রাশেদ বিল্লাহ চিশতী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডটকম: সুধারামে গোপনে সিসি ক্যামরা ফিটিং করে বসত ঘরে মাদকের ব্যবসা অতপর বে-রশিক ডিবির হানা আসামীর বিরুদ্ধে চার্জশীট ঘটনাটি ঘটছে নোয়াখালী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের উত্তর সোনাপুর গ্রামের পুলিশ ফাঁড়ির সাথে মৃত রফিক উদ্দিন আহমেদ বাড়িতে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের মামুনের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয় করে আসামী মোঃ আহসান রাশেদ (৪০) সিসি ক্যামরা লাগিয়ে মাদক, সুদ, ভূয়া প্রতিবন্ধি ও অনৈতিক ব্যবসা চালানোর সময় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে ৬০ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১ লাখ ২৫ হাজার ৬’শ ৫০ টাকা সহ হাতে নাতে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশের এস.আই মোঃ নূরে আলম বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে (সংশোধনী) ২০০৪ এর ১৯(১) টেবিল ৯ (খ) ২৫ ধারায় মামলা করে। তদন্তকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবদুল মান্নান বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে আসামী মোঃ আহসান রাশেদ’র বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এস.আই আবদুল মান্নান বিচারককে জানায় আহসান রাশেদ পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী সে দীর্ঘদিন যাবত মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট অবৈধ ভাবে ক্রয়-বিক্রয় করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। রাত ১২টায় ট্যাবলেট বিক্রয়কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের অফিসার ও ফোর্স সহ আসামীদেও বাড়িতে পৌঁছা মাত্র টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ গ্রেফতার করে আদালতে সর্পদ্দ করা হয়। অপর আসামী মামুন পলাতক থাকায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। বাংলাদেশ পুলিশ সি. আই.ডি চট্টগ্রাম উপ প্রধান রাসায়নিক পরীক্ষক মোঃ কায়ছার রহমান জানায় কাগজের প্যাকেটে রক্ষিত ট্যাবলেট “অ্যামফেটামিন” মাদক। পিসিপি আর অনুসন্ধানে জানাগেছে মাদক মামলার চার্জশীট ভূক্ত আসামী আহসান রাশেদ বর্তমানে আহসান ফারুক ৩০৯ বড় মগবাজার উপজেলা রমনা জেলা ঢাকা নাম পরিবর্তন করে আহসান ফারুক (৪৬) নাম ধারন করে মামলা থেকে খালাস পেতে নানা মূখি কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে বলে পুলিশ জানায়।
Month: February 2022
নোয়াখালীতে রাতারাতি জলাশয় ভরাট করে দোকান ঘর নির্মাণ করে ভূমিদষ্যুরা
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডটকম: নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে শত বছরের জলায়শয় পুকুর রাতারাতি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করে নিয়েছে স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদষ্য চক্র। এই বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ভুক্তভোগিরা একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার সূত্রে জানা যায় ৭ নং একলাশপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড একলাশপুর মৌজার প্রধান সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে ঐতিহ্যবাহি পেশকারবাড়ির শতবছরের মিলিটারি পুকুর দীর্ঘ ৮০-৯০ বছর ধরে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা ব্যবহার করে আসছে। গত ডিসেম্বরে এক দল ভূমিদষ্যু চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও তাদের বাহিনীর অস্ত্রধারী সদস্যরা স্থানীয়দের অগোচরে রাতের অন্ধকারে রাতারাতি বালু ভরাট করে ১৫-২০ টি টিনের চেওড়া দোকান ঘর নির্মাণ করে দখলে নেয়। সরেজমিনে দেখা যায় কতিপয় ভূমিদষ্যুরা ৭ নং একলাশপুর মৌজার ৪৮৫১ নং দাগের ৭.৫ শতাংশ ভূমি বালু ভরাট ও দোকানঘর নির্মান করে নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন শতবছর ধরে পেশকার বাড়ির এই পুকুরটি ব্যবহার করে আসছেন।স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যুরা জালিয়তি ও প্রতারণা করে জলাশয়টি দখল করে নেয়। শত বছরের জলায়শয় পুকুর রাতারাতি দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করার ঘটনায় উক্ত ভূমি থেকে অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ করত ভূমির প্রকৃত ভুক্তভুগী মালিকপক্ষ বেগমগঞ্জ মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।