কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেট ৩ মাসে ১৯ মামলা, ১৫টি বন্ডেড পণ্য, ৮ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

227 Views

কুমিল্লা প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: শুল্ককর ফাঁকি ও চোরাচালান রোধে কাজ করছে কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেট। মহাসড়কে চলছে সাঁড়াশি অভিযান। গত তিনমাসে মহাসড়ক থেকে ১৯টি কার্ভাড ভ্যান ও ট্রাক আটক করে মামলা করা হয়েছে। আটক করা পণ্যের মধ্যে ১৫টি গাড়ির চালানে বন্ড সুবিধার (কাপড় ও এলডিপিই দানা) অপব্যবহার করা পণ্য। এছাড়া রয়েছে শিশুদের জন্য ক্ষতিকর গুড়ো দুধ, ভারতীয় চা পাতা, শাড়ি ও থ্রি পিস। শুল্ককর ফাঁকির অভিযোগে ইতোমধ্যে ৪টি কার্ভাড ভ্যানে আটটি মামলায় ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনারেটের সহকারী কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিপন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, মূলত চোরাচালান ও শুল্ককর ফাঁকি নিরুৎসাহিত করার  লক্ষ্যে এ বড় ধরনের জরিমানা আরোপ করা হয়। গত তিন মাসে ১৯টি কাভার্ড ভ্যান ও ট্রাক আটক করে মামলা করেছে কুমিল্লা কাস্টমস প্রিভেনটিভ টিম। আইন ভঙ্গের আনীত অভিযোগ স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কমিশনার বরাবর সংক্ষিপ্ত বিচারের মাধ্যমে ন্যায় নির্ণয়নের আবেদন করলে ৮টি মামলায় ২৫ লাখ ৫০ হাজার জরিমানা আরোপ করেন। প্রতিষ্ঠানগুলো জরিমানা ও শুল্ক করের টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে ট্রাকগুলো খালাস নিয়েছে। তিনি বলেন, দিনরাত পরিশ্রম ও সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে অবৈধভাবে পণ্য পাচার রুখে দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী সাফল্য দেখিয়েছে কুমিল্লা কমিশনারেট। চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যাপক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বড় ধরনের জরিমানার সম্মুখীন চারটি প্রতিষ্ঠান হলো-৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বিশ্বরোড জাগরজলী এলাকা থেকে শাহে মদিনা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির একটি কার্ভাড ভ্যান আটক করা হয়। যাতে ৫০০ ব্যাগে ১২ হাজার ৫০০ কেজি এলডিপিই দানা পাওয়া যায়, যার মূল্য ১০ লাখ ৮৩ হাজার ২১৯ টাকা। বন্ডেড এসব পণ্যের মালিক রাজধানীর চকবাজারের শেখ তাসিনা করপোরেশন। প্রতিষ্ঠান সাত লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৯ অক্টোবর ঝাগুরঝুলি থেকে তিন হাজার ৮৬৪ কেজি ডুপ্লেক্স বোর্ড বোঝাই সুরমা সর্বর কার্গো সার্ভিসের কার্ভাড ভ্যান আটক করা হয়। পণ্যের মূল্য ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮২ টাকা, পণ্যের মালিক নয়াবাজারের সাদিক এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।বড় ধরনের জরিমানার সম্মুখীন চারটি প্রতিষ্ঠান হলো-৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা বিশ্বরোড জাগরজলী এলাকা থেকে শাহে মদিনা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির একটি কার্ভাড ভ্যান আটক করা হয়। যাতে ৫০০ ব্যাগে ১২ হাজার ৫০০ কেজি এলডিপিই দানা পাওয়া যায়, যার মূল্য ১০ লাখ ৮৩ হাজার ২১৯ টাকা।

বন্ডেড এসব পণ্যের মালিক রাজধানীর চকবাজারের শেখ তাসিনা করপোরেশন। প্রতিষ্ঠান সাত লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৯ অক্টোবর ঝাগুরঝুলি থেকে তিন হাজার ৮৬৪ কেজি ডুপ্লেক্স বোর্ড বোঝাই সুরমা সর্বর কার্গো সার্ভিসের কার্ভাড ভ্যান আটক করা হয়। পণ্যের মূল্য ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৮২ টাকা, পণ্যের মালিক নয়াবাজারের সাদিক এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।আরও চারটি প্রতিষ্ঠান হলো-২৪ জুলাই পদুয়ার বাজার থেকে চার হাজার ৬২৬ কেজি ফেব্রিক্স বোঝাই নিউ সেবা ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির কার্ভাড ভ্যান আটক করা হয়। পণ্যের মালিক চট্টগ্রামের এস কে ট্রেডার্স, প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৩ আগস্ট কোর্টবাড়ী থেকে ১২ হাজার ৫০০ কেজি ননী বিহীন গুড়ো দুধ বোঝাই কার্ভাড ভ্যান আটক করা হয়। পণ্যের মালিক চট্টগ্রামের দেশি কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।১০ নভেম্বর পদুয়ার বাজার থেকে তিন হাজার ২২ কেজি ফেব্রিক্স বোঝাই সজিব পরিবহন সংস্থার কার্ভাড ভ্যান আটক করা হয়। পণ্যের মালিক সাভারের আল মাসুম গ্রুপের এ কে এম ওয়্যার লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১০ নভেম্বর পদুয়ার বাজার থেকে দুই হাজার ২৫ কেজি ফেব্রিক্স বোঝাই রাফা ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের কার্ভাড ভ্যান আটক করা হয়। পণ্যের মালিক সাভারের এ জে সুপার গার্মেন্টস। প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।এ বিষয়ে কুমিল্লা ভ্যাট কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, চৌকষ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করে যথাস্থানে পদায়ন, গোপন সংবাদদাতা নিয়োজিতকরণের পাশাপাশি বহুমাত্রিক সময়োপযোগী উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়ক দিয়ে চোরাচালান প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে। চোরাচালানিরা নানাভাবে চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছে। এ বিষয়ে সাধারণ ব্যবসায়ী ও অংশীজন সন্তোষ প্রকাশ করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এনবিআর চেয়ারম্যান চোরাচালান ও রাজস্ব ফাঁকির বিরদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কুমিল্লা কমিশনারেট, সদর দপ্তর থেকে সার্বক্ষণিক তদারকি নিশ্চিতকল্পে চারটি প্রিভেন্টিভ টিম গঠন করা হয়।তিনি বলেন, এনবিআরের নির্দেশনা মোতাবেক গোপন সংবাদদাতা নিয়োজিত করে  কুমিল্লা কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। দিন-রাত প্রহরা ও গোপন সংবাদের আলোকে রাস্তায় ও বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি অবৈধ পণ্য আটক অভিযান পরিচালিত হয়। ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আনসার, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতা নেয়া হয়।কমিশনার বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাফল্য আসে। আমাদের টিমওয়ার্ক গঠন করার মত চৌকষ কর্মকর্তাদের বাছাই করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করে প্রিভেন্টিভ অভিযানে নিয়োজিত করা হয়। সৎ, দেশপ্রেমিক এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীরা কুমিল্লা কাস্টমসের উল্লিখিত কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন গুটিকয়েক চোরকারবারির জন্য ব্যবসায়ী সমাজের সুনাম ক্ষুণ্ন হোক এটা চায় না। চোরাচালানের সাথে সংশ্লিষ্ট এরূপ অবৈধ পরিবহন ব্যবসায়ীদের তথ্য সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তিনি বলেন, বন্ড সুবিধার অপব্যবহার এবং চোরাচালানের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে অবাধে পণ্য প্রবেশ করলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারায় অন্যদিকে তেমন দেশিয় পণ্য অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়, যা জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিপন্থী। এছাড়া নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রাখার ফলে  কুমিল্লা কমিশনারেটের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পেয়েছে।  কুমিল্লা কাস্টমস রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে।অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল হাকিম বলেন, বৈশ্বিক পরিমন্ডলে বিভিন্ন দেশের কাস্টমস বিভাগ কর্তৃক অনুসুত উত্তম চর্চার ন্যায়  কুমিল্লা কাস্টমসও সীমান্তের লিড এজেন্সি হিসেবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উদ্যমী, প্রজ্ঞাবান এবং মেধাবী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে প্রশিক্ষণ প্রদান করত তাঁদের যথাস্থানে পদায়ন করার ক্ষেত্রে কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত নির্দেশনা অনুপুঙ্খ অনুসরণ করা হচ্ছে। কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্যের জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়মিতভাবে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। এতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ এবং কর্মচঞ্চলতা  লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে। অবৈধ চোরাচালান মূলোৎপাঠনের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব সুরক্ষার পাশাপাশি দেশিয় শিল্পের জন্য সুসম প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি সম্ভব হবে, যা ব্যবসায় বান্ধব পরিবেশ সৃজনের অন্যতম পূর্বশর্ত।

নোয়াখালী বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমিতি’র সভাপতির অকাল মৃত্যুতে আদালত পাড়ায় শোকের ছায়া

264 Views

নাসির উদ্দিন বাদল, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালী আইনজীবী সমিতি’র সাবেক সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু আইনজীবী সমিতি’র সভাপতি এডভেঞ্চারাস মোঃ নাজমুল হকের মৃত্য। জেলা  আদালত পাড়ায় শোকের ছায়া।নোয়াখালীর সরকারী উকিল ( জিপি) এডভোকেট আবদুল মান্নান জানান, জেলা আইনজীবী সমিতি’র ৫ বারের নির্বাচিত সভাপতি, ২ বারের সেক্রেটারি ও জেলা বঙ্গবন্ধু  আইনজীবী সমিতি’র সভাপতি এডভোকেট নাজমুল হক রবিবার সকাল সাড়ে দশটায় বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ঢাকা সিএম এইচ এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন ( ইন্না…… রাজেউন)  মৃত্য কালে তার বয়স হয়েছেন ৭১ বছর।তিনি স্রী ও ৫ পুএ রেখে গেছেন।সোমবার সকাল ৯ টায় জেলা জজ আদালত জামে মসজিদের সামনে ও ১০ টায় মাইজদী কোর্ট ষ্টেশান সংলগ্ন তাঁর বাসভনের সামনে ২ য় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। তাঁর  মৃত্যতে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী ৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী ৩ আসনের সাংসদ মামুনুর রশীদ কিরন, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি – বাসাস মহা সচিব মনিরুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদুল্লা খান সোহেল, আইনজীবী সমিতি’র সভাপতি এডভোকেট মোল্লা হাবিবুর রসুল মামুন, সেক্রেটারি আবদুল গোফরান গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

বেগমগঞ্জের নরোত্তমপুর ইউপি আ’লীগের কনভেনিং কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথি: এমপি কিরন

255 Views

মোঃ ইউনুছ শিকদার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি ঘোষণা ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত। রবিবার বিকালে অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অনুষ্ঠানে নব আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বাচ্চুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের এমপি আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শফিউল আজম পিন্টু, বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড শরিফুল ইসলাম, শামছু ইসলাম সামছু, সেচ্চাসেবক লীগের নেতা ও নোয়াখালী জেলা পরিষদের সদস্য জাহির প্রমূখ।প্রধান অতিথি তার বক্ত্যবে বলেন, সবাইকে কোন্দল ও হিংসাত্মক মনোভাব না রেখে সকলকে একসাথে সাধারণ মানুষের পাশে কাজ করার আহবান জানান এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে উক্ত ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ পূর্ণ কমিটির করার আহবান জানান। এসময় আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যকে প্রধান অতিথি ফুল দিয়ে বরন করে নেন। পরিচিতি সভায় নুরুল হুদা মোল্লার পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুবলীগের জাফর হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি খালেদ হোসেন শোভনসহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ অংগ সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।

হাতিয়ায় দ্বীপবন্ধু মোহাম্মদ আলী কলেজের নির্মাণ কাজের ভীত পাথর উদ্ভোধন

337 Views

হাতিয়া প্রতিনিধি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম:  হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দ্বীপবন্ধু মোহাম্মদ আলীর অর্থায়নে আজ জুমার নামাজ শেষে মোহাম্মদ আলী কলেজ এর অবকাঠামো নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়ার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আলী বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সালাউদ্দিন সাহেব।বক্তব্য রাখেন হাতিয়া ডিগ্রী কলেজ এবং মহিলা কলেজ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এনামুল হক , বঙ্গবন্ধু হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক কেফায়েত উল্লাহ প্রমুখ।  অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আখতার হোসাইন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ১ নং হরনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম তসলিম, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য ইসমাইল হোসেন, যুবলীগ সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহেদ, ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ রাশেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বেলায়েত হোসেন শাহরাজ সাধারণ সম্পাদক জামশেদুল ইসলাম টুটুল, ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি মোঃ লিটন, প্রশাসনিক কমিটির সদস্য ইমামুল হাসান জসিম, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা সাখাওয়াত হোসেন , চানন্দী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মিলন মাস্টার, সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের জনসাধারণ। বক্তারা কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়ায়,হাতিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেতা  মোহাম্মদ আলী সাহেবকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

 

গ্রামীণ সাংবাদিকতায় জাহিদুর রহমান ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় ইউসুফ আরেফিনের প্রেস কাউন্সিল পদক লাভ

195 Views

মোহাম্মদ ছানাহ উল্যাহ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নিউজ রিপোর্টিংয়ে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল পদক-২০২০’ পেলেন সুবর্ণচরের কৃতি সন্তান ইউসুফ আরেফিন ও জাহিদুর রহমান। দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুর রহমান গ্রামীণ সাংবাদিকতায় এবং দৈনিক আমাদের সময়ের স্টাফ রিপোর্ট ইউসুফ আরেফিন উন্নয়ন সাংবাদিকতায় এই পদক পেলেন। প্রতিবছর মহামান্য রাষ্ট্র্রপতি বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন। এবার করোনার কারণে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে তথ্য প্রতিমন্ত্রী, হাইকোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন। শনিবার সকাল ১১টায় তথ্য ভবনে দেওয়া হবে পদক। সাংবাদিকতায় রাষ্ট্রীয় অভিভাবক প্রতিষ্ঠান পিআইবি কর্তৃক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হওয়ায় নোয়াখালীর সাংবাদিক সমাজ আনন্দিত ও গর্বিত ।

যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিটির অন্তঃপ্রাণ বেগমগঞ্জের একলাশপুরের আব্দুল খালেক খায়ের না ফেরার দেশে

277 Views

ড. শহিদ উদ্দিন মাহমুদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম:  প্রয়াত হয়েছেন মাত্র ক’দিন হলো। অথচ; মানুষের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা মুখে মুখে ফিরছে শুধু কর্মনিষ্ঠার কারণে। তিনি বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক খায়ের। যুক্তরাষ্ট্রেরে তথা নিউইয়র্কের সববয়সী প্রবাসীদের কাছে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘খায়ের ভাই’ নামেই। মানুষ ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নয়, কিন্তু নিজের সাধ্যদিয়ে সমাজের জন্য, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারার চেষ্টায় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন তিনি। ছিলেন দায়িত্বের প্রতিও অবিচল। একাধারে প্রবাসে কমিউনিটির পাশে এবং ধর্মীয় কর্মকান্ডেও সমানতালে সক্রিয় থাকার বিষয়টিও স্মরণ করছেন সবাই কমিউনিটির আড্ডা এবং সভাগুলোতেও। গত ১৩ নভেম্বর বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইনক্ এর উপদেষ্টা পরিষদ ও ট্রাস্টি বোর্ডের সভায় মরহুম আব্দুল খালেক খায়েরের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।  সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন উপস্থিত সবাই। একসাথে দীর্ঘদিন নিউইয়র্কে কমিউনিটির কল্যাণে কাজ করেছেন এমন সহযোদ্ধাদের কন্ঠে ধ্বনিত হয়েছে নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সংগঠনগুলোকে এগিয়ে নেওয়ার কথা। কমিউনিটির প্রয়োজনে সববয়সীদের সাথে কাজ করেছেন নিরলসভাবে। প্রবাসে নোয়াখালীর সাথে আলাপচারিতায় তাঁদের কেউ কেউ বলেছেন সেইকথা- ১৯৯৩ সাল, নিউইয়র্কে নিজ এলাকার মানুষদের নানা সংকটে-সহযোগীতায় একতাবদ্ধ হয়ে চলার নিরিখে গঠিত হয়েছিলো বেগমগঞ্জ সোসাইটি ইউএসএ ইনক্। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন মরহুম আব্দুল খালেক খায়ের। তাঁর সহযোদ্ধা হিসাবে সেক্রেটারির দায়িত্ব পালনকারী, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটি ইউএসএ ইনক্ এর সাবেক সেক্রেটারি কমিউিনিটির আরেক প্রিয়মুখ তাজু মিয়া’র মতে- খায়ের ভাই ছিলেন মিশুক প্রকৃতির মানুষ। যখন যে সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন সেই সংগঠনকে এগিয়ে নিতে অবদান রেখেছেন। বেগমগঞ্জ সোসাইটি প্রতিষ্ঠায় তিনি অন্যতম মূখ্যভূমিকা রেখেছিলেন বিদেশের মাটিতে বসবাসকারী এলাকার মানুষকে একটি ছাতার নিচে রাখা বাসনা থেকেই। উপজেলা পর্যায়ের একটি আঞ্চলিক সংগঠনের যাত্রা শুরু এবং নানা সংকটে ধৈর্য্যসহকারে প্রবাসীদের পাশে থাকার মতো দূরূহ কাজে তিনি ছিলেন সাবলিল। বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন কমিশনারদের অন্যতম নোয়াখালী সোসাইটির ট্রাস্টি খোকন মোশারফ’র মতে দায়িত্বশীল সংগঠক হিসাবে “খায়ের ভাই” ছিলেন অতুলনীয়। একই সাথে সংগঠন পরিচালনায় আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহতায়ও তিনি নজীর স্থাপন করেছিলেন। মরহুম আব্দুল খালেক খায়ের সম্পর্কে দীর্ঘ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি জানালেন এমন অভিব্যক্তির কথা। দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অচলাবস্থা কাটিয়ে ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ সোসাইটি ইউএসএ ইনক’র পুনর্গঠনেও এগিয়ে আসেন। খায়ের ভাই এবং তাজু ভাই (তাজু মিয়া) দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তাঁদের কাছে জমাকৃত ১৭ হাজার ডলার ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ সোসাইটির তখনকার আহবায়ক কমিটির কাছে হস্তান্তর করেন উনারা। তরুন কমিউনিটি এক্টিভিস্ট ও বাংলাদেশ ক্লাব ইউএসএ’র সভাপতি নুরুল আমিন বাবু আর মরহুম আব্দুল খালেক খায়ের একই গ্রামের বাসিন্দা। দুই প্রজন্মের দুইজন কমিউনিটি এক্টিভিস্ট। কিন্তু ছোটদের মতামতকেও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিতেন এবং এলাকার মানুষ হিসাবে নয় একজন বাংলাদেশী হিসাবেই প্রবাসীদের নিয়ে তিনি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন খায়ের ভাই। এমন মন্তব্য নুরুল আমিন বাবুর।  বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সিদ্দিকীর মতে- ‘খায়ের ভাই’ কখনো বয়সের তারতম্য দেখতেন না। সোসাইটিতে সবার মতামতকেই তিনি শ্রদ্ধা করতেন। সবার কাছেও তাঁর কথার গ্রহণযোগ্যতা ছিলো। তাঁর কাছ থেকে নিরীহ মানুষ উপকৃত হতো। কোন ব্যাক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানে দান অনুদানের জন্য মুক্তহস্ত ছিলেন। এলমহার্স্টে তাঁর কমিউনিটির মসজিদের জন্য যখন বাড়ি খোঁজা হচ্ছিলো তখন তিনি কোন ধরণের আর্থিক লাভ না নিয়েই নিজের ছেলের নামে কেনা বাড়ি ক্রয়মূল্যে মসজিদকে দিয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সাংগঠনিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বেলায় যে কোন প্রয়োজনে তিনি পিছপা হতেন না। করোনার ভয়াবহ আঘাতে বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি কামাল আহম্মেদ ও সদস্য আজাদ বাকের ভাইকে হারানোর পর খায়ের ভাই শূণ্যতা পূরণে এগিয়ে আসতেন। তাঁর মৃত্যুর মধ্যদিয়ে কমিউনিটিতে একজন মুরুব্বীকে হারালো। বৃহত্তর নোয়াখালী ইউএ ইনক্ এর সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান (মানিক) জানালেন- খায়ের ভাই ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সোসাইটিতে সহসভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সেখানে তিনি নোয়াখালীবাসীর ঠিকানায় পরিণত হন। এর আগেও বাংলাদেশ সোসাইটিতে নোয়াখালীর বাসিন্দাদের অনেকে দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু খায়ের ভাই ব্যাতিক্রম ছিলেন। পদ নয় প্রবাসীদের কল্যাণ ছিলো তাঁর ধ্যানজ্ঞান। বাংলাদেশ সোসাইটির থেমে থাকা নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য সবাই চাপাচাপি করলেও তিনি রাজি হননি। আমরা সমসাময়িক সময়ে আমেরিকায় এসেছিলাম। কমিউনিটির বিভিন্ন প্রয়োজনে একসাথে কাজ করতে গিয়ে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সর্বশেষ বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির ভোটার নিববন্ধনের শেষ দিনে রাত ১টা পর্যন্ত তিনি সোসাইটি অফিসে কাটিয়েছেন সবার সাথে।নিউইয়র্কে প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটিতে সক্রিয় রয়েছেন এমন সববয়সীদের কাছে মরহুম আব্দুল খালেক খায়ের একজন বন্ধুবৎসল মানুষ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। প্রবাসে নোয়াখালীর সাথে আলাপচারিতায় তাঁর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা কমিউনিটি এক্টিভিস্টর জানিয়েছেন এমন কথাই। আল্লাহ যেনো তাঁকে জান্নাতবাসী করেন সেই কামনাও করেন সহযোদ্ধারা। প্রসঙ্গত ঃ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মরহুম আব্দুল খালেক খায়েরে। সোনালী ভবিষ্যৎ গড়তে আশির দশকে আসেন যুক্তরাষ্ট্রে। নিজ এলাকার প্রবাসীদের কল্যাণে আঞ্চলিক সংগঠন গড়ে তোলার অগ্রপথিক ছিলেন তিনি। বৃহত্তর বেগমগঞ্জ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন, বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে তিনি প্রবাসীদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি ইউএএস’র সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। পরদিন মঙ্গলবার বিকালে লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়ালে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়।

৩ স্ত্রী, ১ প্রেমিকার মালিক হয়ে বিশ্বের অন্যতম ধনী এলন মাস্কের ব্যক্তিগত জীবন যেন সিনেমার গল্প

156 Views

সৈয়দ শহীদুল ইসলাম রায়হান, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: টেসলা কর্ণধার এলন মাস্ক। সম্পদের নিরিখে ‘মাইক্রোসফ্ট’ সংস্থার কর্ণধার বিল গেটসকে টপকে সম্প্রতি বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় দু’নম্বরে জায়গা পাকা করে নিয়েছেন তিনি।ফি বছর বিশ্বের কোটিপতিদের তালিকা তৈরি করে যারা সেই ‘ব্লুমবার্গ বিলিওনেয়ার ইনডেক্স’ সম্প্রতি এই খবর দিয়েছে। চলতি বছরে বিশ্বের ৫০০ জন কোটিপতির মধ্যে দু’নম্বরে চলে এসেছেন তিনি।বছরের শুরুতে তিনি ছিলেন তালিকার ৩৫ নম্বরে। ২ নম্বরে উঠে আসতে তাঁকে সাহায্য করেছে সংস্থার উত্তরোত্তর ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারের দাম।হু হু করে টেসলা মোটরের শেয়ারের দাম চড়ে যাওয়ায় এলনের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। একটু পিছিয়ে পড়ে গেটসের সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭৭০ কোটি ডলারে।এলনের জন্ম ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। বাবা ছিলেন এক জন বড় মাপের ইঞ্জিনিয়র। মা ছিলেন এক জন জনপ্রিয় কানাডিয়ান মডেল। আজ যে খ্যাতি, যে প্রতিপত্তি এলনের, তার ভিত পোঁতা ছিল তাঁর শৈশবেইছোট থেকেই এলন নিত্যনতুন জিনিস আবিষ্কারের কথা ভাবতেন। নানা কিছু দিয়ে পরীক্ষাও করতেন সব সময়। তাঁর কল্পনার মাত্রা ছিল বাঁধনছাড়া। সব সময় এতটাই কল্পনাতে বুঁদ হয়ে থাকতেন যে কারও ডাকে সাড়াও দিতেন না।এক বার তাঁকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যেতে হয়েছিল সে জন্য। অন্য শিশুদের মতো তাঁর স্বাভাবিক আচরণ না থাকার জন্য চিকিৎসক তাঁর ব্রেন থেরাপির পরামর্শও দেন।

পরীক্ষা করিয়ে নিতে বলেছিলেন তাঁর শ্রবণ শক্তিরও।এলন যখন মাত্র ১০ বছরের, তাঁর মা-বাবার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সে নিয়ে এতটুকু মাথাব্যথা ছিল না তাঁর। বরং তখন তাঁর মধ্যে কম্পিউটার নিয়ে অনেক বেশি কৌতূহল ছিল।ওই ১০ বছরেই শিখে ফেলেছিলেন প্রোগ্রামিং। তার দু’বছরের মধ্যে নিজের তৈরি সফটওয়্যার গেম ‘ব্লাস্টার’ বিক্রি করেছিলেন। এটাই ছিল তাঁর জীবনের প্রথম উপার্জন।কল্পনাপ্রবণ হওয়ায় স্কুলে তাঁর খুব একটা বন্ধু ছিল না। বেশির ভাগ সময় বই নিয়েই থাকতেন তিনি। তবে পরে অবশ্য কারাটে এবং কুস্তি শিখেছিলেন।১৯৮৯ সালে উচ্চশিক্ষার জন্য এলন কানাডায় চলে যান। ওই বছরই তিনি কানাডার নাগরিকত্ব পান।পরে ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি করার জন্য। কিন্তু সেই পড়াশোনা মাঝপথেই থামিয়ে দেন।মাত্র দু’দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তার পরই নিজের প্রথম সফটওয়্যার কোম্পানি ‘জিপ ২’ খোলেন। সেটা ছিল ১৯৯৫ সাল। ‘জিপ ২’ ছিল অনলাইন সিটি গাইড কোম্পানি। এখানেই থেমে থাকেননি। ১৯৯৯ সালে অনলাইন ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস কোম্পানি ‘পেপল’ গড়ে তোলেন।তাঁর তৃতীয় কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’। ২০০২ সালে এই কোম্পানি গড়ে তোলেন তিনি। তার ৬ বছরের মধ্যেই নাসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাতে শুরু করে তাঁর সংস্থা। ২০০৪ সালে তিনি টেসলা মোটরের সিইও হন।৩ স্ত্রী এবং এক প্রেমিকার থেকে মোট ৭ সন্তানের বাবা হয়েছেন এলন। তার মধ্যে স্পেসএক্স কর্ণধার নিজের এক ছেলের নাম রেখেছেন X AE A-12 মাস্ক।নাম নিয়ে নেটদুনিয়ায় রসিকতাও হচ্ছে প্রচুর। কেউ বলছেন, ‘এ তো নাম নয়, পাসওয়ার্ড!’ এটা সত্যিকারের নাম না ‘কোডনেম’? তবে এ নাম উচ্চারণ করতে গিয়ে যে দাঁত ভেঙে যাওয়ার জোগাড় হবে— সে ব্যাপারে একমত নেটাগরিকরা।৩ স্ত্রীয়ের সঙ্গেই বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে এলনের। তৃতীয় স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় ২০১৬ সালে। তার পর থেকে প্রেমিকা গ্রিমসের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। X AE A-12 মাস্ক প্রেমিকা গ্রিমসেরই ছেলে।

রোহিঙ্গা ইস্যু: আঞ্চলিক পরাশক্তির খেলা হলেও আগামী সপ্তাহ থেকে হাতিয়ার ভাসানচরে আসতে শুরু করবে তারা

208 Views

খাঁন মাহমুদ, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য খুব বিপজ্জনক। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রয়োজনে রোহিঙ্গা শরণার্থী দ্রুত প্রত্যাবাসন অত্যন্ত জরুরি। আর সেই প্রত্যাবাসনে ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র অস্থিতিশীল হবার চরম ঝুঁকিতে পড়বে। আঞ্চলিক রাজনীতিতে রোহিঙ্গা ইস্যু শুধুমাত্র কোনো ‘মানবিক’ এবং ‘ত্রাণে’র ইস্যু নয় বরং আঞ্চলিক পরাশক্তির ‘খেলা’। আঞ্চলিক পরাশক্তির খেলার শিকার হয়ে অনেক রাষ্ট্র ‘বিরান ভূমি’ হয়ে গেছে। আমাদের ‘আত্মরক্ষা’র কৌশল বিবেচনায় নিয়েই আমাদের রাজনীতি নির্ধারণ করতে হবে।সুতরাং আন্তর্জাতিক মতৈক্যের ভিত্তিতে বিশ্বশক্তি এবং চীন ভারতকে সম্পৃক্ত করে দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ‘রোডম্যাপ’ গ্রহণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ ?গ্রহণ করতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ  আঞ্চলিক  রাজনীতিতে ‘নিঃসঙ্গ’ ও  ‘বন্ধুহীন’ হয়ে পড়েছে। যে মিয়ানমার গণহত্যা, মানবাধিকার লংঘন, মুসলিম ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিধনের ভয়ঙ্কর অভিযোগে  অভিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারাধীন সেই মিয়ানমারকে আঞ্চলিক শক্তি ও রাষ্ট্রসমূহ সমর্থন দিচ্ছে, যেখানে মিয়ানমারে এখনো সংখ্যালঘু সমপ্রদায় প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রীয় মদতে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে। ‘গণহত্যাকারী’ দেশের প্রতি সমর্থন গণহত্যাকে বৈধতা দেবার নামান্তর যা বিশ্ববাসীকে হতবাক ও বেদনার্ত করেছে।অপরদিকে এক মিলিয়ন এর অধিক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের কয়েক বছর ধরে আশ্রয় দিয়ে এবং ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত’কে  চরম ঝুঁকিতে ফেলেও আঞ্চলিক শক্তি ও রাষ্ট্রসমূহের সমর্থন আদায়ে আমরা নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছি।রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বাইরে চীন, ভারত, ভুটান, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, জাপান, কোরিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াসহ  আঞ্চলিক ও বন্ধুরাষ্ট্রকে বাংলাদেশ পাশে পায়নি।এটা আমাদের জন্য ‘মহাবিপর্যয়ে’র ইঙ্গিত প্রদান করে। আঞ্চলিক রাজনীতির কোনো কারণ ছাড়া সকল প্রতিবেশী হঠাৎ করে বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এটা কল্পনাও করা যায় না। আঞ্চলিক শক্তিসমূহের ‘অভিপ্রায়’  অনুসন্ধান করে আমাদের রাষ্ট্রীয়  রাজনীতি পুনঃবিন্যাস করা প্রয়োজন।আজকের বিশ্বে এমন কোনো রাষ্ট্র নেই যার আঞ্চলিক রাজনীতিতে কোনো বন্ধু নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমাদের ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র প্রশ্নটি সম্পৃক্ত করে সকল কৌশল নির্ধারণ করতে হবে।বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কৌশলগত গভীর মিত্রতা স্থাপনকারী রাষ্ট্রসমূহ রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন না দেয়ার প্রশ্নে সরকার কোনো উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বা আপত্তি প্রকাশ করেনি, এমনকি কোনো প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেনি। যা খুবই দুঃখজনক।রোহিঙ্গা ইস্যু দীর্ঘস্থায়ী হলে সুদূরপ্রসারী কী প্রভাব পড়বে এবং বাংলাদেশকে কী মূল্য দিতে হবে তা বিবেচনায় না নিলে সাংঘাতিক বিপদজ্জনক অবস্থা তৈরি করবে।রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অনিশ্চিত হয়ে পড়লে অদূর ভবিষ্যতে (১) রোহিঙ্গা জনসংখ্যা বেড়ে কয়েক মিলিয়ন হবে, (২) এই বর্ধিত জনসংখ্যার স্থায়ী বাসস্থান এর প্রশ্নে আরো বৃহত্তর ভূখণ্ডকে বরাদ্দ করতে হবে, (৩) বিশ্ব রাজনীতির ‘ফোকাস’ থেকে  রোহিঙ্গা ইস্যু যখন সরে যাবে এবং ত্রাণ সরবরাহ কমে যাবে তখন উদ্বাস্তুদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে, এবং (৪) কয়েক মিলিয়ন উদ্বাস্তু সহিংস হয়ে সমগ্র বাংলাদেশকে সংঘাতপ্রবণ করার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।এ ধরনের পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক রাজনীতির মেরুকরণে বাংলাদেশ শোচনীয় পর্যায়ে পড়তে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যু যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য সীমাহীন এবং অন্তহীন সংকট, আমরা তা আমলে নিচ্ছি না।রোহিঙ্গা ইস্যুকে সরকার ভূ-আঞ্চলিক রাজনৈতিক চোখে দেখেনি, যা ভবিষ্যতে ‘লজ্জাজনক’ দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে প্রতিভাত হবে।‘অস্থায়ী’ রোহিঙ্গাদের জন্য ‘স্থায়ী বাসস্থান’ নির্মাণে সরকারের কৌশলগত পদক্ষেপ একেবারেই ‘অপরিণামদর্শী’। এতে বিশ্ববাসী নিশ্চিত হয়েছে যে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ‘দীর্ঘস্থায়ী আশ্রয়’ দিতে  আগ্রহী ও সম্মত।রোহিঙ্গা ইস্যুতে ৩টি বিষয়ে সরকার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে (১) বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের ‘আশ্রয় ও ঝুঁকি’র বিনিময়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, (২) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ওআইসিসহ ইসলামী বিশ্বের সমর্থন  আদায় করা, (৩) মানবিক সাহায্য ও ত্রাণ এর প্রশ্নে বিশ্ব বিবেক জাগ্রত করা।রোহিঙ্গাদের  প্রত্যাবাসন ছাড়া  রাষ্ট্র ‘দীর্ঘস্থায়ী সংকট’ ও ঝুঁকিতে পড়বে, এটা সরকার উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে তা হবে আমাদের আত্মবিনাশের নামান্তর।রোহিঙ্গা ইস্যুতে আঞ্চলিক মিত্ররা বাংলাদেশের পাশে না দাঁড়ানো এবং উদ্বাস্তুদের গ্রহণ ও আশ্রয়ের কৌশলের কারণে (১ ) যেকোনো সুযোগে মিয়ানমার মুসলিমসহ অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাস্তুচ্যুত করে  আরো শরণার্থী বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ায় উৎসাহী হতে পারে, (২ ) প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহ ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ‘বাঙালি’ খেদাও’র পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুতদের ‘আশ্রয়স্থল’ হিসেবে বেছে নিতে পারে, (৩) এই অঞ্চলে আঞ্চলিক পরাশক্তির রাজনৈতিক ক্ষমতার বলয় বৃদ্ধির দ্বন্দ্বে যে কোন উচ্চাভিলাষী শক্তি যেকোনো মুহূর্তে আগ্রাসীমূলক হয়ে ‘সীমান্ত অতিক্রম’ করতে পারে।নিকট অতীতে দেখা যায় উত্তর ও দক্ষিণ ভিয়েতনামের এক হওয়াকে কেন্দ্র করে মার্কিন এবং উত্তর ভিয়েতনামের যুদ্ধে দুর্ভাগ্যবশত কম্বোডিয়ার মতো সামরিক শক্তিহীন দেশ জড়িয়ে পড়েছিল। উত্তর ভিয়েতনাম মার্কিন সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সামরিক পদক্ষেপ নিলো। উত্তর ভিয়েতনামকে সহযোগিতা করা ছাড়া প্রিন্স সিহানুকের আর কোনো উপায় ছিল না। প্রেসিডেন্ট নিক্সন সেই যুদ্ধটাকে কম্বোডিয়া পর্যন্ত বিস্তার করলেন। গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লো, এককালের শান্তিপূর্ণ কম্বোডিয়া ধ্বংস হয়ে গেল। এভাবে গৃহযুদ্ধ লেবাননকেও ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে।আঞ্চলিক পরাশক্তির অবস্থান বা নীতি যেকোনো মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে।এ অঞ্চলের বাস্তুচ্যুত উদ্বাস্তুদের ‘নিরাপদ’ এবং আশ্রয়ের স্থায়ী ‘কেন্দ্র’ হিসাবে বাংলাদেশকে নির্ধারিত করার সুযোগ দেয়া হবে আমাদের জন্য ‘ঐতিহাসিক ভুল’।ক্ষমতার চশমা দিয়ে অদূরদর্শী সরকার রোহিঙ্গা সংকটের ‘গভীর সত্য’ দেখতে ব্যর্থ হচ্ছে।রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘের প্রস্তাবিত রেজুলেশনে ভারত ‘অনুপস্থিত’ থাকলেও দু’দিন পরেই ‘দৈনিক আনন্দবাজার’ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে বলা হয় সমুদ্রপথে ঢাকার সঙ্গে জোট চায় দিল্লি। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক এবং সাংস্কৃতিক সংযোগের পাশাপাশি কৌশলগত ক্ষেত্রেও সমঝোতা গভীর করতে চায় ভারত। জোট বাঁধতে চায় সমুদ্রপথেও।ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক, সাংস্কৃতিক, সামরিক ও কৌশলগত গভীর সমঝোতা চায়। অথচ বাংলাদেশ একবারও এজেন্ডা উত্থাপন করছেনা যে (১) বাংলাদেশে অবস্থানরত এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন না করলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা দারুণভাবে হুমকিতে পড়বে, (২)  গণহত্যাকারী মিয়ানমারের পক্ষে ভারত সমর্থন অব্যাহত রাখলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা অনিশ্চিত হবে।বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটকে যে কেবলমাত্র ‘মানবিক’ এবং ‘ত্রাণে’র ইস্যু হিসেবে গ্রহণ করে ফেলেছে তা আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহ নিশ্চিত হবার পর সবাই মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের নয়। বাংলাদেশ বিদ্যমান বাস্তবতায় বিশ্বের যেকোনো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের চেয়ে বেশি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে ‘বন্ধুহীন’।সরকারের সবচেয়ে বড় অংশীদার চীন, ভারত, জাপান, রাশিয়া সহ কোনো বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সঙ্গেই আমাদের ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র এজেন্ডা প্রাধান্য পাচ্ছে না। ফলে আঞ্চলিক কোনো রাষ্ট্র মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রশ্নে কোনো ঝুঁকি নিতে পারেনি কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সবাই পেরেছে। আঞ্চলিক রাষ্ট্রসমূহ জানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে না দাঁড়ালেও বাংলাদেশ প্রতিবাদ করবে না, আপত্তি জানাবে না, কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করবে না, এমনকি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কোনোকিছুতে প্রভাব পড়বে না। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ তার আচরণে এসব যৌক্তিকতা প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে।জাতিসংঘের উত্থাপিত প্রস্তাবে ভারতের ‘অনুপস্থিতি’র দগদগে ক্ষত থাকতেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হতে পারে।তিনি আরো বলেন, আমরা ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞ যে তাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিজয়ের মাসে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। আমাদের বিজয় ভারতেরও বিজয়।আমাদের বিজয় মানে ভারতের বিজয় কিন্তু আমাদের বিপদ মানে ভারতের বিপদ, এটা নিশ্চিত হলে নিশ্চয়ই রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বারবার মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করতো না।আত্মমর্যাদা এবং জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিদেশনীতি অনুসরণ করার ক্ষেত্রে ‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নটি’কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। বন্ধুত্বের ছদ্মবেশে কারা বাংলাদেশের প্রতি ‘শত্রুভাবাপন্ন’ তাও বাংলাদেশকে বিবেচনায় রাখতে হবে।জাতীয় নিরাপত্তা’র প্রশ্নকে আঞ্চলিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না করে আমরা যে মূলত ‘প্রতিরক্ষাবিহীন’ দেশে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছি তা আঞ্চলিক শক্তিসমূহ বুঝে ফেলেছে কিন্তু আমরা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি।সুতরাং বাংলাদেশকে নিয়ে যারা খেলার পরিকল্পনা করছে তারা ভবিষ্যতে পূর্বপরিকল্পিত যুদ্ধের বিশ্বাসযোগ্য কোনো ‘অজুহাত’ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে সামরিক শক্তি প্রয়োগের পাঁয়তারা করতে পারে। রোহিঙ্গা বা উদ্বাস্তু সমস্যায় আঞ্চলিক এবং বৃহৎ শক্তির দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ যদি ভবিষ্যতে কখনো সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তখন আমাদের দেশরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমগ্র জাতিকে এগিয়ে ’৭১ সালের মত স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনায় ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।৭১-এ স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতকে বন্ধু হিসেবে কাছে পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু বিরাজিত বিশ্ব বাস্তবতায়  সম্ভাব্য সংঘাতময় পরিস্থিতিতে সীমান্তবর্তী দেশকে আগের মতো বন্ধু হিসেবে পাওয়া দুরাশা মাত্র।সেই বিবেচনায় অন্যান্য বহু দেশের ন্যায় দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সকল নাগরিককে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে। পৃথিবীতে যোগ্যতর দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার জন্য বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ।সরকারের কাছে আন্তঃরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে উদারতা একটি ‘গুণ’ মনে হলেও রাষ্ট্রের জন্য তা ভয়ঙ্কর হতে পারে।সরকারের ‘উদারতা’ কোনো প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দখলদারিত্বের চরম মাত্রার পদক্ষেপকে নিবারণ করতে পারেনা। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে ‘অরক্ষিত’ রেখে কোনো কূটনীতি ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনা।স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংহত করতে সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে এটাই জাতির ন্যায় সঙ্গত প্রত্যাশা।

কোম্পানীগঞ্জে অটোরিকশা চাপায় ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র জাহিদুল হাসান পিয়াস’র মৃত্যু

164 Views

গিয়াস উদ্দিন রনি, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ব্যাটারি চালিত  অটোরিকশা চাপায় চতুর্থ শ্রেণীর পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।রবিবার(২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত স্কুল ছাত্র জাহিদুল হাসান পিয়াস(১০)। সে উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইয়াকুব আলী গনরের বাড়ীর আবু তাহের খোকনের ছেলে এবং স্থানীয় শান্তিরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম জানান, সিয়াম রবিবার বিকালের দিকে বাড়ির সামনের খেলা অবস্থায় দ্রুত গতির ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা তাকে চাপা দিলে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়। আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং জেলা সদরের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসারর জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি জানান,  এ ব্যপারে রিকশাচালকের চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নোয়াখালীতে সরকারী চাকুরী দেয়ার নামে আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

188 Views

মুলতানুর রহমান মান্না, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট কম: সরকারের স্বাস্থ্যবিভাগে চাকুরী দেয়ার নামে সাড়ে তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক প্রতারকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল কালাম বাদী হয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।ভুুক্তভোগী আবুল কালাম কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন, তিনি একজন সহজ, সরল ও নিরীহ প্রকৃতির মানুষ। মেঘনা নদীভাঙ্গনে তিনি বর্তমানে গৃহহারা ও সর্বহারা। হাতিয়ার অধিবাসী বর্তমানে জেলার মাইজদীতে অবস্থান করা আবুল কাসেম ২০১৩ সালে নিজেকে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সদর উপজেলার সভাপতি দাবি করে ভুক্তভোগী আবুল কালামের এক ছেলেকে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগে সাড়ে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে চাকুরি দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এ সময় আবুল কাসেম ভুক্তভোগী আবুল কালামের কাছ থেকে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনশত টাকার স্ট্যাম্পে অঙ্গিকারনামা প্রদান করেন। পরবর্তীতে আবুল কালামের ছেলের চাকুরি না হওয়ায় তিনি ওই টাকা ফেরত চাইতে গেলে কাসেম কখনো এমপি, কখনো উপজেলা চেয়ারম্যান, কখনো মন্ত্রীর নাম বিক্রয় করে নানারুপী তালবাহনা করেন।একপর্যায়ে অসহায় আবুল কালাম নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে মানবেতর, অসহায় ও বিপর্যস্ত অবস্থায় চাকুরির জন্যে দেয়া টাকা ফেরত চাইতে গেলে এ টাকা আরো পরে দেবেন বলে নানাভাবে কালক্ষেপনের পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুধারাাম থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে বলা হয়েছে। জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের জেলার সভাপতি আবুল কালাম ভুইয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বসর চৌধুরী জানান, বিভিন্ন ধরনের প্রতারনার দায়ে আবুল কাসেমকে দু’বছর আগে বহিষ্কার করা হয়েছে।এছাড়া আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে আরো একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশ, স্বাস্থ্য ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব নিয়ে আবুল কাসেমের সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, তাদের সাথে কথা হয়েছে।সুুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.সাহেদ উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে এসআই জুয়েল আলমকে দেখতে বলা হয়েছে। এস আই জুয়েল আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।