রামগতি (লক্ষীপুর) প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: লক্ষীপুরের রামগতিতে জাতীয় পার্টির সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মো: আলমগীর হোসেন এর আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ঘোড়ার গাড়ীতে করে প্রচারনায় জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। তিনি লড়েছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। ৩১ জানুয়ারী (রবিবার) স্থানীয় আলেকজান্ডার বাজারে ঘোড়ার গাড়ীতে করে তিনি নির্বাচনী প্রচারনা চালান। তাঁর এমন ব্যাতিক্রমী প্রচারনায় ভোটারদের মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়েছে। কাহার নিকট এটা বিনোদন হিসাবে আবার কাহার নিকট অতি উৎসাহি হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী রামগতি পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে তবে,প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই ব্যবহৃত হবে ইভিএম। সাধারন ভোটারের মাঝে যেমনি ইভিএম ব্যবহারে ভীতি রয়েছে তেমনি মো: আলমগীর হোসেন এর ঘোড়ার গাড়ীতে করে প্রচারনায় আনন্দ পাচ্ছে। ভোটারদের একটাই দাবি ভোটের ফলাফল এবং প্রচার-প্রচারনা যা-ই হোক ভোট যেন, সুষ্ঠ,অবাধ ও নিরপেক্ষ হয় এবং নির্ভয়ে নিজের হাতে ভোট প্রদান করতে পারে। আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী রামগতি পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে জানা যায় অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে বিজয় হবেন লাঙ্গল প্রতীক মেয়র পদপ্রার্থী মোঃ আলমগীর হোসেন।
Month: January 2021
নোয়াখালীতে গ্রামীন হাসপাতালের লিফট ভেঙ্গে জহুরা খাতুনের মৃত্যু
এ,বি সিদ্দিক, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর মাইজদী গ্রামীন হাসপাতালের লিফট ভেঙ্গে পড়ে জহুরা খাতুন (৪৫) নামের এক রোগীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। তিনি লক্ষীপুর জেলা সদরের রামকৃষ্ণপুরের খোরশেদ আলমের স্ত্রী। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জানাযায়, গ্রামীন হাসপাতালের ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসনে ঐ মহিলা। এসময় তিনি লিফট উঠার পর চলন্ত লিফটের নিচের অংশ ভেঙ্গে তিনি ৩য় তলা থেকে নিচে পড়ে যান। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। হাসপাতালে আসা রোগীরা অভিযোগ করেন, ক্রটিপূর্ণ লিফট চালিয়েছে আসছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ফলে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ আলম দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম কে বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তবে এ বিষয়ে কেউ এখনো কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
লক্ষীপুরের রামগঞ্জে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী মেয়র নির্বাচিত
রিয়াজ মাহমদু বিনু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: লক্ষীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ১৬ হাজার ৫২১ ভোট পেয়ে রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি ধানের শীষের প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু ২ হাজার ২৮৬ ভোট পেয়েছেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে মোহাম্মদ মহসীন পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকে মো. জাকির হোসেন দেওয়ান পেয়েছেন ৭৫৬ ভোট। শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী ২০১৫ সালেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি রামগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। এদিকে কাউন্সিলর পদে ১ নম্বর ওয়ার্ডে কামরুল হাসান ফয়সাল, ২ নম্বর ওয়ার্ডে আবু সুফিয়ান ভূঁইয়া, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাশেদ আলম, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনির হোসেন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেলোয়ার হোসেন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মামুন রশীদ আখন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান সুমন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সহিদ উল্যা ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মেহেদী হাসান শুভ নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১,২,৩, নম্বর ওয়ার্ডে ফারজানা মজুমদার, ৩,৪,৫, নম্বর ওয়ার্ডে দিলশাত নয়ন, ৫,৬,৭, নম্বর ওয়ার্ডেফাতেমা আক্তার নির্বাচিত হয়েছেন। প্রসঙ্গত, তৃতীয় ধাপে রামগঞ্জ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ১৭ টি কেন্দ্রে আজ শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নোয়াখালীতে পৌরসভা নির্বাচনে ভোট উৎসবে প্রশংসিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
লুৎফুল হায়দার চৌধুরী, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ৩০ জানুয়ারী নোয়াখালীর চৌমুহনী ও হাতিয়া পৌরসভায় অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে পৌরবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রশাসন। নির্বাচনের দিন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নির্বিঘেœ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকাল থেকে রাতে ফল প্রকাশ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে উপস্থিত থেকে সার্বিক দিক নির্দেশনা প্রদান করেন জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন ভোটাররা।

নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ভোটাররা খুশি হয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। ৩০ তারিখ ভোটের দিন চৌমুহনী ও হাতিয়া পৌরসভায় ছিলো ভোট উৎসব। ভোট উপলক্ষ্যে নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষন করতে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন চট্রগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনের সার্বিক নির্দেশনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ের কাজ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যেতি খীসা। চৌমুহনী ও হাতিয়া পৌরসভায় প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট প্রয়োগ করেন ভোটাররা। চৌমুহনী পৌরসভায় ২০টির প্রতিটি কেন্দ্রে ২০ জন করে পুলিশ সদস্য সহ প্রায় ৪০০ জন পুলিশ নিয়োজিত ছিলো। তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলে পুলিশ প্রশাসন। প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, বিজিবি, র্যাাব,আনসার, মোবাইল ও স্টাইকিং এর একটি করে ভ্রাম্যমান টিম দায়িত্ব পালন করছে। নোয়াখালী জেলা রির্টানীং কর্মকর্তা ও জোলা নির্বাচন অফিসার রবিউল আলম জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্নভাবে ভোট গ্রহন হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে চৌমুহনী পৌরসভায় বিজয়ী হয় স্বতন্ত্র মোবাইল প্রতীক প্রার্থী মো খালেদ সাইফুল্যা। তিনি ১৩ হাজার ৪১৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে নির্বাচিত হন। অপরদিকে হাতিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীক প্রার্থী কেএম ওবায়দুল্যা। তিনি ১৬ হাজার ৯৯৮ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হন।

রামগতির চরগজারিয়া খোকন বাহিনীর অত্যাচারে ৩ চরের মানুষ অতিষ্ঠ
রামগতি প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার দুর্গম চরগজারিয়া,বয়ারচর ও চরআব্দুল্লাহ। মেঘনার বুকে জেগে উঠা বিশাল এই তিনটি চরকে ঘিরে গড়ে উঠেছে নানা দস্যুবাহিনী। তার মধ্যে খোকন বাহিনী এখন এক ভয়াবহ আতংকের নাম। রাজনৈতিক সেল্টারেই গড়ে উঠে খোকন বাহিনীর মত এক দানব বাহিনীর শাসন। খোকন ওরফে”আল মামুন” প্রকাশ খোকন ডাকাত। নাম ছোট,বয়সও কম। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন, চরের জমি দখল ও বিক্রিসহ অভিযোগের ফিরিস্তি অনেক লম্বা। চার জেলায় তাঁর অপকর্মের সঙ্গী তিন ভাইসহ প্রায় দুইশ জনের মত। সবার হাতে রয়েছে অবৈধ আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র।তাদের অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই নেমে আসে নির্যাতনের স্টিমরোলার। খোকনের চোখরাঙানিতে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী এলাকাছাড়া। চরের জমি রক্ষায় খোকনকে একসময় মদদ দেওয়ার অভিযোগ ছিল সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, চরআব্দুল্যাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন মন্জু, চরআলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী ও চরআলগী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহেদ আলী মনু সহ রামগতির ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে।বর্তমানে এমপি মামুন ক্ষমতায় না থাকায় খোকন অনেকটা কোনঠাসা হয়ে পড়ে।অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন কোন চোর ডাকাতের সাথে আমার সম্পর্ক নেই।মদদদাতা সাহেদ আলী মনু বলেন,আমি সব সময় খোকনের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ছিলাম।খোকনকে সার্বিক সেল্টার দিয়েছেন সাবেক এমপি মামুন ও চরআলগী ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন লিটন চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে মুলত থানা পুলিশকে ম্যানেজ করেই নিরবে চালাচ্ছে খোকন তার শাসন। সুত্র জানায়, মৌলভীরচর, চরগজারিয়ার মাঝের চর ও তেলিরচর মিলে প্রায় ৫ হাজার কানী খাস জমিকে ঘিরে এই বাহিনীর উত্থান। খোকনের বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রায় ৭/৮ টি মামলা চলমান রয়েছে। গত ২০ জানুয়ারী বুধবার বিকেলে খোকনকে চরজব্বরের ভুইঁয়ারহাট এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।আটকের একদিন পর আবার পরের দিন ২১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন বলে জানযায়।এ পর্যন্ত খোকন বাহিনীর হাতে প্রায় ১১টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । খোকনের পরিবারেই ৩০ জনের মত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। সুত্র জানায়, এইসব চরগুলোতে খোকনের এলাকাভিত্তিক বাহিনী রয়েছে।তার মধ্যে চরগজারিয়ার নেতৃত্বে আজিম ও মতিন মেম্বার। মৌলভীরচরে খোকন-ফখরুল দুই ভাই, কাদির-মেহরাজ-আরজু ওরফে আরজুন্নাহ ও হেলাল।টাংকি বাজারে জমির মেম্বার ও জহির।তেগাছিয়া এলাকায় ফরিদ মেম্বার।আলেকজান্ডারে বাবুল-সোহেল ও মন্জু চেয়ারম্যানের ভাই বাবুল। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন-থানা পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের সাথে সমন্নয়ের দায়িত্বে রয়েছে খোকনের বড় ভাই জমির মেম্বার।তবে এমন অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী করেন জমির মেম্বার।সুত্র জানায়,বাবা ইসমাইল মাঝির চার ছেলের মধ্যে খোকন দ্বিতীয়। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর সুবর্ণচরের ভূঁইয়ারহাটে।কিন্তু কয়েক বছর ধরে খোকন ঘাঁটি পেতেছেন লক্ষীপুরের রামগতি উপজেলার দুর্গম চরগজারিয়া এলাকায়। এখান থেকেই রামগতি,নোয়াখালীর হাতিয়া ও সুবর্ণচর, ভোলার মনপুরা ও তজুমদ্দিন এবং চট্টগ্রামের সনদ্বীপ উপজেলার মেঘনানদী এলাকায় অনেকটা নিরবে চলছে খোকনের ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও অপহরণের রাজত্ব। তার প্রধান আয়ের উৎসহ উপজেলার সবকটি মাছ ঘাট থেকে চাঁদা কালেকশন ও চরের খাস জমি দখল ও বিক্রি করা থেকে।বিশেষ করে রামগতির চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নে ডাকাতি,অপহরণ,চাঁদাবাজি,চরের জমি দখল ও বিক্রি এখন নিয়মিত ঘটনা। এসবই খোকন ও চরআব্দুলার বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন মন্জু ও তাদের দুইশ অনুসারী মিলে করে বলে সূত্র জানায়। খোকন ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে ল²ীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি)সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কয়েকজন ব্যক্তি। বর্তমানে খোকনের এই সব অনৈতিক কর্মকান্ডের সহযোগীতায় রয়েছে চরআব্দুল্লার চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন মন্জু।বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার রামগতি উপজেলা পরিষদের মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থাপিত হয়। এরপর পেরিয়ে গেছে বছরের পর বছর। কিন্তু সুফল মিলছে না কোন কিছুরই।খোকন নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে সবধরনের অপকর্ম।এতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এসব এলাকার হাজারো মানুষ।খোকনের হুমকিতে চরআবদুল্লাহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো.বেল্লাল হোসেনসহ আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী এলাকাছাড়া। সাবেক এই চেয়ারম্যান স্বপরিবারে থাকেন রামগতি উপজেলা সদর আলেকজান্ডারে।অভিযোগ রয়েছে খোকনের নেতৃত্বে এই সব চরে নতুন-নতুন গডফাদার সৃষ্টি করে একটা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাখেন।খোকনের অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে আওয়ামীলীগ-যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া।মেরে পেলার ভয়ে কেউ এই সব চরে যাচ্ছেনা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোকনের অন্তত দুইশ জন অনুসারী রয়েছে।তাদের মধ্যে তার ভাই জমির মাঝি, ফখরুল ইসলাম ফখরা,অনুসারী ওয়াজ উদ্দিন, ফখরুল,মফিজ,আজিম,আবদুর রব মাঝি, ইউছুফ, মিরাজ,সাদ্দাম,রিয়াজ, আবু তাহের, মতিন,আরজু ওরফে আরজুন্নাহ, মনির, মাকসুদ, ছোট রিয়াজ, আবুল খায়ের, ভুট্টু, নাছির,সেলিম, মিজান,জাকের, জসিম, আলমগীর, ইব্রাহিম, হুমায়ুন প্রমুখ। তাদের দিয়েই চাঁদাবাজি, অপহরণ, নারী নির্যাতন, ডাকাতি,জমি দখল ও বিক্রি করা হয়।এদেও প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে।ল²ীপুর,নোয়াখালী ও ভোলার বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কাছে বিপুলসখ্যক দেশীয় অস্ত্র,অত্যাধুনিক ওয়ান শ্যুটার প্রভৃতি আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে প্রায়ই তারা দলবদ্ধভাবে প্রকাশ্যে চরে ও নদীতে মহড়া দেয়।চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রামগতির চরগজারিয়া,তেলিরচর, ঘাষিয়ার চর, দক্ষিণ ঘাষিয়ার চর ও মেঘনার বুকে জেগে ওঠা মাঝের চর,আব্দুল্লারচরে প্রায় এক হাজার একর সরকারি জমি রয়েছে।এসব চরের বেশির ভাগই খোকন ও তাঁর অনুসারীদের দখলে। চরগুলোতে কৃষকদের গরু ও মহিষ অবাধ বিচরণ করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।টাকা নিয়ে এলাকাভিত্তিক ‘ইজারা’দেন খোকন। চরআবদুল্লাহর ২ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ অংশের ১০০ একর জমি ইজারা বাবদ তিন লাখ, দক্ষিণ তেলির চরের ৩০০ একর (প্রতি একর তেরো শ) জমি থেকে তিন লাখ ৯ হাজার, দক্ষিণ ঘাষিয়ার চরের আবদুল মান্নানের কাছ থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন খোকন। চরগজারিয়া ও তেলির চরে কৃষকরা জমি চাষ করতে গেলে সাতটি পাওয়ার টিলার (ট্রাক্টর) থেকে ৭০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করা সহ নানা অপরাধের গডফাদার তিনি।চরআবদুল্লাহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব, ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মিলন বেপারীসহ আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী খোকনের হুমকিতে এলাকাছাড়া।এছাড়া চরগজারিয়া ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামকে হত্যা করেন খোকন বাহিনী। খোকন ও তাঁর লোকজনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিজল, যুবলীগ সভাপতি মিলন বেপারী, ইউপি সদস্য মিল্লাত হোসেন, আবদুল খালেক, আবুল হাসেম, এলাকার আবদুল হান্নান, সুমন হোসেন ও চরগজারিয়া গ্রামের শেখ ফরিদসহ প্রায় দুইশ থেকে আড়াইশ লোক কয়েক বছর ধরে এলাকাছাড়া। এবিষয়ে অভিযুক্ত খোকনের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।তবে তার বড় ভাই জমির মেম্বার এসব অভিযোগ সঠিক নয় দাবী করে বলেন,আমরা ব্যবসা বাণিজ্য করে চলি।এসবের সাথে এখন আমরা জড়িত নই।একটি কুচক্রী মহল আমাদেরকে সামাজিক ও মানষিক হয়রানি করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে জানান তিনি। চরআব্দুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দীন মন্জু বলেন,আমি আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান।কোন চোর ডাকাতের সাথে আমার সম্পর্ক নেই।রামগতি থানার (ওসি) সোলাইমান বলেন, খোকন এখন অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে।রাজনৈতিক মদদের কারণেই খোকন চরে জমি দখল,বিক্রি ও চাঁদাবাজি করেন।চরের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সজাগ রয়েছে। রামগতির ইউএনও আবদুল মোমিন বলেন, চরাঞ্চল ও নদীতে মানুষের নিরাপত্তা জোরদারে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন ধরনের অরাজকতা বরদাস্ত করা হবেনা বলে জানান তিনি। সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন,কোন চোর ডাকাতের সাথে আমার কখনোই সম্পর্ক ছিলোনা।রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে একটি চক্র আমাকে অপরাধীদের মদদ দেওয়ার অপবাদ দিচ্ছে। যা মোটেও সঠিক নয়।
সুধারামে অপহরনের মামলা করায় হুমকিতে বাদীর পরিবার
বদিউজ্জামান তুহিন, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সহোদর সহ ৭জনের নামে অপহরনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।প্রভাবশালী আসামিদের হুমকি, তদন্তের কালক্ষেপনে হয়রানি হওয়ার কারনে ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশংকা করেছেন ভুক্তভোগির মা আলেয়া বেগম। মামলা সূত্রে জানা যায়, ৫ মে ২০১৯ সালে বাদীর ছেলে মো:বোরহান উদ্দিন কে অপহরণ করার অভিযোগে থানায় ৭জনের নামে লিখিত অভিযোগ করলেও আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বাদ দিয়ে থানা কতৃপক্ষ অপহরন মামলা না নিয়ে ৩ জনের নামে নিয়মিত মামলা গ্রহণ করে। তাই পরবর্তীতে ৬ মে ২০১৯ সালে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালতে অজ্ঞাত ২-৩ সহ ৭জনের নাম উল্লেখ করে আলেয়া বেগম পিটিশান মামলায় নং ২৭৯/১৯ ইং রুজু করেন। আসামিরা হলো- মহতাপুরের মহিউদ্দিনের পুত্র রুবেল (২৩), ব্রহ্মপুরের আবু তাহের পুত্র বেনু (৩৫), আহম্মদের পুত্র খালেক (৬০), দক্ষিণ মহতাপুরের জালাল আহম্মদের পুত্র মহিউদ্দিন (৩৮), দক্ষিণ নারায়নপুরের আনোয়ার হকেরপুত্র শাহ আলম (৫৫), গরীপুরের নুরুল আমিন (৫০), ব্রহ্মপুরের কালা মিয়ার পুত্র ও ইউপি চেয়ারম্যানের সহোদর নান্নুসহ অজ্ঞাতরা।মামলা হওয়ায় ভিকটিম মো: বোরহান উদ্দিন কে উদ্ধার সহ সালা উদ্দিন নামে অপহরন কারী চক্রের এক সদস্য কে আটক করে আদালতের ম্যাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে এবং ভিকটিমের ১৬৪ ধারায় জবান রেকর্ড করা হয়। আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে অপরাপর আসামিরা সহ মামলার বাদীর পরিবার কে হত্যার হুমকি, নারী সদস্যদের ধর্ষণের হুমকি, ভিকটিম বোরহান উদ্দিন কে যেখানে পাইবে বিভিন্ন মাদক ও অস্র দিয়ে পাশানোর হুমকি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ সুপার বরাবর গত ২০.০৮.১৯ ও ২৫.০৯.১৯ লিখিত ভাবে জানায় বাদী আলেয়া বেগম। মামলার বাদি কান্নাজনিত কন্ঠে অভিযোগে করে বলে ঘটনার সময়ে আমার ছেলের দোকান ও আমার বসতঘরে হামলা ভাংচুর করে আসামিরা। আমরা গরীব লোক কিন্তু আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং তদন্ত কর্মকর্তার সাথে তাদের সক্ষতা থাকায় তদন্ত প্রতিবেদনে কালক্ষেপন করছেন। ফলে আমরা হয়রানি হচ্ছি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র পাল (পু:পরি:নি:) কে মুঠোফোন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের সকল অভিযোগ মিথ্যা। আমি সরে জমিনে গিয়েছি, আসামিদের সাথে আমার কোন সক্ষতা নেই। আমি কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেব।
নোয়াখালী সুবর্ণচরে পিকআপ চাপায় মনোয়ারা বেগমের মৃত্যু, আহত-২
মোহাম্মদ ছানা উল্যাহ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আট কপালিয়া এলাকায় মালবাহী পিকআপ ভ্যান চাপায় মনোয়ারা বেগম (৪৫) নামের এক অটোরিকশার যাত্রী নিহত হয়েছেন। ঘটনায় নিহতের ছেলে সালা উদ্দিন (২৫) ও অটোরিকশা চালক ইসমাইল হোসেন (৩২) আহত হয়েছেন। রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সাইফ মার্কেট এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত মনোয়ারা বেগম চরজব্বার গ্রামের নূরুল হকের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকালে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে বাড়ী থেকে আট কপালিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন মনোয়ার বেগম ও তার ছেলে। পথে অটোরিকশাটি সাইফ মার্কেট এলাকায় পৌঁছলে সোনাপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি পিকআপ ভ্যান অটোরিকশাটিকে পিছন থেকে চাপা দেয়। এতে রিকশাটি ধুমড়েমুছড়ে গিয়ে মনোয়ারা, সালা উদ্দিন ও ইসমাইল হোসেন আহত হন। উপস্থিত লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মনোয়ারা বেগমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে স্থানীয় লোকজন পিকআপ গাড়ীটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছে। চরজব্বার থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাহেনা বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম কে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আবু তাহের বতি মিয়ার স্বরনে মিলাদ মাহফিল
স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: ৩০ জানুয়ারী শনিবার আবু তাহের বতি মিয়ার স্বরনে মিলাদ মাহফিল ও দিনভর ১ হাজার ৫শ কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান ভূড়িভোজে অংশ গ্রহন করেন। নোয়াখালী সদর উপজেলার ১০নং অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্বনুরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও বাংলাদেশে নরওয়ে দূতাবাসের অবসরপ্রাপ্ত স্টাফ আবু তাহের চৌধুরী (৭০) করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ২৫ জানুয়ারী সোমবার সকালে ঢাকার মুগদা জেনারেল হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে রেখে গেছেন। ২৫ জানুয়ারী সোমবার রাত ৮ টার সময় নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তাঁর মেঝো ছেলে আসাদুজ্জামান কাজল ডিবিসি টেলিভিশনের নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত রয়েছেন।
রামগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনী সহিংসতায় ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি, ৩জন গুলিবিদ্ধসহ আহত-৩০
রিয়াজ মাহমুদ বিনু, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: লক্ষীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনী সহিংসতায় ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে পশ্চিম কাজিরখিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন চলাকালিন সময় প্রতিদ্বন্ধি কাউন্সিলর প্রতিকের ২জন কাউন্সিলর প্রার্থীর কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়। পরে পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, র্যাব ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। ঘটনার সময় আধঘন্টা যাবত ভোট গ্রহন স্থগিত থাকলেও থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে আবারো ভোট গ্রহন শুরু হয়। পুলিশ জানান,দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের নির্বৃত্ত করতে পুলিশ ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েছেন তারা। স্থানীয়রা জানায়, পৌর ৬নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে জালভোট দেয়া কে কেন্দ্র করে উটপাখি প্রতিকের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী পাঞ্জাবী প্রতিকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ আকন্দের সমর্থকদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। ওসময় একদল দুর্বত্ত দর দও করে পশ্চিম কাজির খিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এসে অতর্কিত হামলা চালায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীদের এলাপাতাড়ি গুলি ও মারধরে এতে আলমগী,কামাল হোসেন,জামসেদসহ ৩জন ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়।এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। এছাড়াও সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে কেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে খবর পেয়ে চট্রগ্রম পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিপিএিম (বার), পিপিএম এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, র্যাব ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকাগুলি ও এলোপাতাড়ি লাঠি চার্জ করে হামলাকারীদের চত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। তবে কেন্দ্রের কোন কিছু খোয়া যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবী। অপরদিকে পৃথক ঘটনায় টামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০/৩০টি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে সেখানে কাউন্সিলর প্রার্থী গাজর প্রতিকের মামুন ভূঁইয়া কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ ও পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি লাঠি পেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেখান থেকে প্রশাসন দুইজনকে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সোনাপুর সরকারী প্রার্থী বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ৪জনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিপিএম(বার) পিপিএম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার কথা জানান। পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিপিএম(বার) পিপিএম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার কথা জানান।
নোয়াখালীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশে যা বললেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
নজির উল্যাহ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: বৃহত্তর নোয়াখালীর রাজনীতিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষীপুর জেলার সড়ক বিভাগের তিনটি প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নোয়াখালীর নেতাকর্মীদের সততার পতাকা হাতে নিয়ে সুনামে ফিরে আসতে হবে। বৃহত্তর নোয়াখালীর রাজনীতিকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের হুশিয়ার করে দিয়ে তিনি বলেন, দল করলে দলের নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপী উন্নয়নের যে মহাযজ্ঞ চলছে, তার নেতৃত্বে সমৃদ্ধ আগামী নির্মাণের যে পথচলা, তা এগিয়ে নিতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। নিজ নিজ অবস্থান থেকে সততা, কর্মনিষ্ঠা এবং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দশটি উন্নয়ন কাজ ম্লান হয়ে যায় একটা খারাপ কাজের জন্য। কাজেই কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। যে অপরাধ করবে তার বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নমিনেশনের জন্য দলকে ক্ষতি না করার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি শতভাগ আস্থা রাখতে হবে।