নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির বিশাল সমাবেশ

117 Views

বদিউজ্জামান তুহিন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবীতে নোয়াখালীতে সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি এবং অংগসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  সমাবেশকে ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ, ডিবি, সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিল। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় মাইজদী বাজারের নোয়াখালী পৌরসভা গেইট সংলগ্ন মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয় দলের নেতাকর্মীরা। নোয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, দলের যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ভিপি জসিম, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষা চন্দ্র দাস প্রমুখ। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান ও সদস্য মাহবুব আলমগীর আলোর সঞ্চালনায় সমাবেশে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নুরা পাগলা নামে খ্যাত ডাকসু ভিপি আ ফ ম মাহবুবুল হককে ফিরে দেখা

169 Views

সেন্ট্রাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ১৯৭৩ সালের আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা মধুর ক্যান্টিনে একটি অতি উচ্চারিত স্লোগানটি স্মরণ করিয়ে এই সর্বব্যাপী বিস্মরণের কালে ইতিহাসের কিছু পরিহাস তুলে ধরতে চাই। স্লোগানের লেনিন মানে নূহ উল আলম লেনিন ২  আর গামা মানে ইসমাত কাদির গামা। লেনিন ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের নেতা, আর গামা মুজিববাদী ছাত্রলীগের। ১৯৭৩ সালের ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন যৌথ প্যানেল দিয়েছিল জাসদ ছাত্রলীগের প্যানেলের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে। আজকের মতো তখনও জোট রাজনীতি চলেছিল, জাতীয় রাজনীতিতে ছিল সিপিবি-আওয়ামী লীগ-ন্যাপের ত্রিদলীয় ঐক্যজোট বনাম নবগঠিত জাসদের লড়াই। মুক্তিযুদ্ধের গনগনে স্মৃতিওয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তখন ছাত্র ইউনিয়ন-মুজিববাদী ছাত্রলীগ বনাম জাসদ ছাত্রলীগের জনপ্রিয়তা প্রমাণের প্রতিযোগিতা। এই স্লোগানে ‘নূরা পাগলা’ বলে যাকে খেপানো হচ্ছে, তিনি ছিলেন জাসদ ছাত্রলীগের আ ফ ম মাহবুবুল হক । তিনি ছিলেন জাসদ ছাত্রলীগের প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী। অর্থনীতি বিভাগের এই মেধাবী ছাত্র ছিলেন অসম্ভব ক্যারিশম্যাটিক, চে গুয়েভারার মতো চলন-বলন, মুখ ভর্তি দাড়ি-গোঁফ। ক্যাম্পাসে তার পোশাক-আশাকও তখনকার তরুণরা নকল করত। ওই সময় হাইকোর্টের মাজারে নূরু নামে একজন জনপ্রিয় ‘পাগল’ ছিলেন।বিপক্ষ দলীয়রা আ ফ ম মাহবুবুল হককে হেয় করতে ‘নূরা পাগলা’ বলে খেপাতে শুরু করেছিল। আসলেই ‘লেনিন-গামা পরিষদ’ নূরা পাগলাদের ‘মাহবুব-জহুর পরিষদ’কে থামিয়েছিল, তবে তা ভোটের পথে নয়। ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন শেষে প্রথমে হলগুলোর ভোট গণনা শেষে যখন দেখা যায় আ ফ ম মাহবুবুল হকের ক্যারিশম্যাটিক জনপ্রিয়তায় ভর করে জাসদ ছাত্রলীগ হলে একচেটিয়াভাবে জিতেছে, তখন সন্ধ্যার দিকে ডাকসুর ব্যালট বাক্সগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারি মদতে ছিনতাই করা হয় ৫, ৬। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সামনেই ঘটনাটি ঘটে। কেউ প্রতিবাদ করেছেন বলে শোনা যায়নি। ‘নূরা পাগলা’ আ ফ ম মাহবুবুল হক হতে পারতেন এই সোনার বাংলা গড়ার কারিগর, অথচ সারাজীবন আনসাং হিরো হয়ে নিভৃতেই চলে গেছেন তিনি। অজ্ঞাতনামা (!) আততায়ীর হাতে মারাত্মকভাবে মাথায় আঘাত পেয়ে দীর্ঘদিন রোগে ভুগে গত ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর তারিখে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।স্বাধীনতার আগে ৬৮-৬৯ মেয়াদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আ ফ ম মাহবুবুল হক মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন করতে গিয়ে হয়ে উঠেছিলেন জনগনের ‘নূরা পাগলা’। আন্দোলনের আগুন যে মাটির মানুষগুলোকে পুড়িয়ে খাঁটি করে তোলে সোনা বানায়, তারা আগের মতো ‘সাধারণ’ থাকেন না। তারা আর আগের মতো ‘দলীয়’ হতে পারেন না। অসংখ্য আদম সন্তান যখন মুক্তির আশায় ঝাঁপিয়ে পড়ে, বিজয়ের আনন্দলোকে জাড়িত হয়— দুনিয়ার যেকোনো কায়েমি দানবীয় শক্তিও অসহায় হয়ে কাঁপতে থাকে। যেমনটা অধুনার ২০১৮ সালের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে কায়েমি স্বার্থের সরকারকে দেখা গেছে। সেই মোমেন্টাম যারা একবার দেখে ফেলেন, তারা জেনে যান মানুষের মহত্তম ক্ষমতাটি, দেখে ফেলেন মানুষের হিংস্র-কুটিল চেহারাটিও। আর তাই ১৯৭২ সালে ‘নুরা পাগলা’ আ ফ ম মাহবুবুল হক রণাঙ্গন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যখন ফিরেছিলেন, তখন কায়েমি দানবীয় হয়ে উঠতে থাকা ছাত্রলীগকে তিনি আর ধারণ করতে পারেননি।১৯৭৩ সালে সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশে দুইটি উল্লেখযোগ্য নির্বাচন হয়েছিল— প্রথম সংসদীয় নির্বাচন আর ডাকসু নির্বাচন। আজকের দিনের বিনাভোটে নির্বাচিত হওয়ার মতোই সেবারও প্রথম সংসদ নির্বাচনে জিতে গেছিলেন (নাকি জেতানো হয়েছিল?) তোফায়েল আহমেদসহ অনেক বাঘা বাঘা নেতাকে। খন্দকার মুশতাককে জেতানোর জন্য হেলিকপ্টারে করে ব্যলট বাক্স ছিনতাই করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল বলে জনশ্রুতি আছে। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৩ তারিখে নির্ধারণ করা হয় ডাকসু নির্বাচনের তারিখ। ২০২৩ সালে আসন্ন নির্বাচনের প্রাক্কালে এসে এখন বোঝা যায় ১৯৭৩ সালের একচেটিয়াতন্ত্র কেমন ছিল।প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান থেকেই জেনে নেওয়া যাক ১৯৭৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কী কী ঘটেছিল । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী তার বইয়ে বর্ণনা দিচ্ছেন, “…বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে মুজিববাদীদের পক্ষে থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক। ভেতরে ভেতরে ছিলও বটে। কিন্তু নির্বাচনের দিন ফলাফল যখন আসতে শুরু করল তখন দেখা গেল অবিশ্বাস্য ঘটনা। সব হলেই বিরোধীরা জয়ী হয়েছে। অথচ সারাদিন এলাকাজুড়ে শোনা গেছে শুধু ‘লেনিন-গামা, লেনিন-গামা’ ধ্বনি, ঝালাপালা হয়ে গেছে ক্যাম্পাসের কান! লেনিন-গামার সমর্থকরা দৃশ্যমান ব্যাজ পরে সর্বত্র ঘোরাঘুরি করেছে, নিশ্চিত বিজয়ের উল্লাসে। অথচ নিরবে ব্যালটবিপ্লব ঘটে গেছে। অনেকটা সত্তরে ছয় দফার বিজয়ের মতোই। লেনিন-গামার ব্যাজ পরেও মাহবুব-জহুরকে ভোট দিয়ে গেছে ছেলেমেয়েরা।”সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছিল। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসা অথবা পল্টনের অফিসগুলোতেই তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, এখনো যেমন নেওয়া হয়! আজন্ম গণতন্ত্রের জন্য আত্মত্যাগ করা একটা জাতির আতুঁড় ঘরেই বিকাশমান গণতন্ত্রকে মুখে নুন দিয়ে ১৯৭৩ সালেই মেরে ফেলা হয়েছিল। ‘নূরা পাগলা’কে ঠিক থামানো গেছিল, কিন্তু বাংলাদেশকে কি চালানো গেছে আর? ঠিক কী কী বাঁচাতে বা চালু রাখতে ‘মাহবুব –জহুর’দের থামাতে হয়েছিল? প্রায় অর্ধশতাব্দী আগের কলঙ্কতিলক এই ঘটনার কুশীলব আর সাক্ষী-সাবুদ অনেকেই বেঁচে নেই, যারা আছেন চুপ করে আছেন, সত্যের মুখোমুখি হতে চান না। ব্যতিক্রম একজন অবশ্য মিলেছে— বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।১৯৭৩ সালে সেলিম ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসু ভিপি। ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি ভিয়েতনাম দিবসের মিছিলে প্রেস ক্লাবে গুলি চালিয়ে মতিউল-কাঁদেরের মৃত্যু নিয়ে ভীষণ বিক্ষুব্ধ ঢাকায় উত্তপ্ত জনসমাবেশে ডাকসু ভিপি হিসেবে ২ জানুয়ারি আজীবন সদস্যপদ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের বহিষ্কারের ঘোষণা দেন এবং সদস্যপদ বই থেকে সংশ্লিষ্ট পাতাটি ছিঁড়ে ফেলেন সেলিম। তিনি ডাকসুর পক্ষ থেকে দেওয়া ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিটিও প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে বলেন, এখন থেকে সেটি আর ব্যবহার করা যাবে না।ইতিহাসের এই পর্বটি খুবই কৌতূহলোদ্দীপক ও বিস্ময় জাগানিয়া। ৩ জানুয়ারি থেকে পার্টি অফিসে হামলা দিয়ে ছাত্রলীগ শুরু করে সারাদেশে নিপীড়নের স্টিম রোলার চালিয়ে দেয়, খোদ গোপালগঞ্জেই ১০ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমরেড লেবু ভাই এবং কমলেষ বৈদ্যকে হরর ফিল্মের মতো হিংস্রতার মাধ্যমে খুন করা হয়। ২০১৮ সালে ছাত্র আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগের যে রূপ দেখা গেছে, তাতে ১৯৭৩ সালের পরিস্থিতি বুঝতে বাকি থাকার কথা নয় কারও। তবে এর ঠিক আট মাস পরেই ৩ সেপ্টেম্বর আক্রান্ত ও আক্রমণকারী দল দুইটি ‘লেনিন-গামা’ পরিষদ নিয়ে মধুচন্দ্রিমায় মিললেন কিভাবে— তা দম আটকে আসার মতো বিস্ময়কর বিষয়!২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডাকসু নির্বাচনে বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা আয়োজন করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘যোগাযোগ ইশকুল’। অনেক সাবেক-বর্তমান ছাত্রনেতাদের মধ্যে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং মাহমুদুর রহমান মান্নাও ছিলেন। দু’জনই ১৯৭৩ সালের ইতিহাসে অন্যতম কুশীলব ছিলেন। সেলিম আট মাস আগের তীব্র দুঃখ ও প্রতিশোধ ভুলে ‘লেনিন-গামা’রে দিয়ে ‘নূরা পাগলা’ আ ফ ম মাহবুবুল হককে ঠেকানোর কাজে যথাসাধ্য করেছেন। অন্যদিকে মান্না মাহবুব-জহুর পরিষদের পক্ষে লড়াই লড়েছিলেন। ম ই সেলিম তার সেই পুরনো ভুলের স্বীকারোক্তি ২০০৯ সালে এসে দিয়েছিলেন এভাবে— ২০০৯ সালের ২৩ অক্টোবর তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডাকসু নির্বাচনে বাধা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা আয়োজন করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘যোগাযোগ ইশকুল’। অনেক সাবেক-বর্তমান ছাত্রনেতাদের মধ্যে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং মাহমুদুর রহমান মান্নাও ছিলেন। দু’জনই ১৯৭৩ সালের ইতিহাসে অন্যতম কুশীলব ছিলেন। সেলিম আট মাস আগের তীব্র দুঃখ ও প্রতিশোধ ভুলে ‘লেনিন-গামা’রে দিয়ে ‘নূরা পাগলা’ আ ফ ম মাহবুবুল হককে ঠেকানোর কাজে যথাসাধ্য করেছেন। অন্যদিকে মান্না মাহবুব-জহুর পরিষদের পক্ষে লড়াই লড়েছিলেন। ম ই সেলিম তার সেই পুরনো ভুলের স্বীকারোক্তি ২০০৯ সালে এসে দিয়েছিলেন এভাবে— ‘ডাকসু নির্বাচন হবে, যদি আমরা পরাজয় মানতে রাজি থাকি। ১৯৭৩-এ আমরা পরাজয় মেনে নিতে রাজি ছিলাম না, তাই আমরাই ব্যালট বাক্স ছিনতাই করেছিলাম। আজ আমি আপনাদের সামনে স্বীকার করছি, সেদিন আমরা অন্যায় করেছিলাম। আমি ঘটনা জানতাম না, তাই ঘটনার জন্য জাসদকে দায়ী করে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছিলাম। আজ আমি এ-ও স্বীকার করছি, আমি ভুল বলেছিলাম। ছিনতাই জাসদ করেনি, করেছিল ছাত্রলীগ।’এত বছর পর অনুতাপ করে বা ক্ষমা চেয়ে কী লাভ? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতুড়ি মামুন যদি ২০৫০ সালে রাবির ছাত্র তরিকুলের গাইবান্ধার বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে কাঁদেও, তাতে কিছু যাবে-আসবে কি? ক্ষতি যা হওয়ার, তা তো হয়েই গেছে। তোফায়েল আহমেদ, শেখ শহীদুল ইসলাম, নূর ই আলম সিদ্দিকী প্রমুখ বেঁচে আছেন। ১৯৭৩ সালের দুই নির্বাচন নিয়ে, কমরেড লেবু ভাইদের নিয়ে, বামপন্থী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা নিয়ে। অন্তত প্রকাশ্য কোনো ফোরামে বলেন না। ম ই সেলিম তবু তো প্রকাশ্য কোনো ফোরামে অন্তত একবার হলেও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। রাজনৈতিক সততা ও সাহসের একটা নজির তৈরি করেছেন। কিন্তু ঠিক কী কী বিবেচনায় বিপুল সাংগঠনিক ভিত্তি লোকবল থাকা সত্ত্বেও ছাত্রলীগকে ছাড় দিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন? ম ই সেলিমের এখন ঐতিহাসিক কর্তব্য সেটাই তুলে ধরা।১৯৭৩ সালে জনাব সেলিম ও তার সিনিয়র নেতাদের ‘বিবেচনা’ নিয়ে নির্মোহ পর্যালোচনা আমাদের আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক নতুন দিশা হাজির করতে পারে। হাতুড়ি-হেলমেট বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক, নববর্ষের নারী নিগৃহকারীদের জন্মদাতা, নির্যাতনবিরোধীদের ওপর হামলা, কিংবা সুন্দরবন রক্ষার সাইকেল মিছিলে যারা হামলাকারী, তাদের ঠেকাতে ডাকসুতে কেন আরেকটি মাহবুব-জহুর প্যানেলের মতো আরেকটি অপ্রতিদ্বন্দী প্যানেল হলো না? প্রগতিশীল ছাত্র জোট, কোটা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, নির্যাতনবিরোধী শিক্ষার্থীরা মিলে কেন হেলমেট-হাতুড়িবিরোধী একাট্টা প্যানেল কেন হলো না? ২০১৮ সালজুড়ে চলা এত নিপীড়ন-নিগৃহের উপযুক্ত জবাব দিতে সারাদেশে নিপীড়িত নিশ্চুপদের কাছে জনপ্রিয় কোটা আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে মিলতে বাধা হয়ে দাঁড়াল আজকের কোন কোন ‘বিবেচনা’? আজকের ছাত্রনেতারা যে রাজনৈতিক ‘বিবেচনায়’ পুরো ২০১৮ সাল জুড়ে চলা হাতুড়ি হেলমেট, নববর্ষের নারী নিগৃহ, মিছিলে মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা ভুলে যেতে পারেন, ১৯৭৩ সালে সেলিমেরা সম্ভবত সেই একই রকম বিবেচনায় মতিউল-কাদেরের মৃত্যু, কমরেড লেবু ভাইদের হত্যাকাণ্ড আর দেশব্যাপী পার্টি নেতাদের ওপর হওয়া হামলা হজম করে ফেলে ছাত্রলীগের সাথে ভোট ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিলেন।সবাই অবশ‌্য এরকম সহজে ভুলতে পারেনা সংগ্রামের ইতিহাস, আফম মাহবুবুল হকদের মতো আপোষহীন লোকেরা তাই এতো সহজে কায়েমি মহলে জড়াতে পারেননা। একারণেই হয়তো তিনি সমকালীন চলচ্চিত্রের ট্রাজিক হিরো হন, তাঁর আরাধ্য চে গুয়েভারার মতোই! তবে এটা সুনিশ্চিত যে, ইতিহাসের নির্মোহ পাঠ ভাবী প্রজন্মের কাছে ভিলেনদের ভীড় থেকে সময়ের বীরদের ঠিকই আলাদা করে উর্ধ্বে তুলে ধরবে।

নোয়াখালীতে গ্লোব সফ্ট ড্রিংকস’র টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুনামেন্ট ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরণী

207 Views

নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গ্লোব সফ্ট ড্রিংকস লিমিটেড এর পৃষ্টপোষকতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুনামেন্ট খেলার ফাইনাল ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতি বার বিকেলে ক্রীড়া সংস্থার সচিব সালেহ উদ্দিন সবুজের উপস্থাপনায় পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ খোরশেদ আলম খাঁন, বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম (বিপিএম), নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র মোঃ শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট কমিটির জেলা সদস্য সচিব মোঃ আলা উদ্দিন, আহবায়ক তাউছ মোঃ বেনী আমিন চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল করিম জুয়েল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য আহছান উল্যা হুমায়ুন। টি- টোয়েন্টি ক্রিকেট টুনামেন্ট ফাইনালে ১৬১ রান পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিজয়ের ট্রপি গ্রহণ করে পূবালি তরুণ সংঘ ও রানার্স আপ লাভ করেন বাদার্স ইউনিয়ন ১১৮ রান করে অল আউট হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ১৩টি টিমের মধ্যে ইয়ং স্পোটিং ক্লাবের পক্ষে সম্মাননা স্বারক গ্রহণ করেন বেলায়েত হোসেন রয়েল।

নোয়াখালীতে ৪দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বই মেলা 

105 Views

স্টাফ রিপোর্টার ,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে নোয়াখালীতে ৪দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা বই মেলা শুরু হয়েছে। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা শিল্পকলা একাডেমী মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইসরাত সাদমীন এর সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তারিকুল আলম ও জেলা সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল্যাহ আল মামুন প্রমুখ। আগামী ২ই জানুয়ারী পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় প্রায় শতাধিক স্টল স্থান পেয়েছে। মেলার পাশাপাশি প্রতিদিন চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

চৌমুহনীতে রাবেয়া নার্সিং ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএমএ সভাপতি ডা. নোমান

186 Views

বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি ,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্য শহর চৌমুহনীতে রাবেয়া নার্সিং ইনষ্টিটিউটের দ্বিতীয় ব্যাচের ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স ও মিডওয়াইফারী ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচিতি সভা ও নবীরবরণ অনুষ্ঠান হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট রাবেয়া হাসপাতাল ও নার্সিং ইনষ্টিটিউটের মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইনষ্টিটিউটের চেয়ারম্যান ডাঃ আবু নাছেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) জেলা শাখার সভাপতি ডাঃ এম. এ নোমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অসীম কুমার দাশ, ডাঃ দীপন চন্দ্র মজুমদার, নার্সিং ইনষ্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনিকা মজুমদার, উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আক্তারুজ্জামান আনছারী, পৌর কাউন্সিলর এনায়েত উল্যাহ চৌধুরী রানা, নবীব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইসমাত আরা, ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী দ্বীন ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নার্সিং ইনষ্টিটিউটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ সুলতানা রাবেয়া খানম। অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ নার্সিং ইনষ্টিটিউটের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

সোনাইমুড়ীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাংচুর আহত-৫

77 Views

এবিএম সিদ্দিক ,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন স্বপনের নির্বাচনী অফিসে হামলা ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে উঠেছে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কবির হোসেন খোকনের কর্মিদের বিরুদ্ধে। এ হামলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন স্বপন সহ ৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে সাত টার সময় উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের দীঘিরজান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন স্বপন অভিযোগ করে বলেন, রাত সাড়ে সাতটার সময় তিনি তাঁর আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নেতা কর্মিদের নিয়ে মতবিনিময় করা অবস্থায় মাইক্রোবাস ও দুটি সিএনজি যোগে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কবির হোসেন খোকনের অস্ত্রধারী একদল সন্ত্রাসী আকস্মিক এসে ককটেল বিস্ফোরণ ও নির্বাচনী অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে তিনিসহ অন্তত পাঁচ জন আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার নেতা-কর্মিরা ভয়ে ও আতংকে রয়েছেন। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কবির হোসেন খোকন বলেন,স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বপনের নির্বাচনী পোস্টার আমার বাড়ির সামনে আছে।  আমি সংঘাতে বিশ্বাস করিনা।   ভোটের মাঠে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য শুধু মাত্র এমন অভিযোগ।  সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম মানবজমিনকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যে নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে ওই নির্বাচনী ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্ধ পেয়েছে।

৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী হত্যার খুনিদের গ্রেফতারের দাবীতে মানব বন্ধন-সড়ক অবরোধ-সোনাইমুড়ী থানা ঘেরাও

124 Views

নাজমুল হক ,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা জান্নাতুল ঈশিতা (১২) হত্যার আসামী গ্রেফতার, ঘটনার সুস্থ্য তদন্তু ও বিচারের দাবীতে মানব বন্ধন, বিক্ষাব মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে তার সহ পার্টি সহ এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়কে দুই শতাধিক জনতার উপস্থিতে প্রতিবাদীরা এক ঘন্টা ব্যাপি কর্মসুচি পালন করে। এসময় নোয়াখালী কুমিল্লা আঞ্চলিক মহা সড়কে তিন দিক থেকে প্রায় ৩০ মাইল ব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। রাস্তায় শত শত যাত্রী বাহী বাস, মালবাহী ট্রাক, লরি, কাভার্ডভ্যান আটকা পড়ে। পরে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ এসে হত্যাকান্ডের সুষ্ট তদন্তে আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্ধ জনতা অবরোধ প্রত্যাহ করে নেয়। এসময় বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেন সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের অসহযোগিতা আসামীদের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে থানায় হত্যা মামলা গ্রহন না করে নিহতের মায়ের সাথে দূর্ব্যবহার করা হয়েছে। থানা এসআই আমির হামজা দফায় দফায় আসামিদের বাড়িতে গিয়ে গোপনে মামলা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। বাধ্য হয়ে তারা আদালতে মামলা দয়ের করেন। পুলিশের এমন অসহযোগিতার খবরে আমিশাপাড়া এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি ও এলাকাবাসী সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এনিয়ে স্থানীয় এলাকায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ চলছে। মামলার এজাহার ও এলাকা বাসীর বক্তব্যে জানাযায় গত ২৪ ডিসিম্বর শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ১০ নম্বর আমিশাপাড়া ইউনিয়নের স্বামী পরিত্যাক্তা রেশমা আক্তার সাকির কণ্যা স্থানীয় বৈধ্যবাজার আজিজিয়া কিন্ডার গার্ডেনের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সানজিদা জান্নাতুল ঈশিতাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে তার পালক মাতা ইয়াসমিন আক্তার (৪৫), ছেলে শাকিব হোসেন ( ১৯) পিতা হানিফ (৭০)।  ঘটনায় বাদি হয়ে রেশমা আক্তার সাকি রবিবার নোয়াখালী আমলি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন।এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রেশমা চট্রোগ্রামের একটি পোষাক কারখানার শ্রমিক। জনৈক হারুন রশিদের সাথে তার বিবাহ হয়। তাদের ঘরে নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস মিম, ও সিয়াম হোসেন তামিম  (০৯) বছরের এক পুত্র সন্তানরয়েছে। স্বামীর সাথে তার বনিবনা না হওয়ায় সে আলাদা থাকে। বয়েক বছর আগে তার আত্মীয় একই বাড়ীর ইসমাইলের কোন কণ্যা সন্তান না থাকা সে জান্নাতুল ফেরদাউস মিমকে পালক নেয়। তার নাম পরিবর্তন করে সানজিদা জান্নাতুল ঈশিতা রাখেন। নিতি সৌদি প্রবাশী হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঈশিতার সাথে ফোনে কথা বলতো এবং পরিবারের খোঁজ খবর নিতো। এতে পালক মাতা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় ঈশিতাকে শাসনের নামে নির্যাতন চালাত। শুক্রবার দুপুরের দিকে পালক মাতা ও তার ছেলে শাকিব মিলে গলায় কারেন্টের তার জড়িয়ে ঈশিতাকে হত্যা করে কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখে প্রচার চালাতে থাকে ঈশিতাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরে বাড়ীর লোক জনের সন্দেহ হলে তারা পালক মায়ের ছোট ভাইয়ের ঘরে প্রবেশ করে খাটের উপর কম্বল পেছানো অবস্থায় ঈশিতার মৃত দেহ দেখতে পেয়ে তার মাকে ফোনে জানানো হয়। এসুযোগে হত্যাকরীরা তাকে জোরপুর্বক দাফনে করার উদ্দেশ্যে গোসল করাতে নিলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম,গলায় শ্বাস রোধ করার চিহ্ন দেখতে পেয়ে নিহতের মাকে জানায় তিনি পুলিশকে অবহিত করে। সন্ধায় সোনাইমুড়ী থানার এস আই আমির হামজা ঘটনা স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরত হাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় নিহতের মা থানায় মামলা করতে চাইলে থানার এসআই আমির হামজা মামলা না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এক পর্যায়ে তাদের সাথে র্দুব্যবহার করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন। বাধ্য হয়ে রবিবার নোয়াখালী আমলী আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করেন। নিহতের মা রেশমা আক্তার সাকি অভিযোগ করেন ঘটনার দিন থানার এসআই আমির হামজা আমার নিকট একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চাইলে আমি না দিয়ে, আমি থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করবো। শনিবার সকালে থানায় গেলে তিনি আমাকে বলে তোমার সাথে কোন কথা হবেনা। পরে আরেকটি সাদা কাগজ এনে আমাকে বলে তোমার মেয়ের লাশ ময়না তদন্তের জন্য স্বাক্ষর লাগবে। অভিযোগ দিতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সামনে চেয়ার লাথি মেরে ফেলে দিয়ে আমাকে শাসায়। নানা মো. হারুন রশিদ অভিযোগ করেন পুলিশ দফায় দফায় আসামীদের সাথে দেখা করে অনৈতিক সুবিধা নিলেও আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগা যোগ করে নাই। আমরা থানায় মামলা করতে চাইলে তারা আমাদেরকে সহযোগিতা করেন। এবিষয়ে কথা বলার জন্য সোনাইমুড়ী থানা উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হামজার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। সোনাইমুড়ী থানা পরিদর্শক (ওসি) তৌহিদুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হলেন হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

64 Views

ন্যাশনাল ডেক্স ,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি নিয়োগের গেজেট প্রকাশিত হয়। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের পর থেকে কার্যকর হবে।সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কুষ্টিয়ার সন্তান। আবদুর গফুর মোল্লা ও নূরজাহান বেগম দম্পতির সন্তান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৭২ সালে খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। আইএসসি পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে। এরপর বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। আর এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে।
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি নিয়োগের গেজেট প্রকাশিত হয়। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের পর থেকে কার্যকর হবে।সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কুষ্টিয়ার সন্তান। আবদুর গফুর মোল্লা ও নূরজাহান বেগম দম্পতির সন্তান হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৭২ সালে খোকসা জানিপুর পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। আইএসসি পাস করেন ১৯৭৪ সালে সাতক্ষীরার সরকারি পিসি কলেজ থেকে। এরপর বিএ পাস করেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ থেকে। আর এমএ পাস করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে।পরবর্তীতে ধানমন্ডি ‘ল’ কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেন।
১৯৮১ সালে ঢাকা জজ কোর্টে আইন পেশায় যোগ দেন । ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৮ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। ২০০৯ সালে হাইকোর্ট ডিভিশনের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৩ সালের ২৮শে মার্চ আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান । প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী খুলনা সিটি কর্পোরেশন, কুষ্টিয়া পৌরসভা, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন সংস্থা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান আইন উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে কাজ করেছেন।

বিশ্বে ২৫ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনা সর্বাধিক: আরএসএফ

72 Views

আন্তর্জাতিক ডেক্স ,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: গত ২৫ বছরের মধ্যে ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে। তবে সবচেয়ে কম সাংবাদিক নিহত হয়েছেন এ বছর। মধ্যপ্রাচ্যে তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকায় সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা কমেছে।২০২১ সালের চিত্র তুলে ধরে বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ)।সারা বিশ্বে বর্তমানে ৪৮৮ জন সাংবাদিক বিভিন্ন দেশে কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া নিহত হয়েছেন ৪৬ জন সাংবাদিক। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক এই সংগঠনটি ২৫ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার-হত্যার ঘটনা নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা এই সংগঠনটি আরও বলেছে, গত বছরের তুলনায় সাংবাদিকদের নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। যে দেশ ও এলাকাগুলোয় এমন ঘটনা বেড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে হংকং, মিয়ানমার ও বেলারুশ।আরএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরে যে পরিমাণ নারী সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে, সেই পরিমাণ নারী সাংবাদিক কে পূর্ববর্তী কোনো বছরে আটক হননি। চলতি বছর নারী সাংবাদিক আটক হয়েছেন ৬০ জন, যা ২০২০ সালের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ বেশি।সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন চীনে। দেশটিতে ১২৭ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই দেশটিতে সাংবাদিক বেশি গ্রেপ্তার হওয়ার কারণ, দেশটির আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকংয়ে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ। গ্রেপ্তারের ঘটনায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমার। দেশটিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৩ জন সাংবাদিক। এ ছাড়া ভিয়েতনামে ৪৩, বেলারুশে ৩২ ও সৌদি আরবে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩১ জন।আরএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সিরিয়া, ইরান, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে সহিংসতা কমতে থাকায় ২০১৬ সালের পর থেকে সাংবাদিক নিহত হওয়ার ঘটনা কমছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ৪৬ সাংবাদিকের মধ্যে অধিকাংশকেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শতকরা হিসেবে এই সংখ্যা ৬৫।আরএসএফ বলছে, বিশ্বজুড়ে ৬৫ জন সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছে চলতি বছর। এর মধ্যে ৬৪ জনই অপহৃত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশে। সিরিয়ায় অপহৃত হয়েছেন ৪৪ জন। ইরাকে ১১ ও ইয়েমেনে অপহৃত হয়েছেন ৯ জন। আর একজন সাংবাদিক অপহৃত হয়েছেন ফ্রান্সে।

যে কারনে বিবাহিত পুরুষের প্রতি নারীরা বেশি আকৃষ্ট হয়

72 Views

ইকবাল সিরাজী ,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বিবাহিত পুরুষের প্রতিই নারীরা বেশি আকৃষ্ট হন, এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে এক গবেষণায়। তাদের মতে, প্রায় ৯০ শতাংশ নারী এমন পুরুষদের পছন্দ করেন যারা বিবাহিত।‘জার্নাল অব হিউম্যান নেচার’ নামক একটি বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি তত্ত্ব অনুযায়ী একে ব্যাখ্যা করা হয়েছে ‘সঙ্গী নির্ণয়ের অনুকরণ’ বলে।এই তত্ত্ব অনুসারে, অনেক ক্ষেত্রেই একজন নারী অন্য একজন নারীকে অনুকরণ করেন। সাধারণত অল্পবয়সী নারীরা বিবাহিত বা অন্য সম্পর্কে থাকা পুরুষদের অভিজ্ঞ ও সুরক্ষিত মনে করেন।গবেষকদের মতে, শারীরিক আকর্ষণের থেকেও নারীরা মানসিক আকর্ষণকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন। জেনে নিন কী কী কারণে নারীরা বেশি আকর্ষিত হন বিবাহিত পুরুষদের প্রতি-

>> একজন পুরুষ যখন কোনো নারীর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে ওঠেন তখন অন্য নারীরাও তাঁকে আকর্ষণীয় ব্যক্তি বলে মনে করেন। অন্য নারীর অভিজ্ঞতাই ওই পুরুষের প্রতি কারও আকর্ষণের কারণ হতে পারে।

>> বিবাহিত পুরুষরা বেশি নির্ভরযোগ্য বলে মনে করেন অধিকাংশ নারী। কারণ ওই পুরুষ একটি সম্পর্কে তার নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। আর অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি রক্ষাকারী পুরুষের প্রতি নারীরা সহজেই আকৃষ্ট হন।

>> এমনকি বিবাহিত পুরুদের অভিজ্ঞতা ও পরিণতমনস্কতা অনেক ক্ষেত্রেই আকৃষ্ট করে নারীদের। সম্পর্কের বিভিন্ন মোড় সামলে নিতে বিবাহিত পুরুষরা অবিবাহিতদের চেয়ে বেশি সক্ষম বলে মনে করেন নারীরা। এমনটাই মত গবেষকদের।

>> বিবাহিত বা একবার সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন পুরুষরা বারবার সম্পর্কে জড়াতে দ্বিধাবোধ করেন। যা সম্পর্ককে স্থায়ীত্ব দিতে পারে। অন্যদিকে অবিবাহিত পুরুষদের চঞ্চলতা অনেক ক্ষেত্রেই নারীদের পছন্দসই নয়।

>> বিবাহিত পুরুষদের পরকীয়ায় জড়ানো বড় এক ঝুঁকি। যখন কোনো পুরুষ পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন, তার মানে হলো, দ্বিতীয় নারীর জন্য বড়সড় ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত তিনি। এই নিষিদ্ধ আকর্ষণে অনেক নারীই আকৃষ্ট হন বিবাহিত পুরুষদের প্রতি।