Category: কোম্পানীগঞ্জ
কোম্পানীগঞ্জে পাঁচ ফার্মেসিকে জরিমানা
মওদুদের স্ত্রী হাসনা মওদুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত:আবদুল কাদের মির্জা
বদিউজ্জামান তুহিন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেেছেন, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদের স্ত্রী হাসনা মওদুদ বলেছেন, সাঈদীকে ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এ বক্তব্যের জন্য হাসনা মওদুদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত।
এ সময় তিনি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ফাঁসির দাবি জানান ।সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২১ আগস্টের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।কাদের মির্জা বলেন, ২১ আগস্টের মামলায় তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি এ সমাবেশ থেকে বলবো তাকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হোক। তা না হলে নিহত ২৪ জনের পরিবারসহ জাতি এ বিচার পাবে না।
মেয়র মির্জা বলেন, ২১ আগস্ট খুনিরা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে বিলীন করে দিতে চেয়েছিল। নেতারা মানববর্ম দিয়ে নেত্রীকে বাঁচিয়েছে। আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরও সেদিন রক্তাক্ত হয়েছিল। আর বিএনপি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এটাকে দিয়ে জজমিয়া নাটক সাজিয়েছে।জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তিনি আলেম-ওলামা ছিলেন। কিন্তু দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী হলেও আমাদের দলের কেউ কেউ তার জন্য দরদ দেখাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন যা হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। তবে কিছু ক্ষেত্রে জনগণ আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আজকে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে আর কমছে, বিদ্যুৎ আসছে আর যাচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী আপনি কোথায়? বিএনপি নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। ঢাকায় ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে এসব দেখতে হবে। ভারত-আমেরিকা কি বললো তা শোনার দরকার নেই। আমাদের দেশে কে নেতৃত্ব দেবে আর কে সরকার গঠন করবে তা দেশের জনগণই নির্ধারণ করবে। জনগণের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।
মুঠোফোনে কথা বলতে ডেকে নিয়ে বলৎকার, শিক্ষক গ্রেফতার
কোম্পানীগঞ্জে শিশুকে যৌন হয়রানি, ব্যবসায়ী কারাগারে
কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: কোম্পানীগঞ্জে ওয়াজ মাহফিল থেকে তুলে নিয়ে শিশুর যৌন হয়রানির দায়ে গোলাম ছারওয়ার (৩৭) নামে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।আটক ছারওয়ার রামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বশির উল্যাহ রোডের ছারওয়ারের নতুন বাড়ির মৃত এরফান উল্যাহর ছেলে। তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ রোমন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি রামপুর হোসাইনীয়া ফোরকানীয়া মাদ্রাসার ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল থেকে ওই শিশুকে (১৪) নির্জন বাগানে তুলে নিয়ে বামনী বাজারের তরকারী ব্যবসায়ী গোলাম ছারওয়ার যৌন হয়রানি করেন। এ ঘটনায় ওই শিশুর মায়ের অভিযোগে মামলা রুজু করে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।এদিকে আসামি গ্রেফতারের পর তার লোকজন বাদি ও তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিশু ও তার পরিবার নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে পুলিশ প্রশাসনের মতবিনিময় সভা
বোরহান আহমেদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২২খ্রীঃ ৭ম ধাপে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সহিংসতা বিহীন নির্বাচন করার লক্ষ্যে ১নং সিরাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বার পদ-প্রার্থীদের নিয়ে অফিসার ইনচার্জ, কোম্পানীগঞ্জ থানা এর উদ্যোগে যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকলের টিকা নিশ্চিত করত মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার এর মাধ্যমে অদ্য বিকাল ০৪.০০ ঘটিকার সময় পরিষদ হলরুমে এক জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অফিসার ইনচার্জ, সাজ্জাদ রোমন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান, বিশেষ অতিথি পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম মিজানুর রহমান, রিটার্নিং অফিসার, শাহ কামাল পারভেজ। উক্ত সভায় চেয়ারম্যান এবং মেম্বার প্রার্থীরা ধারাবাহিকভাবে নিজেদের মতামত / অভিযোগ প্রকাশ করেন এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ, সংঘাতহীন, আশঙ্কামুক্ত নির্বাচন উপহার দেয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রার্থীদের মতামতের উপর ভিত্তি করে অফিসার ইনচার্জ ও প্রধান অতিথি মহোদয় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে আশ্বস্ত করা হয়।এর ধারাবাহিকতায় আজও বিভিন্ন সীমানা এলাকায় চেকপোস্ট চলিতেছে …নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলুন। পুলিশকে সহায়তা করুন।
কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসচেতনতা মূলক সভা
বদিউজ্জামান তুহিন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারিতে সপ্তম ধাপে অনুষ্ঠিত নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে, সহিংসতা ও অস্থিরতা পরিস্থিতি রোধকল্পে মঙ্গলবার বিকেলে ২ নং চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়।কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ রোমন এর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) নাজমুল হাসান রাজীব, ২নং চরপার্বতী ও ৩নং চরহাজারীর রিটার্নিং কর্মকর্তা আক্রাম উদ্দিন প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিঃ পুলিশ সুপার আকরামুল হাসান চেয়ারম্যান প্রার্থী ও মেম্বার প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনারা ভোটার প্রস্তুত করুন, আমরা ভোটের মাঠ তৈরী করব।কোম্পানীগঞ্জের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে,যা রক্তপাতমুক্ত।
সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন সেতুমন্ত্রীর ৩ ভাগিনা কোম্পানীগঞ্জ ইউপিতে চষে বেডাচ্ছেন
গিয়াস উদ্দিন রনি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ৩ ভাগিনা ভোট যুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ ইউপিতে চষে বেডাচ্ছেন।এরা হচ্ছেন, সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু, জায়দল হক কচি ও সিরাজিস সালেকিন রিমন।এদের মধ্যে মঞ্জু ২নং চরপার্বতী, কচি ৫নং চরফকিরা ও রিমন ৬নং রামপুরে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন। তাদের সবার প্রতীক আনারস। মঞ্জু ও রিমন মন্ত্রীর আপন ভাগিনা, আর কচি মন্ত্রীর ফুফাতো বোনের ছেলে। তারা সবাই ভোটের ময়দানে এবারই প্রথম।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন ভাগিনার বিপরীতে ওই ইউনিয়নগুলোতে অপর প্রতিদ্বন্ধি বর্তমান চেয়ারম্যান।তার ঘোষিত প্রার্থীরা হচ্ছেন, ২নং চরপার্বতী ইউনিয়নে মোজাম্মেল হোসেন কামরুল (টেলিফোন), ৫নং চরফকিরায় জামাল উদ্দিন লিটন (মোটর সাইকেল) ও ৬নং রামপুরে ইকবাল বাহার চৌধুরী (মোটর সাইকেল)।কাদের মির্জা প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় ও উঠান বৈঠকে উপস্থিত হয়ে অনুসারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখহয়ে অনুসারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখনে। মেয়র দাবি করেন, ভাগিনারা ওবায়দুল কাদেরের ‘নাম বিক্রি করে’ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন।এদিকে কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের সমঝোতা না হওয়ায় এখানে ইউপি নির্বাচনে কোন পক্ষকেই নৌকা দেওয়া হয়নি। উম্মুক্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগেরে ভোটের লড়াই জমে উঠেছে।অন্যদিকে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের তিন ভাগিনাকে সমর্থন দিয়েছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ।মিজানুর রহমান বাদল বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এ তিনজনের ধারে কাছেও থাকবে না কাদের মির্জার প্রার্থীরা। এ জন্য আমরা প্রশাসনের শক্ত ভুমিকা প্রত্যাশা করি।’উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের রয়েছে ক্লিন ইমেজ। এরসঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের সততা ও উন্নয়নে ফলে ভাগিনাদের প্রতি জনগনের জোয়ার উঠেছে।’তবে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নানামূখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ভোট ডাকাতিরও পাঁয়তারা হচ্ছে। অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট না হলে প্রশাসন দায়ী থাকবে। এরজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা চেয়ারম্যানও দায়িত্ব এড়াতে পারবেন না। প্রয়োজনে ভোট বর্জন করে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।’আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জে ৮ ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখানে ৩২জন চেয়ারম্যান পদে ৩২জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ৮৬জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৩২৬জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।প্রসঙ্গত, গত এক বছর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মতবিরোধ চলে আসছে। এর এক পক্ষে সেতুমন্ত্রীর ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং অপর পক্ষে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইতোমধ্যে এক সাংবাদিকসহ দুইজন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালী-৫ আসনে দলীয় প্রতীক ছাড়া ইউনিয়ন নির্বাচন
গিয়াস উদ্দিন রনি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকায় নোয়াখালী-৫ আসনে দলীয় প্রতীক ছাড়া আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি ইউপি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন হচ্ছে না বলে জানান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন না হওয়ার সংবাদে এখানকার প্রার্থী ও ভোটাররা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। এ খবর জানাজানি হওয়ার পর কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে সম্ভাব্য প্রার্থীরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে শনিবার আনন্দ মিছিল করেছে। এতদিন নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য যারা দৌড়ঝাঁপ করেছেন, তারাও দলীয় এ নির্দেশনা পেয়ে চুপসে গেছেন। নানা কোলাহলমুক্ত আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা হঠাৎ উজ্জীবিত হয়ে মাঠে-ময়দানে নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে সরব হয়েছেন। এর মধ্যে একাংশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নব উদ্যম ও প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। অপরদিকে যারা নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে কেউ কেউ প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের হতাশ একটি অংশকে বলতে শোনা গেছে, আমাদের নেতা (ওবায়দুল কাদের) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউপিতে বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীদের জেতাতেই এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগাপ্লুত স্ট্যাটাস নিয়ে কেউ তা আবার ডিলিটও করেছেন। আওয়ামী লীগের ২ পক্ষের বিরোধ সামনে রেখে হামলা-সংঘর্ষ এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে দলীয় প্রতীকবিহীন নির্বাচনের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিরাজপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল আউয়াল তানসেন উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, দলীয় এ সিদ্ধান্ত কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমি মনে করি। এখন যে কারো প্রার্থী হতে আর কোনো বাধা নেই। আমি নিজেও আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে সিরাজপুর ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবো। প্রসঙ্গত, গত ১ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বিবদমান ২ পক্ষের মধ্যে একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ দিতে হয়েছে উদীয়মান তরুণ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির ও শ্রমিক লীগ নেতা আলাউদ্দিনকে। বিবদমান উভয়পক্ষ একে অপরকে আসামি করে অর্ধ শতাধিক মামলাও করেছে। এসব মামলায় কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। শীর্ষ একাধিক নেতাসহ বেশ কয়েকজনকে পঙ্গুত্ববরণ করতে হয়েছে। কেউ কেউ এখনো চিকিৎসাধীনসহ অনেকে জেলে রয়েছেন।
প্রকাশিত হয়েছে কাদের মির্জার আত্মজীবনী ‘সত্য যে কঠিন’
গিয়াস উদ্দিন রনি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: প্রকাশিত হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আত্মজীবনীমূলক বই ‘সত্য যে কঠিন’। জানা যায়, আত্মজীবনীতে তিনি ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি দেশ, সমাজ ও সময়কে নির্মোহভাবে তুলে ধরেছেন। কাদের মির্জার শৈশব কাটে পাকিস্তানের দুঃশাসনের যাঁতাকলে, কৈশোরে তিনি প্রত্যক্ষ করেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। তারপর স্বাধীন বাংলাদেশ, জাসদের উত্থান ও তাণ্ডব, বঙ্গবন্ধু হত্যা, খুনি মোস্তাকের পথ বেয়ে মেজর জিয়ার ক্ষমতা দখল, এরশাদের ক্ষমতা দখল, কারফিউ, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ, গ্রেফতার, হামলা-মামলা প্রভৃতি জাতীয় ঘটনাবলির প্রবাহে কাদের মির্জার ব্যক্তিজীবন আবর্তিত। তিনি নিজেও স্বৈরাচারের খড়গের কবলে পতিত হয়েছিলেন। ব্যক্তিজীবনের আবেগ, অনুভূতি, পাওয়া না-পাওয়া, আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্না, মান-অভিমান, ক্লেদ-হতাশা, সুখ-দুঃখের কথকতায় পরিপূর্ণ এই গ্রন্থ। বইটির বুনন ও বয়ানে শ্লেষ, হাস্যরস ও কৌতুকাবহ পাঠকের মনে আনন্দের উদ্রেক করবে। তথ্য, উপাত্ত, ইতিহাস-ঐতিহ্য আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি ঘটাবে।বইটির প্রকাশক এএসএম ইউনুস বলেন, বইটিতে কাদের মির্জা তার জীবনের বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত তুলে ধরেছেন। এই আত্মজীবনীতে পাঠক কাদের মির্জা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে। বর্তমান সময়ের কাদের মির্জার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা ছাড়াও আগামী প্রজন্মের জন্য বইটি বিদ্রোহ-বিপ্লবের অমর স্মারক হবে। প্রকাশক এএসএম ইউনুস আরও বলেন, ইন্তামিন প্রকাশনীর আয়োজনে আগামী ১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হবে। আশা করি, বইটি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করবে। বই সম্পর্কে কাদের মির্জা বলেন, আত্মজীবনী লিখতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। আমি দীর্ঘ ৪৮ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমার জীবনে অনেক কিছু দেখেছি। পাহাড়সম বাধা ডিঙিয়ে দুর্বার ছুটে চলেছি পথে-প্রান্তরে, গরিব-অসহায়ের অন্তরে-অন্দরে। সত্য বলায় কখনও পিছপা হইনি। প্রাণ যাবে তবুও সত্য বলা থেকে কেউ বিরত রাখতে পারবে না। ইনশাআল্লাহ। ‘অন্যায়ের কাছে কভু নত নাহি শির/ ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর’ পঙক্তি উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, দলের বড় পদ পদবি না থাকলেও জীবনে অনেক কিছু দেখেছি। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে মৃত্যুভয় উপেক্ষা করে দুর্নীতি, জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আমি মনে করি, ‘সত্য যে কঠিন’ বইটি বিদ্রোহ-বিপ্লবের অমর স্মারক হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই করে নিবে। উল্লেখ্য, আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে ১৯৫৯ সালের পহেলা ডিসেম্বর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মাস্টার মোশারফ হোসেন ও ফজিলাতুননেছার ষষ্ঠ সন্তান। তারা ১১ ভাই-বোন। ভাইদের মধ্যে মির্জা কাদের তৃতীয়। তার নানা খান সাহেব মৌলভী আমিন উল্লাহ ছিলেন ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের এমএলএ। তার অগ্রজ ওবায়দুল কাদের দেশের জাতীয় রাজনীতিতে খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে মির্জা কাদের চতুর্থবারের মতো বসুরহাট পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি ‘অপরাজনীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্য বচনের’ কারণে তিনি জাতীয়ভাবে বেশ আলোচিত হন।