ছেলের হাতে বাবা খুন”চট্টগ্রামে ৮ খন্ড লাশ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে-পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)

42 Views

বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় ঝোপের ভিতর লাগেজ ভর্তি মস্তক বিহীন লাশের আট খন্ড উদ্ধারের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম পরিচয় ও হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।গত শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পিবিআই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, ইপিজেডের আকমল আলী রোডের আবর্জনায় ভরা খালে পাওয়া ৫৮ বছর বয়সী এই ব্যক্তির নাম মো. হাসান। তিনি বাঁশখালী উপজেলার কাথারিয়া ইউনিয়নের বরইতলি এলাকার সাহাব মিয়ার ছেলে। মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।৮ খন্ডের লাশ।পিবিআই কর্মকর্তারা জানান, ৩০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর ১ বছর আগে ফিরে এলে পরিবারের সাথে তার সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ বাধে। সেই থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তান তাকে তার পরিকল্পনা করে।স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম ও সন্তান মোস্তাফিজ আটকের পর পিবিআই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ধার করেছে।পলাতক অন্য এক সন্তানকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।পিবিআই চট্টগ্রাম নগর অঞ্চলের ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন সেলিম জানান, পারিবারিক সহিংসতা শিকার নিহত ব্যক্তি মোঃ হাসানের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। তার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে।তার পরিবার থাকে ইপিজেড আকমল আলী রোডের বাসায়। প্রায় ৩০ বছর ধরে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর হাসান এক বছর আগে পরিবারের কাছে ফিরে আসে।এরপর থেকে স্ত্রী সন্তানদের সাথে সম্পত্তির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।এর জের ধরে স্ত্রী দুই ছেলেকে নিয়ে হাসান পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর করার জন্য লাশ গুম করার জন্য কেটে ৯ টুকরো ৮ টুকরো লাগজে ভরে মস্তক এক জায়গায় এবং লাগেজ ভর্তি আট টুকরো অন্য জায়গায় ফেলে দেয়।পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আফতাব হোসেন দৈনিক নোয়াখালী সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কে বলেন,গত বৃহস্পতিবার রাতে পতেঙ্গা ১২ নম্বর ঘাট সংলগ্ন রাস্তার পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত একটি লাগেজটি পাওয়া যায়। যাতে একটি লাশের খণ্ডিত অংশগুলো পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাত-পায়ের আটটি খণ্ডিত অংশ ছিল।হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর শার্ট এবং লুঙ্গিও ছিল বলে জানা যায়

সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল ইপিজেড থানা পুলিশের তৎপরতায় রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার, আটক ৫

55 Views

মোঃ শহিদুল ইসলাম,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃচট্টগ্রাম সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশ টিমের তৎপরতায় সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উপজেলার রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার করে ৫ জনকে আটক করেছে ওসি মোঃ হোসাইনের টিম।উদ্ধার ও অভিযানের বর্ণনা দিয়ে শুক্রবার (২২সেপ্টেম্বর) দুপুরে সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার বন্দর জোন মোঃ মাহামুদুল হাসান বলেন, সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার মোঃ মোশারফ হোসেনের লিখিত অভিযোগ পেয়েই পুলিশ টিম সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে ৩লাখ ছত্রিশ হাজার টাকার মোটরসাইকেলটি রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউপির একটি রান্না ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ অফিসার।ওসি হোসাইন বলেন, চুরির ঘটনায় তদন্ত করে নিজেই তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মহসিন এর সংগীয় র্ফোসসহ সিসি ক্যামেরার ছবি ও তথ্য প্রযুক্তিতে বায়েজিদ এলাকা থেকে চুরির সাথে জড়িত আবদুল্লাহ লোকমান, জাহিদুল ইসলাম জিসানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত চোরাই মোটরসাইকেলটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।সেই সূত্রে ইব্রাহিম হোসেন জিসান নামের যুবক তা ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রির ঘটনা জানান।চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল (নং চট্টমেট্ট – ল ১৯-২৭৮০) যার মূল্য প্রায় তিন লাখ ছত্রিশ হাজার টাকা বলে প্রেস বিফ্রিংয়ে জানান ওসি মোঃ হোসাইন।তিনি আরো বলেন, ধৃত বাকি দুই জনের নাম নাজিম উদ্দিন (২৮), মোঃ রুবেল (২১)। তারা দুজন রাঙ্গুনিয়ার সিকদার পাড়ার, উত্তর পোমরা ইউপির বাসিন্দা বলে জানান। তাদের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা নং ১৪/২৩ দায়ের করা হয়েছে।ধৃতদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে বলে ও জানান অফিসার ইনচার্জ ইপিজেড থানা।

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত শুরু কলেরার টিকা কার্যক্রমের চতুর্থ দিনে উপস্থিতির সংখ্যা বেড়েই চলছে

72 Views

মোঃ শহিদুল ইসলাম,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃচট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বন্দর ও ইপিজেড থানার ৩৮ ও ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে (বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর) বসবাসকারীদের কলেরার টিকাদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।চলবে আগামী দিন বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি দুই ডোজের ইউভিকল প্লাস নামে মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা এক বছর থেকে তার বেশি বয়সীদের দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং যারা গত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনও টিকা গ্রহণ করেছেন তারা ছাড়া সবাই এ টিকা নিতে পারবেন।স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) তত্ত্বাবধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরোশেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইসিডিডিআর,বি এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। ‘দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, গ্যাভি’র আর্থিক সহায়তায় এই টিকাদান উদ্যোগ পরিচালিত।এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকায় কলেরার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। এই রোগ প্রতিরোধে বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর এলাকার এক লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। প্রথম ডোজ কলেরার টিকা দেওয়া হবে ৪৫টি কেন্দ্রে। আগামী অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে কমপক্ষে ১৪ দিন পর। কলেরারে টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনও টিকা নেওয়া যাবে না।স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, কলেরা একটি ডায়রিয়া জাতীয় খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ। এর প্রাদুর্ভাব গঙ্গা বদ্বীপ থেকে শুরু করে ইউরোপ ও আমেরিকা পর্যন্ত বিস্তৃত। নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার অপ্রতুলতা কলেরার প্রাদুর্ভাবের জন্য বিশেষভাবে দায়ী। এটি দেহে দ্রুত পানিশূন্যতার সৃষ্টি করে। সময়মতো চিকিৎসা না পেলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ১৩ থেকে ৪০ লাখ মানুষ কলেরায় আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশসহ আটটি উন্নয়নশীল দেশে বছরে এ রোগে আক্রান্ত হয় প্রায় এক লাখেরও বেশি মানুষ।এই প্রসঙ্গে জোনাল মেডিকেল অফিসার ডাঃ হাসান মুরাদ চৌধুরী বলেন, মোট ৪৫ টি কেন্দ্রে ১,৩৫,০০০ জন লোকের মাঝে এই বিশেষ কলেরা টিকাদান মুখে খাওয়ার জন বিনা মূল্যে বিতরণ করা শুরু হয়েছে গতকাল থেকে।তিনি আরো জানান, কর্মসূচি পালনে বি্শ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ টিম আজ নগরীর বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।এসময়ে উপস্থিত ছিলেন WHO (ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অরগানাইজেশান) এর ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর ডা. ইমং প্রু চৌধুরী, WHOএর এস.আই.এম.ও ডা.সরওয়ার আলম, চসিক ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোঃ চৌধুরী এবং বন্দর ইপিআই জোনের, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. মোঃ হাসান মুরাদ চৌধুরী।পরিদর্শন কালে চসিক ও WHOএর প্রতিনিধি দল অনেকটা সন্তুষ্টি হয়েছে এবং এই প্রথম কলেরা টিকা মুখে খাওয়ার বিষয়ে অনেকেই আপসেট ও বিব্রত হলেও আয়োজন অত্যন্ত ফলপ্রসূ হতে পারে। সকল জনসাধারণকে বিষয়টি নিয়ে সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য বিশেষ আহ্বান বন্দর ইপিআই জোনের।আইসিডিডিআর,বি ও অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য কলেরা নিয়ন্ত্রণ পরিকল্পনা ২০১৯-২০৩০ বাস্তবায়ন করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২০ ও ২০২২ সালে কলেরা টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকার ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষকে কলেরা টিকা দেওয়া হয়।

চাটখিলে খিলপাড়া বাজার বনিক সমিতির নিজস্ব কার্যালয় উদ্ভোধন।

104 Views

সাইফুল ইসলাম,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালীর চাটখিলে খিলপাড়া বাজার বনিক সমিতির নিজস্ব কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন হয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় চাটখিলের ঐতিহ্যবাহী খিলপাড়া বাজারের ব্যবসায়িদের দীর্ঘদিনের স্বপ্নের নিজস্ব কার্যালয়ের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন,নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন এ অঞ্চলে ব্যবসায়িরা একসময় নিরাপত্তা হীনতা ভুগছিল। তিনি এমপি হওয়ার পর ব্যবসায়ি বান্ধব পরিবেশ তৈরী করার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে খিলপাড়া বাজার সহ এ সংসদীয় আসনের সব বাজারের শান্তি প্রতিষ্ঠা কাজ করেন।তারই ফলস্বরূপ আজকের বাজারের ব্যবসায়িরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে এ অফিস করেছেন। তিনি বাজার কমিটিকে বাজার পরিচালনায় তার সহযোগিতা সবসময় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।খিলপাড়া বনিক সমিতির সভাপতি মোঃ শাহজাহানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদের সঞ্চালনায় এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন,চাটখিল পৌরসভার মেয়র ভিপি নিজাম উদ্দিন।চাটখিল উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আবু তাহের ইভু।উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হুদা শাকিল সহ বাজার বনিক সমিতির নির্বাচিত সদস্যরা,বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়িবৃন্দ, স্থানীয় লোকজন, বিভিন্ন পর্যায়ের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গরা ও এসময় উপস্থিত ছিলেন।পরে বনিক সমিতির সফলতা কামনা দোয়া মোনাজাত করা হয়।

৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী

93 Views

৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন চৌধুরী

মাহমুদ খাঁন নির্বাহী সম্পাদকঃ

সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮ নং সোনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে, মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন চৌধুরী। ৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি মনোয়নপত্র জমা দেন।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম বাকের, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ,ফ,ম বাবুল (বাবু), নোয়াখালী জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন দুলাল, সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিপি বাহার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান খলিল, ৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইন্জিনিয়ার আব্দুর রহিম,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বাবুল মেয়া (বাবলু)
৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহজাহান, উপজেলা বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি মাহমুদ খান, ,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার পিন্টু,৮নং সোনাপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন।
৮ নং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শওকত আকবর ও যুবলীগ,ছাত্রলিগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।আরো‌ ছিলেন স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন।

মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর দৈনিক নোয়াখালী সময় কে বলেন, আমি জনগণের সুখে দুখে তাদের পাশে ছিলাম, এখনও আছি, আগামীতে ও থাকব। করোনা মহামারীতে আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের জনগণের পাশে থাকতে। তিনি বলেন,সরকারের দেওয়া সহযোগিতার পাশাপশি আমি ব্যক্তিগতভাবেও অসহায় কর্মহীনদের সহায়তা করেছি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সোনাপুরকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত আধুনিক ইউনিয়ন পরিনত করার জন্য আমি কাজ করে চলেছি। ইনশাল্লাহ তা অব্যাহত থাকবে কিছু কাজ চলমান আছে অচিরেই সে কাজগুলো সমাপ্ত হবে।

আলমগীর হোসেন চৌধুরী এলাকাবাসী দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন।

নোয়াখালীর চাটখিলে নবম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ: গৃহ শিক্ষকসহ ৩জন কারাগারে

55 Views

গিয়াস উদ্দিন রনি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম : নোয়াখালীর চাটখিলের পরকোট ইউনিয়নে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণের ঘটনায় গৃহশিক্ষকসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গৃহ শিক্ষক ফারাবী আহম্মেদ ফয়েজ, তার বাবা রুহুল আমিন ও ভাই দিপু।পুলিশ মামলার বরাত দিয়ে জানায়, পঞ্চম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ওই ছাত্রীকে পড়াতেন ফয়েজ। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ওইছাত্রীকে নানা সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসে ফয়েজ। গত দুই বছর যাবত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে গৃহ শিক্ষক ফয়েজ। সবশেষ গত ৭ জুলাই ওই ছাত্রীকে কৌশলে নিজের ফুফুদের রান্না ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক পুনরায় ধর্ষণ করে। এ সময় ছাত্রীর গোংরানির শব্দ পেয়ে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে ফয়েজ আটক করে। পরে স্থানীয়ভাবে গ্রাম্য শালিসে তাকে বিয়ে করার শর্তে ফয়েজকে নিয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ে না করে উল্টো হুমকি দিতে থাকে ফয়েজের পরিবারের লোকজন। বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার রাতে প্রথমে থানায় মোখিক অভিযোগ এবং বুধবার সকালে লিখিত মামলা দেন ছাত্রীর বাবা।চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে তিনজনকে আটক করা হয়। বুধবার এ ঘটনায় লিখিত মামলা দিলে আটককৃতদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

বিপন্ন মানবতার পাশে আছে ও থাকবে: চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

106 Views

মোঃ রেজাউল করিম রাজু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কঠোর লক ডাউন চলাকালীন সময়ে নিম্ন আয়ের মানুষ নিদারুণ কষ্ট পাচ্ছে। এই কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে কিছু ত্রাণ সামগ্রী সহ নগদ অর্থ বিপন্ন পরিবারগুলোর কাছে পৌঁছে দিয়ে জানান দিতে চাইএই সরকার জনবান্ধব। জনগণের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে সরকার নিত্য দিন ও সব সময় পাশে থাকবে। কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছোবলে সারা বিশে^ই যখন মুত্যৃও সংক্রমণের হারের উর্দ্ধেগতির মধ্যেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি  তুলনামূলক ভালো ও নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তারপরও অবনতিশীল পরিস্থিতি মেকাবেলায় সরকার সামর্থ্যরে সকল শক্তি উজার করে দিতে প্রস্তুত।তিনি আজ রোবার নগরীর বাগমনিরাম ওয়ার্ড, পাহাড়তলী ওয়ার্ড ও চান্দগাঁও ওয়ার্ডে করোনায় বিপন্ন পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত নগদ অর্থ ও প্যাকেট জাত খাদ্য সামগ্রি বিতরণকালে একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, করোনা ছোবলে পর্যুদস্ত বাংলাদেশ প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেও দ্বিতীয় ঢেউ আরও বড় বিপদ হয়ে ফনা তুলেছে। এতে আতঙ্কের কিছু নেই, সাহস না হারিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়াবার শক্তি সঞ্চয় করতে পারলেই আমরা অবশ্যই বিজয়ী হবো। তিনি নগরবাসীর উদ্দশ্যে বলেন, শুধুমাত্র সরকারি সাহায্য ও ত্রাণ দিয়ে শতভাগ নির্ভরতা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাই যার যা-যা সামর্থ্য ও সক্ষমতা রয়েছে তাও জনকল্যাণে উজার করে দিতে হবে। এই দায়িত্বটি বিত্তবান শ্রেণিকে অবশ্যই পালন করতে হবে। কেননা তাদের বিত্তের মধ্যেও গরীবের হক আছে। এই হক আদায় ও প্রদান ধর্মীয় ও মানবিক কর্তব্য।মেয়র নগরবাসীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, চসিক একটি সেবা মূলক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান। সেবার পরিধি বাড়াতে হলে অর্থের প্রয়োজন। তাই বলে নগরবাসীর উপর নতুন করে কর আরোপের প্রয়োজন পড়বে না। অথচ গৃহকর বাড়ানো হবে বলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। বর্ধিত কোন গৃহকর ধার্য হবে না। তবে করের পরিধি বাড়ানো হবে। তিনি নগরবাসীকে আশ^স্ত করেন, চট্টগ্রামে বহুমাত্রিক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলছে। তাই সাময়িক কিছু জনদুর্ভোগ হচ্ছে। এটা মেনে নিতে হবে।পৃথক পৃথক ভাবে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. এসরারুল হক, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পপাদক সাইফুল আলম বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা হাসান মনসুর, মাহফুজর রহামন মানিক, মো. আবুল হাশেম শাহ, মো. হায়দার আলী, সালাম জাগিরদার, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, মো. মহিউদ্দিন, দিদারুল আলম খোকন, মো. মনসুর প্রমুখ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরীকে ফিরে দেখা

96 Views

মোঃ রেজাউল করিম রাজু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: এম. রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম। তিনি বলেন, চসিকের বাজেট প্রস্তাবনা ২০২১-২০২২ এর বাস্তবায়নে প্রজন্মের জন্য স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যের নগরী গড়ার প্রত্যয়ে আমার উন্মুক্ত নাগরিক জবাবদিহিতা ও আহবান।সমম্বিত উদ্যোগ ও নাগরিক সচেতনতা স্মার্ট সিটি গড়ার পূর্বশর্ত। আর্থিক দেনা, উন্নয়ন কাজের বিড়ম্বনা ও বৈশ্বিক মহামারীর দুঃসময়কে সাথে করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগরের মানুষের সেবায় সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব গ্রহন করার আগে থেকেই উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাজে সমম্বয় সাধন অবশ্যই প্রয়োজন মনে করি। সমন্বয়ের অভাবে জনগণের অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়, নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ে। ফলে সরকারী সেবা সংস্থাগুলোর উপর মানুষের মনে বিরূপ ভাব, আস্থার সংকট ও অসহযোগিতার মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।সকলেই অবগত আছেন, চট্টগ্রামেও করোনার ২য় ঢেউ তথা ভারতীয় ধরণ উদ্বেগ বাড়িয়ে চলেছে। করোনার এ ঢেউ মোকাবেলায় জনসাধারণকে সচেতন ও সুরক্ষিত রাখার লক্ষ্যে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডের জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান রেলস্টেশন, বাসস্টেশন, শপিংমল ও ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ করোনা প্রতিরোধক বুথ স্থাপন করেছি। বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষনা করেছে সরকার। এর আগে সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করে। আমরা এ নির্দেশনা সম্পর্কে জনগণের কাছে তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় প্রচার প্রচারনা চালিয়েছি। নিজে সুরক্ষিত থাকার স্বার্থে, পরিবার পরিজন ও অন্যদের সুরক্ষিত রাখতে সরকারী বিধি নিষেধ ও লকডাউন কঠোরভাবে মানতে হবে। করোনার দ্বিতীয় দফার আক্রমনের শুরুতেই আমরা সংক্রমিতদের চিকিৎসা নিশ্চিতে ৫০ বেডের আইসোলেশন সেন্টার খুলেছি। নগরীর লালদিঘী পাড়ের চসিক পাবলিক লাইব্রেরিতে খোলা আইসোলেশন সেন্টারটির ৩৫টি শয্যায় পুরুষ এবং ১৫টি শয্যায় নারীর রোগীর ২৪ ঘণ্টা সুচিকিৎসা দিতে সক্ষম।প্রয়োজনের নিরিখে আরো কিছু আইসোলেশন সেন্টার খোলার চিন্তা আমাদের রয়েছে। এজন্য ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল টেকনিশিয়ান, স্বাস্থ্যকর্মী, সমাজের ধনশালী ব্যক্তিসহ সকল সচেতন মানুষের সহযোগিতা আমাদের সাথে থাকবে বলে আমরা আশা করি।মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের সাথে সাথেই ১০০ দিনের কাজের পরিকল্পনায় রুটিন কাজকে অব্যাহত রেখে অধিকতর জরুরী কিছু সেবা কার্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্যাচওয়ার্ক শুরু করি।মশকনিধন, পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, বেহাল সড়কগুলোর সংস্কার এবং আলোকায়নসহ চসিকের সেবামূলক পরিধিতে গতিশীলতা আনয়ন এবং আয়বর্ধক প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই ও উপায় অন্বেষণ করেছি। প্যাচওয়ার্কের মাধ্যমে নগরের ভাঙা রাস্তা মেরামতে শতভাগ সাফল্য এসেছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে অনেকটা গতিশীলতা এসেছে। নগরের ৩০টি রাস্তার ৭৬ কিলোমিটার অংশে পোল বসিয়ে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। আরো নানা স্থানে আলোকায়নের কাজ চলমান রয়েছে। ১০০ দিনের প্যাচ ওয়ার্ক থেকে অনেকটা সন্তোষ জনক সুফল আসায় দ্বিতীয় দফায় আরো ১০০দিনের প্যাচ ওয়ার্ক ঘোষনা করি। এর আওতায় চলমান কাজের অংশ হিসেবে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের বিস্তীর্ণ এলাকাতে নতুন করে এলইডি লাইট সমেত ল্যাম্প পোস্ট স্থাপন করে আলোকিত করা হয়েছে।মানুষের নিরাপদ হাঁটা চলার জন্য নগরীর রাস্তার দুপাশে ফুটপাত রাখা হয়। আশ্চর্যজনকভাবে কিছু লোক ফুটপাত দখল করে ব্যবসা বাণিজ্য খুলে বসে বৃহত্তর জনগোষ্ঠির অসুবিধা সৃষ্টি করে চলেছে। আমরা ফুটপাত সহ, খাল, নালার উপর থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করছি। দখলদাররা নিজ দায়িত্বে অবৈধ ভাবে স্থাপিত দোকানপাট, স্থাপনা সরিয়ে না নিলে আমরা সেসব স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছি। জনস্বার্থ রক্ষায় আমরা কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দিতে রাজী নই।এর মধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি, বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যার কারণে সেবা কাজের মান ও গতি কাঙ্খিত পর্যায়ে হয়না। সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হল উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিতরণ বিভাগসহ সরকারী সেবা সংস্থাসমূহের মধ্যে প্রয়োজনীয় সমম্বয়ের অপর্যাপ্ততা ও নাগরিক সচেতনতার ব্যাপক ঘাটতি।মশকনিধনে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করেও যতটুকু সাফল্য আসার কথা তা আসেনি। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা, জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে খালের বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেওয়ায় নালা নর্দমার স্থির ময়লা পানিতে মশকের প্রজনন কয়েকশ গুন বৃদ্ধি পায়, তদুপরি মশক নিধনে সংগৃহীত তরল ওষুধের কার্যকারিতা কাঙ্খিত মাত্রায় হয়নি।অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতা ও জলামগ্নতা চট্টগ্রামের দীর্ঘ দিনের সমস্যা। এ সমস্যা নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতার সহিত চট্টগ্রামের মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন, মেগা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়, এ কাজ এখনো শেষ হয়নি। নগরীর পানি নিস্কাশনের প্রধানতম খাল ও নালা গুলোর প্রায় প্রত্যেকটির জায়গায় জায়গায় বাঁধ দেয়া রয়েছে এবং খাল ও নদীর সংযোগ স্থলে বাঁধ দিয়ে স্লুইচ গেইট ও ওয়াটার রেগুলেটর নির্মানের কাজ অসম্পূর্ণ।তাই বর্ষা মৌসুম শুরুর অনেক আগে থেকেই শংকা করছিলাম অল্পবৃষ্টিতেই অন্ধ পানি নগরীর অলি, গলি ও রাস্তাঘাট ডুবিয়ে বাসাবাড়ীতে প্রবেশ করে অবর্ণনীয় দুর্দশার সৃষ্টি করতে পারে। তাই সিডিএকে অনুরোধ করেছিলাম বর্ষা মৌসুমের জন্য অস্থায়ীভাবে ও দ্রুততার সহিত খাল-নালার বিভিন্ন জায়গার বাঁধগুলো অপসারন করতে এবং খালের মুখে পানি বের করার জন্য অস্থায়ী পথগুলোকে আরো সম্প্রসারিত করতে। সিডিএ আমার অনুরোধ রাখতে পারেনি বা উপেক্ষা করেছে, তাই মৌসুমের প্রথম পসলা বৃষ্টিতেই নগরীর অধিকাংশ এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়।বৃষ্টির পানিতে উন্নয়নও নির্মান কাজের বালি, মাটি, বর্জ্য ও আবর্জনা খাল নালায় পতিত হয়ে জমে গেলে কয়েক ঘন্টা সময়ের মধ্যেই জরুরী ভিত্তিতে তা অপসারন করে এবং কিছু কিছু বাঁধ কেটে দিয়ে পানি চলাচলের রাস্তা করে দিই। ফলে, দুর্ভোগের এ মাত্রা আর বাড়তে পারেনি। তবুও ভারী বৃষ্টিপাত হলে এখনো নগরীর বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে যাচ্ছে, দ্রুততার সাথে পানি অপসারণ হচ্ছেনা। চসিকের নিয়মিত পরিষ্কার অভিযানে দেখা যায় আবর্জনার এক তৃতীয়াংশই থাকে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের বর্জ্য। এসব বর্জ্য অসচেতনভাবে খাল নালায় নিক্ষেপ করছে মানুষ। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশনে অন্তরায় হয়ে আছে পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের বর্জ্য। এমন সময়ে চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা, পরিবেশ রক্ষা ও কর্ণফুলী নদীর প্রবহমানতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং কাজে বড় বাঁধা এসব প্লাস্টিক পন্য ও পলিথিন। পলিথিনের ভয়াবহ আগ্রাসন থেকে নদী ও শহর বাঁচাতে পর্যায়ক্রমে পলিথিন উৎপাদন বন্ধ করতে চাই আমরা। জনগনকে এসব পলিথিন ব্যবহার পরিহার করে বিকল্প ব্যবস্থায় অভ্যস্থ হতে হবে।প্লাস্টিক পণ্য যত্রতত্র না ফেলে জমা করতে হবে যাতে রিসাইক্লিং জন্য সংগ্রহ করা যায়। এ ব্যাপারে সর্বমহল থেকে চসিককে সহযোগিতা করতে হবে। নগরীর উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার জন্য আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) জন্য ২ হাজার ৪৬৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছি আমরা। বাজেটে নিজস্ব উৎসে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫২ কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও চসিকের সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে আয়বর্ধক প্রকল্পসমূহকে আরো জোরদার ও নতুন নতুন প্রকল্প সৃষ্টি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এগুচ্ছি আমরা।সিটি কর্পোরেশন নগরবাসীর কাছ থেকে কর নিয়েই নগরসেবার কাজ চালায়। এই নির্দিষ্ট আয় দিয়ে সেবার পরিধি বাড়ানো সম্ভব নয়। তাই স্বনির্ভর হতে হবে। ইতিমধ্যে বেপারিপাড়ায় আগ্রাবাদ কমার্শিয়াল শপিং কমপে¬ক্স ও ১১ নং দক্ষিণ কাট্টলীর ফইল্লাতলী কিচেন মার্কেট উদ্বোধন করা হয়। নগরীতে পর্যায়ক্রমে আরো নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কাঁচাবাজারগুলোকে বহুতল কিচেন মার্কেটে রূপান্তর করা হবে। বহুতল কিচেন মার্কেটে বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট বরাদ্দ ও আবাসন সংস্থান ব্যবস্থা থাকবে। অর্থাৎ এ সকল মার্কেট একের মধ্যে দুই লক্ষ্য পূরণ করবে বাজার বিপনন ও আবাসন।বাজেট অধিবেশনে আমরা ২০২০-২১ অর্থবছরের ১ হাজার ১ কোটি ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট ঘোষণা করি। এ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ২ হাজার ৪৩৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। বাজেট বাস্তবায়নের হার ছিল ৪১ শতাংশ। তাই এবারের বাজেট বেড়ে দাড়িয়েছে ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকায়। প্রস্তাবিত বাজেটে তিন ধরনের কর বাবদ মোট আয় ধরা হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে বকেয়া কর ও অভিকর খাতে সর্বোচ্চ ২১৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা আয় ধরা হয়েছে। হাল কর ও অভিকর খাতে ১৮৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং অন্যান্য কর বাবদ ১৩২ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় ধরা হয়েছে। এবারের বাজেটের ৮৩৪ কোটি টাকা যাবে বকেয়া দেনা পরিশোধে। উন্নয়ন খাতে ব্যয় হবে ৮৮২ কোটি টাকা। আর বেতন-ভাতা এবং পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪০ কোটি টাকা। বাড়ীর মালিকদের সময়মত গৃহকর দিয়ে সহযোহিতার আহ্বান জানাই। অটোমেশনের মাধ্যমে নাগরিকরা যাতে ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে কর দিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা চালু করব।নগরীকে পরিবেশগত, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করতে চাই আমরা।ডিজিটাল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেড এর সাথে ইতিমধ্যে আমাদের একটি একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে নগরীতে ১০০টি ল্যাম্প পোস্টে সক্রিয় নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে এ চুক্তির আওতায়। নাগরিক নিরাপত্তায় ডিজিটাল নজরদারীর ব্যবস্থা, স্মার্ট স্ট্রিট লাইট, শব্দ দূষণ কমিয়ে আনা, স্মার্ট পার্কিং সুবিধা, শিক্ষার্থীদের জন্য রবি শাটল সেবা এবং ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। অন্যান্য টেলিকম কোম্পানিগুলোকেও আমরা একইভাবে স্বাগত জানাতে চাই ।একটা বিষয় আমাদেরকে মাথায় রাখতে হবে সরকারের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে নগর উন্নয়ন সম্ভব নয়। নগরবাসীর সহযোগিতা, চিন্তাচেতনা, মেধা ও সঠিক পরামর্শ এখানে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নগরীর বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও সার উৎপাদন, যানজট নিরসনে মেট্রোরেল নির্মাণ ও ঠান্ডাছড়ি পার্ক উন্নয়ন, আউটার রিং রোডের পাশে সি সাইটে ওশান পার্ক ও স্মৃতিসৌধ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নগরীর উন্নয়নে ঠিকাদাররা সরাসরি জড়িত। ঠিকাদারের সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতা না থাকলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়নকাজ করা সম্ভব নয়। ঠিকাদারদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় না থাকলে মানসম্মত কাজও সম্ভব হয় না। নগরীর উন্নয়নে ঠিকাদারদের আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে।সবশেষে বলতে চাই, আসুন সকলেই নিজের শহরকে সুরক্ষিত, সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে সচেতননতার সাথে নিজেদের সহযোগী হই। সিটি কর্পোরেশনের কাজে সহযোগিতার হাত বাড়াই। আসুন, সকলে মিলে প্রজন্মের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময়, স্বস্থির চট্টগ্রাম মহানগর গড়ে তুলি।

চবি’র ২ প্রকৌশলী ও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মে অভিযুক্তদের শাস্তির বদলে পুরস্কার!

174 Views

মাহমুদুল হাসান আফ্রিদি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন প্রকৌশলী ও একজন রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উল্টো তাদেরকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড ও দরপত্র আহ্বান কমিটিতে সদস্য হিসেবে রেখেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ যেনো শাস্তির বদলে পুরস্কারই পাচ্ছেন তারা। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চলছে নানান সমালোচনা।এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে দুই প্রকৌশলী ও একজন রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। তারা হলেন প্রকৌশল দফতরের প্রধান প্রকৌশলী আবু সাঈদ হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার মাহবুব আলম ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোল্যা খালেদ হোসেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্তে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুসন্ধানে বর্ণিত প্রকল্পের কার্যাদেশ প্রাপ্তিতে প্রস্তাবনা, জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরইমধ্যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জিকেবি অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরীয়া শামীম, দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (চট্টগ্রাম -২) মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও দরপত্র মূল্যায়ন অনুসন্ধানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবু সাঈদ হোসেন, প্রকৌশল দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার মাহবুব আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোল্যা খালেদ হোসেনের অযোগ্য ও অদক্ষতার প্রমাণ পায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য কমিশন কর্তৃক সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়াও তাদের এ অযোগ্যতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি প্রফেসর ড. শিরীণ আখতারকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।গত বছরের ২০ জুন অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির ৩১৩তম ৬নং সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লিফট ক্রয় ও সংস্থাপন কমিটিতে আবারো সদস্য করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবু সাঈদ হোসেনকে। অথচ দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে বিভাগী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অবহিত করেছে।এছাড়াও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোল্যা খালেদ হোসেনকে প্রকৌশল দফতরের দরপত্র, কোটেশন মূল্যায়ন কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ১৯৭৩ এর ধারা ৫৫ (৩) উপ ধারা অনুযায়ী নৈতিকতা বিরোধী কাজ, অসদাচারণ কিংবা অদক্ষতার জন্য চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা সংবিধির ২ (গ) ধারা অনুযায়ী এ ধরনের আচরণকে অসদাচরণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।উক্ত সংবিধির ৪ ধারা অনুযায়ী অনুরূপ অসদাচরণের জন্য চাকরিচ্যুতিসহ বিভিন্ন মাত্রার শাস্তির বিধান রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর মনিরুল হাসান বলেন, তারাতো আগে থেকেই অনেক কমিটিতে আছেন। এখন কেমনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। বললেই তো আর ব্যবস্থা নেয়া যায় না।এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌলী আবু সাঈদ হোসেন বলেন, আমি স্বচ্ছতার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করে গেছি। সেখানে আমার কোনো ক্রুটি ছিল না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার পর কল রিসিভ করে কথা বলেননি।আরেক সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক রাশেদ মোস্তফা বলেন, বর্তমানে কোনো কমিটিতে রাখা হয়নি। এখন যে কমিটিগুলো তারা আছেন সেগুলো অনেক আগের।

চট্টগ্রামে কোভিডে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে

114 Views

মোঃ রেজউল করিম রাজু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: চট্টগ্রামে এতদিন মৃত্যুর হার কম থাকলেও হঠাৎ করে আবারও বেড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে মৃত্যু হয়েছে প্রতিদিন এক দুইজন করে। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। যা গতকাল শনিবার (৮ মে) ছিল ৩ জন।এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৪ জনের। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১ হাজার ৯৩ জনে।রোববার (৯ মে) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাবে ১ হাজার ১৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।এর মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৮৫টি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। বিআইটিআইডি ল্যাবে ২২ জন, চমেক ল্যাবে ১৯ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৫০৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জন, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৩৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জন এবং মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ১১টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব ও বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এছাড়া কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৪টি নমুনা পরীক্ষা করে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি জানান, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ৭৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ১৯৭টি। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরে ৫৫ জন এবং উপজেলায় ১৯ জন।চট্টগ্রামে গ্রামের চেয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার শহরে বেশি। মৃত্যুর এ পর্যন্ত মৃত্যু ৫৬১ জনের। আর আক্রান্ত ৫১ হাজারের বেশি। আক্রান্তের হার বেশি ৩১ থেকে ৪১ বছর বয়সী।