ম্যান অব কমিটমেন্ট ২য় বার মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে নোয়াখালী জেলা-উপজেলা

169 Views

ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ম্যান অব কমিটমেন্ট ২য় বার মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে নোয়াখালী জেলা-উপজেলা। সদর-সুবর্নচর সহ ১০ থানায় মিষ্টি বিতরন হয়েছে। নোয়াখালী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌর সভার সুযোগ্য মেয়র এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল। ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করে বর্তমান আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তবে তিনি যে আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত তা কিন্তু নামধারী কিংবা হাইব্রিড আওয়ামী লীগ নয়। বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন পরীক্ষিত একনিষ্ঠ কর্মী। তিনি হরিনারায়ণপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ৯০ দশকে গণতন্ত্রে আন্দোলনে নোয়াখালীতে আলোচিত ছাত্র নেতাদের মধ্যে প্রথম সারির একজন। রাজনীতি করতে গিয়ে বহুবার নির্যাতিত হয়েছেন এবং কারাবরণ করেছেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের রাজনীতিতে দীক্ষিত এই নেতা ছাত্র জীবনেও ছিলেন সাহসী, সংগ্রামী ও ত্যাগী। কর্মীদের যেকোনো বিপদ-আপদে শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে এড়িয়ে যেতেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির দুঃসময়ে শত ষড়যন্ত্রের মুখেও থমকে দাঁড়াননি তিনি; সাহস নিয়ে এগিয়েছেন সামনের দিকে। আর তারই প্রতিফলন ঘটেছে গত নির্বাচনে। ২০১৬ সালের মেয়র নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা সোহেলকে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র হিসেবে নৌকার মাঝি নিযুক্ত করেন। নেত্রীর এই সিন্ধান্ত যে নোয়াখালীবাসীর জন্য আশির্বাদ ছিলো মেয়র নির্বাচিত হয়ে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ যে দেশ ও জাতির জন্য তিনি তা প্রথম দেখালেন নোয়াখালীতে। শেখ হাসিনা যে উন্নয়নের রোল মডেল তাও তিনি দেখিয়ে প্রমাণ করলেন।নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ রোডের ঐতিহ্যবাহী খান বাড়ির সন্তান। বাবা মরহুম আজমল খান একজন সৎ ও সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। শহিদ উল্যাহ খান সোহেল ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ১৯৮৭ সালে হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতি, ১৯৮৮ সালে সরকারি আবাসিক এলাকা শাখার সভাপতি, ১৯৮৯ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের এজিএস, ১৯৯০ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯১ সালে নোয়াখালী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, ১৯৯৩ সালে নোয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি, ১৯৯৮ সালে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০৪ সালে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, ২০০৮ সালে নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০১৪ সালে মাইজদী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ২০১৬ সালে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি নোয়াখালীর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির কার্যকরী পরিষদের সদস্য, জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য, জেলা কারা পরিদর্শক, নোয়াখালী পাবলিক কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী। এ ছাড়াও তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন ও সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।কথায় নয়! বাস্তবে ভাবুন! চিন্তা করুন। নোয়াখালী পৌরসভা আগে কি ছিল ? এখন কি হলো ? এবং আগামীতে কি হতে যাচ্ছে ? আমি যেহেতু রাজনীতি করিনা কিংবা আমি নোয়াখালীর ভোটারও নয়। তাই সোহেল ভাইকে নিয়ে আমার লেখারও প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমার অতি কাছের দুই বড় ভাই নাজমুল আলম মঞ্জু ও নূর আলম সিদ্দীকি রাজু। একজন সদর উপজেলার ভাইস-চেয়ারম্যান, অন্যজন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক। এই দুই তরুন নেতা নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলা থেকে আরম্ভ করে পুরো নোয়াখালী জেলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন-প্রাণ ও সময়-জীবন ক্ষেপান করে। তারা যখন সোহেল ভাইয়ের জন্য ভোট চাচ্ছেন এবং সভা সেমিনার করছেন। তখন সোহেল ভাইকে নিয়ে ভাবতেই হয় যে, তিনি কে? কি করেছেন? এবং কেন জনগণ তার কাতারে এতো সোচ্চার? এই চিন্তা থেকে দেখি নোয়াখালী পৌরসভা দিন দিন রুপ নিচ্ছে একটি সম্বৃদ্ধ ও আধুনিক পৌসভায়। পৌর এলাকার অসহায়, নির্যাতিত, নিপিড়িত, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, বিপদের আপদে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানো, এলাকায় মসজিদ-মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম মুয়াজ্জিনদের সাহার্য সহযোগীতা করা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা, সেনিটেশন, প্রয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করাসহ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মেয়র সোহেল। আতিথেয়তা, দূর্দিনে, দূর্যোগে ও বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে অল্প দিনেই তিনি জয় করে নিয়েছেন পৌরবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের মন। মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল অল্প দিনেই সেবার মাধ্যমে পৌরবাসীর মন জয় করেছেন। যেমনঃ১। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নঃ একটি এলাকার উন্নয়নের পূর্বশত হলো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন। তাই মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পরেই মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল পৌর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে নজর দেন। তিনি পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ন সড়ক, বিশেষ করে পুলিশ লাইনস সড়ক, সেন্ট্রাল রোড তথা সার্কিট হাউজ রোড, জেলা খানা রোড, কলেজ রোড, মাষ্টার পাড়া রোড, জজ কোর্ট সড়ক, ফকিরপুর সড়ক, বিচারপতি বদরুল হায়দার সড়ক তথা মহিলা রোড, হাসপতাল রোড, মাইজদী হাউজিং স্টেটের অধিকাংশ সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সড়ক নতুন করে নির্মাণ ও সংস্কারে হাত দেন। তাঁর ক্ষমতার বিগত বছরগুলোতে পৌর এলাকার প্রায় সকল সড়কেই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। মফস্বল পর্যায়ে যে দুইচারটি গ্রামিন সড়ক রয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেগুলোও নতুন করে নির্মাণ বা সংস্কার হয়ে যাবে বলে পৌরসভার সংশ্লিষ্ঠ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। দীর্ঘদিন অবহেলিত সড়কগুলোর এমন উন্নয়ন কর্মকান্ডে পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। আমার একান্ত বিশ্বাস রেকর্ড পরিমান উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করায় মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামী নির্বাচনে “ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল” হিসেবে দেখবেন।২। দারিদ্র হ্রাসকরণঃ পৌর এলাকার প্রান্তির মানুষের জীবণ মান উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পৌর মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল। বসতি উন্নয়ন তহবিলের আওতায় জাতীয় নগর দারিদ্র হ্রাসকরণ কর্মসূচীর মাধ্যমে পৌরবাসীকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। যে চেষ্টার ফলে দিতে গিয়ে সচেতন নাগরিকগণ বলবেন “ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল”।৩। করোনা কালে মানুষের পাশেঃ নোয়াখালী পৌর এলাকায় মরণব্যাধী করোনার পাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকেই মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল নানা কর্মসূচীর মাধ্যমে পৌরবাসীর পাশে দাঁড়ান। তিনি প্রথমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পৌরবাসীর মাঝে হ্যান্ডস্যানেটাইজ, মাক্সসহ করোনা প্রতিরোধী বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করেন। সরকারী ভাবে লকডাউন শুরু হলে পৌরসভার গাড়ির মাধ্যমে ঘর বন্ধী মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। পাশাপাশি সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে পৌর ভবনেও নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রাখেন। সমাজের পিছিয়ে পড়া তৃণমূলের দরিদ্র জনগোষ্টি মুচি, বেদে, হিজড়া, দোপা, নাপিত, রিক্সা চালক, ঠেলা গাড়ি চালক, প্রতিবন্ধী, ফরিক, মেসকিন, ভ্রাম্যমান দিনমজুর থেকে শুরু করে নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত কেউ বাদ পড়েনি সহযোগীতর হাত থেকে। শুধু তাই নয়, জেলার মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, ক্রীড়া সংগঠক, পৌর এলাকার মসজিদের ইমান-মুয়াজ্জিন, এমনকি সংবাদ পত্রের হকারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য মেয়র সোহেল ঘোষণা করেন প্রনোদনা। এতো কিছুর পরও মেয়র সোহেল ভূলে যাননি শিশুদের কথা। পৌর এলাকার শতাধিক অভিভাবকের মাঝে শিশুখাদ্যও বিতরণ করেন। পত্রিকার হকারদের মাঝেও বিতরণ করেন খাদ্য সামগ্রী। প্রতিদিন সন্ধায় ভ্রাম্যমান রোজাদারদের মাঝে ইফতার ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেলের সহযোগীতা পেয়ে খুশি পৌরবাসী। দলমত নির্বিশেষে এমন ব্যতিক্রমি ও মানবিক কার্যক্রমকে সাধুবাদ আশা করি সবাই বলবেন “ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল”।৪। চিকিৎসা সেবায় ব্যতিক্রমি উদ্যেগঃ নোয়াখালী পৌর এলাকার সাধারণ জনগনের চিকিৎসা সেবায় ব্যতিক্রমি উদ্যোগ গ্রহন করেছেন পৌরসভার মেয়র। যে কোন রোগিকে প্রাইভেট চেম্বারে ডাক্তার দেখাতে হলে ব্যবস্থাপত্রের ফি দিতে হয় ৫-৭শ টাকা। অনেক গরীব রোগীর পক্ষেই এই টাকা দিয়ে ভালো কোন ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয়না। তাই পৌর এলাকার গরীব, অসহায় ও সাধারণ মানুষের কথা চিন্তুা করে পৌর সভার মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেল পৌর পরিষদে আলোচনার মাধ্যমে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দেন। পৌরসভার অভ্যন্তরেই আউটডোর সার্ভিসের মাধ্যমে এই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সব রকমের রোগী দেখেন। এখানে যে কোন সাধারণ নাগরিক ও পৌরসভার যে কোন কর্মী মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে ব্যবস্থাপত্র ও চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। কম খরচে ও সল্প সময়ে এমন স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে মহা খুশি পৌরসভার কর্মকর্তা, কর্মচারীরাসহ সাধারণ মানুষ। সরকারী হাসপাতালের মতোই এখানে রোগী দেখা ও প্রথমিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে দায়িত্বরত ডাক্তার প্রনয় কুমার দেবনাথ সকলের সহযোগীতা কামনা করেন। যার ফল নিশ্চয় ব্যালট পেপারের মাধ্যমে দিয়ে জনগণ বলবেন, ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।৫। পানি সমস্যা সমাধানঃ পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের পানি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে পৌর পরিষদ। মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেলের একান্ত প্রচেষ্টায় পৌর এলাকার সোনাপুর ও মাইজদী হাউজিং এস্টেটে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্যয়বহুল আধুনিক পানি শোধনাগার। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই পানি শোধনাগারটি উদ্বোধন করা হবে। এতে পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির দাবী পূরন হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প হাতে নেওয়ায় মেয়রকে ধন্যবাদ জানান হাউজিং এস্টেটবাসী। পানি শোধনাগারটি চালু হলে ২৪ ঘন্টাই পৌরবাসী পাবে আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানি বলে জানান দায়ীত্বরত ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন। আশাকরি সবাই মিলে সোহেল ভাইকে সমর্থন করে বলবেন ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।৬। মনোরম পরিবেশের মসজিদ নির্মাণঃ পৌরসভা এলাকায় কোন সুন্দর মসজিদ ছিলোনা, ছিলোনা নামাজ পড়ার মতো সুন্দর পরিবেশ। শহিদ উল্যাহ খান সোহেল মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পৌর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পৌরসভা এলাকার সাধারণ মানুষের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে নির্মাণ করেন নোয়াখালী পৌরসভা জামে মসজিদ। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ হওয়ায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি জুমার নামাজ আদায় করতে অনেক মুসল্লি দুরদুরান্ত থেকে এখানে এসে থাকেন। এমন অনিন্দ সুন্দর মসজিদে নামাজ আদায় করতে পেরে মুসল্লিরা আশা করি মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে শুকরিয়া আদায়ের পাশাপাশি বলবেন, নির্বাচনে ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।৭। বাস টার্মিনাল নির্মাণঃ পৌর এলাকার সোনাপুরের বাস টার্মিনালটি দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিলো। এতে প্রধান সড়কে যানবাহনের অবস্থানের কারণে দীর্ঘ যানজট লেগে থাকতো সব সময় সোনাপুরে। মেয়র সোহেল নির্বাচিত হওয়ার পর এই অবহেলিত বাস টার্মিনালটিকে আধুনিক বাস টার্মিনালে রুপান্তরের উদ্যোগ নেন। এরি অংশ হিসেবে যানজট নিরসনে বিএমডিএফ ও নোয়াখালী পৌরসভার যৌথ অর্থায়নে সোনাপুর পৌর আধুনিক বাস টার্মিনাল। মেয়রের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান স্থানীয়রা। পাশাপাশি জনগণ ও শ্রমিকগণ এরই কৃতজ্ঞতা স্বীকারে বলবেন, ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।৮। সুপার মার্কেট ও কিচেন নির্মাণঃ সাধারণ মানুষের কেনাকাটার সুবিধার্থে সোনাপুর বাজারেই নির্মাণ করা হয়েছে সুপার মার্কেট ও কিচেন মার্কেট। এই উন্নয়ন মূলক কাজের মাধ্যমে পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে বলে জানায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সোনাপুরে এই সব উন্নয়ন কর্মকান্ডের জন্য মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশাবাদী সবাই বলবেন “ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।কেননা, সম্প্রতি এই তিনটি প্রকল্প ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম। এ তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে জেলার ঐতিহ্যবাহী সোনাপুরে যানজট নিরসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ নির্বিঘেœ প্রতিদিনের কেনাকাটা করতে পারবে। অপর দিকে পৌর শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে মনে করছেন এলজিআরডি মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম।৯। টেকসই উন্নয়নঃ পৌর মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেলের নেতৃত্বে টেকসই উন্নয়নের পথেই হাটছে নোয়াখালী পৌরসভা। বিগত দিনের চেয়ে কয়েক গুন বেশি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে পৌর এলাকায়। এমনটারই বাস্তবায়ন দেখেছে নোয়াখালী পৌরসভা বাসী। যার কারণে ভোট বাক্সের মাধ্যমে বলে দিবেন “ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।১০। জেলাব্যাপী গ্রহন যোগ্যতাঃ নোয়াখালী পৌর সভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল শুধু পৌর এলাকায় নয়, পুরো জেলাব্যাপী রয়েছে গ্রহনযোগ্যতা। জেলার যে কোন প্রান্তে দলীয় নেতাকর্মী বা সাধারণ একজন মানুষ যদি বিপদে পড়েন শহিদ উল্যাহ খান দলমত নির্বিশেষে তাদের পাশে দাড়ান। এমন উদাহরণ অনেক রয়েছে মেয়র সোহেলের জীবনে। যার কারণে কারো ভোট আর কারো দোয়ার প্রতিফলন হবে “ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল”।১১। আতিথেয়তাঃ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে বিশ্বব্যাপী আলোচিত হন মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল। মেয়রের এমন উদ্যেগের ভূয়সি প্রশংসা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবক। এমন নানাবিধ কর্ম দিয়ে পৌর মেয়র সোহেল অল্প দিনেই জয় করেছেন পৌরবাসীর মন। তাই আগামী দিয়ে শহিদ উল্যাহ খান সোহেলকে আবারও মেয়র হিসেবে দেখতে চাইবে পৌরবাসীসহ জেলার সকল সচেতন মহল। এই আতিথেয়তা দিয়ে তিনি শুধু নিজের নয়! পুরো নোয়াখালীবাসীর সম্মান বাড়িয়ে দিলেন। যার কারণে আজ হয়তো সকল আতিথেয়তা গ্রহনকারীসহ শান্তিপ্রিয় লোকেরাও বলবেন, ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল। ১২। আলোচনায় সোহেলঃ সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল। বিগত দিনগুলোর চাইতে এই মেয়রের দিনগুলোতে নোয়াখালী পৌরসভায় যে অভুতপূর্ন উন্নয়ন হয়েছে তা জেলার ইতিহাসে বিরল। দায়-দেনা মাথায় নিয়ে পৌরসভার মেয়র হিসেবে দায়ীত্ব নেয়ার পর পৌরবাসীর ভাগ্য উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করেছে। যা প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন হলো জনবান্ধন। যার কারণে ত্যাগী ও শান্তিপূর্ণ সকলের একটাই কথা, ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।১৩। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নঃ নোয়াখালী পৌরসভার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রান্তিক ২০০ নারীকে ব্যবসা অনুদান প্রদান করেন মেয়র সোহেল। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ লক্ষ টাকা করে অনুদান প্রদান করেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিনি এরই মধ্যে পৌরসভার ১৫ হাজার পরিবারকে সহায়তা করেছেন। অনুদানের টাকা দিয়ে প্রান্তিক নারীরা কুটিরশিল্প, সেলাই, হাসমুরগি পালনসহ ক্ষুদ্র ব্যবসা গড়ে তুলবেন। এতে পরিবার ও সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন হবে। অনুদান ক্ষুদ্র হলেও সঠিকভাবে নারীরা এ অর্থ কাজে লাগিয়ে স্ব স্ব পরিবারে অবদান রাখবে। একনিষ্ঠভাবে কাজ করলে প্রত্যেক নারী এক একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এতে করে পৌরসভা এলাকায় কোনো অসহায়-দরিদ্র মানুষ থাকবে না। এমন উপকারে উপকৃত হওয়া সকল প্রান্তিক গোষ্ঠী অবশ্যই বলবেন, ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।১৪। জলাবদ্ধতা নিরসনঃ নোয়াখালী পৌরসভার দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসনে ব্যাপক কাজ করেছেন তিনি। যার কারণে শহরে এখন জলাবদ্ধতা নেই। তারপরও এর স্থায়ী সমস্যা সমাধানে মাস্টারপ্লানের মাধ্যমে ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালু করা, জনগণের জন্য বৃহৎ আকারের মনোরম পার্ক তৈরি করা। বিশেষ করে নাগরিক অধিকারের প্রতি সর্বক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা। তাই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়া সকল জনগণও বলবেন, ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।১৫। আধুনিক নোয়াখালী পৌরসভা গড়তে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজনঃ আধুনিক নোয়াখালী পৌরসভা গড়তে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করেন। দিনব্যাপী কর্মশালায় পৌরসভার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, সুবিধাভোগী পৌরসভার বাসিন্দা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদেরকে সংযুক্ত করেন।কর্মশালার শুরুতে অংশগ্রহণকারীদের চারটি দলে ভাগ করেন। দলগুলো নিজেরা আলোচনা করে পৌরসভার বাস্তবায়ন উপযোগী বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা দূর করতে সম্ভাব্য প্রকল্পের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এতে করে মেয়র সোহেল বলেন, এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় নোয়াখালী পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে তারা নতুন আরেকটি বাসস্ট্যান্ড, ৭৬টি সড়কের উন্নয়ন, প্রতিটি সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক ভাতি স্থাপন, নাগরিকদের বিনোদনের জন্য পার্ক গড়ে তোলা, পুরাতন পৌরভবনের জায়গায় অত্যাধুনিক পৌর বিপনি বিতান নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরী করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে নোয়াখালী পৌরসভা একটি আধুনিক পৌরসভার রূপ পাবে। মেয়র সোহেল নোয়াখালী পৌরসভার উন্নয়নে সকলকে নিয়ে যে কর্মশালা আয়োজন করলেন। এতেই প্রমান করে “এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় নোয়াখালী পৌরসভাকে একটি আধুনিক পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে তারা নতুন আরেকটি বাসস্ট্যান্ড, ৭৬টি সড়কের উন্নয়ন, প্রতিটি সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সড়ক ভাতি স্থাপন, নাগরিকদের বিনোদনের জন্য পার্ক গড়ে তোলা, পুরাতন পৌরভবনের জায়গায় অত্যাধুনিক পৌর বিপনি বিতান নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পের প্রস্তাবনা তৈরী করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে নোয়াখালী পৌরসভা একটি আধুনিক পৌরসভার রূপ পাবে। যার কারণে দলমত নির্বিশেষে সবাই বলেন, ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।১৬। সেবাধর্মী কর্মী তৈরিঃ ছাত্রলীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে পর্যন্ত রাজনীতি করেছেন মেয়র সোহেল। ফলে সংগঠনও বিভিন্ন সময় তার কর্মের মূল্যায়ন করেছে। এখনও গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে চলছেন তিনি। তাই জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আশা জেগে তারই কর্মীদের আশার প্রতিফলন হিসেবে। কারণ উনার কর্মীরা সবাই সেবাধর্মী। তাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করতে নোয়াখালীতে মেয়র সোহেলের বিকল্প নেই। পাশাপাশি সবাই মনে করে মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদেরয়ের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে কাজ করেন মেয়র সোহেল। তৃণমূলের চাওয়াতে তিনি প্রার্থী হয়ে থাকেন। নেতাকর্মীরা চায়, তিনি দায়িত্বে আসেন। দায়িত্ব পেলে তিনি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করে যাবেন। সেবাধর্মী পৌরসভার মতো কর্মী গড়বেন। এমন কর্মীদের মনের একটাই প্রভাব “ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল।পরিশেষে বলবো, ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালী জেলার ঐতিহ্যবাহী প্রথম শ্রেণির পৌরসভা এটি হলেও গত ২৫ মে ২০১৬ সালের নির্বাচনে শহীদ উল্যাহ খান সোহেল মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পরই পাল্টে যেতে শুরু করে পৌরসভার সার্বিক অনিয়ম ও অব্যবস্থপনার চিত্র। অবহেলিত জনসমাজের দীর্ঘদীনের প্রত্যাশিত জীবন ব্যবস্থায় আসে আধুনিকতার ছোঁয়া। এ পৌরসভার সর্বক্ষেত্রে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। খুপরি ঘরের মতো অপরিকল্পিত গড়ে ওঠা স্থাপনা ভেঙে একাধিক টেকসই ও পরিকল্পিত বহুতল ভবন গড়ে তুলেছেন বলে আমিও বলবো, ভোট নয়! জনগণের অধিকারের নামই মেয়র সোহেল। আর জনগণ বলবেন, আমরাই সোহেল! সোহেল আমরা।

নোয়াখালীতে পিআইবির উদ্যোগে কর্মশালায় প্রশিক্ষণার্থী সাংবাদিকদের মাঝে সনদ বিতরণ

160 Views

আজমাইন ইনকিয়াদ মাহমুদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে প্রেস ইনিস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবির) উদ্যোগে ৩ দিনব্যাপি জেলায় প্রশিক্ষণার্থী সাংবাদিকদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়েছে।রবিবার বিকেলে বিআরডিবি হল রুমে এ সনদ বিতরণ করা হয় । এ সময় সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালীর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ ফরিদ মিঞা।পিআইবির পরিচালক মোহাম্মদ আফরাজুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার এবিএম ফজলুল হক বাদল, নোয়াখাল সাইন্স এন্ড কমার্স কলেজের অধ্যক্ষ ড. আফতাব উদ্দিন আহমেদ মানিক, সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিলন, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি সিনিয়র সম্পাদক আবুল হাসেম ও সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিরন, সম্পাদক নাসির উদ্দিন বাদল, সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ ফারুক, এমবি আলম, পিআইবির প্রশিক্ষক পারভিন সুলতানা রাব্বি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ সংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান কাজল, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ জুলফিকার আলী মানিক, জিলহাজ উদ্দিন প্রমুখ ।অনুষ্ঠান শেষে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ও বুনিয়াদী প্রশিক্ষণের উপর সাংবাদিকদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়েছে । এর আগে গত ৩ দিন দুই ব্যাচে ৭০ জন এই প্রশিক্ষণে অংশ নেন ।

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে হাতিয়ায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

88 Views

স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী হাতিয়ায় সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।সোমবার (২৪ জানুয়ারি) প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থীরা সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিকেল ৫টার আগেই।এতে দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী ও সদস্য পদে সকল ওয়ার্ডে একক প্রার্থী হওয়ায় সবাই বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান দু’জনই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। এরা হলেন সুখচর ইউনিয়নে মো. আলা উদ্দিন ও নলচিরা ইউনিয়নে মনছুর উল্যাহ।চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বী প্রার্থীদের সবাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। তাই শেষ সময়ে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সবাই প্রত্যাহার করে নেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বখতিয়ার খিলজি মুজিব। নলচিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্যপ্রার্থী আকবর হোসেন জানিয়েছেন, তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী তার নিকটতম আত্মীয় হওয়ায় সমঝোতার ভিত্তিতে তিনি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এভাবে দুই ইউনিয়নের ৯টি করে ১৮টি ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩টি করে ৬টি ওয়ার্ডের সবাই সমঝোতার ভিত্তিতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানান প্রার্থীরা। সারাদেশের ন্যায় এই দুই ইউনিয়নেও বিএনপির কোনো প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি।হাতিয়া নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন গত ৪ জানুয়ারি এই দুই ইউনিয়নের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী ১৬ জানুয়ারি ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। ২৪ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ছিল নির্বাচনের নির্ধারিত দিন। এদিকে সুখচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন দুইজন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৭ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৯ জন। নলচিরা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৭ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৮ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ জাকির হোসেন আরটিভি নিউজকে বলেন, দুই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একজন করে, মহিলা সদস্য পদে একজন করে ও সাধারণ সদস্য পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় সবাই বিনা প্রতিদ্বদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে সবাইকে বিজয় হওয়ার লিখিত পত্র দেওয়া হবে।তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সবাই সশরীরে নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। পরে এসব প্রত্যাহারের আবেদন জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে দেওয়া হয়। হাতিয়া উপজেলার মূল ভূখন্ডের উত্তর পাশে অবস্থিত এই দুই ইউনিয়ন। নদী ভাঙনের কারণে এই দুই ইউনিয়নের সীমানা ভেঙে একেবারে ছোট হয়ে গেছে। যার ফলে দীর্ঘদিন নির্বাচন বঞ্চিত ছিল এই দুই ইউনিয়নের জনগণ। সম্প্রতি চরকিং ইউনিয়ন থেকে কয়েকটি ওয়ার্ডকে নিয়ে সম্প্রসারণ করা হয় সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নকে। ইতোমধ্যে ওয়ার্ড বিভাজন ও ভোটার তালিকা পূর্ণগঠন করে তৈরি করা হয়। বর্তমানে সুখচর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ৫৪৯। নলচিরা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৮৭০ জন।হাতিয়া উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপে ৭ টি ইউনিয়নের নির্বাচন শেষ হয়েছে। এখন হচ্ছে দুই ইউনিয়নের নির্বাচন। এদিকে নদীর ওপারের হরনী ও চানন্দী ইউনিয়নের নির্বাচনে তফসিল এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

চৌমুহনীতে ৫ হাজার শীতার্তের পাশে দাঁড়ালেন গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল্‌স

103 Views

বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল্‌স গ্রুপ অব কোম্পানি। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ৫ হাজার অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে এ শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা খালেদ সাইফুল্যা। মেয়র বলেন, তীব্র শীতে স্থবির হয়ে যায় সবকিছু, সেখানে অন্তত শীতকালের মানবিক সাহায্য হিসেবে একটি কম্বল অসহায় মানুষের গায়ে জড়িয়ে দেয়ার মতো প্রশান্তি আর নেই। তিনি আরও বলেন, পুরো শীত মৌসুমে শীতার্ত মানুষের পাশে থাকবে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল্‌স। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জিহান আল রশিদ।

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে মানবজমিনের স্পোর্টস্ ইনচার্জ সামন হোসেন

132 Views

ক্রাইম রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: রাজধানীর গুলিস্তানে চলন্ত বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন দৈনিক মানবজমিনের সিনিয়র স্পোর্টস রিপোর্টার সামন হোসেন (৩৭)। এ সময় তার সঙ্গে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ক্রীড়া লেখক সমিতির সামনে থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সামনের সহকর্মী কাজী সুমন জানান, বেলা সোয়া ৩টার দিকে বাস থেকে সামন হোসেন স্টেডিয়াম সংলগ্ন রাস্তায় নামেন।এরপর তিনি ক্রীড়া লেখক সমিতির অফিসে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে থাকা সংবাদ কর্মীরা পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, সামন ক্রীড়া লেখক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক। সামনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের খানপুরে।শীতল পরিবহনে করে তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টেডিয়াম ক্রীড়া লেখক সমিতিতে আসছিলেন। গাড়ির মধ্যে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা তাকে কিছু খাইয়ে দেয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, একজন গণমাধ্যমকর্মীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে পাকস্থলি ওয়াস করে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

 

স্থগিত পরীক্ষা চালুর দাবিতে নোয়াখালীতে শিক্ষাথীদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন

83 Views

সাইফুর রহমান রাসেল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: জাতীয়বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চলমান ও আসন্ন স্থগিত পরীক্ষাসমূহ চালুর দাবিতে নোয়াখালীতে আন্দোলন করেছে চৌমুহনী সরকারী এস এ কলেজ এর শিক্ষার্থীরা।মঙ্গলবার দুপুর ১টায় নোয়াখালীর চৌমুহনী চৌরাস্তা বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন চত্বরে এই  মানববন্ধন  করেন ক্ষার্থীরা ।মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, পরীক্ষা নিয়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টালবাহানা শুরু করেছে। সরকার স্বাস্থ্য বিধি মেনে অতিদ্রুত চলমান পরীক্ষাসমূহ না নিলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।এসময় শিক্ষার্থীরা, মেলা হয়, খেলা হয়,পরীক্ষা কেন বন্ধ হয়..?..চাকরি পাবো কোন বছর, এক ইয়ারে তিন বছর, শিরোনামে স্লোগানে স্লোগানে মূখরিত করে তোলেন চৌরাস্তার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন চত্বর।

 

অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে ২ হাজার পিস সুয়েটার বিতরণ করলেন নিরাপদ নোয়াখালী চাই সংগঠন

100 Views

নিজস্ব প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ২৪ জানুয়ারী বিকেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মোহাম্মদী গ্রুপের নিজস্ব অর্থায়নে রেলওয়ে স্টেশন, ফুটপাত,বাস স্টেশনে বসবাসকারী গরীব, দুস্থ্য ও কর্মহীন মানুষের মাঝে ২হাজার পিস উন্নত মানের সুয়েটার বিতরণ করলেন বৃহত্তর নোয়াখালীর জনপ্রিয় সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিরাপদ নোয়াখালী চাই।শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাইফুর রহমান রাসেলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইশরাত সাদমিন, জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার আবদুল্যাহ আল মামুন প্রমূখ।এসময় বক্তারা বলেন, “এই তীব্র শীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ একটি মহৎ কাজ। নিরাপদ নোয়াখালী চাই সংগঠনের মত মানব সেবার মহান ব্রত নিয়ে সমাজের অসহায় ও শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সকলের নৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব: নোয়াখালীতে ৫ সংগঠনের আবৃত্তি প্রযোজনা উপস্থাপন

36 Views

আবু নাছরে মন্জু, দনৈকি নোয়াখালী সময় ডট কম: বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসবে নোয়াখালীর পাঁচটি আবৃত্তি সংগঠন বঙ্গবন্ধু নিবেদিত আবৃত্তি প্রযোজনা উপস্থাপন করে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা থেকে টানা দেড়ঘন্টা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এসব আবৃত্তি প্রযোজনা উপস্থাপন করা  হয়। সংগনগুলো হলো- নোয়াখালী আবৃত্তি একাডেমি; শব্দ কুটির, নোবিপ্রবি; অনিবার্ণ ৭১, সুবর্ণচর; কোম্পানীগঞ্জ কবিতা পরিষদ এবং ছন্দবৃত্ত, হাতিয়া।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসরাত সাদমীন। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদ হোসেন কৈশোরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার ফয়েজ উল্লাহ, সেনবাগ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ দিদারুল আলম, সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু, নোয়াখালী আবৃত্তি একাডেমির সহ সভাপতি শামস্ ডিউ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, নির্বাহী সদস্য শওকত জাহান কনিকা, কোম্পানীগঞ্জ কবিতা পরিষদের সভাপতি করিমুল হক সাথি, সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম শিপা, অনিবার্ণ ৭১, সুবর্ণচরের সভাপতি মারজান বেগম, সাধারণ সম্পাদক রুম্পা ইয়াছমিন, ছন্দবৃত্ত, হাতিয়ার সভাপতি কামরুজ্জামান, শব্দ কুটির, নোবিপ্রবির সংগঠক আবদুর রহিম বাদশা প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আবৃত্তিশিল্পের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব উদ্বোধন করলেন। এটি আবৃত্তিশিল্পীদের অনেক বড় গর্বের বিষয়।’ আবৃত্তিশিল্পীদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সরকার প্রধান আপনাদের সাথে আছেন। তিনি আপনাদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়েছেন এর চাইতে বড় আর কিছু হতে পারে না।’ এ সময় নোয়াখালীতে আবৃত্তিশিল্পের উন্নয়নে সম্ভব সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।এর আগে সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ থেকে জেলার পাঁচটি আবৃত্তি সংঠনের ৭২ জন আবৃত্তিশিল্পী উৎসবে যোগ দেন।পাঁচ দিনব্যাপী এ বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসবের শ্লোগান হচ্ছে ‘জন্মের সুবর্ণে জাগো স¤প্রীতির স্বরে মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’। উৎসবে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি পদক দেওয়া হয়।  ২০২০ সালের জন্য গোলাম মোস্তফা (মরণোত্তর), ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়কে বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান করা হয়।বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূরের সভাপতিত্বে উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি,  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাক আহ্কাম উল্লাহ।উৎসবে স্থানীয় পর্যায় থেকে একই সঙ্গে ৬৪ জেলায় আবৃত্তি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন।

 

লাঙ্গলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় সুবর্ণচর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক বহিষ্কার

110 Views

মাইজদীকোর্ট (নোয়াখালী) প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে জাতীয় পার্টির সুবর্ণচর উপজেলার আহ্বায়ককে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল জাতীয় পার্টির নোয়াখালী জেলা দপ্তর সম্পাদক মো. আলী হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। নোয়াখালী জেলা জাতীয় পার্টির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালী জেলার জাতীয় পার্টি এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় সুবর্ণচর উপজেলার জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে বলা হয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নুর আহাম্মদ ভুঁইয়া জাতীয় পার্টির সংগঠনের বিপক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। উক্ত বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন মিঠু তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দলের বিপক্ষে নির্বাচন করবেন বলে চূড়ান্ত ভাবে জানিয়ে দেন। বারবার তাকে অনুরোধ করার পরও তিনি তার বিষয়ে অটুট থাকেন। তাই তাকে জেলা কমিটি সহ প্রাথমিকভাবে জাতীয় পার্টির সকল সদস্য পদ চূড়ান্ত ভাবে বাতিলের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে অবগত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ১৮ই জানুয়ারি থেকে সুবর্ণচর উপজেলার আহ্বায়ক নুর আহম্মদ ভুঁইয়াকে সুবর্ণচর উপজেলার জাতীয় পার্টির সকল রাজনৈতিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।এই বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ  দৈনিক মানবজমিনকে জানান, আমি নোয়াখালী জেলার দলীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেনেছি এবং পরে দলের অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও শুনেছি। উপজেলা জাতীয় সংহতির সভাপতি নুর করিম, জাতীয় সংহতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহিন, ৫ নং চর জুবিলী ইউনিয়নের সভাপতি মো. বেলাল হোসেন দৈনিক মানবজমিনকে জানান, সুবর্ণচর উপজেলা ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে উপজেলা আহ্বায়ক নুর আহাম্মদ ভূঁইয়া নিজেই  নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন সংগ্রহ করে প্রার্থী দেয়ার কথা বলে কেন্দ্র থেকে অনুমতি এনে ৫ নং চর জুবিলী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনকে  প্রার্থিতা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করেন। শুনেছি পরদিন থেকে নাকি তিনি সরাসরি নৌকার পক্ষে প্রচার প্রচারণা চালান। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন- আমি নৌকার ভোট করবো। প্রয়োজনে আমি নিজেই দল থেকে অব্যাহতি নেবো। এই বিষয়ে  জেলা কমিটির একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও দেখেছি। তাতে তার বহিষ্কারের কথা উল্লেখ আছে। এই বিষয়ে সুবর্ণচর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নুর আহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দৈনিক মানবজমিনকে জানান, আমার ব্যাপারে আনীত যে সব অভিযোগ এসেছে তা মিথ্যা। আমি দলের বাইরে কারও ভোট প্রচার প্রচারণায় জড়িত নই। উপজেলার জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠনের কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ নোয়াখালী জেলা কমিটিকে ভুল বুজিয়েছেন। আমি যখন শুনেছি আমাকে বহিষ্কার করা হবে তখন আমি রাগ করে বলেছি বহিষ্কার করা লাগবে না প্রয়োজনে আমি নিজেই অব্যাহতি  দেবো। আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী আলমগীর হোসেনকে মনোনয়ন ফরম এনে দিয়েছি কিন্তু তিনি কবে কখন মনোনয়নপত্র নির্বাচন কমিশনারের কাছে জমা দিবে আমার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না করে তিনি জমা দিয়েছেন। জমা দেয়ার পর আমি লোক মারফত শুনেছি।

বুস্টার ডোজের পরেও কোভিড আক্রান্ত সদর-সুবর্ণচর আসনের এমপি

120 Views

চরজব্বর প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এমপি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার ২২শে জানুয়ারি বিকালে এমপি’র চাচাতো ভাই এমরানুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গতকাল বিকালে তার শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়। তিনি খাবার খেতে পারছিলেন না এবং কিছু খেলে বমি করছিলেন। উনি গতকাল শুক্রবার ২১শে জানুয়ারি রাতে নিজে থেকেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দিয়েছেন। গতকাল সকালে রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে তিনি ধানমণ্ডির বাসায় কোয়ারেন্টিনে আছেন। এমরানুর রহমান চৌধুরী আরও বলেন, কিছুদিন আগেই করোনাটিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী।এর মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হলেন তিনি।