বঙ্গবাজারে প্রায় ৬ হাজার দোকান পুড়ে ছাই

1,146 Views

মাহমুদ খাঁনঃ রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়বাহ আগুনে ছয়টি মার্কেটের পাঁচ থেকে ছয় হাজার দোকান পুড়ে গেছে। দোকান মালিকসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পরিবারের সদস্যরা ক্ষতিগস্ত হয়েছে।বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও এনেক্সকো টাওয়ারের পরিচালক জহিরুল ইসলাম এমনটা দাবি করেছেন।

তিনি বলেন, দৈনিক নোয়াখালী সময়কে বলেন,ঈদ উপলক্ষ এ মাসে মালিকরা মালামাল রির্জাভ করে রেখে ছিল ব্যবসায়ীরা। সবার স্বপ্ন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ হয়ে গেলো।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে তিনি এসব কথা গুলো বলেন।জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কোনো অবস্থা নেই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ কর্মরত ছিলেন। ঈদের আগে সব দোকানে মালামাল তোলা হয়েছিল। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখন বলা যাবে না।’

এর আগে আজ ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। ৫১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে।

এদিকে বঙ্গবাজারের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে। সেই আগুনে পুড়েছে হেড কোয়ার্টারের ভেতরের চারতলা পুলিশ ব্যারাক ভবন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ভেতর পুলিশ ব্যারাকের চারতলা ভবনে আগুন লেগেছে। এতে ওই ভবনের সবকটি কক্ষ পুড়ে গেছে। ১১টা ১৫ মিনিটে জলকামান এসেছে। ফায়ার সার্ভিস পানি দিয়েছে। ভবনটি মহানগর শপিং কমপ্লেক্স লাগোয়া।

প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টায় কয়েকটি মার্কেটের কয়েক হাজার দোকান পুড়িয়ে নিয়ন্ত্রণে আসে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোনাইমুড়ীতে মাদকের আখড়ায় যুবক খুন, অসি আলম আটক

353 Views

সোনাইমুড়ীতে মাদকের আখড়ায় যুবক খুন, অসি আলম আটক

 

মাহমুদ খাঁনঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাদক ও জুয়ার আখড়া খ্যাত ধন্যপুরে ছাদু মহাজন বাড়ীতে মাহবুব হোসেন (২৮) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় খুনি সাদ্দামের পিতা অসি আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলার সোনাপুর ইউপির ধন্যপুর গ্রামের ছাদুু মহাজন বাড়ীতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুব একই ইউপির মেড়িপাড়া গ্রামের নকু মিয়া হাজী বাড়ীর জয়নাল আবেদীনের ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, নিহত মাহবুব কিছু দিন মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত মঙ্গলবার জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ীতে আসে। বুধবারে মাদকের টাকা নিয়ে সাদ্দামের সাথে মেড়িপাড়া ব্রীজের উপরে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে রবিবার সকালে খুনী সাদ্দাম মাহবুবকে তার বাড়ী থেকে ধন্যপুর ছাদু মহাজন বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে উভয়ের মধ্যে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাদ্দাম ও তার ভগ্নিপতি চৌধুরী মাহবুবকে চাইনিজ কুরাল ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে মাহবুবের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর লাশটি গুম করতে টেনে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী জানতে পারায় তারা ব্যর্থ হয়ে অবশেষে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত মাহবুবের লাশ ও হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা একটি দা উদ্ধার করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুনী সাদ্দামের পিতা অসি আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। স্হানীয়রা জানায়,খুনি সাদ্দাম ও তার পরিবার বিগত ১৪/১৫ পুর্বে লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার মিয়ার চর এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে এখানে আসে। মরহুম ছাদু মহাজনের পরিবারের কেউ বাড়ীতে না থাকায় তার মেয়েরা খালি বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণ মর্মে সাদ্দামের পরিবার কে থাকতে দেয়। সেই থেকে তারা এখানে থেকে দিনমজুরির আড়ালে স্হানীয় কতিপয় মাদক কারবারির সাথে সখ্যতার সুবাদে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। দৈনিক নোয়াখালী সময় কে তারা আরো জানান, প্রায় প্রতিরাতেই এখানে মাদকের আখড়া বসে। সেই মাদকের টাকার জন্য জন্য মাহবুব খুন হতে পারে বলে অনেকই ধারনা করছে।

এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাফর জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবগঠিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম।

325 Views

সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবগঠিত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম।

মাহমুদ খাঁনঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কার্যকরী কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার এ সভায় আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি বলেন, জাতির বিবেক খ্যাত সাংবাদিকরা সততার মাধ্যমে সত্য সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার করবে এটাই স্বাভাবিক। অপরাধ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে বাধা আসতেই পারে, তা ভেবে কলম বন্ধ রাখলে চলবে না। উন্নয়ন সাংবাদিকতার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়ন এবং অর্জন সমূহ গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের আহবান জানান।

মতবিনিময়ে অংশ নেন,সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি খোরশেদ আলম শিকদার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মানিক, সহ-সভাপতি মাহমুদ খাঁন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মাহমুদ, মাকসুদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ করিম,কোষাধ্যক্ষ সেলিম মিয়া (যুগান্তর),সমাজকল্যাণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, দপ্তর সম্পাদক মাহবুবুল হাসান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ,ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেল্লাল হোসেন নাঈম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নোয়াখালী টিভি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি তাজুল ইসলাম মানিক, চ্যানেল আই নোয়াখালী প্রতিনিধি আলা উদ্দিন শিবলু, যমুনা টিভি নোয়াখালী প্রতিনিধি সবুজ, সাংবাদিক বদিউজ্জামান তুহিন, ইয়াকুব আল মাহমুদ প্রমুখ সাংবাদিক বৃন্দ।