মাহমুদ খাঁনঃ ফ্রি ফায়ার ও পাবজির মতো জনপ্রিয় দুই গেম বন্ধ হচ্ছে বাংলাদেশে। এর আগে পাবজি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হলেও পরে আবার চালু করা হয়।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সুপারিশ করা হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও আলোচনা হয়।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই দুটি গেম কিশোর-কিশোরী ও তরুণদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করেছে।হঠাৎ করে বন্ধ করতে গেলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। তাই ধীরে সুস্থে বিকল্প পদ্ধতিতে গেম দুটি বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে। যারা এ ধরনের গেমে আসক্ত তারা ভিপিএনসহ নানা বিকল্প উপায়ে গেমটি খেলতে পারবেন।আমরা সেসবও বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করবো। গেরিনা ফ্রি ফায়ার (ফ্রি ফায়ার ব্যাটলগ্রাউন্ডস বা ফ্রি ফায়ার নামেও পরিচিত) একটি ব্যাটল রয়্যাল গেম। ২০১৯ সালে এটি বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ডাউনলোড করা মোবাইল গেম হয়ে উঠেছে।জনপ্রিয়তার কারণে, গেমটি ২০১৯ সালে গুগল প্লে স্টোর দ্বারা ‘সেরা জনপ্রিয় ভোট গেম’ এর জন্য পুরস্কার পেয়েছিল। ২০২০ সালের মে পর্যন্ত ফ্রি ফায়ার বিশ্বব্যাপী দৈনিক ৮০ মিলিয়নেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারীদের সঙ্গে একটি রেকর্ড তৈরি করে।গেরিনা বর্তমানে ফ্রি ফায়ারের উন্নত সংস্করণে কাজ করছেন যা ফ্রি ফায়ার ম্যাক্স নামে পরিচিত। গেমটি অন্য খেলোয়াড়কে হত্যা করার জন্য অস্ত্র এবং সরঞ্জামের সন্ধানে একটি দ্বীপে প্যারাসুট থেকে পড়ে আসা ৫০ জন ও তার অধিক খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করে।অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে বন্দুক দিয়ে মসজিদে মুসলমানদের হত্যা এবং সেই দৃশ্য ফেসবুক লাইভের বিষয়টি অনেকেই পাবজির সঙ্গে তুলনা করেন। সম্প্রতি নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করে দেশটির আদালত।একই কারণে ভারতের গুজরাটেও এ গেম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। অনলাইন গেম ‘প্লেয়ার আননোনস ব্যাটলগ্রাউন্ডস’ (পাবজি)।সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব ও শিক্ষার্থী- কিশোর-কিশোরীদের সহিংস করে তুলছে এমন আশঙ্কা থেকেই গেমটি বন্ধ করা উচিত বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। পাবজি গেমটির মোবাইল ভার্সনে একসঙ্গে অনেকজন মিলে অবতরণ হন এক যুদ্ধক্ষেত্রে।যতক্ষণ না পর্যন্ত একজন সিঙ্গেল সেনা বেঁচে থাকছেন যুদ্ধে ততক্ষণ খেলে যেতে হয়। ২০১৮ সালে অ্যাঙ্গরি বার্ড, টেম্পল রান, ক্যান্ডি ক্রাশের মতো গেমগুলোকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন গেমের তালিকায় শীর্ষে জায়গা করে নেয় পাবজি।এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ দৈনিক নোয়াখালী সময় কে বলেন, বর্তমানে দেশে জনপ্রিয় তরুণ প্রজন্মের মাঝে ফ্রি ফায়ার ও পাবজি। দক্ষিণ কোরিয়ার গেম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান ব্লু হোয়েল এর অনলাইন ভিডিও ২০১৭ সালে চালু হয়।এরপর থেকে এই গেমটি দ্রুত বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অন্যদিকে চায়না প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে তৈরি করা যুদ্ধ গেম ফ্রি ফায়ার একইভাবে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।কিন্তু এই গেম দুটির ব্যবহারের ফলে দিনে দিনে এর অপব্যবহার এর মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে এর ফলে তরুণ প্রজন্ম যাকে কিশোর গ্যাং বলা হয়। এরা চরমভাবে বিপথগামী হয়ে উঠেছে।তিনি বলেন, বিশেষ করে করোনা মহামারির ফলে স্কুল, কলেজ, ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার ফলে অন্যদিকে অনলাইনভিত্তিক ক্লাস হওয়ার ফলে অভিভাবকরা তার সন্তানদের হাতে সহসাই ল্যাপটপ, মোবাইল ডিভাইস তুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে।এ সুযোগের বেশির ভাগ অপব্যবহার ঘটছে। এমনকি তরুণ প্রজন্ম এই গেম দুটির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তাই এই গেম দুটি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।তিনি বলেন, গত ২১শে মে চাঁদপুরে মামুন (১৪) নামে এক তরুণ মোবাইলের ডাটা কেনার টাকা না পেয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করে।আমরা যখন আগামীর তরুণ প্রজন্মকে সহজলভ্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট প্রাপ্তির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি ঠিক তখন আগামী তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিপথগামী হয়েছে। যা আমাদেরকে ভাবিয়ে তুলেছে।টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রক কমিশনকে দ্রুত এবং দ্রুততার সহিত এই গেমগুলোর অপব্যবহার বন্ধ এবং ভালো দিক তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়তে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।সংশ্লিষ্টরা জানান, এ ধরনের গেম খেলার ফলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে। অনলাইনে গেম খেলার পাশাপাশি ভার্চ্যুয়ালে অর্থ লেনদেন হচ্ছে এমএমএস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। আর এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্র, সমাজ, ব্যক্তি ও পরিবার।
Month: May 2021
নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের ডাক্তার’র বিরুদ্ধে ৬২ লাখ টাকার যৌতুক ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে ডাবল মামলা
ক্রাইম রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের ডাক্তার’র বিরুদ্ধে ৬২ লাখ টাকার যৌতুক ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে ডাবল মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনী পৌরসভার মধ্যম নাজিরপুর ডক্টর’স টাওয়ারে। ভিকটিম মহিলা ও স্ত্রী রোগ অভিজ্ঞ এ সনোলজিস্ট ডাঃ আছমাতুন নেছা বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩নং আমলী আদালতে তাঁর স্বামী শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সহযোগি অধ্যাপক ডাক্তার আলা উদ্দিন ও ভাশুর সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার যৌতুক ও নারী নির্যাতন হত্যা, গুম ও অপহরনের হুমকি ধামকির অভিযোগে মামলা করেন। বিচার প্রার্থী ডাক্তার আছমাতুনেছা মামলার আর্জিতে আদালতকে জানান, তার স্বামী শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সহযোগি অধ্যাপক ডাক্তার আলা উদ্দিন চৌমুহনী শহরে প্রাইভেট হাসপাতাল করবে ১ কোটি টাকার প্রয়োজন অর্ধেক খরচ হিসাবে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক হিসাবে ৩ মাসের মধ্যে দিতে চাপ সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে আসামীর ভাই সাইদুর রহমান বলে হাসপাতাল তৈরীর জন্য ৫০ লাখ টাকা না দিলে সংসার করা যাবে না। পিতার বাড়ী থেকে ৫০ লাখ টাকার যৌতুক প্রত্যাখান করায় দফায় দফায় নির্যাতন করে পিতৃহীনাকে আসামীর বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বের করে দেয়। পুত্র নোয়াখালী জেলা স্কুলের নবম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র তৌফিক-ই-এলাহী ও কন্যা তানিশা জাহান ও মামলায় বাবার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী হয়। ডাক্তার আছমাতুনেছা আদালতকে আরো জানায়, আমার বিনা অনুমতিতে ডাক্তার সৈয়দা লুলু মারজাহানকে বিয়ে করে ১২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে শারিরীক নির্যাতন করলে ডাক্তার সৈয়দা লুলু মারজাহান বাদী হয়ে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ডাক্তার আলা উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে। গাইনী ডাক্তার বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে লিখিত ভাবে জানায়, মামলা প্রত্যাহার না করলে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দ্বারা অপহরণ, হত্যা ও গুমের হুমকি, ধামকি দিচ্ছে তার স্বামী ডাক্তার আলা উদ্দিন। এডভোকেট আসমা জানায়, আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করলে ও আসামীরা আদালতের আদেশকে আমলে নিচ্ছে না।
দেশীয় প্রজাতীর মাছ রক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে বেগমগঞ্জে জলাশয়, খাল ও পুকুর সংস্কার চলছে
নাসির উদ্দিন মাহমুদ, এডিটর ডেইলী নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ভরাট হয়ে যাওয়া জলাশয়, পুকুর ও খালগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। এতে রক্ষা পাবে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির মাছ, বাড়বে উৎপাদন ও পূরণ হবে আমিষের চাহিদা। পরিবেশের ভারসম্য রক্ষাসহ এ অঞ্চলের মানুষ মুক্ত হবে বর্ষকালে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকেও । শুধু তাই নয়, করোনা কালে প্রকল্পটি চালু থাকায় দুর হয়েছে বেকারত্ব। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, দেশীয় মাছ রক্ষায় ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মৎস্য ও প্রাণি সম্পাদ মন্ত্রনালয়ের মৎস্য অধিদপ্তর মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় বেগমগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিলুপ্ত প্রায় খাল, জলাশয় ও পুকুরে সংস্কার কার্যক্রম গ্রহন করে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬টি স্কীমে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের সদিচ্ছায় করোনা ভাইরাস সৃষ্ট মহামারি চলাকালে অগ্রধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পটি পাশ হয়। এই প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পন্ন হলে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষা ও উৎপাদন ব্রদ্ধি পাবে, পূরণ হবে আমিষের চাহিদা। এতে খুশি মৎস্য চাষীরা ও এলাকাবাসী। উপজেলার আল বারাকা মৎস্য হেচারীর মালিক মাকসুদুল হক চৌধুরী জানান, আমাদের এলাকায় এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ায় আমরাদের অনেকের উপকার হবে। দেশীয় মাছ রক্ষা পাবে, মাছের উৎপাদন বাড়বে, মাছ উৎপাদন করে বিক্রির মাধ্যমে লাভবান হওয়া যাবে। তাছাড়া আমাদের শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ হবে। শুধু তাই নয়, মহামারি করোনা চলাকালে এমন প্রকল্প চালু রেখে এলাকায় বেকারত্ব দুর করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা তারেক আজিজ জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে নানামুখি সুবিধা পারে জেলেরাসহ সাধারণ মানুষ। তাই সরকারের এমন উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। উপজেলা সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আজাদী জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব খাতে বড় ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া মৎস্যজীবিসহ সুফলভোগীদের জীবন মানেরও ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
কোম্পানীগঞ্জে ভিপি মোহাম্মদ উল্যার শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলে স্বরন
গিয়াস উদ্দিন রনি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ভিপি মোহাম্মাদ উল্যার মৃত্যুতে শোক সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৪ মে) বিকেল ৪ টায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা শোক সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন।শোক সভায় কাদের মির্জা বলেন, বর্তমান সময়ে নোয়াখালীর অপরাজনীতি বন্ধে ভিপি মোহাম্মদ উল্যার মত ত্যাগী রাজনৈতিক ব্যক্তির অনেক প্রয়োজন ছিল। ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে তিনি মূল্যায়ন করতেন। তিনি অসাম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করেছেন। আমরাও ঐক্যবদ্ধভাবে অসাম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যাব।বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. শাহাদাত হোসেন। দোয়া ও মোনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদ এবং ভিপি মোহাম্মদ উল্যার রুহের মাগফিরাত কামনা করা হয়।সভায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস, ভিপি মোহাম্মদ উল্যার ছেলে মাশরাফি বিন মোহাম্মদ জিদান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অভিমানী ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাকে যে কথা বললেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সেক্রেটারী ওবায়দুল কাদের
মাহমুদ খাঁন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: অভিমানী ছোট ভাই বসুরহাটের পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে দূরত্ব ঘুচালেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সঙ্গে অভিমান করে দূরে সরে ছিলেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। দল ছাড়ার ঘোষণাও দিয়েছিলেন মির্জা কাদের। প্রকাশ্যে বড় ভাইয়ের সমালোচনায় মেতে ছিলেন। কাদের মির্জার অভিযোগগুলো মন দিয়ে শুনেছেন ওবায়দুল কাদের। সেগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। শনিবার বিকালে ওবায়দুল কাদেরের সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবনে উপস্থিত হয়ে বড় ভাইয়ের হাতে ফুল দিয়ে মান-অভিমানের অবসান ঘটান। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী দুই ভাইয়ের মধ্যে কথাবার্তা হয়। সাক্ষাতে ভাইয়ের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে আবদুল কাদের মির্জা যুগান্তরকে বলেন, ‘তিনি (ওবায়দুল কাদের) বলেছেন, ‘তুমি আমার ওপর যত অভিমানই করো। আমি কোনোদিন তোমার ওপর মনে কষ্ট নেই নাই। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি এটার একটা অবসান ঘটবে।’রাজনীতি নিয়ে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে বসুরহাটের মেয়র বলেন, তিনি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে বলেছেন। আরও বলেছেন, ‘এলাকায় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসে। যেখানে যেখানে যা বলা দরকার আমি বলে দেব। তোমরা কাজ করো।’আপনার আগে যে দাবি ও অভিযোগগুলো ছিল, সেগুলো কী পূরণ হয়েছে বা সে বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কাদের মির্জা বলেন, এটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে আছে বিষয়টা ওনি দেখছেন।’ তিনি আরও একটা কথা গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।’ আপনি ওবায়দুল কাদেরকে কী বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কিছু ছেলে জেলে আছে, তাদের জামিনের বিষয় নিয়ে আলাপ করেছি। আর সেখানে প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ থাকে সেটা নিশ্চিত করার জন্য বলেছি।জানা গেছে, ঈদের দিন ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছিল মির্জা কাদেরের। সেদিনই মির্জা কাদেরকে দেখা করতে বলেছিলেন ওবায়দুল কাদের। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শনিবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরের সরকারি বাসভবনে যান আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বড় ভাই ওবায়দুল কাদেরর হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ও শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। এ সময় শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদের আরেক ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনের উন্নত চিকিৎসা নিয়েও কথা হয়। ওবায়দুল কাদের তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন।এরপর স্থানীয় রাজনীতি ও সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন দুই ভাই। ওবায়দুল কাদের তার ছোট ভাই মির্জা কাদেরের কাছে সার্বিক ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন। এতদিন মির্জা কাদের যা লাইভে বলেছিলেন, তার বর্ণনা সংক্ষেপে দেন বড় ভাইকে। সব শুনে ওবায়দুল কাদের ছোট ভাইকে শান্ত হতে বলেন। এমনকি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে না এসে স্থানীয় যে কোনো সমস্যা সরাসরি তাকেই জানাতে বলেন। তিনি তা সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মির্জা কাদেরকে পুরোনো বিষয়গুলোর পুনরাবৃত্তি না করার কথা বলেন। এ বিষয়ে মির্জা কাদের ওবায়দুল কাদেরকে আশ্বস্ত করেন।সাক্ষাতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনাগুলোর জন্য নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী ও তার অনুসারী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাদলকে দায়ী করেন। তিনি বাদলকে আইনের আওতায় আনার কথাও বলেন। জবাবে ওবায়দুল কাদের সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। এদিকে বৈঠক শেষে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা নিজের ফেসবুক পোস্টে দুই ভাইয়ের সাক্ষাতের ছবি পোস্ট করেন।
হাতিয়া নদী শাসন কমিটিকে সাবেক এমপি দ্বীপবন্ধু আলীর ২০ লাখ টাকার অনুদান
সেন্ট্রাল ডেক্স, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: হাতিয়া দ্বীপের উত্তরাংশ বিশেষ করে আফাজিয়া বাজার নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা কল্পে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে জিও ব্যাগ ফেলার প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ সকালে হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা মোহাম্মদ আলী হাতিয়া নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণ সেচ্ছাসেবী সংগঠন নের্তৃবৃন্দের হাতে ২০ লক্ষ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেছেন। এ অনুদান নিয়ে সংগঠনের বর্তমান তহবিলের পরিমান প্রায় ৫৭ লক্ষ টাকা। ইতোমধ্যে ২৪ হাজার জিও ব্যাগ, এক জাহাজ বালু, পল্টুন কেনা ও লেবার এডভান্সসহ মোট ২৪ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী বুধবার থেকে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।সূত্র জানায়, বর্তমান স্টীমার ঘাট থেকে পশ্চিম দিকে ২০০ মিটার ও পূর্ব দিকে ৫০০ মিটার সর্বোমোট ৭০০ মিটার তীর এলাকায় এ জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এ ব্যাপারে রামজানের মাঝামাঝি সময়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী এক সভা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী মহি উদ্দিন আহমদকে সভাপতি, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুহি উদ্দিন মুহিনকে সেক্রেটারী ও আজহার উদ্দিনকে কোষাধ্যক্ষ করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট হাতিয়া নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণ সেচ্ছাসেবী সংগঠন নামে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতোমধ্যে গত কয়দিন থেকে এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীরা স্বতস্ফূর্তভাবে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেচ্ছায় অনুদান জমা দিচ্ছেন সংগঠনের ব্যাংক একাউন্টে। প্রতিদিনই বিশাল অংকের টাকা জমা হচ্ছে ওই ব্যাংক একাউন্টে। সংগঠনের বর্তমান তহবিলের পরিমান প্রায় ৫৭ টাকা।সংগঠনের সভাপতি মহি উদ্দিন আহমদ জানান, হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী ও তাঁর সহধর্মিনী বতর্মান এমপি আয়েশা ফেরদাউসের প্রচেষ্টায় হাতিয়ার ভাঙ্গন রোধে ২২ শত কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে চুড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। করোনার মহামারিতে সরকার স্বাস্থ্য, পরিবার কল্যাণ ও কৃষি খাত ছাড়া সকল উন্নয়ন বরাদ্দ স্থগিত রাখায় প্রকল্পটি কবে কখন অনুমোদন হয় তা বলা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে হাতিয়ার বৃহৎ বাণিজ্যকেন্দ্র আফাজিয়া বাজার নদীর ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে। তাই আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে আফাজিয়া বাজার ও মানুষের বাড়ি-ঘর রক্ষার্থে এ উদ্যোগ নিয়েছি। সর্বমহলের বেশ সাড়াও পেয়েছি। হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সাহেব আজ সকালে আমাদের নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণ সংগঠনকে ২০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে সংগঠনের পুঁজির সংকুলান না হলে অবশিষ্ট টাকাও উনি বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রংপুর থেকে জিও ব্যাগ সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ ৬০ জন শ্রমিক হাতিয়া পৌঁছাবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বুধবার থেকে কাজ শুরু করবো ইনশাল্লাহ। হাতিয়া নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণ সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সেক্রেটারী মুহি উদ্দিন মুহিন বলেন, দলমত নির্বিশেষে আমরা আমাদের জন্মভূমি ও আমাদের ভিটেমাটি রক্ষায় নিজস্ব উদ্যোগে হাতিয়া উত্তরাংশে নদীর তীরে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের এ সুফল সারা হাতিয়ার জনগণ পাবে। দেশে এবং দেশের বাইরের সকল মানবিক বিত্তবানদের প্রতি আকুল আবেদন-হাতিয়া নদী ভাঙ্গন রোধের এই কাজে আপনারাও এগিয়ে আসুন। কেউ যদি স্বেচ্চায় অনুদান প্রদান করতে চান,নিচের এই ব্যাংক হিসাবে পাঠাতে পারেন। “হাতিয়া নদী শাসন ও তীর সংরক্ষণ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন” , হিসাব নং-১৪৭৫৯০১০২৪৯৬৩, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড হাতিয়া শাখা। আমরা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার সাথে আমাদের এই কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
জমি দখলে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়েছিলেন লক্ষীপুরের রামগঞ্জের সাবেক এমপি আউয়াল
স্টাফ করসপন্ডেন্ট, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ঢাকার মিরপুরের আলীনগর এলাকায় জমি দখল ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব ও সাবেক এমপি এম এ আউয়াল। জমি দখলসহ অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তৈরি করেছিলেন নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তার বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে যেতো। তার অফিসে টর্চার সেলে করা হতো নির্যাতন। অনেকেই তার অত্যাচারে প্রাণ বাঁচাতে নিজস্ব বসতভিটা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। যারা যাননি তারা হামলা ও মামলার শিকার হয়ে কেউ আছেন পালিয়ে, কেউ আছেন জেলখানায়। তার অপকর্মে মদত যোগাতেন স্থানীয় দুইজন কাউন্সিলর। বিনিময়ে পেতেন কাড়ি কাড়ি অর্থ।ওই দুই কাউন্সিলর মূলত জমি দখলে তাকে উৎসাহ যোগাতেন। বৃহত্তর মিরপুরের সিরামিক এবং কালশী ও আলীনগর এলাকায় যেসব জমির মালিকদের দলিলপত্রে কিছুটা দুর্বলতা রয়েছে এমন সব জমির প্লট টার্গেট করতেন আউয়াল। তাকে স্থানীয় সোহাগ, সুমন, পারভেজ, ওমর, জনি, রাসেল, খোকন তাকে এসব কাজে সহায়তা করতো। আউয়াল বাহিনীর অত্যাচারে নিজের কষ্টের টাকায় কেনা জমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছেন অনেকেই। আউয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে ভুক্তভোগীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, তিনি যদি আবার জেলখানা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন তাহলে তাদের কপালে আবার শনির দশা ফিরে আসবে।এদিকে, গতকাল সাহিনুদ্দীন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সুমন ১৬৪ ধারাই আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।গত ১৬ই মে পল্লবীতে শিশু সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দীন নামে এক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই খুনের ঘটনায় গত বুধবার গভীর রাতে র্যাব নরসিংদীর ভৈরবে অভিযান চালিয়ে সাবেক এমপি আউয়ালকে এবং এর আগের রাতে চাঁদপুরের হাইমচর থেকে নূর মোহাম্মাদ হাসান ও পটুয়াখালীর বাউফল থেকে জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করে। সুমন ব্যাপারীসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার ডিবি পুলিশ। এ নিয়ে ওই হত্যার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার দুইজন আসামি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।এ বিষয়ে মামলার মুখ্য সমন্বয়কারী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিরপুর জোনের ডিসি শ্রী মানস কুমার পোদ্দার গতকাল জানান, ‘মামলা তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। মামলার অন্যতম আসামি আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। ওই এলাকায় অপরাধের সাম্রাজ্য ভেঙে দেয়ার জন্য আমরা কাজ করছি।’ নাম প্রকাশে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এ খুনের মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়াল এবং তার প্রধান সহযোগী সুমন ব্যাপারী, হাসান ও জহিরুল ইসলাম ওরফে বাবু রিমান্ডে আছে। সুমন ব্যাপারী সন্ত্রাসী ভাড়া করে এবং খুনের সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিল। সুমন সাহিনুদ্দীনকে খুনের জন্য শরিফকে ভাড়া করেছিলো। আউয়ালের দুই সহযোগী মুরাদ হোসেন ও রকি তালুকদার গত শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।গতকাল আলীনগরের বুড়িরটেক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই এলাকায় এখনো পরিস্থিতি ভালো আছে। আলী নগরের একদিকে পল্লবীর মিরপুর সিরামিকস, অন্যদিকে মিরপুর ডিওএইচএস। সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মাণাধীন আবাসন প্রকল্প ন্যাশনাল হাউজিং রয়েছে অন্যপাশে। মিরপুর সিরামিকসের ভেতর দিয়ে আলী নগরে যেতে হয়। রাতের বেলা সিরামিকসের ফটকগুলো বন্ধ হলে একরকম অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এখানকার বাসিন্দারা। গতকাল ওই এলাকায় গেলে সবার মুখে সাবেক এমপি আউয়ালের কথা শোনা যায়। আউয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার গ্যাং বাহিনী এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এ ছাড়াও তাকে যে দুইজন কাউন্সিলর মদত দেয় তারাও গা-ঢাকা দিয়েছেন।সরজমিন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকায় অপরাধের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন সাবেক এমপি এম এ আউয়াল এবং দুইজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ২০১৪ সালে মহাজোটের কোটায় ‘বাইচান্স’ এমপি হয়েছিলেন বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়াল। এর আগে দেশের একজন প্রভাবশালী হাসপাতাল ব্যবসায়ীর তদবিরে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব হন তিনি। তবে এমপি বনে যাওয়ার পর থেকে ওই ব্যবসায়ীকে এড়িয়ে চলতেন আউয়াল। ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তরিকত ফেডারেশন তাকে মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতি দিলে তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি দলটির চেয়ারম্যান। তবে ২০১৮ সালে তিনি মহাজোটের মনোনয়ন না পাওয়ায় আর এমপি হতে পারেননি।সূত্র জানায়, সাহিনুদ্দীন খুন হওয়ার মাত্র ৯ দিন আগে আউয়াল তার বিরুদ্ধেই ৫০ লাখ টাকার চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার মামলা ঠুকে দেন। গত ৭ই মে পল্লবী থানায় এ মামলা (নম্বর-১৯) করেন আউয়ালের পক্ষে তার আবাসন প্রকল্প হ্যাভেলি প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. মোকসেদ আলী। পল্লবীর বাউনিয়া মৌজায় ঢাকা জেলা প্রশাসনের অধিগ্রহণকৃত ১৬৮ একর জমির একটি অংশে জবরদখল করে গড়ে তোলা আবাসন প্রকল্প হ্যাভেলি প্রপার্টিজ নামের প্রতিষ্ঠানটি আউয়ালের মালিকানাধীন। এ প্রকল্পে বিভক্ত দুই গ্রুপের মধ্যে একটির নেতৃত্ব দেন কিবরিয়া, অন্যটির আবু তাহের।জমি দখল ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আউয়াল ওই এলাকায় নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছিলেন। বাহিনীর সদস্যরা হলেন, মনির, মানিক (সম্প্রতি ক্রসফায়ারে নিহত), ডেবরা বাবু, বাবুয়া সুমন, দিপু, রাজন, আলাল, জনি, কনিক, রিকশা সুমন, সরোয়ার সরো, মোল্লা বস্তির ছোট্ট গিটু বাবু, নাটা শামীম, ইব্রাহীম, বকর, সেলিম, সাদ্দাম, পনির, আনোয়ার, জাসিম, শহীদ রুবেল, কসাই জাবেদ, গ্যাং বাবু, পাপপা, ইয়াবা শফিকুল, সাগর, ইকবাল, আচার সুমন, কালা ছোট্ট বাবু, তবলা সুমন, শাহীন, ইয়াবা বাবু, পাংকু জামিল, টিটু, প্রদীপ খোকা, সুকান্ত রায়, মুসা, কানা রনি, কানা জুয়েল, দাঁতভাঙা বুলু, আবু সালেহ, দাগি ফিরোজ, কিলার বাপ্পী, হকি সুমন, নাসির, কাজল, আলু রুবেল, নাটা বাবু, হাসান ও মাহবুব রনি। এদের নামে পল্লবী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব গ্যাং সদস্যদের এলাকাতেই আউয়াল শেল্টার দিতেন। আউয়াল গ্রেপ্তার হওয়ার পর তারা সবাই গা-ঢাকা দিয়েছে।
বিতর্কে লক্ষ্মীপুরের সাবেক ২ এমপি, বিব্রত এলাকাবাসী
ক্রাইম রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনের সাবেক এমপি ও তরিকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এমএ আউয়াল ও লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনের আলোচিত সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের কর্মকাণ্ডে বিব্রত স্থানীয় এলাকাবাসীসহ তাদের অনুসারীরা। কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল মানব ও অর্থপাচার মামলায় দণ্ডিত হয়ে কুয়েতের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এম এ আউয়াল রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত বুধবার ভোরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এমপি এমএ আউয়ালকে।এ দুই এমপির কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তুমুল ঝড় ওঠে। ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমকর্মী রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিজের ফেসবুকে লেখেন, লক্ষ্মীপুর জেলার ৪টি আসনে ভাড়াটিয়া হাইব্রিড এমপি চাইনা। দুই হাইব্রিড এমপির কারণে জেলার মানসম্মান ধুলায় মিশেছে। আগামীতে মাঠের ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। শিক্ষাবিদ জেডএম ফারুকী নিজের ফেসবুকে আক্ষেপ করে লেখেন, লক্ষ্মীপুরবাসীর গৌরব ও অহঙ্কার সাবেক দুই এমপি।একজন খুনি ও অপরজন আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবাজ। এদের দুইজনের কর্মকাণ্ডে বিব্রত ও লজ্জিত। এইভাবে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন।এক সময়ে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত রায়পুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইছমাইল হোসেন খোকন বলেন, পাপুল কখনো আওয়ামী লীগের কোনো পদেই ছিলেন না। তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। টাকার কাছে সব শেষ। বর্তমানে তার কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির কারণে সাজা হয়েছে। এমপি পদ গেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কেউ অন্যায় করলে রেহাই নেই। তার উদাহরণ এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। শুধু যে পাপুল নিজেই এমপি হয়েছেন, তা না নিজের স্ত্রীকেও টাকার বিনিময়ে এমিপ বানিয়েছেন।এদিকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি এম এ আউয়ালের ঘনিষ্ঠজন মো. মিজানুর রহমান বলেন, এমপি আউয়াল কিভাবে খুনের ঘটনার মামলায় জড়িত হয়েছেন। সেটা নিয়ে বিব্রত। ব্যবসায়িকভাবে তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে কিনা, সে বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করার দাবি জানান তিনি।
ফাটাকেষ্ট মন্ত্রীর বয়ান: দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য
ইকবাল সিরাজী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্যোগ দুর্বিপাকে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। গতকাল তার সরকারি বাসভবনে আয়োজিত নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এ কথা বলেন। উপকূলীয় এলাকায় মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া বিবৃতির জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার বিবৃতির আগেই সরকার প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। লিপ সার্ভিস নয়, দুর্যোগ দুর্বিপাকে সবার আগে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে আবারো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মধ্যে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নতুন আতঙ্ক ও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনো স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরার ক্ষেত্রে উদাসীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে সবাইকে সচেতন হওয়াটা জরুরি।তিনি বলেন, জনগণের মাঝে উদাসীনতা অব্যাহত থাকলে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো সম্ভব নয়। তাই সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে সম্ভাবনার সোনালী গন্তব্যে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা মহামারি কাটিয়ে সুফলা পৃথিবীতে আবারো ফিরে আসবে প্রাণ, জগৎ চিরচেনা চাঞ্চল্যে মুখরিত হবে আবার ইনশাআল্লাহ। ওবায়দুল কাদের বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের মানুষদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ বিজয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানান এবং এ বিজয় অব্যাহত থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
বৃদ্ধ সাইফুদ্দিনকে নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া থানা ওসির বিরুদ্ধে মামলা
মারুফ চৌধুরী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাসের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে মামলা করলেন ভুক্তভোগী বৃদ্ধ সাইফুদ্দিন প্রামানিক (৭০)।মামলার বিবরণে জানা যায়, বিগত ১০ মাস পূর্বে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বেতবাড়ী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিবাদীগণকে থানায় আসতে বলেন ওসি দীপক কুমার দাস। কিন্তু ওইরাতে বিবাদীগণ থানায় না আসার কারণে ক্ষিপ্ত হন ওসি। এরই জের ধরে বিবাদীগণকে প্রতিরাতে পুলিশি অভিযানের নামে পুরো গ্রাম তছনছ করা সহ পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচতে টাকার বাণিজ্য করতে থাকে পুলিশ। চাহিদা মতো পুলিশকে টাকা না দিলে বেতবাড়ী গ্রামে পুলিশি অভিযানের নামে বিভিন্ন বাড়িতে রাতে প্রবেশ করে ভাংচুর সহ নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং একাধিক ব্যক্তিকে মামলা ছাড়াই গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে ব্যাপক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন।ওই নির্যাতনের বিষয় নিয়ে ভুক্তভোগী গ্রামবাসী সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের নিকট সকল নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরেন। বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশনে এই সংবাদটি প্রকাশিত হলে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওসি দীপক কুমার দাস। এরপর থেকে সাংবাদিকদের নিকট সাক্ষাৎকার দেয়া ব্যক্তিগণকে একে একে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে নতুন নতুন মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠাতে থাকেন।মামলার বাদী বৃদ্ধ সাইফুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তবে আমি সাংবাদিকদের কাছে পুলিশি হয়রানির কথা বলেছিলাম এটাই আমার অপরাধ। তাই গত ২৪শে মে রাতে উল্লাপাড়া থানার ৪/৫ জন সাদা পোশাকে পুলিশ এসে আমাকে ধরে নিয়ে যায় থানায়। আমি শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগী আমাকে দুই এসআই হাত ধরে রাখে আর ওসি নিজে আমাকে ব্যাপক হারে মারতে থাকে, আর বলে তোকে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সাধ মিটাই আগে। লোহার পাইপ দিয়ে আমাকে ইচ্ছে মতো পিটায় ওসি। আমি ওসিকে বলি, আমি আপনার বাবার বয়সের আমাকে আর মারবেন না। তিনি কোন কথা না শুনে এই বৃদ্ধ বয়সে আমাকে এমন করে মারধর করাতে আমি অনেক অসুস্থ্য হয়ে পরি। পরে আমাকে রাতেই উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিতসা করায়। সেখানে ডাক্তাররা বলে কোন মানুষ এই বৃদ্ধ মানুষকে এ ভাবে মারতে পারে? ওসি মানুষ না অন্যকিছু ওসির এই নির্যাতনে আমার দু হাতের তালু, মাথায়, ডান হাতে, গলার পিছনে, তলাপেটে, পিঠে এবং দুই কানে মাথায় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম আর ব্যথায় থাকতে পারছি না। এরপর ২৫ মে আমাকে চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে চালান করে দেয়। আদালত আমার অবস্থা দেখে ও জবানবন্দি নিয়ে আমাকে জামিন দেন এবং শারীরিক অবস্থা অবনতি দেখে চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। আমি একটু সুস্থ হলে হাসপাতাল থেকে সার্টিফিকেট তুলে আজ ২৭শে মে সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়া থানা আমলি আদালতে হাজির হয়ে এই মামলা দায়ের করি। আমি এই ওসির উপযুক্ত শাস্তি ও বিচার চাই।বাদী পক্ষের আইনজীবী মোরশেদুল ইসলাম ও নিখিল কুমার ঘোষ জানান, বাদীর দায়ের করা মামলাটি বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আমলি আদালতে উপস্থাপনের পর, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আসাদুজ্জামান মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাদীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের রেজিস্টার্ড চিকিৎসককে নির্দেশ দেন। এবং বাদীর পক্ষের আইনজীবী পৃথক দরখাস্তের ঘটনার জুডিসিয়াল তদন্ত দাবি করার কারণে বাদীর বক্তব্য ও দাখিলকৃত কাগজাদি পর্যালোচনায় দরখাস্তটি জুডিসিয়াল তদন্তের জন্য গ্রহণ করেন এবং আদালত নিজেই অত্র দরখাস্তটি তদন্ত করবেন বলে আদেশ দেন।উল্লাপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক কুমার দাস বলেন, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনেক আগের একটা মামলা ছিলো। তাকে সেই মামলাতেই গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আমি কিংবা আমার কোন পুলিশ তাকে শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করেনি। আদালত তদন্ত করলে সঠিক ঘটনা বের হয়ে আসবে।