সেনবাগে আ’লীগ সভাপতি জাফর আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ‘আ’লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

247 Views

মোঃ ইউনুস সিকদার বাহার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সেনবাগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে আলহাজ্ব জাফর আহমেদ চৌধুরীর মানিকপুরস্থ বাড়ির সামনে তারই সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সা:সম্পাদক ও সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু জাফর টিপু,পৌর আ’লীগের সভাপতি নুরেজ্জামান চৌধুরী,ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বিএসসি, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি মন্জুর মোরশেদ আলম, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার বিএসসি, কাবিলপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি জিয়াউল হক পাটোয়ারী দুলু, সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঞা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাকারিয়া আল মামুন প্রমূখ।এ সময় উপস্হিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ অন্যতম নেতা এডভোকেট মাহমুদুল হক পাটোয়ারী লেবু,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক খন্দকার জহিরুল আলম, আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক জিএস আবদুল গণি, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি তৈয়ব আলী, ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন ভূঁইয়া, সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া,কেশারপাড় ইউনিয়ন আ’ লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক ভূঁইয়া,সাধারন সম্পাদক বেলাল ভূঞা, সাবেক চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আজাদ, ঢাকাস্থ সেনবাগ কল্যান সমিতির সা: সম্পাদক ও আ’লীগ নেতা মো: আজাদ হোসেন, কাবিলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সা: সম্পাদক মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া লিটন,মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সা:সম্পাদক মনিরুল ইসলাম,পৌর আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুল হক বাবুল, যুব মহিলালীগের আহবায়ক পারভিন আক্তার, জেলা যুবলীগ নেতা মীর হোসেন মিরু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক সফিকুজ্জামান সীমু, আ’লীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ সহ তৃণমূলের সহস্রাধিক নেতা কর্মী।বিক্ষুব্দ নেতারা অনুষ্ঠানে বলেন,বহুদাবিভক্ত আওয়ামীলীগ কে একত্রিত করনসহ স্হানীয় সরকার নির্বাচনে ত্যাগী ও যোগ্যনেতাদের মনোনয়ন দেয়ার দাবী তোলেন। আলোচনা সভাশেষে দোয়া ও কেক কেটে দলের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছেন নেতাকর্মীরা।

আগস্টে দ্বীপ উপজেলা হতিয়া সরাসরি নিরাপদ নৌযোগাযোগে সংযুক্ত হবে স্টিমার সার্ভিসটি

299 Views

নজির আহাম্মেদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বরিশাল-ভোলা-হাতিয়া-চট্টগ্রাম উপকূলীয় নৌপথে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে দুটি যাত্রীবাহী নৌযান সংগ্রহরে পরে আগামী আগষ্টে যাত্রী পরিবহন শুরু হতে যাচ্ছে। ফলে প্রায় ১০ বছর পরে দেশের একমাত্র উপকূলীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিসটি পূণর্বহাল হতে যাচ্ছে। নতুন এ সার্ভিসের মাধ্যমে বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর ছাড়াও বিচ্ছিন্ন জেলর ভোলা এবং দ্বীপ উপজেলা হতিয়া সরাসরি নিরাপদ নৌযোগাযোগে সংযুক্ত হবে।নির্ধারিত সময়ের প্রায় ৪ বছর পরে সম্প্রতি বিআইডব্লিউটসি’র বহরে ‘এমভি তাজউদ্দিন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নামের এ দুটি উপক’লীয় নৌযান যুক্ত হয়েছে। এসব নৌযানের পাশাপাশি ২০০২ সালে চীন থেকে সংগ্রহ করা ‘এমভি বার আউলীয়া’ নামের নৌযানটির পূণর্বাশন কাজও আগামী মাসের মধ্যে শেষ হলে এসব নৌযানের মাধ্যমে সপ্তাহে অন্তত ৩দিন বরিশালÑভোলা-হাতিয়া-চট্টগ্রাম রুটে উপক’লীয় যাত্রীবাহী সার্ভিসটি চালু হবে বলে সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।১৯৬৪ সালে তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তান শিপিং করপোরেশন পশ্চিম জার্মেনী থেকে সংগ্রহ করা ৪টি নৌযানের সাহায্যে বরিশালÑনারায়গঞ্জ ও বরিশালÑহাতিয়া-সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম রুটি উপক’লীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস চালু করে। ঐসব নৌযানের মধ্যে ‘এমভি মনিরুল হক’ ও ‘এমভি আবদুল মতিন’ ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে পূর্ণবাশনও করা হয়। কিন্তু ব্যাপক দূর্নীতি ও অনিয়মের কারনে ঐসব নৌযান খুব বেশীদিন নির্বিঘেœ চলেনি। ফলে ২০১১ সালের মাধ্যভাগ থেকে বরিশালÑচট্টগ্রাম উপকূলীয় সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ২০০২ সালে সংগ্রহ করা ‘এমভি বার আউলীয়া’ নৌযানটির কারিগরি ও যান্ত্রিক ত্রুটি শুরু হয়।পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপক’লীয় নৌযোগাযোগ নির্বিঘœ করার লক্ষে উপক’লীয় নৌপথের জন্য ৭শ ও ৫শ যাত্রী ধারন ক্ষমতায় দুটি উপক’লীয় নৌযান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যায় সাপেক্ষ এ দুটি নৌযান নির্মান প্রকল্প একনেক-এর চুড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। এর প্রায় এক বছর পরে ২০১৫ সালের ২৩ ডিসেম্বর ৭শ যাত্রী বহনক্ষম উপক’লীয় নৌযানটি নির্মানের লক্ষে বিআইডব্লিউটসি’র সাথে ‘থ্রি এ্যাংগেল মেরিন লিমিটেড এন্ড দি কুমিল্লা শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড জেভি’র সাথে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ১৯৭ ফুট দৈর্ঘ ও প্রায় ৪০ ফুট প্রস্থ নৌযানটির নির্র্মান কাজ ২০ মাসে শেষ হবার কথা থাকলেরও তিন দফায় ৪ বছর সময় বাড়িয়ে অতি সম্প্রতি তা হস্তান্তর করা হয়েছে। মূলত ২০ মসের নির্মান কাজ নৌ নির্মান প্রতিষ্ঠানটি শেষ করেছে মাত্র ৬৮ মাসে। গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এমভি তাজ উদ্দিন আহমদ’ নামের এ নৌযানটি আনুষ্ঠনিকভাবে উদ্বোধন করেছেন।১১.৪৮ ফুট মোলডেড ও ৭.৩৮ সর্বোচ্চ লোডেড ড্রাফটের এ নৌযনটিতে ইকনোমি ক্লাসে ৭১২ জন, স্টন্ডার্ড ক্লাসে ১৭২ জন ছাড়াও স্টান্ডার্ড ও বিজনেস ক্লাসে ৮ জন করে ১৬ জন যাত্রী বহন কর যাবে। নৌযানটিতে যাত্রী ও পণ্য মিলিয়ে ধারন ক্ষমতা ১৭৫ টন। বেলজিয়ামের ‘ এবিসি’ ব্রান্ডের ৭৫০ অশ^শক্তির দুটি মূল ইঞ্জিন সমৃদ্ধ এ নৌযানটি ঘন্টায় ১০ নটিক্যাল মাইল বা ১৮.৫২ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম।অপরদিকে চট্টগ্রামের ‘এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেড’ এর সাথে ৫শ যাত্রী বহক্ষম একটি উপক’লীয় নৌযান নির্মানের লক্ষে ২০১৫-এর ডিসেম্বরে চুক্তি স্বাক্ষরের পরে ২০ মাসে সরবারহের কথা থাকলেও ৪ দফায় আরো ৪৮ মাস সময় বাড়িয়ে সম্প্রতি নির্র্মান কাজ সম্পন্নের পরে তা হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ৫মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা নৌযানটি উদ্বোধনের পরে অতি সম্প্রতি কুমিড়া-গুপ্তচড়া রুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে।১৬৪ ফুট দৈর্ঘ ও প্রায় ৩৫ ফুট প্রস্থ এ নৌযানটিতেও বেলজিয়ামের এবিসি ব্রান্ডের সাড়ে ৪শ অশ^ শক্তির দুটি মূল ইঞ্জিন ছাড়াও ৩টি জেনারেটর রয়েছে। ৫শ যাত্রীবহনক্ষন এনৌযানটিও পূর্ণ লোড নিয়ে ঘন্টায় ১০ নটিক্যাল মাইল বা ১৮.৫২ কিলোমিটার বেগে চলতে সক্ষম। যাত্রী ও পণ্য মিলিলেয় নৌযানটি ১২৫ টন বহন ক্ষমতা রয়েছে।তবে চুক্তি অনুযায়ী ২০ মাসে সরবারহের কথা থাকলেও কি কারনে ৪ দফায় ৪৮ মাস সময় বাড়িয়ে এসব নৌযান সরবারহ করা হল, সে প্রসঙ্গে সংস্থাটির সংশ্লিষ্ট মহল সহ নির্মান প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নানা ধরনের অজুহাত তুলে ধরা হয়েছে। তবে প্রকল্প মেয়াদ বাড়লেও ব্যায় বাড়েনি বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টগন।

হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ ম্যানেজিং কমিটি নদী ভাংঙ্গন রোধে দ্বীপ বন্ধুর হাতে ২ লাখ ৪০ হাজার ৫শ টাকার অনুদান

555 Views

ন্যাশনাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ এর পক্ষ থেকে হাতিয়া নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর প্রধান উপদেষ্টা হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক ৩ বারের জাতীয় সংসদ সদস্য জননেতা দ্বীপবন্ধু আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী, সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দীন মুহিন এর হাতে নদী ভাংঙ্গন রোধে চলমান কাজের জন্য নগদ ২,৪০,৫০০(দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার পাঁচ শত ) টাকা অনুদান প্রদান করেন, অনুদান হস্তান্তর করেন হাতিয়া ডিগ্রি কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট শরিফ, অত্র কলেজের প্রিন্সিপাল শরফুউদ্দিন, ভাইস প্রিন্সিপাল সামিউল হক সহ অনন্য শিক্ষক সমূহ। উক্ত প্রতিষ্ঠানের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।

ভূয়া অনলাইন টিভির মালিক হয়ে দেশ বাসিকে হয়রানির প্রতিকার দাবী

593 Views

শামীমুল হক, যুগ্মসম্পাদক দৈনিক মানবজমিন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: আমিও টিভি’র মালিক। আমি নিজেই সাংবাদিক। সম্পাদক। নিজেই মাঠ চষে বেড়াই। আমি আবার সাংবাদিক নিয়োগও দেই। যারা আমাকে টাকা এনে দিতে পারবে তাদেরই আমি সাংবাদিক কার্ড দেই। এভাবে উপজেলাজুড়ে সাংবাদিকের জন্ম দেই আমি। যারা আমার কার্ড নিয়ে ছুটে যায় মাঠে- ময়দানে। মক্কেল ধরে কাবু করে টাকা নিয়ে আসে। আমার সাংবাদিকরা নিজেরাই বুম কিনে আনে। নিজেরাই প্রাইভেটকার নিয়ে ছুটে চলে উপজেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। আমার নিজের টিভি থাকায় প্রশাসনের কর্তারাও আমাকে সমিহ করেন। সম্মান করেন। ইউএনও, ওসি ওরা আমার বন্ধু। কি মজা। আমাকে দেখে সাধারণ মানুষ ভয় পায়। আর আমার টিভিতে ওইসব রিপোর্টই দেখানো হয় যেখান থেকে মাল পাওয়া গেছে। মানে টাকা পাওয়া গেছে। অনলাইন টিভি’র মালিকারা এভাবেই বুক ফুলিয়ে নিজেদের পরিচয় দেন। দেশের প্রতিটি উপজেলা, ইউনিয়ন এমনকি গ্রাম থেকেও এখন অনলাইন টিভি প্রচার হচ্ছে। আবার ফেসবুকে বিজ্ঞাপনও দেখা যায় মাত্র ৯শ’ টাকা হলেই আপনি হতে পারেন অনলাইন টিভি’র মালিক। ক’দিন ধরে ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার অনলাইন টিভি’র তালিকা। যেখানে ২৫টি টিভি’র নাম দেয়া হয়েছে। আশ্চর্য! যেখানে মানুষ এখন ঘরে রাখা টিভি দেখারই সময় পায়না। সেখানে অনলাইন টিভি দেখার সময় কোথায়? তারপরও নবীনগরে ২৫টি টিভি চলছে। এসব টিভি’র নাম ভাঙিয়ে উপজেলাজুড়ে কথিত সাংবাদিকরা ছুটছে। তাদের কর্ম সেরে আবার ফিরছে। গলায় কার্ড ঝুলিয়ে চলছে। মানুষকে জানান দিচ্ছে তিনি কত বড় সাংবাদিক। একনজরে নবীনগরের সেই তালিকায় একটু দেখে আসি অনলাইন টিভি’র নামগুলোÑ নবীনগর টিভি, নবীনগর ২৪ টিভি, নবীনগর নিউজ টিভি, নবীনগর নিউজ, নবীনগর তিতাস টিভি, নবীনগর প্রাইম টিভি, নবীনগর বয়েস টিভি, চ্যানেল নবীনগর, আই নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিদিন টিভি, গ্রাম বাংলা টিভি, নবীনগরের আলো, জাগো নবীনগর টিভি, টাইম বাংলা টিভি, তিতাস নিউজ, এনআর টিভি, নবীনগর ৭১ টিভি, নূরনগর টিভি, ইউপিসি টিভি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৪ টিভি, আই টিভি, সি টিভি, মলয়া টিভি, টিভি ওয়ান, আয়েশা টিভি ও এএম টিভি। দেশের প্রথম সারির একটি পত্রিকার নবীনগর প্রতিনিধির বক্তব্য হলো- এইসব টিভি’র বেশির ভাগ লোকজন নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত। নিরীহ মানুষকে এরা হয়রানি করছে। চাঁদাবাজি করে গ্রামের মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলছে। এদের হাত থেকে আমাদের বাঁচান। এই যদি হয়, দেশের একটি উপজেলার চিত্র তাহলে সারা দেশের চিত্র কিÑ তা অনুমান করা যায়। আর এমন অনলাইন টিভি’র কথিত সাংবাদিকই হয়তো সারা দেশে রয়েছে কয়েক লাখ। যারা অপসাংবাদিকতায় লিপ্ত। আসল কথা হলো- অনলাইন টিভি চালানোর কোনো বৈধতা নেই দেশে। যা চলছে সবই অবৈধ। আর এসব দেখার কেউ নেই। ফলে ওরা বুক ফুলিয়ে চলছে। এতো গেল একটি উপজেলার কথা। এবার আশা যাক রাজধানী ঢাকায়। বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রত্রিকার সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন সম্প্রতি ফেসবুকে এক লেখায় উত্তরার ভুয়া সাংবাদিকের নানা তথ্য তুলে ধরেছেন। তার লেখা পড়ে চোখ চড়কগাছ। খোদ রাজধানীতে যদি এমন হয়, তাহলে মানুষ যাবে কোথায়? সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমনের লেখা থেকে অংশ বিশেষ তুলে ধরা হলো- উত্তরায় একশ্রেণির সাংবাদিক দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। বিমানবন্দর থেকে উত্তরা পর্যন্ত পা ফেললে তাণ্ডব সৃষ্টিকারী কথিত সাংবাদিকদের অভাব তো দেখি না। ভুয়া সাংবাদিক, ফেসবুক সাংবাদিক, সোর্স সাংবাদিক, দলবাজ সাংবাদিক, টোয়েন্টিফোর ডটকম মার্কার সাংবাদিক-সম্পাদক, আইপি টিভি, ফেসবুক লাইভ সাংবাদিক-আরো কত শত পদ-পদবির সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যে উত্তরাবাসীর জীবন অতিষ্ঠ। কোথাও দু’লাইন না লিখেও শুধু আইডি কার্ড কিনেই রাতারাতি সাংবাদিক বনেছেন কেউ কেউ। সরাসরি বারবণিতা থেকে সাংবাদিক সেজেছেন আবার কেউবা বারবণিতা কাম সাংবাদিক হয়ে জীবন সংসার চালাওপচ্ছেন। ভুয়াবাজির মাধ্যমে সাংবাদিক পরিচয়ে জীবিকা নির্বাহের পরও কী পেশাটির প্রতি এতটুকু মমত্ব জাগে না? সচেতন মানুষজন মাঝে-মধ্যেই বিনয়ের সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন- র‌্যাব’র হাতে ভুয়া র‌্যাব ধরা পড়ে, ডিবি’র হাত থেকে ভুয়া ডিবি’র গ্রুপও নিস্তার পায় না। কিন্তু ভুয়া সাংবাদিক, সোর্স সাংবাদিক, প্রতারক সাংবাদিক দমনে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দায়িত্বটা কি? উত্তরাজুড়ে ডজন ডজন প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাবসহ নানা নামের সাংবাদিক সংগঠন গজিয়ে উঠেছে। খোদ উত্তরা থেকেই বেশ কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়, আছে আইপি টিভি চ্যানেলও। সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন জানালেন, শুধু উত্তরাতেই ১৯টি প্রেসক্লাব রয়েছে। তার এ কথা শুনে ‘থ’ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। রিমন তার লেখায় কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেছেন। পেশাদার সাংবাদিকদের প্রতি তার এসব প্রশ্ন অমূলক নয় বলেই মনে করছি। পাশাপাশি এ ব্যাপারে পেশাদার সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি রাখছি।

মাইজদী শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে ম্যানেজার উধাও ১৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি ৭২ কর্মচারীর মানবেতর জীবন-যাপন

495 Views

নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: মাইজদী শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে ম্যানেজার উধাও ১৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি ৭২ কর্মচারীর মানবেতর জীবন-যাপন। নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদী থেকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা বলে ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন বলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ আবদুল করিম (৫০) দাবী করেছেন। পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির নাম ওসমান গনি মঞ্জু। গত ১৫ জুন সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  মঞ্জু নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রফিকপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। রোববার দুপুরে জেলা শহর মাইজদীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী মোঃ আবদুল করিম এ অভিযোগ করেন। গত ১৪ দিনেও তার সন্ধান মেলেনি। এঘটনায় গত ১৬ জুন ওই ব্যবসায়ী বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। লিখিত বক্তব্যে আবদুল করিম বলেন , তিনি একজন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ও ব্যবসায়ী। মাইজদী শহরে তাঁর কলকাতা বাজার ও টার্গেট নামের দুটি পোশাক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৭২ জন কর্মচারীর ম্যানেজার হিসেবে ওসমান গনি মঞ্জু কে নোয়াখালী পৌর শহর আওয়ামীলীগ নেতা সুমনের জিম্মায় তিনি নিয়োগ দেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোর দৈনন্দিন বিক্রির টাকা ও  ভারত, থাইল্যান্ড এবং চীন থেকে এলসির মাধ্যমে পোশাক ও কাপড় কেনার টাকা পয়সার লেনদেন মঞ্জুর মাধ্যমে করা হয়। সে প্রায় ৮ বছর যাবৎ তার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছেন। গত ১৫ জুন সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ওসমান গনি মঞ্জু কে সোনালী ব্যাংক নোয়াখালী শাখায় ৩৮ লাখ টাকা জমা দেয়ার জন্য পাঠানো হয়। মঞ্জু কৌশলে ওই টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে টাকার ব্যাগ নিয়ে শ্বশুর বাড়ী মধুসূধনপুর গিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও দোকানের টাকার ভোল্ডের রুমে চাবি আর স্ত্রীর কাছে রেখে অজ্ঞাত স্থানে  পালিয়ে যায়। আবদুল করিম বলেন সে দোকান থেকে যে টাকা নিয়ে পালিয়েছে তার প্রমাণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত আছে। এঘটনায় মোঃ আবদুল করিম ১৫ জুন ওসমান গনি মঞ্জুর বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাতের একটি অপরাধ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২৮। পালিয়ে যাওয়ার ব্যক্তির সন্ধান দাতা কে ২ লাখ টাকা পুরুষ্কার প্রদানের ও ঘোষনা দেন ভিক্টিম। দোকান ম্যানেজার বাবলু জানান, অভিযুক্ত মঞ্জু একদিন আগে ৩৫ লাখ টাকা ব্যাগে ঢুকালে কত টুক হবে একটি মহড়া দিয়েছিল, যা সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড রয়েছে। করোনা কালে মালিকের বেচা-বিক্রি না হওয়ায় ৭২ জন কর্মচারীর টাকা আত্মসাৎ করায় তারা বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার ওসি মোঃ শাহেদ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী আবদুল করিম বাদী হয়ে মামলা করলে এসআই সুধন বাবুকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে মামলাটি ট্রাকিং এর মাধ্যমে তদন্ত করছে। খুব শীঘ্রই পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তিনি দাবী করেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ১৪ দিনেও মাইজদী শহরের ব্যবসায়ী আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধার ও আসামীকে গ্রেফতার করা যায়নি।

দেশের ৬৮ কারাগার এখন সংশোধনাগার নিশ্চিত হয়েছে : ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামু

139 Views

মোজাম্মেল হোসেন কামাল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ভালো পরিবেশ ও খাবার সংশোধনাগারে পরিণত হয়েছে দেশের ৬৮ কারাগার। বাস্তব রূপ পেয়েছে ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’ মূলমন্ত্র। নিশ্চিত করা হয়েছে ভালো পরিবেশ ও উন্নতমানের খাবার। দ্রুত এগিয়ে চলছে কারাগারগুলোকে আধুনিকায়নের কাজ। আধুনিকায়ন শেষ হলে সুফল ভোগ করবেন বন্দি, তাদের স্বজন, কারা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কারাগার সম্পর্কে মানুষের ভ্রান্ত ধারণা পাল্টে গেছে। সোমবার দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মহোদয়ের নির্দেশনায় কারাগারগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। দক্ষ জনবল তৈরী করার জন্য চালু রয়েছে বিভিন্ন প্রকল্প। বন্দিরা কারাগার থেকে বিভিন্ন ধরণের কাজ শিখে বাড়ি ফিরে সাবলম্বী হচ্ছেন। সূত্র মতে, কারাগারগুলোয় বাড়ানো হয়েছে নানান সুযোগ-সুবিধা। দেওয়া হচ্ছে সুস্বাদু এবং উন্নতমানের খাবার। মহিলা বন্দি ও তাদের সন্তানদের জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সেবার মান অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। স্বাচ্ছন্দে দিন কাটাচ্ছেন প্রায় ৮০ হাজার বন্দি। ভালো খাবার ও সুযোগ-সুবিধা এবং পর্যাপ্ত বিনোদনের সুযোগ পেয়ে বন্দিরা খুবই খুশি। নিয়ম মেনে নিজেদের মধ্যে মেলামেশা, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ পাচ্ছেন আটক বন্দিরা। সম্প্রতি কয়েকটি কারাগার থেকে মুক্ত বন্দি ও তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। অন্যদিকে আইজি প্রিজন্স-এর নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন এ্যাডিশনাল আইজি প্রিজন্স, ৮ রেঞ্জের ডিআইজি প্রিজন্স, ১৩টি কেন্দ্রীয় এবং ৫৫টি জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, জেলার ও ডেপুটি জেলাররা। আইজি প্রিজন্স বলেন, কারাগার আধুনিক সভ্যতায় বন্দিদের সংশোধন ও সুপ্রশিক্ষিত করে সভ্য সমাজের মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার একটি প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন কারণে মানুষ অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়তেই পারেন। আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি তাকে সংশোধন করে গড়ে তোলার দায়িত্ব কারা অধিদপ্তরের। তিনি বলেন, ‘রাখিব নিরাপদ, দেখাব আলোর পথ’ মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে কারাগারসমূহে আসা বিপথগামীদের সঠিক পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে তাদের কৃত কর্মকাণ্ডের ভুল বুঝতে সহায়তা করা, সংশোধন করা ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে সমাজে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, কারা বিভাগ একটি সুপ্রাচীন প্রতিষ্ঠান। ১৭৮৮ সালে তৎকালীন শাসকদের দ্বারা একটি ক্রিমিনাল ওয়ার্ড নির্মাণের মাধ্যমে ঢাকা কারাগারের তথা কারা বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। ১৮১৮ সালে রাজবন্দিদের আটকের জন্য বেঙ্গল বিধি জারি করা হয়। ১৮৩৬ সালে জেলা ও তৎকালীন মহকুমা সদর ঢাকা, রাজশাহী, যশোর ও কুমিল্লায় কারাগার নির্মাণ করা হয়। তিনি বলেন, ১৯২৯ সালে ঢাকা ও রাজশাহী কারাগারকে কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন দেশে বাংলাদেশ জেল বা বি.ডি.জে. এর যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে দেশে ১৩টি কেন্দ্রীয় কারাগার ও ৫৫টি জেলা কারাগার রয়েছে। জানা যায়, দেশের ৬৮টি কারাগারে বন্দিদের মাঝে বর্তমানে সুস্বাদু এবং উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। যেকোনো সময়ের তুলনায় পরিমাণে বেশি এবং খাবারের মান অনেক ভালো। এর মধ্যে সকালে সপ্তাহে ২ দিন চাল ও বিভিন্ন রকমের ডালের খিঁচুড়ি, ১ দিন রুটির সাথে হালুয়া ও ৪ দিন রুটির সাথে সবজি, দুপুরে ভাত, সবজি ও ডাল এবং বিকালে ভাত ও ডালের সাথে সপ্তাহে ১ দিন গরুর মাংস, ১ দিন ডিম ও ৫ দিন বিভিন্ন রকমের মাছ দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বন্দিদের মাঝে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়া হাজতী ঢাকা মহানগরী মগবাজারের শফিকুল ইসলাম, মধ্য বাড্ডার সোহেল রানা, দক্ষিণখানের শফিকুল ইসলাম, নাখালপাড়ার হযরত আলী, কলাবাগানের আনোয়ার হোসেন, মোহাম্মদপুরের আজগর আলীসহ অর্ধশত ব্যক্তি দৈনিক জাগ্রত বাংলা’কে এমন তথ্যই জানিয়েছেন। তারা জানান, নানান সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি আটক বন্দিরা এখন স্বজন ও আইনজীবীদের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারেন। কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে সাবলম্বী হওয়ার জন্য বন্দিদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হয়। মুজিব শতবর্ষসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে কারা সদর দপ্তর ও বিভিন্ন কারাগারে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বন্দিদের জন্য কারাগারগুলোয় বিভিন্ন ধরণের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। সূত্র মতে, কারাগারগুলোয় বন্দিদের নিরাপদ আটক নিশ্চিত করা, কারাগারের কঠোর নিরপত্তা ও বন্দিদের মাঝে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, বন্দিদের সাথে মানবিক আচরণ করা, বাসস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা, স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও আইনজীবীদের সাথে সাক্ষাত নিশ্চিত করা এবং সুনাগরিক হিসেবে সমাজে পুনর্বাসন করার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। সূত্র জানায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন ১৯৬৫ সালের ১ জানুয়ারি ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি মেডিকেল কোর-এ যোগদান করেন। দীর্ঘ চাকরি জীবনে দক্ষতা এবং নিষ্ঠার সাথে সেনাবাহিনী সদর দপ্তর, নৌবাহিনী সদর দপ্তর, বিডিআর সদর দপ্তর, সিএমএইচ ঢাকা ও ডিভিশন সদর দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ফিল্ড ইউনিট কমান্ড এবং ‘আর্মি মেডিকেল কোর ট্রেনিং সেন্টার’ এর প্রধান প্রশিক্ষক ও কমান্ড্যান্টের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। ০৭-০৪-২০১৯ তারিখ থেকে কারা অধিদপ্তরে যোগদানের পূর্ব পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ০৬-১০-২০২০ তারিখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে কারা মহাপরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ‘এমপিএইচ’ ডিগ্রী এবং ২০১৪ সালে বিইউপি (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস) থেকে ‘এমফিল’ ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়া তিনি জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে কুয়েতে ওকেপি-৫ এ নিয়োজিত ছিলেন। দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত সফরে চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া এবং কোর্সে তুর্কি গমন করেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোমিনুর রহমান মামুন ০৮-১০-২০২০ তারিখ থেকে আইজি প্রিজন্স-এর দায়িত্ব পালন করছেন।

২০৯৪ সালে পিন্টু ও মন্জুকে নিয়ে রাজ পথে ছিলাম, এখন একটি পক্ষ আমার শরীরে করোনা ঢুকাতে চায়-এমপি একরাম

477 Views

নোয়াখালী প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২৩ জুন) বিকালে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী।প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ২০৯৪ সালে পিন্টু ও মন্জুকে নিয়ে রাজ পথে ছিলাম একটা পক্ষ অপেক্ষায় আছে কখন আমার নিঃশ্বাস যায়, আরেকটা পক্ষ আমার শরীরে করোনা ঢুকাতে চায়। নোয়াখালীতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভাল না। প্রতিদিন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।জেলা আওয়ামী লীগ শক্তিশালী উল্লেখ করে একরামুল করিম বলেন, বাহির থেকে অনেকে জেলা আওয়ামী লীগকে ভাঙ্গার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমি ১২ বছর ধরে এই এলাকার সাংসদ। অতীতের আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান আওয়ামী লীগ অনেক শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত। এটা আমাদের দল, এটাকে আমরাই খুটির মতো শক্তিশালী করবো।তিনি আরও বলেন, ‘জয়বাংলা’ শ্লোগান আমাদের কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে। এই শ্লোগান আমাদের ৭১ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিয়েছে স্বাধীন দেশ আর বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা দিচ্ছে উন্নয়নের বাংলাদেশ।সভার শেষে মিলাদ মাহফিলে মোনাজাত দেন জেলা জামে মসজিদ এর ইমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসেন।

জীবন সম্পর্কে বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ উক্তি

328 Views

বিনোদন রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বাংলা সাহিত্যের জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ আমাদের মাঝে নে’ই আনেকদিন পার হয়ে গেল । কিন্তু আমাদের জন্য তিনি রে’খে গেছেন জীবনের অনেক দ’র্শন।১৯৭২ সালে প্র’কাশিত প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ দিয়েই হুমায়ূন আহমেদ কথাসাহিত্যে পালাবদলের তাৎপর্যপূর্ণ ই’ঙ্গিত দিয়েছিলেন।

একের পর জনপ্রিয় উপন্যাস রচনা করে গেছেন। তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে জনপ্রিয় হয়ে যাওয়া উক্তিগুলো পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধ’রা হলো :

০১-জীবনে কখনো কাউকে বিশ্বা’স ক’রতে যেও নাও কারণ, যাকেই তুমি বিশ্বা’স করবে সেই তোমাকে ঠকাবে।

০২-ভালোবাসা একটা পাখি। যখন খাঁচায় থাকে তখন মানুষ তাকে মু’ক্ত করে দিতে চায়। আর যখন খোলা আকাশে তাকে ডানা ঝাপটাতে দেখে তখন খাঁচায় বন্দী ক’রতে চায়।

০৩-সঠিক সিদ্ধা’ন্তের ক্ষ’মতা আছে শুধুই আল্লাহপাকের। মানুষকে মাঝে মাঝে ভুল সিদ্ধা’ন্ত নিয়ে প্রমাণ ক’রতে হয় যে সে মানুষ।

০৪-দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না।

০৫-মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই পৃথিবীর আ’সল রূপ দে’খতে পায়।

০৬-কান্নার স’ঙ্গে তো সমুদ্রের খুব মিল আছে। সমুদ্রের জল নোনা। চোখের জল নোনা। সমুদ্রে ঢেউ ওঠে। কান্নাও আসে ঢেউয়ের মতো। যু’দ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু প’রিকল্পনা মতো হয় না।

০৭-যে জিনিস চোখের সামনে থাকে তাকে আম’রা ভুলে যাই। যে ভালোবাসা সব সময় আমাদের ঘিরে রাখে। তার কথা আমাদের মনে থাকে না…. মনে থাকে হ’ঠাৎ আসা ভালোবাসার কথা।

০৮-কল্পনা শ’ক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে। যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।

০৯-পৃথিবীর সব মেয়েদের ভেতর অলৌকিক একটা ক্ষ’মতা থাকে। কোনও পুরুষ তার প্রেমে পড়লে মেয়ে স’ঙ্গে স’ঙ্গে তা বুঝতে পারে। এই ক্ষ’মতা পুরুষদের নেই।তাদের কানের কাছে মুখ নিয়ে কোনও মেয়ে যদি বলে- ‘শোন আমা’র প্র’চণ্ড কষ্ট হচ্ছে। আমি মরে যাচ্ছি। ’ তারপরেও পুরুষ মানুষ বোঝে না। সে ভাবে মেয়েটা বোধ হয় এপেন্ডিসাইটিসের ব্যাথায় মরে যাচ্ছে!’  ১০-মানব জাতির স্বভাব হচ্ছে সে সত্যের চেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নি’রাপদ মনে করে..

১১- পৃথিবীতে সব নারীদের ডাক উপেক্ষা করা যায়, কিন্তু ‘মা’ এর ডাক উপেক্ষা করার ক্ষ’মতা প্রকৃতি আমাদের দেয়নি।

১২যে নারীকে ঘুমন্ত অব’স্থায় সুন্দর দেখায় সেই প্রকৃত রূপবতী।

১৩-যা পাওয়া যায়নি, তার প্রতি আমাদের আগ্রহের সীমা থাকে না। মেঘ আম’রা স্প’র্শ ক’রতে পারি না বলেই মেঘের প্রতি আমাদের মমতার সীমা নেই।

১৪-মানুষের কষ্ট দেখাও কষ্টের কাজ

১৫-মেয়েদের আ’সল পরীক্ষা হচ্ছে সংসার, ঐ পরীক্ষায় পাশ ক’রতে পারলে সব পাশ!

১৬-তুমি যখন ভালো ক’রতে থাকবে, মানুষ তোমাকে হিংসা ক’রতে শুরু করবে। না চাইলেও তোমা’র শত্রু জ’ন্মাবে।

১৭-গাধা এক ধ’রনের আদরের ডাক। অপরিচিত বা অর্ধ-পরিচিতদের গাধা বলা যাবে না। বললে মেরে তক্তা বানিয়ে দেবে। প্রিয় ব’ন্ধুদেরই গাধা বলা যায়। এতে প্রিয় ব’ন্ধুরা রাগ করে না বরং খুশি হয়।

১৮-মিথ্যা বলা মানে আত্মা’র ক্ষয়। জ’ন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মা’র ক্ষয় হতে থাকে। বৃ’দ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মা’র পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে।

১৯-কাজল ছাড়া মেয়ে দুধ ছাড়া চায়ের মতো।

 

কবিরহাটে ২ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ও ১শ পিস ইয়াবাসহ ২মাদক কারবারী জেলহাজতে

147 Views

মাইজদীকোর্ট (নোয়াখালী) প্রতিনিদি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেনের দিকনির্দেশনায় কবিরহাট থানা পুলিশের অভিযানে ২ সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ও ১শ পিস ইয়াবা সহ ২ মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে।মঙ্গলবার দিবাগত রাত ও বুধবার দুপুর পর্যন্ত কবিরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।কবিরহাট থানা সূত্রে জানা যায়, এসআই ফাত্তার মিয়ার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আসামি দিদার হোসেন মারুফ (২৫), পিতা আঃ রাজ্জাক ও সিরাজুল হক শিবলু (২৮), পিতা- মৃত মজিবুল হক, উভয় সাং- চরকাকরা, থানা- কোম্পানীগঞ্জ, জেলা- নোয়াখালীদেরকে গ্রেফতার করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য সংক্রান্তে আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।এছাড়াও কবিরহাট থানার এএসআই আলী আহাম্মদের সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে সিআর-১১৫/১৯ সংক্রান্তে ০১বছর কারাদণ্ড ও ৬,৯০,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত এবং সিআর- ১১৬/১৯ সংক্রান্তে ০১ বছর কারাদন্ড ও ১৯,০০,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি আঃ আলী, পিতা- নুরুল হক, সাং- ঘোষবাগ, থানা- কবিরহাট, নোয়াখালীকে গ্রেফতার করা হয়।এবং এএসআই কামাল হোসেনের সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় জিআর- ১৩৪/১৪ সংক্রান্তে ০৩ বছরের কারাদণ্ড ও ৫,০০০/- টাকা অর্থদন্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি শহিদুল্লাহ প্রঃ সোহাগ, পিতা – মৃত সুজা মিয়া, সাং- চরগুল্যাখালী, থানা- কবিরহাট, নোয়াখালীকে গ্রেফতার করা হয়।কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) টমাস বড়ুয়া আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক নোয়াখালী সময় কে জানান, আটককৃত আসামীদেরকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: বিজিবি ডিজি

162 Views

নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, নারী-শিশু পাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।নারী পাচারে কারো কোনো সুপারিশ বিজিবি পাত্তা দেয় না। নারী ও শিশু পাচারে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় রাজধানীর গুলশানে ‘সীমান্ত ব্যাংক’ এর ১৯তম শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, সাতক্ষীরায় নারী পাচারের অভিযোগে একজন নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়। ওই নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলকে ধরতে আমরা প্রতিদিনই তার বাসায় হানা দিই কিন্তু তিনি বাসায় নেই। এ বিষয়ে পুলিশকেও জানিয়েছি। পুলিশ-বিজিবি একই মন্ত্রণালয়ের কাজ করে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষাসহ সীমান্তেও আমরা কাজ করছি।তিনি বলেন, নারী পাচার রোধে মিডিয়ার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। নারী পাচার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। কেউ যেন প্রলোভনে পড়ে নারী পাচারের শিকার না হয় সেদিকে সমাজের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। মিডিয়া ও জনগণের সহযোগিতা ছাড়া বিজিবি একার পক্ষে পাচার রোধ করা সম্ভব না।বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, গত এক মাসে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত, সাতক্ষীরা সীমান্ত ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে ৩০০ জনকে অবৈধ পারপারের অপরাধে ধরা হয়েছে এবং তাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন শেষে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এছাড়াও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে রোহিঙ্গারা আসছে। গতকাল রাতেও তিনজন রোহিঙ্গা নৌকায় করে এসেছিল। পরে তাদের আবার রাতেই মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।