনি সিন্ডিকেট ভাঙার আশ্বাস দেন
মাহমুদ খাঁন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃঅংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকেই বোঝেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণ নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিলে সেটিই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জনগণ ভালো পরিবেশে ভোট দিয়েছে, আগামীতে ভালোভাবে ভোট দিতে পারবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে,এটাই বিশ্বাস করি। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সম্পর্কে অবহিত করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর দুই পাশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণটা কার? ভোট চোরদের, ভোট ডাকাতদের, খুনি, জাতির পিতার হত্যাকারী, ২১শে আগস্টের হামলাকারীদের? এদেরকে মানুষ চায়? এদের প্রতি তো মানুষের ঘৃণা আছে। ২০০৮ সালে প্রমাণ হয়েছে। আমার কাছে অংশগ্রহণ বলতে জনগণের অংশগ্রহণ।সেটা থাকবে। জনগণ এরই মধ্যে সব নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদেশে যখন গেলাম, যার সঙ্গে দেখা হয়েছে, বলেন কী করে বাংলাদেশ এত উন্নতি করলো? আর দেশের এরা এটা বলে না। তারা পরশ্রীকাতরতায় ভোগে। আমি ওটা নিয়ে চিন্তা করি না। যতক্ষণ আছি, দেশের জন্য কাজ করে যাবো। বিএনপি’র দিকে ইঙ্গিত করে সরকার প্রধান বলেন, এই দলটি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি করে কিছু টাকা যাবে গুলশানে, কিছু যাবে হাওয়া ভবনে, বাকিটা যাবে লন্ডনে। নিজেরা নিজেরা মারামারি করবে, দুর্নীতি করতে করতে এক সময় তারা বলবে আমরা পারবো না। সেই দলকে জনগণ ভোট দেবে? প্রধানমন্ত্রী বলেন, এত উন্নয়নের পর জনগণকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চায়? মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি, কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। যা কিছু করেছি, সব তো জনগণের কাজে লাগছে। সবই তো জনগণ ভোগ করছে। মেট্রোরেল করতে গিয়ে আমাদের নানা কথা শুনতে হয়েছে। সব জায়গায় কথা শুনতে হচ্ছে। আর উন্নয়ন করে সবার প্রশংসা পাবো, এটা আশা করিও না। আশা করাও ঠিক হবে না। যাদের এক সময় জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছিল তারা তো এখন সমালোচনা করবেই। শেখ হাসিনা আরও বলেন, জনগণের জন্য কাজ করছি, জনগণের জন্য আছি, ১৪ বছরের মধ্যে দেশকে কোথায় নিয়ে এসেছি, সেটাও দেখতে হবে। টানা ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের দ্রুত একটা পরিবর্তন আনা সহজ হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সুদূরপ্রসারী প্ল্যান করে রাখে। যখনই ক্ষমতায় আসি সেগুলো নিয়ে কাজ করি। ডিজিটাল রূপকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দেশে গরিব মানুষ একটাও থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কখনো পদের জন্য রাজনীতি করিনি। রাজনীতি করেছি দলের জন্য। স্কুলজীবন থেকে রাজনীতি করছি। তারপর কলেজ জীবন, ভার্সিটি সবখানেই রাজনীতি করেছি।এখনই ব্রিকসের সদস্য হতে হবে, এমন চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ব্রিকসে এখনই সদস্যপদ পেতে হবে, সে ধরনের কোনো চিন্তা আমাদের মাথায় ছিল না। সে রকম কোনো চেষ্টাও আমরা করিনি। সংবাদ সম্মেলনে ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি শ্যামল দত্ত প্রশ্ন করেন, ‘ব্রিকসে বাংলাদেশের সদস্যপদ পাওয়ার বিষয়ে আমি জানতে চাই, যেহেতু এটা নিয়ে কিছু আলোচনা-সমালোচনা চলছে। আমরা কি আদৌ আবেদন করেছিলাম? বা আবেদন করার কোনো পদ্ধতি আছে কিনা, বা আমরা কি চেয়েছিলাম কিনা ব্রিকসের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য। প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চাইলে পাবো না, সে অবস্থাটা আর নেই। কিন্তু প্রত্যেক কাজের একটা পদ্ধতি আছে। একটা নিয়ম আছে। আমরা সেটা মেনেই চলি। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে যখন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হলো তিনি আমাকে বললেন যে, ব্রিকস সম্মেলন করবো। সে সময় তিনি জানালেন যে তারা কিছু সদস্য বাড়াবেন। আমাদের মতামত জানতে চাইলেন। আমি বললাম এটা খুবই ভালো হবে। ব্রিক্স যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন থেকেই এই পাঁচ দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আমার ভালো যোগাযোগ ছিল এবং আছে। ব্রিকসের ব্যাংক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশ আগে থেকেই আগ্রহী ছিল উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, আমরা যখন শুনলাম নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক হবে, আমাদের ওটার ওপর বেশি আগ্রহটা ছিল। যখন থেকে তৈরি হয়, তখন থেকেই এই আগ্রহটা ছিল এর সঙ্গে যুক্ত হবো। সেখানে আমরা যুক্ত হতে চেয়েছিলাম। এটা যখন থেকে তৈরি হয়, তখন থেকে আমাদের এটার প্রতি আগ্রহ ছিল। সেটা হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ব্রিকস থেকে প্রথম থেকেই আমাদের বলেছিল যে তারা ধাপে ধাপে সদস্য নেবে। তারা ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনা করে সদস্য নেবে এবং পর্যায়ক্রমে সদস্য সংখ্যা বাড়াবেন। তিনি বলেন, সেখানে আমার সঙ্গে সব রাষ্ট্র প্রধান, সরকার প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমরা কিন্তু কাউকে বলতে যাইনি আমাদের এখনই মেম্বার করেন।আমরা জানি যে প্রথমে কয়েকটা দেশ হবে এবং এটা আমাকে প্রেসিডেন্ট লাঞ্চের সময় বলেছেন। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। সে সময় আলোচনা হয় যে আমরা এই কয়জনকে নেবো। পরে ধাপে ধাপে আমরা সদস্য সংখ্যা বাড়াবো। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এখন আমাদের অপজিশন থেকে খুব হতাশ যে আমরা সদস্যপদ পাইনি। বাংলাদেশ কিছু চেয়ে পাবে না এটা ঠিক না। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের যে মর্যাদা আমরা তুলে ধরেছি, সেখানে আমাদের সে সুযোগ আছে। তারা বলতে পারে কারণ বিএনপি’র আমলে ওটাই ছিল।বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের কোনো অবস্থানই ছিল না। বাংলাদেশ মানে ছিল দুর্ভিক্ষের দেশ, ঝড়ের দেশ, ভিক্ষার দেশ। হাত পেতে চলার দেশ। এখন সবাই জানে, বাংলাদেশ ভিক্ষা চাওয়ার দেশ নয়৷ আমি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরবো তো
দেশে সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কে কতো বড় শক্তিশালী আমি দেখবো। সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না এটা কোনো কথা নয়। কে কতো বড় শক্তিশালী আমি দেখবো। সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না এমন কিছু বাণিজ্যমন্ত্রী বললে তাকে আমি ধরবো। উৎপাদন বাড়িয়ে এবং বিকল্প ব্যবস্থা করে সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে যুগান্তর এর সম্পাদক সাইফুল আলম প্রশ্ন করেন যে, বাজারে সরবরাহ আছে, মজুত আছে, কোনো কিছুর অভাব নেই। তারপরও কিছু কিছু জিনিসের দাম মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দেয়, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। অথচ মন্ত্রীরা বলে যে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। সাইফুল আলম তার প্রশ্নে এটিও বলেন যে, একশ’ টাকা কেজি পিয়াজ হয়েছে, এখন ডাবের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন যে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সমস্যা হবে। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে বলেছে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। উত্তরে যুগান্তর সম্পাদক বলেন যে, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকরাও বলেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরবো তো। কেন তিনি এই কথা বলেছেন। এ সময় নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেট প্রতিরোধে পণ্য সরবরাহ ও সংরক্ষণে বিকল্প পদ্ধতি নেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে তিনি বাড়িতে শাক-সবজি উৎপাদন ও সেগুলো নিজেরাই সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে ডিমের দাম বাড়লো। ডিম সেদ্ধ করে রেখে দিলে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়। পরে (দাম বাড়লে) সেগুলো ভর্তা করে বা রান্না করে খাওয়া যায়। দেশের বাজারে ডিমের দাম যখন কমবে, তখন ডিম সেদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবেন। তাহলে বহুদিন ভালো থাকবে।সর্বজনীন পেনশন নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই টাকা নিয়ে ইলেকশন ফান্ড করতে হবে, আওয়ামী লীগ তো ওইরকম দৈন্যতায় পড়েনি। আওয়ামী লীগ হচ্ছে নিজের খেয়ে নৌকা। নিজের খেয়ে নৌকা, জনগণ নিজের খেয়েই কিন্তু নৌকায় ভোট দেয় এবং আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করে। এটিই হলো বাস্তবতা। সরকারি অফিসাররা পেনশন পায় কিন্তু সাধারণ জনগণ কোনো পেনশন ব্যবস্থায় নেই। বৃদ্ধ বয়সে তাদের নিশ্চয়তা দেয়ার জন্যই এই সর্বজনীন পেনশনের কথাটা আমরা বলেছি। সরকার কোনো বিবৃতিতে প্রভাবিত হবে না আত্মবিশ্বাস থাকলে ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকার কোনো বিবৃতিতে প্রভাবিত হবে না। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা আইন অনুযায়ী চলবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বিবৃতি দিয়েছেন তাদের আহ্বান জানাই, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল-দস্তাবেজ, কাজগপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কিনা। তিনি বলেন, কেউ যদি ট্যাক্স (কর) না দেয় আর যদি শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করে, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যদি মামলা করা হয়। আমাদের কী সেই হাত আছে যে মামলা বন্ধ করে দেবো প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। নোবেলজয়ী বলে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে না? এমন প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীতে এমন বহু নোবেল বিজয়ী আছেন, পরবর্তী সময়ে তাদের কাজের জন্য কারাগারে আছেন (যেতে হয়েছে)। আদালত স্বাধীনভাবেই কাজ করবে। ন্যায়বিচার করবে। তারা প্রভাবিত হবে কেন? ভয় পেলে তো চলবে না। শ্রমিকদের পাওনা তাদের দিতে হবে। ১২শ’ কোটির বেশি পাওনা রয়েছে। ৪৬০ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকিটা ঘুষ দিয়ে ব্যবস্থা করবে এটা তো হতে পারে না। তিনি বলেন, এখন যদি জিজ্ঞেস করি, গ্রামীণ ব্যাংক কিন্তু সরকারি (নিয়মে চলে)। তাহলে সরকারি বেতনভুক্ত একজন কীভাবে বিদেশে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেন? কীভাবে তিনি এগুলো করেন?
একনেকে পাশ: হাতিয়া ও নোয়াখালী মেডিকেল কলেজসহ ২০ প্রকল্পের ব্যয় হবে ১৪হাজার ৭৭কোটি টাকা
ন্যাশানাল ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃজাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ১৪ হাজার ৭৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সভার শুরুতে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কারণ, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে সর্বজনীন পেনশন সুবিধা চালু হয়েছে। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী ব্রিকসে যোগদান করায়ও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে আমরা যোগদান করেছি। এর ফলে আমরা ব্রিকসের সদস্য পদ পেতে আরও একধাপ এগিয়ে গেছি। এইসব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানিয়েছি।অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে:স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি) (২য় সংশোধিত); গোপালগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়); জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প; মেঘনা নদীর ভাঙন হতে নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় নলের চরে নির্মিত অবকাঠামোসমূহ রক্ষার্থে প্রতিরক্ষামূলক কাজ বাস্তবায়ন; ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলাধীন শুভাঢ্যাখাল পুনঃখনন এবং খালের উভয় পাড়ের উন্নয়ন ও সুরক্ষা (১ম পর্যায়); চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম (২য় সংশোধিত); বাগেরহাট কালেক্টরেটের নতুন ভবন নির্মাণ; হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্ক আধুনিকীকরণ; পূর্বাচল ৩০০ ফুট সড়ক হতে মাদানী এভিনিউ পর্যন্ত সংযোগকারী দুইটি সড়ক উন্নয়ন; সিলেট সড়ক বিভাগাধীন সিলেট (তেলিখাল)-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ (জেড-২০১৩) সড়কের ২৫তম কিলোমিটারে বড়ভাঙা সেতু নির্মাণ।এছাড়া, মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগ এর আওতায় রামেরকান্দা-লাকিরচর (রোহিতপুর বাজার) সংযোগ সড়ক (আর-৮২৩) উন্নয়ন প্রকল্প; এস্টাবলিশমেন্ট অব ফাইভ হান্ড্রেড বেডেড হসপিটাল ও এনসিলারি ভবন ইন যশোর, কক্সবাজার, পাবনা ও আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ এবং জননেতা নুরুল হক আধুনিক হাসপাতাল, নোয়াখালী (১ম সংশোধন-প্রস্তাবিত); শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন (কম্পোনেন্ট-২): দেশের ০৮টি বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ (১ম সংশোধন-প্রস্তাবিত); খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো ও একাডেমিক কার্যক্রম সম্প্রসারণ (প্রস্তাবিত ১ম সংশোধন); লিভিং নো ওয়ান বাহাইন্ড : ইমপ্রুভিং স্কিল অ্যান্ড ইকোনোমিক অপরচুনিটিস ফর দ্য ওমেন অ্যান্ড ইয়ুথস ইন কক্সবাজার, বাংলাদেশ; পটুয়াখালী রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা; অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩; উপজেলা পর্যায়ে ৫০ টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন; রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণ (১ম সংশোধিত); সৈয়দপুর ১৫০ মেগাওয়াট+ ১০% সিম্পল সাইকেল (এইচএসডি ভিত্তিক) বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত)।
নোয়াখালীতে খাদ্যমন্ত্রী বিএনপি অতীতে কিছু দিতে পারেনাই, কোনো দিন দিতে পারবেওনা
লক্ষীপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেলেন ১হাজার পরিবার
রিয়াজ উদ্দিন বিনু,লক্ষীপুর থেকে দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃপ্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বদলে গেছে প্রায় এক হাজার আশ্রয়হীন পরিবারের জীবনমান। ঘরের পাশাপাশি মাছ চাষের জন্য পুকুর ও সবজির চাষের জন্য জমি পেয়ে জীবনই বদলে গেছে তাদের। এ মানুষগুলোর একসময় ছিল না নিজস্ব কোন স্থায়ী ঠিকানা। খাস জমি কিংবা অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে ভাঙ্গা ঘরে থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দিনাতিপাত করতেন তারা। কিন্তু বর্তমানে সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগে বাসস্থানসহ নানাবিধ সুবিধার ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে একসময়ের গৃহহীন ও সুবিধাবঞ্চিত এসব পরিবারগুলো। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারের এই ঘর হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখে। নিজের একটি পাকা-পরিচ্ছন্ন ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তাদের। নিরাপদ ও মজবুত স্থায়ী ঘর পেয়ে আশ্রয়নের বাসিন্দারাও বেশ খুশি।
সরেজমিনে এসব ঘরে বাস করা মানুষদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। মানবেতর জীবনমান থেকে মুক্তি পেয়ে এখন তারা সুখ-স্বাচ্ছন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাবন করছেন। অন্যান্য হতদরিদ্র, ভূমিহীনসহ ভিক্ষুকরাও পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের এসব ঘর। জানা যায়, মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের জন্য গৃহীত এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ ও ২৩ অর্থ বছরে মোট ৯৯০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি ৫৯ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকা ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে রামগতি উপজেলায় আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের হারুন বাজার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭৭টি, ৫ং ওয়ার্ডের জলিল কলোনিতে ৮টি, জলিল কলোনির রাস্তার মাথায় ৩১টি, নতুন বাজার আশ্রয়ন প্রকল্পে ৩১টি, ৮নং ওয়ার্ডের সামছুল হক জামে মসজিদের পাশে ৪২ টি, ৯নং ওয়ার্ডের রাস্তারহাট হাজি এ.গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে ৩৩টি, ৭নং ওয়ার্ডের নোমানাবাদ এলাকায় ৩২টি, ১নং ওয়ার্ডের হারুন বাজারে ২৬টি, চরকলাকোপা প্রকল্পে ১৬৮টি, চরগাজী ইউনিয়ের ৬নং ওয়ার্ডের চরদরবেশ গ্রামের রুলু মার্কেট সংলগ্ন ৬৩টি, ৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ টুমচর করলা মার্কেট ৫৭টি, চরআব্দুল্লাহ ইউনিয়নের চরগজারিয়া ৫০টি, আলেকজান্ডার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চর ডাক্তার গ্রামে ৪৩টি, চরবাদাম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ব চরসীতা গ্রামে ৭৫টি, চরআলগী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সুফিরহাট এলাকায় ২৮টি, চররমিজ ইউনিয়নের চরমেহার গ্রামে ১৪০টি ও চরগাজী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের টুমচর গ্রামে ৮৬টি ঘর নির্মাণ করা হয়।
উপজেলার চর কলাকোপা আশ্রয়নের বাসিন্দা আয়েশা বেগম (৫৮) নামের এক সুফলভোগী প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, আগে আমরা ছোট ভাঁঙ্গা ঘরে থেকে শিশু সন্তান নিয়ে শীত-বৃষ্টি মৌসুসে লড়াই করে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছি। সরকার আমাদের নতুন ঘর দেয়ায় এখন আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে নিশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছি। আগের মত কষ্ট আর নেই।
আলেকজান্ডার ইউনিয়নের চর ডাক্তার আশ্রয়নের বাসিন্দা সৈয়দ আহমদ (৭০) জানান, আমরা সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছি। শেষ বয়সে সরকারের দেয়া পাকা ঘরসহ অনেক সহযোগিতা পেয়ে এখন অনেক সুখে আছি।
চরসীতা আশ্রয়নের বাসিন্দা, আব্দুল মতলব,বিবি রেখা ও জয়নব বানু একই মতামত ব্যক্ত করে বলেন, পাকাঘরে থাকবো কখনো কল্পনাও করিনি। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে ঘর দিয়েছেন। সাথে জমিও দিয়েছেন। এখন আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে শান্তিতে আছি। ঈদসহ বিশেষ বিশেষ সময়ে সরকারের সহায়তাগুলোও পাচ্ছেন বলে জানান তারা।
আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পাওয়া কহিনুর, পারভীন, শাহনাজসহ ১২ জন সুফলভোগী বলেন, আমরা ভীষণ খুশি। শেখ হাসিনা মাথাগোঁজার ঠাঁই দিয়েছেন। আমরা তার জন্য দোয়া করি। প্রকল্পের অন্যান্য উপকারভোগীরা বলেন, তারা এখন অনেক ভালো আছেন। কারণ, এখানে শুধু তারা বাড়িই উপহার পাননি! পেয়েছেন মাছ চাষ করার জন্য পুকুর, সবজি চাষ করার জন্য জমি। এছাড়া বাড়িতে বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ খাবার পানি, পাকা টয়লেট, যা তাদের স্বপ্ন ছিল, আজ প্রধানমন্ত্রী তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গৃহ ও ভূমিহীনদের তালিকা তৈরী করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীনদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। দুই শতাংশ ভূমিতে সেমিপাকা ঘরে দুটি শোবার ঘর, বারান্দা, রান্নাঘর ও একটি বাথরুম সংবলিত ঘর বরাদ্ধ পায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বচ্ছতার সাথে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। জেলা-উপজেলা প্রশাসন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় একেবারে নদী ভাঁঙ্গা অসহায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের গুরুত্ব দিয়ে এসব ঘর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। এবং ঘরগুলোর গুনগত মান বজায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে।
আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসরত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শান্তুনু চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমন একটি ভালো কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন, যার কারণে আমরা কৃতজ্ঞ। এ প্রকল্প পৃথিবীতে একটি রোল মডেল। কারণ এভাবে কোনো দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপদ পাকা ঘর তৈরি করা হয়নি। যা এক মাত্র বাংলাদেশেই হয়েছে। আমরা বরাদ্ধ অনুযায়ী কাজের গুনগত মান বজায় রেখে টেকসই ঘর তৈরি করে দরিদ্র্র, নদী ভাঁঙ্গা গৃহহীনদের মাঝে বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
রাজনীতির রহস্যপুরুষ দাদাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কারণ কি?
আবু নাছের মঞ্জু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ৯ জুন প্রয়াত হয়েছেন সিরাজুল আলম খান। তাঁকে নিয়ে রাজনীতিসচেতন মানুষের অঢেল কৌতূহল। কারও কাছে তিনি রহস্যপুরুষ, কারও কাছে মিথ, কারও কাছে একটি প্রজন্মের তরুণদের ‘বিপথগামী’ করার মূল কারিগর। তাঁর প্রতি মানুষের এত কৌতূহল কেন?বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিরাজুল আলম খানকে (১৯৪১-২০২৩) কেন্দ্র করে চলে আসা প্রায় ছয় দশকের রাজনৈতিক বিচার ও বিশ্লেষণও বহুধা ধারায় বিভক্ত। তিনি কারও কাছে হয়ে উঠেছেন রহস্যপুরুষ, কারও কাছে মিথ, কারও কাছে লিজেন্ড, কারও কাছে কাল্ট। আবার কারও কাছে হিরো, কারও কাছে অ্যান্টিহিরো বা প্রতিনায়ক। ট্র্যাজিক-হিরোও কি নন?এসব কারণেই হয়তো চল্লিশ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের জনপরিসরের মধ্যে নানাভাবে তিনি আলোচিত হয়ে আসছেন। তাঁকে নিয়ে মানুষের এত আগ্রহের কারণ কী?রাজনীতির ক্ষমতাবাদী চোরাগলিতে আমৃত্যু সক্রিয় থেকে অনেকেই প্রাসঙ্গিক থাকার বরমাল্য পরতে পারেন না। অথচ প্রথাগত রাজনৈতিক ক্ষমতাকাঠামোর বাইরে জীবন যাপন করেও সিরাজুল আলম খান আমৃত্যু আলোচনায় থেকে গেলেন। এই প্রভাব সন্দেহাতীত দুর্দমনীয় এবং একে বেপরোয়া বলে নাকচ করা কোনো বুদ্ধিদীপ্ত আত্মশ্লাঘা নয়। প্রথাগত রাজনীতির জনপ্রিয়ধারার প্রবল প্রতাপের বলে বলীয়ান হলে সমকাল সক্রিয় অনেককেই নায়ক বানায়। আবার এই একই ধারায় রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকতে পারার কারণে সেই সমকালই কাউকে ব্রাত্য ও বিচ্ছিন্ন প্রতিনায়ক বানিয়ে রাখে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই দুই ধারাকেই একদম নিজের করকমলে নামিয়ে এনেছেন মাত্র একজনই, তিনি সিরাজুল আলম খান।দীর্ঘকাল রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থেকেও একপ্রকার দীর্ঘ ‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস’ গ্রহণ করেও সিরাজুল আলম খানের এই যে ব্যাপক সক্রিয় পরিসর তৈরি হওয়া, সেটা যেন এ দেশের জনসংস্কৃতি (পপুলার কালচার) এবং একই সঙ্গে লোকসংস্কৃতির (ফোক কালচার) অংশ হয়ে উঠেছে।
নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের অবস্থান হবে ম্যাজিস্ট্রেটদেরও ওপরে:প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান
সেন্টাল ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃবাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেছেন, নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের অবস্থান হবে ম্যাজিস্ট্রেটদেরও ওপরে। প্রেস কাউন্সিল থেকে সাংবাদিকদের আইডেন্টিটি কার্ড দেওয়া হবে। সেটাই হবে সাংবাদিকদের মূল পরিচয়পত্র।২১ আগস্ট সোমবার সকালে দিনাজপুর সার্কিট হাউজ হলরুমে প্রেস কাউন্সিল আইন, আচরণবিধি ও সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক সেমিনার ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।বিচারপতি মো. নিজামুল হক নাসিম বলেন, জেলা থেকে নাম পাঠালেই সাংবাদিক হওয়া যাবে না। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। স্থানীয় পত্রিকার জন্য সম্পাদকরা তালিকা দেবেন। একটি জেলার পাঠানো ৫৮ জনের তালিকায় সবার দরখাস্তই অসম্পূর্ণ। সাংবাদিকদের স্বার্থ স্বংরক্ষণে প্রেস কাউন্সিল কাজ করছে। নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের অবস্থান হবে ম্যাজিস্ট্রেটদেরও ওপরে। এখন পর্যন্ত অনলাইন মিডিয়া রিকগনাইজড নয়। শুধু একটি মোবাইল থাকলেই সে কিন্তু সাংবাদিক নয়। সকল সাংবাদিকদের রেগুলার ফর্মে নিয়ে আসা হবে।সভায় সাংবাদিকতার নীতিমালা শীর্ষক আলোচনায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার বলেন, সাংবাদিকদের প্রধান সমস্যা হলো পরিচয় সংকট। সাংবাদিকদের পরিচয়টা স্টাবলিশ করাটা খুব জরুরি। তাই বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এটা নিয়ে কাজ করছে।সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার রুস্তম আলী। বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মাসুম ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান।এছাড়া সভায় দিনাজপুরে কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবিশ্ব থেকে পর্যটকরা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে আসবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী
আজমাইন ইনকিয়াদ মাহমুদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী বলেছেন, ঢাকায় যদি গাড়ি চলে, তাহলে এই হাতিয়া দ্বীপে গাড়ি চলবে। ঢাকায় যদি বিদ্যুৎ থাকে, তাহলে এই হাতিয়া দ্বীপে বিদ্যুৎ থাকবে। সারাবিশ্ব থেকে পর্যটকরা নিঝুমদ্বীপে আসবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল দ্বীপবাসীর উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পূরণে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন।শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার তমরুদ্দি পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এই দ্বীপকে পর্যটন উপযোগী করার জন্য অনেকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এই সুন্দর দ্বীপ দেখতে পর্যটকরা হেলিকপ্টারে করে আসবে। এতে করে জীবনমানের পরিবর্তন হবে। এই দ্বীপের চেহারা বদলে যাবে। এ সময় নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস বলেন, নিঝুম দ্বীপকে পর্যটনমুখী করার জন্য ভালো ভালো রিসোর্ট নির্মাণ করা জরুরি। আমরা চাই দেশি পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আসুক এই দ্বীপে। সরকারের সহযোগিতায় এই দ্বীপকে আরও আধুনিক করা যাবে। সভায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নোয়াখালীতে বিমান বন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের : প্রতিমন্ত্রী
গিয়াস উদ্দিন রনি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে অস্থায়ী বিমান বন্দর পরিদর্শন করলেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী। শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের চর শুল্লুকিয়া গ্রামে ১৬ একর ভূমির ওপর পরিত্যক্ত এয়ারস্ট্রিপকে পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরে রূপান্তর করার লক্ষে সরকারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে পরিদর্শনকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী বলেছেন, আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এরআগেও বিমান বন্দরের স্থানটি পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আজ আবারও পরিদর্শনে এসেছি। বিমানখাতে ইতোমধ্যে বড় ধরনের একটি বিপ্লব হয়েছে। রানওয়েসহ পুরো এলাকাটি আমরা ঘুরে দেখেছি। আমরা নোয়াখালীবাসীর প্রত্যাশা পূরনের চেষ্টা করছি।শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার চরশুলকিয়া বিমান বন্দরের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোজাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ, নোয়াখালী-৬ (হাতিয়ার) সাংসদ আয়েশা ফেরদৌস, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।