কোর্ট রিপোর্টার, দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নে নীরবে-নিভৃতে লাভলু বাহিনী ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসের থাবা। ছোটখাটো অপরাধ দিয়ে শুরু করে এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। নির্যাতন, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার সহ নানা অপরাধে জড়িত এই বাহিনীর সদস্যরা। এত কিছুর পরও সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। কারণ, প্রতিবাদ করলেই ধরে নিয়ে চালানো হয় নির্যাতন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বছর খানেক উপজেলার পাড়া-মহল্লা দাপিয়ে বেড়ানো এই গ্যাংয়ের মূলহোতা ফারুক ইসলাম ওরফে লাভলু। সে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ক্যাপ্টেন আবদুর রহমানের ছেলে। এই বাহিনী উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের একটি অংশেরও নিয়ন্ত্রণ করছেন। এরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজের অনুসারী। অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট নোয়াখালী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের তোফর আলী ভূঁঞা বাড়ির আবুল কালামের ছেলে নওশাদ জিলানীকে (২৩) তার বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায় লাভলু বাহিনীর সদস্যরা। এরপর তাকে তাদের টর্চার সেলে নিয়ে গাছের সাথে দু’হাত পিছনে দিয়ে বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে অলিখিত তিনটি ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেয়। এ সময় তারা একটি মোবাইল, নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং হত্যার হুমকি দিয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ডেভিট কার্ড নিয়ে জোরপূর্বক কার্ডের পাসওয়ার্ড নিয়ে নগদ চার হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে নিয়ে যায়। এরপর ওই কলেজ ছাত্রের পিতাকে মুঠোফোনে তার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে দুই লক্ষ টাকা আদায়ের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের তৎপরতায় তাদের এ চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ২৪ আগস্ট ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র বাদী হয়ে লাভলু বাহিনীর প্রধান লাভলু ও জুয়েলকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-১৮। অনুসন্ধানে লাভলু বাহিনীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চাঁদাবাজি, অপহরণ সহ অনেক গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে। যদিও অনেক ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন। তারা প্রকাশ্যে না বললেও প্রতিবেদকের কাছে বর্ণনা করেছেন লাভলু বাহিনীর নানা নির্মমতার কথা। এই বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় প্রায় চারটি মামলার নথি পাওয়া গেছে। এর বাইরেও অনেক ঘটনা তুলে ধরেছেন ভুক্তভোগীরা। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা ভয়ে মামলাও করতে যাননি। অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, গত সোমবার ৬ নভেম্বর উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের গণু দফাদার বাড়ির হুমায়ন কবিরের ছেলে ইলেকট্রিক মেস্ত্রী মো. একরাম উল্যাহ এ বাহিনীর চার সদস্যের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ অক্টোবর লাভলু বাহিনীর প্রধান লাভলু (৩০) ও তার সহযোগী ইসমাইল হোসেন মিলন (৩৮) মো.আবদুল হালিম ওরফে সজীব (৩৪) এবং মো.জুয়েল (৩৪) বসুরহাট বাজারের একটি গলির ভিতর ইলেকট্রিক মেস্ত্রী একরামের ২লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। এরপর গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৫-৬ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্ত সড়ক থেকে লাভলু বাহিনীর সদস্যরা একরামকে তুলে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত মুরগীর ফার্মের ভিতর নিয়ে হাত-পা বেঁধে আটক করে ব্যবহৃত মুঠোফোন নিয়ে যায়। এরপর রাত ১১টার দিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ফোনে থাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের পাসওয়ার্ড নিয়ে যায়। তারপর তারা মোবাইলে থাকা ইসলামী ব্যাংকের সেলফিন একাউন্ট স্পটওয়ার ব্যাংকিং থেকে ১লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়। গত ১ নভেম্বর সকালে একরামের বাড়িতে হানাদেয় লাভলু বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে তারা একরামকে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে আসে। না হলে অসুবিধা হবে বলে হুমকি দিয়ে আসে। এখানেই শেষ নয়। ২০২২ সালের ৬ জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লাভলু বাহিনীর সদস্যরা মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা হানিফ সবুজের উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান সবুজের বাবা আনিছল হক বাদী হয়ে লাভলু বাহিনীর প্রধান লাভলু সহ ২২জনের নাম উল্লেখ করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন চেয়ারম্যান সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে রাস্তা পরিদর্শনে বের হন। ওই সময় লাভলু বাহিনীর প্রধান লাভলু সহ সন্ত্রাসীরা তাকে অবরুদ্ধ করে গুলি চালায়। গুলি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হলে হকষ্টিক, লোহার রড, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ডান পা ভেঙ্গে দেয়। হামলার একপর্যায়ে তারা দেশীয় এলজি দিয়ে ফাঁকা গুলি করে আতংক সৃষ্টি করে। সব অভিযোগ অস্বীকার করে লাভলু বাহিনীর প্রধান ফারুক ইসলাম ওরফে লাভলু বলেন, দুটি মামলা বর্তমানে আমার নামে রয়েছে। এরমধ্যে কিছু রাজনৈতিক মামলা অটো হয়েছে অটো শেষ হয়ে গেছে। তবে আমার নামে কোনো বাহিনী নেই। লাভলু বাহিনীর বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.হানিফ সুবজ বলেন, এ বাহিনীর আরও সদস্য আছে। সাইফুল ও দুলাল নামে দুজন আছে। দুলাল গত সপ্তাহে বাহিরে চলে গেছে। এদের বিরুদ্ধে অনেক মামলা, তাদের বিরুদ্ধে মামলার শেষ নেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান সবুজ বলেন, আমার ইউনিয়নের ৪ নম্বর ও ৫নম্বর ওয়ার্ড কন্টোলের বাহিরে। ওই দুটি ওয়ার্ড একটু নিরিবিলি এলাকা। রাত ৮টার পর ওই এলাকায় কেউ ঢুকতেই পারে না। তাদের যন্ত্রণায় অস্থির। আমি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার কাছে বার বার বলেছি। তাদেরকে গ্রেপ্তার করিয়েছি ৭-৮ বার। কিছু দিন পর তারা বের হয়ে চলে আসে। কোর্টে হাজিরা না দেওয়া গত বৃহস্পতিবার আমার ওপর হামলার মামলায় এদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.নিজাম উদ্দিন বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হরতালের সমর্থনে লাঠি নিয়ে বিক্ষোভ, ৫ পুলিশ আহত, আটক-১৯
বেগমগঞ্জে নাশকতার পরিকল্পনাকালে গ্রেপ্তার ৯
সুধারামে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় বিআরডিবির মাঠ কর্মীর হত্যা মামলার খুনী রুবেল বাহিনী আজও গ্রেফতার হয়নি
বিশেষ প্রতিনিধি,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃ সুধারামে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় বিআরডিবির মাঠ কর্মীর হত্যা মামলার খুনী রুবেল বাহিনী আজও গ্রেফতার হয়নি৷ এই নিয়ে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে৷হতভাগ্য যুবকের অকাল মৃত্যুতে পরিবারের বোবা কান্না চলছে৷ভিকটিমের মা মমতাজ বেগম হাউ-মাউ কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন,খুনি রুবেল বাহিনীর গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানান৷ ভিকটিমের স্ত্রী শিরিন আক্তার বলেন, আমি এতিম দুই সন্তান নিয়ে এখন আমি কোথায় যাবো?কি করবো?দুই চোখে অন্ধকার দেখছি!আমি মাদক সম্রাট রুবেল ও ভাড়াটিয়া মাদক গ্যাংয়ের ফাঁশি দাবি করছি৷ স্কুল শিক্ষিকা সুলতানা নাসরিন অশ্রু সজল কন্ঠে বলেন, আমার দেবর মুকুলকে নির্মম নৃশংসভাবে আগাত করার পর আশংকাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করলে ১ মাস ১৭ দিন চিকিৎসার পর নিহত হোন৷ অসহায় সুলতানা নাসরিন বলেন ভিকটিম মুকুলের চিকিৎসা বাবদ হাসপাতালে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা ব্যায় করা হয়৷ চিকিৎসাকালীন নোয়াখালীতে ভিকটিম পরিবার অনুপস্থিত থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা থানা পুলিশের সাথে গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা গ্রহণ করে৷ ভিকটিমের ভাবি সুলতানা নাসরিন বলেন,হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে সুধারাম মডেল থানার দারোগা জাহাঙ্গীরকে ৬ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়৷দারোগা জাহাঙ্গীরকে টাকা দেয়ার পরও মামলা সঠিক ভাবে গ্রহণ না করে উল্টো হয়রানি করেন ভিকটিমের পরিবার কে৷ নিহত হুমায়ুন কবির মুকুলের পিতা আবদুল কাদের দৈনিক নোয়াখালী সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কে বলেন সাহেবের হাট বাজারে প্রকাশ্যে আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে রুবেল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে৷এই হামলার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলেও রহস্যজনক কারণে খুনিরা গ্রেফতার না হওয়ায় মামলা প্রত্যাহার করতে ফের খুন ও গুমের হুমকি ধামকি দিচ্ছে আসামীরা৷ এব্যাপারে নোয়াখালী ৬নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত বলেন,আমি এই ন্যাকারজনক ঘটনার নিন্দা জানাই, অন্য ইউনিয়ন থেকে ভাড়াটিয়া মাদক গ্যাং আমার ইউনিয়নে এসে মুকুলকে হত্যা করেছে৷সভ্য ও স্বাধীন দেশে এটা কারোর কাম্য নয়৷শোকাহত পরিবারের সাথে এই ঘটনার জড়িত দোষীদের বিচার ও শাস্তি দাবি করছি৷ নৈপথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে,নোয়াখালী সদর উপজেলায় মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলায় গত ১ অক্টোবর সকালে উপজেলার সাহেবের হাট পশ্চিম বাজারে নিহতের বাবার সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন কবির। সন্ত্রাসী কালা মিয়া, ওমর , সাহাবউদ্দিন, সবুজের নেতৃত্বে এবং রুবেলের মদদে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী তার বাবার সামনে সন্তান হুমায়ুককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।শনিবার নিহত হুমায়ন কবির মুকুলকে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
নিহত হুমায়ুন কবির মুকুল(৩৫) নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল্যাহপুর গ্রামের আবদুল কাদেরে ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড বিআরডিবির একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্পে নোয়াখালীর সেনবাগে মাঠ সহকারী পদে কর্মরত ছিলেন।মুকুলের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, এলাকায় সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় মাদক ও অসামাজিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তিনি। কয়েক মাস আগে মাদক ব্যবসায়ী কালামের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। এর জেরে গত ১ অক্টোবর সাহেবের হাট বাজারে মাদক ব্যবসায়ী কালাম, ওমর, সাহাব উদ্দিন, সবুজ, রুবেলসহ সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হয় মুকুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মুকুলের স্বজন ও এলাকাবাসী এই হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জড়িত মাদকসেবীদের গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়েছেন। এসময় শত শত মানুষ এই সন্ত্রাসীদের বিচার দাবী করেছেন।সুধারাম মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান দৈনিক নোয়াখালী সময় অনলাইন নিউজ পোর্টাল কে বলেন ঘটনার পর পরই এ ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলাটি এখন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।এই রিপোর্ট লেখার সময় পযর্ন্ত আসামীরা ধরা পড়েনি৷
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের খননকাজ চালু
মোঃরেজাউল করিম রাজু,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জের শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের খননকাজ শুরু করেছে বাপেক্স। এ খনন কাজ শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।শনিবার (৪ নভেম্বর) থেকে এ কূপের খনন কাজ শুরু করা হয়েছে বলে বাপেক্স সূত্র নিশ্চিত করেছেন। খনন কাজ শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শোয়েব, মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক, বাপেক্সের প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল, বাপেক্সের চরকাঁকড়া ৩ নম্বর কূপের ড্রিলিং সুপারিন্টেন্ডেট ও ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.শোয়েব জানান, কূপটি প্রায় ৩হাজার ৫০০মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করা হবে। এ কূপের খনন কাজ সফল ভাবে সম্পন্ন হলে প্রতিদিন ১০মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কূপটি খনন কাজের শুরুর দিন থেকে ১২০দিনের (৪ মাস) মধ্যে খনন সম্পন্ন হবে বলে তিনি জানান।অন্যদিকে শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপের খননকাজ শেষে গত ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে এখনো উৎপাদন চলমান রয়েছে। এদিকে ১নম্বর কুপ ২০১২ সালের ১৭মার্চ থেকে উৎপাদন শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে। এতে মোট ৯.৯৫ বিসিএফ গ্যাস উৎপাদন হয়েছে। এতে উৎপাদনের জন্য প্রকল্প ব্যয় হয় ৫৯.৭০ কোটি টাকা।প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটি উৎপাদনের যাবার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন।
নোয়াখালী সেনবাগ পৌরসভা মেধাবৃত্তি ও সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ
খন্দকার নিজাম উদ্দিন,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃএক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যেদিয়ে সেনবাগ পৌরসভা মেধা বৃত্তি পরীক্ষার সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার দুপুরে সেনবাগ উপজেলা অডিটোরিয়ামে বৃত্তির পরীক্ষার পৃষ্টপোষক, সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু নাছের ভিপি দুলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অজিত দেব।মাস্টার আবুল বাশার এবং নূর হোসাইন সুমনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, জেলা শিক্ষা অফিসার নুর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদুল ইসলাম, মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ও এস এ গ্রুপের সমন্বয়ক হাসান মঞ্জুর, সেনবাগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা হোসেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাহাব উদ্দিন, উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর বলরাম চন্দ্র মজুমদার, সেনবাগ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি বেলায়েত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মনিরুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি এএন এম শহীদ উল্যাহ, বৃত্তি পরিচালনা কমিটির উপদেষ্টা আবদুস সাত্তার বিএসসি।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পশ্চিম ইয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর উল্লাহ,উত্তর অর্জুনতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকেয়া বেগম, সেনবাগ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী আবুল আনছার ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন।অন্যান্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ পৌরসভার প্যানেল মেয়র কামাল উদ্দিন বাবুল, কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন, আইয়ুব আলী মিয়াজি, সাখাওয়াত হোসেন, বদরুল হোসেন, ফাতেমা বেগম।পরে প্রতি শ্রেণীতে মেধা তালিকা অনুযায়ী ২০ জন করে ৩য় শ্রেণি থেকে ৮ ম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ১২০জন শিক্ষার্থীকে নগদ অর্থ ও সনদ প্রদান করা হয়।উল্লেখ্য গত ১২ নভেম্বর ৪টি ভ্যেনুতে ২০১৬ শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহনে প্রথম বারের মত সেনবাগ পৌরসভা মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিলেন
ন্যাশনাল ডেক্স,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ায় গতবারের মতো এবারও মন্ত্রিসভার টেকনোক্র্যাট (সংসদ সদস্য নন) মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে দুজন মন্ত্রী ও একজন প্রতিমন্ত্রী রোববার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ করা হবে।বর্তমান মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া মোট সদস্য ৪৭ জন। এরমধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী। তিনজনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে মন্ত্রিসভায় সদস্য সংখ্যা হবে ৪৩ জন। এরমধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী।ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘এবারও গতবারের মতো হবে।’ তিনি এর বেশি কিছু জানাতে রাজি হননি। কখন পদত্যাপপত্র দিচ্ছেন, জানতে চাইলে বলেন, ‘এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নিন।’অন্যদিকে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘গতবার আমরা যা করেছি, এবারও সেটাই হবে। বাকিটা আপনারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জেনে নিন।’সংসদ সদস্য নন প্রধানমন্ত্রীর এমন উপদেষ্টারাও পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে ওই বছরের ৮ নভেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন। ওইদিনই বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে চার মন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীসহ ২৯ সদস্যের নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরমধ্যে ২১ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ৭ জন। ওই মন্ত্রিসভায় মহাজোট সরকারের ১৬ মন্ত্রী ও ১৪ জন প্রতিমন্ত্রীর বাদ পড়েন। নিয়োগ দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীর আরও দুই উপদেষ্টা।নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের জন্য ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তারিখবিহীন পদত্যাগপত্র জমা দেন মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা। রাষ্ট্রপতি যে পদত্যাগপত্রগুলো গ্রহণ করেন তারাই নির্বাচনকালীন সরকারে স্থান পাননি। ওই মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদের ৬ জন মন্ত্রী ও দুজনকে প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে মাইক্রো চাপায় মুসল্লির মৃত্যু

সুবর্ণচরে সিএনজি-ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক নিহত, আহত-৩
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন
মাহমুদ খাঁন,দৈনিক নোয়াখালী সময় ডট.কমঃদীর্ঘদিন পর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ সেবা চালু হয়েছে। মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নামফলক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।জানা যায়, প্রায় ৪০ লাখ মানুষের বসবাস নোয়াখালী জেলায় দীর্ঘদিন ধরে কোনো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ সেবা ছিল না। করোনা মহামারির সময় অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের অর্থায়নে দুইটি আইসিইউ সেবা চালু করা হয়। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ১০ শয্যার আইসিইউ সেবা চালু হওয়ায় সুফল ভোগ করবে নোয়াখালীসহ আশপাশের জেলার মানুষজন।২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে কোনো আইসিইউ সেবা চালু ছিল না। সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় আইসিইউ পেয়েছি। আমাদের হাসপাতাল ২৫০ শয্যার হলেও ভর্তি থাকে প্রায় ৭০০ রোগী। এখন আইসিইউ যুক্ত হলো।সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল করোনার সময়ে নোয়াখালী লক্ষ্মীপুরের মূল কেন্দ্র ছিল। এ হাসপাতালে ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী নিয়মিত ভর্তি থাকে। এখানে কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগ ছিল। তবে আইসিইউ সেবা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হতো রোগীদের। সংকটাপন্ন রোগীর জন্য আমরা এখন আইসিইউ সেবা দিতে পেরেছি। ঢাকায় আইসিইউ সেবা ব্যয়বহুল আবার সময়মতো পাওয়া যায় না। এখন দরিদ্র মানুষও আইসিইউ সুবিধা নিতে পারবে।উদ্বোধনের সময় জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীতে আইসিইউ সেবা ছিল না। লক্ষ্মীপুরের মানুষজনসহ অনেকেই এখানে সেবা নিতে এসে ফিরে যেতে হতো। আইসিইউ সেবা না থাকায় অনেক সঙ্কাটাপন্ন রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যেতো। স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে চেষ্টা সেটি আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল।জনবল সংকট নিরসনের কাজ করছেন উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, জনবল না হলে এই আইসিইউ সেবা পেতে অসুবিধা হবে। আমাদের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কথা বলবো। এমপি মহোদয় জনবল বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি আইসিইউ সেবা চালুর মাধ্যমে নোয়াখালীর মানুষের এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হয়েছে।এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশব্যাপী বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কার্যক্রম উদ্বোধনের অংশ হিসেবে নোয়াখালীতে ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় হয় ৪ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। এসব প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, এলজিইডি সড়ক বিভাগ নোয়াখালী বাস্তবায়ন করেছে।এ সময় নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মাসুম পাটোয়ারী, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. দিদার-উল-আলম, জেলার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. মাছুম ইফতেখার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এএইচএম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহান এবং জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধা এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।