ক্রাইম রিপোর্টার,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ
নোয়াখালীতে স্কুল ছাত্রী অপহরণের ২দিনের উদ্ধার হয়নি৷ ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোপাই গ্রামে গত ২৪ আগষ্ট ২০২৩ইং রোজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় এলাকাবাসী ও ভিকটিমের পরিবার জানায় মোটরসাইকেল গ্যারেজ ব্যবসায়ী সাহাদাৎ হোসেনের কন্যা সুমাইয়া ইয়াছমিন ফুল(১৭) উত্তর সোনাপুর কলেজিয়েট হাই-স্কুল থেকে ১০শ্রেণীর পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নাহিদ প্রকাশ আবিদ বাহিনীর হাতে অপহরণের শিকার হয়৷ অপহৃতার মা মুন্নি বেগম জানায়,আমার অসহায় কন্যা বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী নাহিদ প্রকাশ আবিদ, নিশাদ,মানিক, বাহার,সহ ফরিদা বেগমের নেতৃত্বে আমার নাবালিকা মেয়ে অস্ত্রের মুখে মাইক্রোযোগে লক্ষীপুরের রামগতি দিকে নিয়ে যায়৷ এব্যাপারে গত ২৪ শে আগষ্ট রাতে ভিকটিমের পিতা সাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় ১৮৫২ নং জিডি করে৷ সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই মোঃরিয়াজ হাসান জানায়,অপহৃতার পরিবার কে বলেছি আগে তথ্য নেয়ার জন্য৷ অনুসন্ধান করে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর জেঠাতো ভাই শাওন জানায়,অপহরণকারীরা সবাই হোন্ডাচোর চক্র৷ ভগ্নিপতি আইউব নবী সজিব জানায় তাদের বাড়ী লক্ষীপুর রামগতি থানার চরমজিদ ইউনিয়ন আজহার মাস্টার পোলের গোড়া খোকনের বাড়ি৷ অপহৃতার পরিবার জানায় অপহরণকারীর বন্ধু নিশাদ ভিকটিমের পরিবার কে ০১৬১২-৯৩৭৫৮৯ থেকে একেকবার একেক জায়গা থেকে যাওয়ার জন্য বলে৷ পরে তারা তাঁর কথামতো পাটোয়ারী হাট গেলে সে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়৷ অপহরণকারীর মা ফরিদা বেগমের ০১৮৩৫-২৫৭৪৪৭ নাম্বারে যোগাযোগ করলে সে তাদের উপর উল্টো চড়াও হয় বলে বাদী জানান৷ অপহরণকারীর মুঠোফোন ০১৮৩৮৯৬০১৫৬ নাম্বারে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়৷ অপহরণকারীর প্রথম স্ত্রী রাহী ০১৮৩৬৬৪৯২২২ নাম্বারে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,আমার ২টি সন্তান রয়েছে৷ তাঁর এ পারফর্মেন্স আমি বাধাঁ দেয়ার কারণে আমাকে তাঁর মা এসে শারীরিক নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেয়ায় আমি ভয়ে আমার বাপের বাড়ি চৌমুহনীতে চলে এসেছি৷ নির্যাতিতা রাহি আরো জানায়,চোর পরিবারের এ সদস্য বহু মেয়েকে প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে মেয়েদের কে প্রথমে জিম্মি করে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে৷ সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভিকটিম অপহরণের আগে পরিবারকে বখাটে যুবকেের ইভটিজিং করার অভিযোগ করলে তাকে জিজ্ঞেসা করলে সে পাল্টা-হুমকি দিয়ে বলে থানা পুলিশ আমার হাতের তালু৷ এ রিপোর্ট লেখার সময় পযর্ন্ত অপহরণকারীরা গ্রেফতার ও অপহৃতা উদ্ধার হয়নি৷
এই ব্যাপারে ভিকটিমের পরিবার জানান,আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি৷
Category: অপরাধ বার্তা
সোনাইমুড়ীতে মাদকের আখড়ায় যুবক খুন, অসি আলম আটক
সোনাইমুড়ীতে মাদকের আখড়ায় যুবক খুন, অসি আলম আটক
মাহমুদ খাঁনঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মাদক ও জুয়ার আখড়া খ্যাত ধন্যপুরে ছাদু মহাজন বাড়ীতে মাহবুব হোসেন (২৮) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় খুনি সাদ্দামের পিতা অসি আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (২৮ নভেম্বর) উপজেলার সোনাপুর ইউপির ধন্যপুর গ্রামের ছাদুু মহাজন বাড়ীতে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুব একই ইউপির মেড়িপাড়া গ্রামের নকু মিয়া হাজী বাড়ীর জয়নাল আবেদীনের ছেলে। স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, নিহত মাহবুব কিছু দিন মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত মঙ্গলবার জামিনে ছাড়া পেয়ে বাড়ীতে আসে। বুধবারে মাদকের টাকা নিয়ে সাদ্দামের সাথে মেড়িপাড়া ব্রীজের উপরে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে রবিবার সকালে খুনী সাদ্দাম মাহবুবকে তার বাড়ী থেকে ধন্যপুর ছাদু মহাজন বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে উভয়ের মধ্যে টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাদ্দাম ও তার ভগ্নিপতি চৌধুরী মাহবুবকে চাইনিজ কুরাল ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে মাহবুবের মৃত্যু নিশ্চিত করার পর লাশটি গুম করতে টেনে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এলাকাবাসী জানতে পারায় তারা ব্যর্থ হয়ে অবশেষে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত মাহবুবের লাশ ও হত্যাকান্ডে ব্যবহার করা একটি দা উদ্ধার করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুনী সাদ্দামের পিতা অসি আলমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। স্হানীয়রা জানায়,খুনি সাদ্দাম ও তার পরিবার বিগত ১৪/১৫ পুর্বে লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার মিয়ার চর এলাকা থেকে কাজের সন্ধানে এখানে আসে। মরহুম ছাদু মহাজনের পরিবারের কেউ বাড়ীতে না থাকায় তার মেয়েরা খালি বাড়িটি রক্ষণাবেক্ষণ মর্মে সাদ্দামের পরিবার কে থাকতে দেয়। সেই থেকে তারা এখানে থেকে দিনমজুরির আড়ালে স্হানীয় কতিপয় মাদক কারবারির সাথে সখ্যতার সুবাদে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। দৈনিক নোয়াখালী সময় কে তারা আরো জানান, প্রায় প্রতিরাতেই এখানে মাদকের আখড়া বসে। সেই মাদকের টাকার জন্য জন্য মাহবুব খুন হতে পারে বলে অনেকই ধারনা করছে।
এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাফর জানান, লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌর হাজীপুরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত
মোজাম্মেল হোসেন কামাল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: দয়াগানে ইসলাম, আশেকানে শরিয়ত ও ত্বরিকত প্রতিবছরের ন্যায় বুধবার দিবাগত রাত শাহেন শাহে আজম হযরত মাওলানা শাহ্ সূফী খাজা সৈয়দ সিরাজুল করিম ওমর চৌধুরী আল্ কাদেরী, আল্ চিশ্তী (রঃ) ও মাওলানা সাইফুল ইসলাম সিদ্দীকী আল্ কাদেরী, আল্ চিশ্তী মাদ্দাবিল্লাহুল আলিল’র অনুমতি ক্রমে ২৪তম তিরধান দিবস উপলক্ষ্যে নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর উত্তর হাজীপুর ব্যাটারী কোম্পানীর বাড়ীতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ) মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।আবদুল গফুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও আলী আকবর হোসেন চৌধুরীর সঞ্চালনায় মিলাদ ও দোয়া করেন মাওলানা রাশেদ হোসেন। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সচিত্র নোয়াখালী পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আমিরুল ইসলাম হারুন, চলতি ধারা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এমবি আলম, বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন কামালসহ অনেকেই। অনুষ্ঠানে কুরআন খতম, জিকির আজকার, মুনাজাত ও তবারক বিতরনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সাংবাদিক সাঈদ এর চলাচলের পথ বন্ধ করে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী।
গত ১২/১১/২০২০ইং তারিখে সাংবাদিক সাঈদ এর চলাচলের পথ বন্ধ করে দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী। ঝচাঁদাবাজ,ভূমিদস্যুরা। সাংবাদিক সাঈদ যখন পথ বন্ধ করতে নিষেধ করে, সন্ত্রাসীরা তখন তাকে এবং তার ফ্যামিলির প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সাঈদ তাৎক্ষণিক আইনের আশ্রয় নেয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ করে ১২/১১/২০২০
রাতে। সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে ক্ষিপ্ত হন নি সাঈদে বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে সন্ত্রাসীরা । সাঈদের বাড়ি উত্তর বাড্ডা সাতারকুল রোড পূর্ব পদরদিয়া শাহাবুদ্দিন রোড উত্তর বাড্ডা ঢাকা। তখন সাঈদ পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে আদালতের আশ্রয় নেন। ২২/১১/২০২০ সরকারি রাস্তা না ছাড়ায় আদালতে মামলা করেন। ও
ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের আসামি নোয়াখালীর হাতিয়ার হিরোইনসেবী মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মাহমুদুল হাসান আফ্রিদি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মজনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশপাশি মজনুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের কাঠগড়ায় তোলার সময় মজনু অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। পুলিশ ও আইনজীবীদর অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও চেঁচামেচি করেন তিনি। এ সময় চিৎকার করে মজনু বলেন, আমি ধর্ষণ করি নাই, আমাকে ছেড়ে দাও, আমি বাড়ি যাব। আমাকে ছেড়ে না দিলে লাফ দিয়ে মরে যাব। তিনি আরো বলেন, আমি ধর্ষণ করি নাই, ধর্ষণ করছে চারজন মিলে। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না। আমি গরিব দেখে আমাকে ধরেছে। আমার নাম মজনু পাগল, আমার গায়ে শক্তি নাই। আমাকে ছেড়ে দেন।
তুলে নিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা, ব্যর্থ হয়ে রাতভর শারিরীক নির্যাতন, সাবেক স্বামী আটক
নাসির উদ্দিন মাহমুদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী থেকে তুলে নিয়ে তরুণীকে (১৯) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে রাতভর মারধরের ঘটনায় তার সাবেক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় আরো তিন আসামি পলাতক রয়েছে। আটক সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পী (২৯) কবির হাট উপজেলার নবগ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে। শুক্রবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ২টায় আটক আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সাবেক স্বামীসহ ৪ জন জনকে আসামি করে ভুক্তভোগী সুধারাম থানায় মামলা করলে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতেই সাবেক স্বামীকে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রাম থেকে আটক করে পুলিশ। মামলা সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নিজ কর্মস্থল জেলা শহর মাইজদীর গ্রীণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে মাইজদীস্থ হরিনারায়পুরের বাসায় ফিরছিলেন শিক্ষানবিশ ওই নার্স। মাইজদী পেট্রোল পাম্পের সামনে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন এসময় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা সামনে এসে দাঁড়ালে তিনি গন্তব্যে যাবার জন্য উঠে পড়েন। পরে ওই গাড়িটি একটু সামনে গেলে দুজন যাত্রী সামনের সিটে ওঠেন। আর একটু সামনে গেলে তার সাবেক স্বামী ও আরও একজন ভিকটিমের দু পাশে উঠে বসেন। সিএনজিচালিত অটো রিকশায় ওঠার পর থেকেই তার ওপর শারিরিক নির্যাতন শুরু করে তার সাবেক স্বামী বাপ্পী ও তার সহযোগী রহিম (২৪)। চোখ-মুখ চেপে ধরে কবিরহাট উপজেলার নবগ্রামে নিয়ে যায় তাকে। সিএনজি থেকে নামানোর পর বুঝতে পারে এটি তার সাবেক স্বামী ইসমাইল হোসেন বাপ্পির বাড়ি। ফাঁকা বাড়িতে সাবেক শ্বশুর-শাশুড়ি কেউই নেই। সিএনজিতে মারতে মারতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। ঘরে ঢুকিয়েও বেদম মারধর করে তার সাবেক স্বামী। রাতে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় জলন্ত সিগারেটের আগুণে মুখমন্ডলে ছ্যাকা দেয়া ও অপর দুইজনসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে কিন্তু নির্যাতন সহ্য করে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পান ওই তরুণী। ভোরের দিকে অভিযুক্তরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকে এ সুযোগে পালিয়ে মাইজদী চাচার বাসায় এসে আশ্রয় নেন তিনি। পরে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরে চাচার সহায়তায় মামলা দেন থানায়। স্বজনরা জানান, ছোট বেলায় বাবাকে হারান এই ভিকটিম, নতুন করে বিয়ের পিড়িতে বসেন মা-ও। অভিভাবক শূণ্য হয়ে নানির কাছেই বড় হন তিনি। নবগ্রামে নানির কাছে থাকা অবস্থায় বখাটে ইসমাইল হোসেন বাপ্পির নজরে পড়েন তিনি। বাপ্পি অনেকটা জোর পূর্বক অপ্রাপ্ত বয়সেই তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করে। কিন্তু বিয়ে করেও বাঁচতে পারেননি তিনি। প্রায় সময়ই ছুতোনাতা নিয়ে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হতে হতো তাকে। মারধর করতেন শাশুড়ি, ননদ ও দেবর। গত দু মাস আগে তাদের ডিভোর্স হয়। সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম কে জানান, সাবেক স্ত্রীর মামলার আলোকে অভিযুক্ত সাবেক স্বামীকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
নোয়াখালীতে মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর চাটখিল সড়কে অবৈধ ভাবে বিক্রয়ের জন্য মাদক রাখার অভিযোগে আবুল বাসার বাবুল নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সফিকুল ইসলাম এ রায় দেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ী চাটখিল সড়কে বড় মসজিদের দক্ষিণ পূর্ব পাশ্বের রাস্তার উপর যাত্রী সেবা পরিবহন থামিয়ে ২০০৯ সালের ২৭শে অক্টোবর আসামী আবুল বাসার বাবুল থেকে প্লাস্টিকের ব্যাগে কামিজ মোড়ানো অবস্থায় তিনটি ব্যাগে ৩৬ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ। ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে অবৈধ মাদকদ্রব্য ও আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেন্সিডিল বিক্রয়ের জন্য হেফাজতে রাখার দায়ে বিজ্ঞ আদালত আসামির অনুপস্থিতে এ রায় দেন। অভিযুক্ত আবুল বাসার বাবুল জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যায়। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর এপিপি।
নারায়নগঞ্জে ২ বোন ধর্ষণের অভিযোগে মূল আসামি গ্রেফতার
বিল্লাল হোসেন রবিন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কিশোরী আপন দুই বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মূলহোতা আবু বক্করকে (৪৮) একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাত সোয়া ১২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার একটি আবাসিক ভবনের খালি ফ্ল্যাট থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আবু বক্কর ওই আবাসিক ভবনে কেয়ারটেকার হিসেবে কাজ করে। ভবনের মালিক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর পুলিশ আসার খবর পেয়ে তাকে নিজ বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রেখেছিলেন। এ সময় তিনি নিজেও পালিয়ে যান। গত ৫ই অক্টোবর ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছিলো বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের পিতা। কিশোরীদের পিতা আরও জানান, তিনি একটি ডেকোরেটরের দোকানে চাকরি করেন। তার এক মেয়ের বয়স ১২ বছর, অপরটির বয়স ১৪-১৫। দুই মেয়েকেই তিনি স্থানীয় একটি কারখানাতে কাজে লাগিয়েছিলেন। নিয়মিত কাজে না যাওয়ায় তিনি ছোট মেয়েকে মারধর করেন। এতে গত ৫ই অক্টোবর ভয়ে তার দুই মেয়েই কাজে গিয়ে সন্ধ্যায় বাসায় না ফিরে এলাকায় ঘুরছিল। জাহাঙ্গীরের বাড়ির সামনে ঘোরাফেরার সময় বাড়ির কেয়ারটেকার আবু বক্কর মেয়েদের ফুঁসলিয়ে ওই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। অনেক রাতে তারা বাড়িতে ফিরে পরদিন বিষয়টি বিস্তারিত পরিবারকে জানায়। ওই রাতেই ভুক্তভোগীদের পিতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গেলে সেখানকার পুলিশ সদস্যরা বড় অফিসার নেই বলে তাকে পরদিন যেতে বলে। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় রহিম মেম্বারের ছেলে মনির বিষয়টি নিয়ে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীরকে অবগত করে মীমাংসার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তালবাহানার একপর্যায়ে সোমবার এলাকার যুবকরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয় এবং আবু বক্করকে ধরতে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীর তার কেয়ারটেকার আবু বক্করকে ৬ তলার একটি খালি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে রাখে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পুলিশ তার সন্ধান পেয়ে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে আবু বক্করকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় সুযোগ বুঝে বাড়িওয়ালা জাহাঙ্গীর গা ঢাকা দেয়। ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, গত ৫ই অক্টোবর মৌচাকের একটি কারখানা থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আবু বকর ওই কিশোরী দুই বোনকে রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে নাতনি ডেকে তার বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি সোমবার রাতে জানাজানি হলে এলাকাবাসী থানায় ফোন করে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বাড়ির কেয়ারটেকার অভিযুক্ত আবু বকরকে ওই ভবনের ৬ তলার একটি কক্ষ থেকে আটক করে। এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক জানান, কেয়ারটেকারকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার জেল হাজতে
নজির আহমেদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: কুষ্টিয়ার মিরপুরের সেই মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের তার মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ব্যাপারে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বেলায় সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে ওই মাদ্রাসা সুপার ছাত্রীকে দফায় দফায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। জানা যায়, নির্যাতিতা মেয়েটি মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ চকপাড়া এলাকার সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রী। গত রবিবার (৪ অক্টোবর) ফজরের নামাজের সময় মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কাদের মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে রাত ৮টার দিকে মেয়েটিকে নিজ কক্ষে ডেকে দ্বিতীয় দফা ধর্ষণ করেন তিনি। সুপার বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য মেয়েটিকে শাসিয়েও দেন। তবে মেয়েটি সোমবার (৫ অক্টোবর) সকালে তার এক সহপাঠিকে বিষয়টি জানায়। আর ওই সহপাঠি ঘটনাটি নিজের বাবাকে জানালে তা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। মেয়েটির বাবা এ ঘটনায় আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সোমবার মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে রাতে পুলিশ আব্দুল কাদেরকে পোড়াদহ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট প্রথম আদালতে হাজির করা হলে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এদিকে, পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল টেষ্টের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
হাতিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে ব্যবসায়ী আটক
গিয়াস উদ্দিন রনি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রাসেল (২২) উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মৃত মো. হোসেনের ছেলে। সে বাড়ীর পাশে স্থানীয় বেকের বাজারের মুদি দোকান করে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) আটককৃত আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এর আগে, একই দিন উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়ন থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসীর স্ত্রী (২৫) এক প্রতিবেশী নারীসহ গত (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সদর ওচখালী থেকে তমরদ্দি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে নিজের বাড়ীতে আসছিল। তারা ওচখালী- তমরদ্দি সড়কের হাদিমিয়া পোলের কাছে পৌঁছলে অভিযুক্ত রাসেল সহ কয়েকজন তাদের গতিরোধ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে টেনেহিঁচড়ে রিকশা থেকে নামিয়ে পেলে। পরে ভুক্তভোগী গৃহবধূ ও তার সাথে থাকা এক প্রতিবেশী নারী চিৎকার করলে লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে সে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে গিয়ে বিচার না পেয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, তার স্বামী প্রবাসে থাকায় সে বিভিন্ন সময় রাসেলের দোকান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয় করতে গেলে সে তাকে উতক্ত্য করতো। একাধিকবার রাসেল তাকে মোবাইলে কুপ্রস্তাব দিয়েছে বলে সে জানায়। হাতিয়া থানা পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, এ ভুক্তভোগী নারীও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।