৯৯৯ থেকে কল পেয়ে শিয়ালের মাংসসহ সুধারা‌মে যুবক আটক

355 Views

মোজা‌ম্মেল হো‌সেন কামাল, দৈ‌নিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় অবৈধভাবে শিয়ালের মাংস বিক্রি করার সময় পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে।আটককৃত রাহী (২১), সদর উপজেলার মোল্লা কাট পট্রির লিটনের ছেলে।শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সুপার মার্কেট সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে শিয়ালের মাংসসহ আটক করে পুলিশ। সুধারম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাহেদ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আ‌রো জানান, আটক আসামির বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে । ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

সোনাইমু‌ড়ি‌তে মোবাইল কার্ড কিনতে গিয়ে কিশোরী গণধর্ষণের শিকার, থানায় মামলা

253 Views

আবু রায়হান সরকার, ‌দৈ‌নিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর সোনানাইমুড়ীতে এক কিশোরীকে (১১) গণধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার পশ্চিম বজরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।স্থানয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম বজরা গ্রামের এক রিকশা চালকের কিশোরী মেয়ে (১১), বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে ওই গ্রামের একটি দোকানে মোবাইল মিনিট কার্ড কিনতে যায়। দোকান থেকে ফেরার পথে একই গ্রামের বাকের মিয়ার বখাটে ছেলে আবদুর রব (২৩) তার গতি রোধ করে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখে। পরে পশ্চিম বজরা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রিপা (২৮), এসে উভয়ে তার মুখে গামছা পেঁছিয়ে কাচারী স্কুলের পাশে ধান ক্ষেতে নিয়ে যায়। একই গ্রামের সেরু মিয়ার পুত্র সালা উদ্দিন (২৯), এ ঘটনা পাহারা দেয়। আর বখাটে আবদুর রব ও রিপা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে কিশোরী বাড়ীতে এসে বিষয়টি তার পরিবারের সদস্যদেরকে জানায়।থানা সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ রাত ৮ টার দিকে ধর্ষিতাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা বাদ করে। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রেই কিশোরীর মা বাদী হয়ে অভিযুক্ত ৩জনকে আসামি করে সোনাইমুড়ী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে।সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গিয়াস উদ্দিন জানান, ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষনের অভিযোগে এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালচ্ছে পুলিশ।

নোয়াখালী-৬ আসনের এমপির প্রচেষ্টায় ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র পাচ্ছে হাতিয়া উপজেলা

1,177 Views

নাসির উদ্দিন মাহমুদ এডিটর, ডেইলী নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী-৬ আসনের এমপি ও প্রাক্তন এমপি দ্বীপবন্ধু মোহাম্মদ আলীর প্রচেষ্টায় ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র পাচ্ছে হাতিয়া উপজেলা। নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় ১৫ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জাতীয় গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হাতিয়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে হেভি ফুয়েল অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অনুমোদন দেওয়া হয়।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে হাতিয়ায় ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তিতে দেশ এনার্জি লিমিটেড এক হাজার ৩৯৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে। এখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ১০ সেন্টে কিনে নেবে সরকার।বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আবার কেন জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হল, এই প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “সব ক্ষেত্রে সোলার করা যাচ্ছে না। জেনারেলি আমরা সোলারে গুরুত্ব দেব। কিন্তু যেখানে সম্ভব হবে না, সেসব বিশেষ বিশেষ জায়গায় আমরা বিকল্প পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করব।”ছয় লক্ষাধিক লোকের বসতি হাতিয়া মেঘনার খরস্রোতা মোহনা দ্বারা স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন। ফলে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই।বর্তমানে দ্বীপটিতে দুই মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পিডিবির কিছু পুরোনো জেনারেটর সচল আছে বলে জানান হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন।দেশ এনার্জির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাভিদ হক বলেন, সয়েল টেস্টসহ অন্যান্য কারিগরি কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে উৎপাদনে নিয়ে আসতে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।ক্রয় কমিটির বৈঠকে রাজউকের উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে ‘স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনসাধারণের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ’ প্রকল্পের ‘বি ও সি’ ব্লকে ১৬ তলা বিশিষ্ট ১০৪টি ভবন নির্মাণ বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।অতিরিক্ত সচিব শাহিদা জানান, মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানি প্রকল্পের কাজটি করছিল। ওই দেশে সরকার পরিবর্তনের পর কোম্পানিটি আর এই কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

ঢাকা মেট্রো ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নোয়াখালী-৫ আসনে অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন

432 Views

নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ঢাকা মেট্রো ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে গরীব অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরনঃ— বিশিষ্ট শিল্পপতি, সমাজ সেবক,রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম এর মালিকানাধীন মেট্রো ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে আজ সোমবার বিকেল ২ টায় শিল্পপতি ফখরুল ইসলামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসভবনে বৈশ্বিক মহামারি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্হ ও অসহায়দের মাঝে ২ শত প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কালে উপস্থিত ছিলেন, মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আলম শিকদার, রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহ,মেট্রো ফাউন্ডেশন এর পরিচালক রহমত উল্যাহ দীদার,বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মেহেদী হাসান টিপু,মিলন মেম্বার, জাকের হোসেন নটি,সাবেক কাউন্সিলর মোঃ মোস্তফা প্রমুখ।এ সময় বসুরহাট পৌরসভার ‌৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়।

সুধারামে নেয়াজপুর ইউপির নেয়ামতপুর গ্রামে ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে ব্যবসায় নুর জাহান

258 Views

লুৎফুল হায়দার চৌধুরী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী সদর উপজেলায় ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেছেন নুরজাহান বেগম নামের এক নারী।বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামে তার কাছে একটি দোকান হস্তান্তর করা হয়।নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. খোরশেদ আলম খানের সহযোগিতায় এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকিত মানবিক অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধানে দোকানটি উপহার দেয়া হয়।দোকান পেয়ে খুমি নুর জাহান বেগম। তিনি জানান, ভিক্ষা জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়ে তিনি আনন্দিত। তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।ভিক্ষুকমুক্ত নোয়াখালী গড়ার লক্ষ্যে প্রথম ধাপে ১০০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দোকানটি (প্রজেক্ট নং-১৪) উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা কমিশনার (ভূমি) ফাতিমা সুলতানা।এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আলোকিত মানবিক অর্গানাইজেশনের সভাপতি পারভেজ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক রিয়েল খান প্রমুখ।

অক্সিজেন সংকট মেটাবে আবুল খায়ের গ্রুপের চট্টগ্রামে ‘একেএস প্ল্যান্ট’

173 Views

মোঃ রেজাউল করিম রাজু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ভারত থেকে আমদানিকৃত অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের আশ্বাস দিয়েছে আবুল খায়ের গ্রুপের চট্টগ্রাম থেকে পরিচালিত ‘একেএস প্ল্যান্ট’। দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সম্ভাব্য অক্সিজেন সংকট মোকাবিলায় ব্যাপক পরিসরে অক্সিজেন উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি। গত বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডুর সোনাইছড়ির শীতলপুর এলাকায় অবস্থিত একেএস অক্সিজেন কারখানায় এই সম্প্রসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। যার মধ্য দিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় লিকুইড (তরল) অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, অক্সিজেন প্ল্যান্টের জিএম মো. নজরুল ইসলাম, ডিজিএম এনপি গৌর, এজিএম মো. সামসুদ্দোহা এবং এইচআর অ্যান্ড এডমিনের সিনিয়র ম্যানেজার ইমরুল কাদের ভূঁইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, বলেন, এতদিন দেশীয় প্রতিষ্ঠান লিন্ডা, স্পেক্ট্রা ভারত থেকে অক্সিজেন আসতো। এখন হঠাৎ করে দেশটি সাপ্লাই বন্ধ করে দেয়ায় সমূহ বিপদ থেকে দেশকে বাঁচাতে আবুল খায়ের গ্রুপ এই উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান দুটিকেও তাদের চাহিদা অনুসারে অক্সিজেন প্রদান করা হবে।তিনি বলেন, দেশে এই মুহূর্তে প্রতিদিন ২০০ টন অক্সিজেনের চাহিদা আছে। আর এ প্ল্যান্টের উৎপাদন ক্ষমতা ২৬০ টন। এই মুহূর্তে নতুন এই প্ল্যান্ট প্রতিদিন ২০ টন অক্সিজেন সরবরাহ করবে। প্রয়োজনে অন্যান্য কারখানা বন্ধ রেখে অক্সিজেন উৎপাদন করা হবে। অক্সিজেন সরবরাহ থেকে প্রাপ্ত অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হলে একেএস প্ল্যান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন জনস্বার্থে উন্মুক্ত করে দেয় আবুল খায়ের গ্রুপ। প্রতিদিন ২৬০ টন অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের বৃহত্তম এই অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে ১০ হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে ও হাসপাতালকে বিনামূল্যে অক্সিজেন প্রদান করা হয়েছে রিফিলের মাধ্যমে। এছাড়া ৫ হাজারেরও বেশি সিলিন্ডার প্রদান করা ও নিজস্ব উদ্যোগে ২০টি হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর করোনায় প্রণোদনা: ১শ ৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা পাবে ৩৫ লাখ পরিবার

457 Views

আবদুল কাদের, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের ছয় লাখ পরিবার আগামী ২ মে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুদানের দুই হাজার ৫১৫ টাকা করে পাবে। এ অর্থ মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস বিকাশ, নগদ এবং রকেটের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।বুধবার (২৮ এপ্রিল) অর্থ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত ছয় লাখ পরিবারের জন্য ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকার সরকারি ব্যয় মঞ্জুরির এক চিঠি চিফ অ্যাকাউন্টেন্ট বরাবর পাঠানো হয়েছে।ব্যয় মঞ্জুরির চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন দরিদ্রদের জন্য নগদ সহায়তা কার্যক্রম সম্পাদনের লক্ষ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে অর্থ বিভাগের অধীন ‘মুজিব শতবর্ষে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান’ শীর্ষক কোডের আওতায় ‘বিশেষ অনুদান’ খাতে ৭৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বরাদ্দ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে জনপ্রতি দুই হাজার ৫১৫ টাকা হারে দ্বিতীয় ধাপে ছয় লাখ পরিবারের অনুকূলে ১৫০ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ের জন্য আজ (২৮ এপ্রিল) সরকারি মঞ্জুরি জ্ঞাপন করা হয়েছে।এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়। তাদের তথ্য ডাটাবেইজে সংরক্ষিত আছে। গত বছর যারা টাকা পেয়েছিলেন, তারাই এ বছরও টাকা পাবেন। আগামী ২ মে থেকে ছয় লাখ পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দুই হাজার ৫১৫ টাকা করে পাঠানো শুরু হবে। এর বাইরে নতুন করে শুধুমাত্র কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার টাকার অনুদানের যাচাই-বাছাইয়ের কাজটি করা হচ্ছে।সম্প্রতি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এক লাখ কৃষক পরিবারকেও পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের তালিকা চূড়ান্ত করতে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। এর আগে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে যাচাই–বাছাই করে প্রায় ৩৫ লাখ পরিবারকে অর্থসহায়তা দেওয়া হয়েছিল।

প্রয়াণ দিবসে দৈনিক নোয়াখালী সময় অনলাইন পোর্টালের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি

161 Views

মাহমুদ খাঁন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, জাতীয় নেতা,জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ আজ তাঁর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৫ সালের ২৭ এপ্রিল ৮৩ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কী অভিধায় ভূষিত করা যায় তাঁকে? কোন বিশেষণ তাঁর বিশালত্ব ধারণ করতে পারে? রাজনীতির বরপুত্র নাকি রাজনীতির সিংহপুরুষ ? গণমানুষের নেতা নাকি রাজনীতির ভূমিপুত্র? কোনোটাই যেন যুতসই হয় না। কেমন যেন অপূর্ণতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আসলে এ রকম বিশেষণযুক্ত শব্দ চয়ন করে তাঁকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ সম্ভব নয়। কারণ তিনি ছিলেন রাজনীতির এক বটবৃক্ষ। যাঁর বিশাল ছায়ায় সবাই একত্রিত হতেন। তাঁর সান্নিধ্য পেতে অনেকেই আসতেন সময়ে-অসময়ে, দুর্যোগে-সংকটে। তাই ব্যক্তি রাজনীতিক থেকে তিনি পরিণত হয়েছিলেন এক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে। সমুদ্রের মতো বিশাল তাঁর কর্মপরিধি। হাত বাড়ালেই যেমন আকাশ ছোঁয়া যায় না, তেমনি তাঁর সম্পর্কে যতই বলা হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে অনেক কিছুই বলা হয়নি। তিনি এ মাটিরই সন্তান। আবদুস সামাদ আজাদ একটি নাম, একটি ইতিহাস। মানুষের কাছে যিনি আপন আলোয় উদ্ভাসিত। এক ত্রিকালদর্শী রাজনীতিবিদ। ব্রিটিশ আমলে তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি। পাকিস্তান আমলে তুখোড় রাজনীতিবিদ। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের সঙ্গে ছিলেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিন পতাকার বাসিন্দা এই মানুষটি তাঁর মেধা ও প্রজ্ঞায় এক সময় ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল পেরিয়ে উপমহাদেশের রাজনীতির এক মহীরুহে পরিণত হন। তাঁর নামটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক অনন্ত জীবনের অধিকারী জননেতার প্রতিকৃতি। আব্দুস সামাদ আজাদ তৎকালীন সিলেট জেলার জগন্নাথপুর থানার ভূরাখালি গ্রামে ১৯২২ সালে জন্মগ্রহন করেন। ১৯৪০ সালে সুনামগঞ্জ জেলা মুসলিম ছাত্র ফেডারেশন এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৪৬ সালে একই সংগঠনের অবিভক্ত আসামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তাঁর সিদ্বান্ত অনুযায়ী প্রথম ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা হয়। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট থেকে এম,এল,এ নির্বাচিত হন এবং আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং সর্বদলীয় রাজনৈতিক জোট এন,ডি,এফ এর দপ্তর সাম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এর নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে এম,এন,এ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্বের প্রধান সংগঠকের একজন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন তিনি।৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে বিশেষ ভুমিকা পালন করেন এবং জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আওয়ামীলীগের অন্যতম প্র্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।১৯৯০ এর গণঅভ্থূানের এবং ১৯৯৬ এর জনতার মঞ্চের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ মন্ত্রিসভায় সফল পররাষ্টমšী¿ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বৃটিশ, পাকিস্তান, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্বৈরাচারের রোষানলে পড়ে জীবনের বহু বছর তিনি কারাবন্দি ছিলেন। ২০০১ সালের শেষ নির্বাচনে দল হারলেও আব্দুস সামাদ আজাদ সুনামগঞ্জ-৩ আসনে বিজয়ী হন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক-কন্যা জাইমার টু্ইট : বসুন্ধরার এমডি ভাগ্যবান!

328 Views

নজির উল্যাহ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভিরকে ভাগ্যবান বললেন লন্ডনে বসবাসরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে জাইমা রহমান।বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত ১০ টা ৩৬ মিনিটে জাইমা রহমান সায়েম সোবহান আনভিরের একটি ছবি টুইট করে তাতে লিখেন- ‘বর্তমান সময়ে একমাত্র ভাগ্যবান ব্যক্তি যার উপর এখন পর্যন্ত একাত্তর টিভির চোখ পড়েনি।’রাত সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত সেই টুইটে ৪৩ টি লাইক ও ৭জন টুইট ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন। ফজলুর রহমান নামে একজন মন্তব্য করেন- ‘দুঃখিত তিনি জাতির একটি কলঙ্কিত অধ্যায় এবং কঠোর দণ্ডের অপরাধী।’ মো. জুবায়ের আলম নামের একজন লিখেন- ‘দালালের চোখে দালাল কখনো ধরা পড়ে না।’এর আগে সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ‍পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে গুলশান থানায় মুনিয়ার বড়বোন আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভিরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।এরপর টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয় আত্মহত্যার বিষয়টি। আত্মহত্যার আগে ওই তরুণীকে হুমকি সম্বলিত বসুন্ধরার এমডি সায়েম সোবহান আনভিরের ফাঁস হয় ফোনালাপ। ভাইরাল হয় সরকারদলীয় হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরীর সাথে ওই তরুণীর এ সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ের কথিত স্ক্রিনশট।এই ইস্যুতে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ পরিবেশন করলেও বসুন্ধরার মালিকানাধীন ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের গণমাধ্যমের বাইরে আরও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম নীরব ভূমিকা পালন করে। একাত্তর টেলিভিশনসহ কোনো কোনো গণমাধ্যম বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যায়। সেই বিষয়টিই মূলত টুইটবার্তায় ব্যঙ্গ করে তুলে এনেছেন জাইমা রহমান।তারেক-কন্যা ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ও রাজনীতে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। এছাড়াও লন্ডনের বিপিপি ইউনিভার্সিটি থেকে সম্পন্ন করেছেন বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্স।

ব্যারিস্টার সুমনের ঘোষণা: মুক্তিযোদ্ধার কণ্যা হতভাগ্য মুনিয়ার পরিবারকে আইনি সহায়তা

300 Views

নজির আহাম্মেদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বুধবার (২৮ এপ্রিল) ব্যারিস্টার সুমন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ‘মুনিয়ার বাবা-মা কেউ পৃথিবীতে নেই। এই এতিম মেয়ের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি ভালো আইনজীবী না পান তাহলে আমি মুনিয়ার পক্ষে দাঁড়াতে চাই। তার পরিবারকে আমি আইনি সহায়তা দিতে চাই।’প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন রাখবো, নেত্রী আপনি তো শক্তিশালী যুদ্ধাপরাধীদেরও ৩০/৩৫ বছর পরে হলেও বিচারের মুখোমুখি করেছেন। তাই আমার বিশ্বাস জনগণের যে প্রত্যাশা আপনার ওপর, বসুন্ধরা হোক বা যে শিল্প প্রতিষ্ঠানই হোক না কেন, তাদের যেকোনও ধরনের অপরাধ আপনি যতদিন নেতা হিসেবে থাকবেন, নিশ্চয়ই তাদের বিচার এই মাটিতে হবে। সুষ্ঠু বিচার হবে এবং জনগণের সামনে এটা প্রমাণিত হবে যে আপনি কোনও কিছুতেই পিছপা হননি। সে যে-ই হোক না কেন।’একইসঙ্গে এই ‍মৃত্যুর ঘটনায় দল-মত নির্বিশেষে এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।এছাড়া, বিভিন্ন মিডিয়ায় মুনিয়া ভিকটিম হওয়া সত্ত্বেও তার ছবি প্রকাশ করা হলেও আসামির ছবি প্রকাশ না করায় নিন্দা জানান সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়েম সোবহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। মাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়াকে রেখেছিল সায়েম সোবহান। সে নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল আনভীর। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এর বিচার চান তারা।