হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভা প্রধান দ্বীপবন্ধু মোহাম্মদ আলী

974 Views

হাতিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যেগে বৃহস্পতি বার সকালে স্থানীয় সংসদ আয়েশা ফেরদাউস এমপির বাসভবনে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক সংসদ মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ আয়েশা ফেরদাউস এমপি,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন,উপজেলা আ,লীগের উপদেষ্ঠা অধ্যাপক ওয়ালী উল্ল্যাহ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কেফায়েত উল্ল্যাহ,উপজেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক শাহ আজিজুর রহমান মিরাজ, উপজেলা সেচ্ছা সেবকলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন মুহিন এছাড়া ও আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছা সেবকলীগ সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।বক্তারা আগামী ১৫আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবর রহমানের শাহাদাৎ বাষির্কী সম্পর্কে আলোচনায় বলেন, কেন্দ্রিয়ভাবে যেই সিদ্ধান্ত আসবে হাতিয়া উপজেলা আওয়মীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ সেইভাবে কর্মসুচী পালন করবে এবং হাতিয়ায় স্থানীয় ভাবে নদীর তীর রক্ষার কাজে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য আহবান করেন। প্রধান অতিথি আয়েশা ফেরদাউস এমপি তার বক্তব্য বলেন,সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে নদীর তীর রক্ষা কাজের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবীদার।

শান্তির প্রস্তাব নিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িতে বসুরহাট পৌর মেয়র সত্যবচন আবদুল কাদের মির্জা

972 Views

মাহমুদ খাঁন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা প্রতিপক্ষ উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের বাড়িতে (সাবেক এমপি আবু নাছের চৌধুরী বাড়ি) গিয়ে শান্তির প্রস্তাব দিয়েছেন। শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি সেখানে যান। আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের ছোট ভাই জেলা পরিষদের সদস্য আক্রাম উদ্দিন সবুজ চৌধুরী বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ঈদ পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আমাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি কোম্পানীগঞ্জের দীর্ঘ সাত মাসের রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ করে শান্তি স্থাপনের প্রশ্নে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।’এ বিষয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘জেলা পরিষদের সদস্য আক্রাম উদ্দিন সবুজের বাড়িতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গিয়েছি। সেখানে উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, জেলা পরিষদের সদস্য আক্রাম উদ্দিন সবুজসহ উপস্থিত সবাইকে কোম্পানীগঞ্জে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছি।’তবে আজম পাশা চৌধুরী রুমেল বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা যুক্তরাষ্ট্রে সফরে যাওয়ার কথা বলেছেন। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় তিনি আকস্মিকভাবে আমাদের বাড়িতে আসেন। এ সময় তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং ভেদাভেদ ভুলে কোম্পানীগঞ্জে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।’তিনি আরও বলেন, ‘মেয়র তার কয়েকজন অনুসারী নিয়ে বাড়িতে এসেছেন। আমরা সামাজিক সৌজন্যতা দেখিয়েছি। কিন্তু আমাদের অনুসারীদের ছেড়ে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে এলাকার শান্তির প্রশ্নে আমাদের অনুসারী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতে আমাদের অনুসারী কেউ ভুল বুঝবেন না।’ উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই বিকাল ৫টায় উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গুলি করা হয় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে পিটিয়ে ও কুপিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করার অভিযোগ করা হয়। এতে তিন জন গুলিবিদ্ধসহ ছয় জন আহত হন।

নোভেল কোভিডে মৃত ব্যক্তির দাফনে কেউ নেই, করোনা যোদ্ধার ভূমিকায় আলাবক্স তাহের টিটু

162 Views

সেন্ট্রাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে করোনায় মৃত সহিদ উল্যাহ ভূঁইয়ার দাফনে আসলেন না আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী কেউই। অবশেষে মরদেহ গোসল দিয়ে দাফন করলেন কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও নোয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক মেম্বার আলাবক্স তাহের টিটু।স্থানীয়রা জানান, কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়ির সহিদ উল্যাহ রোববার (১৮ জুলাই) রাতে নোয়াখালী করোনা হাসপাতালে মারা যান। সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় জানাযার সময় ছিল। সকাল ৯টা পর্যন্ত এই মরদেহের গোসল বা দাফন করতে কেউ এগিয়ে আসেননি। এমনকি স্থানীয় হুজুর মরদেহের জানাজা পড়াতে অপারগতা প্রকাশ করেন।খবর পেয়ে কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু তার সাত সদস্যের দল নিয়ে মরদেহ গোসল করান। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় জানাযা শেষে দাফন করেন তাকে। জানাজা পড়ান ওই দলের সদস্য মাওলানা শরিয়ত উল্যাহ।আলাবক্স তাহের টিটু বলেন, ‘এটি আমার ২৬ নম্বর করোনার মরদেহ দাফন। যেখানে দাফনের কেউ থাকে না সেখানেই আমি আমার দল নিয়ে ছুটে যাই। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জে চরম অভিজ্ঞতা হল। একজন মানুষ মারা গেল। তার পাশে কেউ এলো না। আত্মীয় স্বজন, বাড়ির লোক, প্রতিবেশী, জনপ্রতিনিধি কেউ আসলেন না। এমনকি এলাকার হুজুরও আসলেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অসহায় মরদেহগুলো কবরে রাখা এখন আমার দায়িত্ব মনে করেই করছি। নিহত সহিদ উল্যাহর তিন ছেলের সবাই বিদেশে। কিন্তু তার এই অন্তিম মুহূর্তে কাউকেই পাশে পাওয়া গেল না। এমনকি আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীদের কেউ আসলেন না।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় নিয়ম মেনে দাফনের কথা বলায় স্থানীয়দের কেউ এগিয়ে আসেনি।’

নোয়াখালীর ২ শতাধিক সাংবাদিককে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা নিজাম উদ্দিন জিটু

136 Views

নাসির উদ্দিন মাহমুদ, এডিটর ডেইলী নোয়াখালী সময় ডট কম: করোনা মহামারীতে সম্মুখ সারির যোদ্ধা ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত নোয়াখালীর দুই শতাধিক সাংবাদিককে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু। মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের শহীদ উদ্দিন ইস্কান্দার কচি মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের সভাপতি বখতিয়ার শিকদারের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা জিটু সাংবাদিকদের হাতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, পিপিই সহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেন। করোনার এই সংকটকালীন সময়ে তিনি সবসময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য, এফবিসিসিআই এর স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, টেলি লিংক গ্রæপের চেয়ারম্যান, দৈনিক গনকন্ঠ ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ নিজাম উদ্দিন জিটু বলেন, মহামারী করোনাকালেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের অর্থনীতিও এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি রোল মডেল। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বর্তমানে বৈদেশিক রেমিটেন্সও অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বেশি। মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত মতবিনিময় ও নোয়াখালীতে কর্মরত সাংবাদিকদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক বখতিয়ার সিকদারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, দৈনিক মানবজমিন স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালীর নাসির উদ্দিন বাদল, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম হারুন, আকাশ মোঃ জসিম, এমবি আলম, মোঃ তাজুল ইসলাম মানিক, আকবর হোসেন সোহাগ, আবু নাসের মনজু, মোজাম্মেল কামাল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক গিয়াস উদ্দিন মিঠু, আজাদ ভূ্ইঁয়া, দূর্জয়, আনোয়ার বারী পিন্টু, এম সালাহ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ সালাহ উদ্দিন, মোতাসিম বিল্লাহ সবুজ, আলা উদ্দিন শিবলু, নূর রহমান, ফয়জুল ইসলাম জাহান, জুয়েল রানা লিটন, মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, এ আর আজাদ সোহেল, মোঃ সোহেল, আসম হোসাইন সাইদ প্রমূখ। জিটু আরো বলেন, বর্তমান সরকার হলো গনমাধ্যম ও জনবান্দব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের মহা সড়কে তুলে দিয়েছেন। তাই সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশের উন্নয়নে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

 

পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের বীরগাঁথা কাহিনী ইতিহাসে স্থান দিতে হবে: আইজিপি ড. বেনজির

281 Views

নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা” গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও পুলিশ লাইন্সে স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ”নির্ভিক” এবং নোয়াখালী জেলা পুলিশের তিনটি নবনির্মিত ভবনের ভার্সুয়ালি উদ্বোধন করেন আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে পুলিশ লাইন্সে এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন, জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। নব নির্মিত তিনটি ভবন হচ্ছে প্রতিটি চার তলা বিশিষ্ট সুধারাম মডেল থানা, সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও নারী পুলিশ ব্যারাক। বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ বলেছেন, পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের ও বীরত্বগাঁথা কাহিনী ইতিহাসে তুলে ধরতে হবে। প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র তৈরি করে তা সংরক্ষন করতে হবে। আইজিপি বলেন, যে প্রজন্মের বয়স এখন ১৫ থেকে ২৫ বছর সে প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বন্ধে জানে না। তারা পাকিস্তানীদের শাসন শোষন সম্পর্কে তারা জানে না। তারা দেখেনি ৭১ এ পাক বাহিনী অত্যাচার নিপিড়ন দেখেনি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও রাজাকার পুত্ররা বীরদর্পে সামাজিক যোগাযোগে লিখে তারা রাজাকারের পুত্র। এ সাহস পায় কোথায়? তিনি বুধবার দুপুর ১২টায় ভার্চুয়্যালে সংযুক্ত হয়ে নোয়াখালীতে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি, ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নারী পুলিশ ব্যারাক ভবন ও নোয়াখালী পুলিশের মুক্তিযুদ্ধে গৌরবদীপ্ত অবদান স্মরনে নির্মিত ভাস্কর্য “নির্ভীক” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষনে এ কথা বলেন। নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা রেঞ্জের ডি.আই.জি হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআজি (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) মোঃ ইকবাল হোসেন, নোয়াখালী পিটিসি কমান্ড্যান্ট এস এম রোকন উদ্দিন নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল এবং সাংবাদিক ও গভেষক আবু নাছের মঞ্জু। জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান বলেন, আই এম এফ’র একটি প্রতিনিধি দল কক্সবাজারে আমার সাথে দেখা করে যে প্রেসক্রিপশন দিয়েছে তা শুনলে রোহিঙ্গা সমস্যা আরো দীর্ঘায়িত হবে। আমি তাদেরকে বলেছি রোহিঙ্গারা স্বসম্মানে তাদের দেশে ফিরে যাক এবং সেখানে গিয়ে তাদের নাগরিকত্ব, সহায় সম্পত্তির অধিকার ভোগ করুক এটাই আমরা কামনা করি। আমার এই যুক্তি শুনে তারা প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে আমাদের এখানে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা, তাদের কর্ম সৃষ্টি ও তাদের চাকরীর কথা বলেন। জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনের পরিকল্পনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশ লাইন্সের প্রবেশমুখে ৮ মাস সময় নিয়ে ভাস্কর‌্য টি নির্মান করেন পরিচালক ড্রিমহান্ট ক্রিয়েটিভ ও স্বাধীন ভাস্কর দীপক রঞ্জন সরকার। এসপি মোঃ আলমগীর হোসেন সভাপতির ভাষনে বলেন, পাক সেনাবাহিনী নোয়াখালীর এসপি আবদুল হাকিমকে কুমিল্লা সেনানিবাসে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে স্ত্রী ছেলে সহ ৩জনকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। পুলিশ সুপার আরো বলেন পরাধীনতার শেকল ভাঙ্গার প্রত্যয়ে  টগবগ ফুটতে থাকা বাঙ্গালীর ধমনীতে শক্তি সাহস ও প্রেরণার সঞ্জীবনী সঞ্চারী এক অসাধান  ভূমিকা রেখেছিলেন পুলিশ সুপার আবদুল হাকিমের নেতৃত্বে তৎকালীন নোয়াখালী জেলা পুলিশ। নির্ভীক ভাস্কর‌্যটি শুধু একটি শিল্পকর্ম নয়। অগ্নিঝরা একাত্তরের একটি দুঃসাহসিক অধ্যায়ও। নির্ভীক পুলিশ সুপার আবদুল হাকিব, আরআই ছদ্রতুল্লাহ খাঁন চৌধুরী, সুবেদার ফোর্স মমতাজুর রহমান চৌধুরী সহ স্বাধীনতা অর্জনে অকুতোভয় অসংখ্য পুলিশ সদস্যের আত্মদানে রচিত কিংবদন্তীর অম্লান পতিচ্ছবি।

বেগমগঞ্জে বাড়ী ঘরে আগুন দিয়ে নারীসহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে কিশোর গ্যাং 

76 Views

মোঃ বোরহান উদ্দিন রুপক, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম : নোয়াখালী বেগমগঞ্জে  বাড়ির সীমানা বিরোধে প্রতিপক্ষের লোকজন  গভীর রাতে পরিত্যক্ত বসতঘর আগুন লাগিয়ে দেওয়ার এবং প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগীর স্বামী ও মেয়ের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে।মামলার অভিযোগে জানাযায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার এখলাছ পুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুরের খালপাড় এলাকার আবুল কাশেমের বাড়ীর সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুলমন্নানের সাথে বিরোধ চলে আসছে। ২৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৩ টায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী আব্দুল মন্নানের জামাতা বখাটে ও কিশোর গ‍্যাং সদস‍্য আসিফ হাসান তানবির(২৫) এর নেতৃত্বে ১১জন জবর দখলবাজ ভিকটিমের স্বামীর পরিত্যক্ত বসতঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে ।  ভুক্তভোগি আলেয়া ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে পুলিশ এসে ঘটনারস্থল পরিদর্শন করে। ততক্ষণে সমস্ত ঘর পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিকাল ৪ ঘটিকায়  স্হানীয় সোহাগ মেম্বার ও সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ‍্য সংগ্রহ করে চলে আসার একটু পরে অভিযুক্ত ২ নং আসামি লিটন (৩২)ও তার স্ত্রী রনি আক্তার (২৫)মামলার বাদীর  আলেয়ার মেয়ে সুমির উপর অতর্কিত হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।  মুমুর্ষ  অবস্থায় সুমি কে নোয়াখালী ২৫০ শর্ষ‍্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।  আগেই হামলায় আহত ভুক্তভোগী আবুল কাশেম কে প্রাইম হাসপাতালে ভর্তি করে। আহতরা বর্তমানে  চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। ভুক্তভোগী আবুল কাশেমের স্ত্রী আলেয়া বেগম বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় ১১জন কে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে।অভিযুক্তরা হলো,  প্রতিবেশী আব্দুল মন্নানের জামাতা বাবু পুরের আব্দুল আজিজের পুত্র বখাটে কিশোর গ্যাং প্রধান আসিফ হাসান তানবির(২৫) জয়কৃষ্ণ পুরের আব্দুল মন্নানের পুত্রলিটন( ৩২) সাইফুল ইসলাম( ২৫) ইসমাইল হোসেন (৩৩) আব্দুর রবের পুত্র আব্দুলমন্নান( ৪৫) ও তার ভাই আব্দুল করিম(৩৬) মন্নানের পুত্রবধু রনি আক্তার (৩২) মনির হোসেন (২২)তাজুল ইসলাম( ৭০) রোকসানা আক্তার (২৫)। এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ  মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাছান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সুবর্ণচরের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে শ্বশুর বাড়ীতে জামাইকে পিটিয়ে আহত

86 Views

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম : নোয়াখালী সুবর্ণচরে স্ত্রীর পরকিয়ায় বাঁধা দেয়ায় স্বামীকে বেধড়ক মারধর করেছে স্ত্রী, শ্যালকসহ শ্বশুর বাড়ীর লোকজন। আহত রাসেল (২৩) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর লক্ষী গ্রামের মোঃ ইয়াছিনের পুত্র। ঘটনাটি ঘটে ২৯ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সুবর্ণচর উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চর নোমান গ্রামে। আহত রাসেল(২৩) বর্তমানে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধিন আছেন। এ ঘটনায় আহত রাসেলের বাবা বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান। ভুক্তভোগি রাসেল বলেন, ৩ বছর আগে চর নোমান গ্রামের মিরাজ হোসেনের মেয়ে শারমিন আক্তার(১৮) কে বিয়ে করেন বিয়ের কিছুদিন ভালো গেলেও রাসেল কর্মস্থলে থাকার কারনে শারমিন অজ্ঞাত লোকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে, রাসেল বিষয়টি জানতে পারলে শুরু হয় পারিবারিক কলহ। গত ঈদুল আযহার সময় রাসেলের বাড়ী থেকে পালিয়ে যায় শারমিন। গতকাল রাতে রাসেল শ্বশুর বাড়ীতে গেলে পূনরায় পরকিয়ায় সম্পর্কের বিষয়ে সতর্ক করতে গেলে শারমিন ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সকাল বেলা রাসেল শ্বশুর বাড়ী থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে মিরাজের পুত্র আরাফাত(২৮) স্ত্রী শারমিন, শ্বশুড়ী বিপুলী খাতুন(৪৫)সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন রাসেলকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে পরে স্থানীয়রা রাসেলকে উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। রাসেলের বাবা ইয়াছিন জানান, বিয়ের পর থেতে শারমিন কিছুদিন পর পর বাড়ী থেকে চুরি করে চলে যায় আবার আমরা তাকে নিয়ে আসি এ নিয়ে তাদের কলহ চলে আসছে, ছেলের কাছ থেকে শুনেছি শারমিন পরকিয়ায় লিপ্ত থাকার কারনে প্রতিবাদ করায় তাকে মারধর করেছে।প্রত্যক্ষদর্শী সবুজসহ এলাকাবাসী জানান, রাসেলের শ্যালক আরাফাতসহ তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন রাসেলকে মারধর করে আহত করে পরে আমরা তাকে হাসপাতাল ভর্তি করি। অভিযুক্ত শারমিনের বাবা রাসেলের শ্বশুর মোঃ মিরাজ মুঠোফোনে বলেন, আমি বাড়ীতে নেই রাসেল আমার মেয়েকে মারধর করে এতে আমার ছেলে আরাফাত ক্ষিপ্ত হয়ে রাসেলেকে মারধর করে বলে ফোনে আমাকে জানায়। চরজব্বার থানার এসআই উৎপল বলেন, রাসেলের খালাতো ভাই সবুজ আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে আমি চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে চেহলাম আয়োজন করায় চাটখিলে অর্থদন্ড

78 Views

মোঃ সাকিব, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম : নোয়াখালীর চাটখিল সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের মধ্যে বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে মায়ের চেহলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করায় ছেলেকে অর্থদন্ড করেছে ভাম্যমাণ আদালত।বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেঘা এলাকার মেগা পুরাতন পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চাটখিল উপজেলা  নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস. এম আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা। আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চাটখিল থানার পুলিশ।ভাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের মেগা পুরাতন পাটোয়ারী বাড়ির বজজুল রশীদ মৃত মায়ের জন্য সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন ভঙ্গ করে জনসমাগম করে চেহলাম অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আয়োজককে রোগ প্রতিরোধ সংক্রমণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়। একই সাথে জনসমাগম না করে রান্না করা খাবার দাওয়াত পাওয়া সকলের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।

বেগমগঞ্জে অন্তঃসত্তা গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, হত্যা মামলা দায়ের-স্বামী গ্রেফতার

84 Views

মোঃ কামরুজ্জামান, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম : নোয়াখালী বেগমগঞ্জে পুলিশ ৪ মাসের অন্তঃসত্তা এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত গৃহ বধুর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস রুপা(২৫)। বুধবার দিনগত মধ্য রাতে উপজেলার নরোত্তম পুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জসিম উদ্দিনের নতুন বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধুর মা তুহিন আক্তার রুমি বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচজনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ নিহতের স্বামী সালাহ উদ্দিন সোহেল কে বুধবার রাতে আটক করে। মামলা দায়েরর পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাকাগারে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তম পুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা  আবুল হাসেমের ছেলে ও চৌমুহনী বাজারের ব্যবসায়ী সালাহ উদ্দিন সোহেলের সাথে পার্শ্ববর্তী উপজেলা সোনাইমুড়ীর বজরা গ্রামের মো.ওয়াহিদুলের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস রুপার বিয়ে হয়। নিহত রুপার মা ও মামলার বাদী তুহিন আক্তার রুমি অভিযোগ করে বলেন,বিয়ের পর থেকে সোহেল রুপার সাথে ঠিকমত কথা বলতনা। তার মেয়েকে নানা ভাবে মানসিক ও শারীরিক  নির্যাতন করতেন সোহেল ও তার পরিবারের লোকজন। ইতোমধ্যে রুপা ৪মাসের অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েন। পাারিবারিক কলহের জের ধরে বুধবার রাতে সোহেল ও তার পরিবারের  লোকজন রুপাকে  এলোপাতাড়ি মার ধর করে। এক পর্যায়ে সে মারা যায়। মারা যাওয়ার রুপা আত্মহত্যা করেছেন বলে তার বাবার বাড়িতে সংবাদ দেয় সোহেল ও তার পরিবার। সংবাদ পেয়ে তিনি ( রুপার মা) দ্রুত সোহেল দের বাড়িতে এসে রুপাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপ- পুলিশ পরিদর্শক (এস আই) হাবিবুর রহমান পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থল পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে এবং নিহতের স্বামী সোহেলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা এটি হত্যাকান্ড। মামলর তদন্তকারী কর্মমকর্তা বেগমগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এস আই) হাবিবুর রহমান বলেন ৯৯৯ এ কল পেয়ে তিনি ফোর্স নিয়ে রাত ১২ টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ১১ টার দিকে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করি। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার  বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ র মা বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আজ সকালে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রধান আসামী সালাহ উদ্দিন সোহেল কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নোয়াখালী জেলার নান্দনিক পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন এর শেষ কল্যাণ সভা, ১২ জন পুলিশ সদস্যকে পুরষ্কৃত

62 Views

বদিউজ্জামান তুহিন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম :  ২৯ জুলাই সকাল সাড়ে ১০ টায় নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইন্স শহীদ মনিরুল হক হলে অত্র জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন এর সভাপতিত্বে শেষ কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। কল্যান সভায় জেলার সকল ইউনিটের সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। কল্যাণ সভাটি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়। নোয়াখালী জেলার ১২ জন পুলিশ সদস্যকে অপরাধ দমন ও অভিন্ন মানদন্ডের মূল্যায়নের ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন জুন/২০২১ মাসের কল্যাণ সভায় এ পুরস্কার প্রদান করেন। সভায় তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে সার্টিফিকেট অব অ্যাপ্রিসিয়েশন ও অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন। কল্যাণ সভায় জুন/২০২১ মাসে অভিন্ন মানদন্ডের আলোকে রেঞ্জ পুরষ্ককার প্রাপ্ত (রেঞ্জে ১ম স্থান) শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শাহ ইমরান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বেগমগঞ্জ সার্কেল, শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ রেঞ্জ পুরষ্কার প্রাপ্ত (রেঞ্জে ১ম স্থান) মুহাম্মদ কারুজ্জামান সিকদার, পিপিএম, অফিসার ইনচার্জ বেগমগঞ্জ থানা (১ম স্থান), মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, অফিসার ইনচার্জ, চাটখিল থানা (২য় স্থান), মোঃ আবদুল বাতে মৃধা, অফিসার ইনচার্জ, সেনবাগ থানা (৩য় স্থান)। এছাড়া পুলিশ পরিদর্শন পদমর্যদার ১ জন, এসআই পদমর্যদার ৩ জন,এএসআই পদমর্যদার ৩ জন এবং শুদ্ধচারের উপর সিভিল স্টাফ ১ জনসহ সর্বমোট ১২ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। কল্যাণ সভায় স্মৃতিচারনকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) খালেদ ইবনে মালেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল মোঃ আকরামুল হাসান, পুলিশ হাসপাতালের ডাক্তার আব্দুর রহমানসহ বিভিন্ন পদমর্যদার পুলিশ সদস্যগণ পুলিশ সুপার মহোদয়ের বর্নাঢ্য বিগত ২ বছরের মহৎ কর্মকান্ডের স্মৃতিচারন করে বক্তব্য প্রদান করে বলেন, ‘পুলিশ লাইন্সের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অভ্যন্তরীন সংস্কার সৌন্দর্য্য বর্ধন, অনাবাদি ভূমিতে সবজি চাষে সাফল্য দেখানো, জেলার সকল পুলিশ সদস্যদের কল্যানার্থে সুযোগ সুবিধা প্রদান, লাভজনক পুলিশ কো-অপারোটিভ সোসাইটি গঠন, ভাস্কর্য নির্ভীক স্থাপন, থানা/ফাঁড়ি/নারী ব্যারাকের কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিদর্শন পূর্বক যথাসময়ে উদ্বোধন, ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের রচনায় প্রধান অগ্রনী ভূমিকা পালন, জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের লক্ষে পুরো জেলার ইউনিট প্রধানদের ও ডিএসবি’র প্রত্যেকটি অফিসারকে হোয়াটসঅ্যাপ আওতায় এনে সার্বক্ষনিক তদারকি এবং নির্দেশনা প্রদানের মতো গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। করোনাকালীন সময়ে নোয়াখালী জেলায় তিনি নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেছেন একজন মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবে। পুলিশ সদস্যদের কল্যানের পাশাপাশি জেলা দুঃস্থ ও পিড়িত আপামর জনসাধরনের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য সামগ্রী সহ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অকাতরে। তাঁর মহত্বের কথা আজীবন স্বরণ রাখবে নোয়াখালী বাসী। নোয়াখালী জেলায় অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে মনোমুগ্ধকর নির্বাচন উপহারে অগ্রণী ভুমিকা পালনে আইকন হিসাবে কাজ করেছেন। বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সংগঠন, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘ দুই বৎসরের অধিক নোয়াখালী বাসীর সেবায় নিজেকে আত্ম নিয়োগ করেছেন মান্যবর এই পুলিশ সুপার। পুলিশী কর্মকান্ডের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি দারুনভাবে অনুভব করেছেন তিনি। ইতিপূর্বে নোয়াখালীবাসী মুক্তিযুদ্ধে বৃহত্তর নোয়াখালীর চালচিত্র সম্পর্কে ঢালাওভাবে কেউ জানতো না। মানবিক পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন এর তত্তাবধানে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রচিত হওয়া ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের মাধ্যমে নোয়াখালী বাসী মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হবেন। অপরাধ দমন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ চট্টগ্রাম রেঞ্জে একাধিকবার শ্রেষ্ঠ পুলিশ সুপার এবং রেঞ্জের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জেলা হিসেবে নোয়াখালীকে তুলে ধরেছেন। তার জন্যও নোয়াখালী বাসী আপনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞ। আবেগঘন এই কল্যাণসভায় অশ্রুসিক্ত নয়নে পুলিশ সদস্যরা বারংবার রবী ঠাকুরের পুংক্তির আলোকে বলে উঠেন “যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়।”পুলিশ সুপার কল্যাণ সভায় তাঁর সমাপনী বক্তব্যে বলেন, নোয়াখালী জেলায় বিগত ২ বৎসরের অধিকাল সময়ে যে সকল ভাল কাজ সম্পন্ন হয়েছে তার অংশীদার জেলা পুলিশের সকল সদস্য। যে সকল বিষয় বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনায় ছিল কিন্তু বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব হয় নাই সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। পুলিশ লাইন্সের অভ্যন্তরে ভাস্কার্য ‘নির্ভীক’ নির্মাণ পুলিশ সদস্যদের জন্য স্বাধীনতার বার্তা সর্বদা জাগ্রত থাকবে। পাশাপাশি নতুন পুলিশ সদস্যগণ পুলিশ লাইন্সে আসলে তা মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকার বিষয়ে অনুপ্রানিত হবে। তাছাড়া ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থ প্রকাশ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন। এ কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন সংশ্লিষ্ট সকলকে তিনি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে কল্যাণ সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) খালেদ ইবনে মালেক, চাটখিল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এ.এন.এম সাইফুল আলম খান সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে উল্লেখিত অফিসারগণ সহ সিআইডি নোয়াখালীর বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ বশীর আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।